প্রথম ও দ্বিতীয় পিউনিক যুদ্ধের মাঝে বিরতি ছিল তেইশ বছর। এই সময়ের প্রথমভাগে কার্থেজ জড়িয়ে পড়েছিল মার্সেনারিদের সাথে লড়াইয়ে। জেনারেল হ্যামিলকার বার্কারের নেতৃত্বে এই যুদ্ধে কার্থেজ জয়ী হয়। হ্যামিলকার প্রসিদ্ধি লাভ করেন একজন অভিজ্ঞ ও নির্ভরযোগ্য কমান্ডার হিসেবে। এর পথ ধরে কার্থেজের শাসনক্ষমতায় বারসিড পরিবারের প্রভাব বাড়তে শুরু করে। এই পরিবার রোমের সাথে সম্পাদিত সন্ধি চুক্তিকে দাসত্বের সমতুল্য মনে করত, এবং রোমের সাথে আরেকটি যুদ্ধের পক্ষপাতী ছিল। ক্রমেই তাদের মতানুসারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে।
এদিকে প্রথম পিউনিক যুদ্ধে কার্থেজের পরাজয়ের পর ভূমধ্যসাগরে রোমান নৌবাহিনী কার্যত একাধিপত্য প্রতিষ্ঠা করে। নতুন করে নৌবহর গড়ে তোলার মতো সামর্থ্য কার্থেজ হারিয়ে ফেলে, যা শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয় পিউনিক যুদ্ধে তার পরাজয়ের অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এদিকে মার্সেনারি যুদ্ধের শেষ দিকে কার্থেজ কর্সিকা ও সার্ডিনিয়াতে সামরিক হস্তক্ষেপ করতে চাইলে রোম একে তাদের সাথে চুক্তিভঙ্গের সামিল বলে দাবী করে। ফলে কার্থেজকে সিসিলি ছাড়াও এই দুই দ্বীপ রোমের অধিকারে ছেড়ে দিতে হয়, এবং পিউনিক যুদ্ধের ক্ষতিপূরণের সাথে আরো অর্থ শাস্তিস্বরূপ রোমকে দিতে বাধ্য হয়। এসব কারণে কার্থেজের অভিজাত শ্রেণীর মধ্যে রোম-বিরোধী মনোভাব ক্রমশ বাড়তে থাকে।
প্রথম ইলিরিয়ান যুদ্ধ (২২৮-২২৯ খ্রিস্টপূর্বাব্দ)
ইলিরিয়ানরা ছিল অর্ধ-বর্বর বিভিন্ন গোত্রে বিভক্ত একটি জাতি। তাদের বাস অ্যাড্রিয়াটিক উপকূল ঘেঁষে বিস্তীর্ণ এলাকায়, যা গ্রিসের অন্তর্গত এপিরাস রাজ্যের উত্তরাংশ পর্যন্ত। অ্যাগ্রন নামে এক শক্তিশালী রাজা তাদের ঐক্যবদ্ধ করে একটি ইলিরিয়ান রাজ্য প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হন। অ্যাগ্রন মেসিডোনিয়ার সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপন করেন। তিনি এপিরাসের যুদ্ধ এবং ইটোলিয়ান ও আকিয়ান জোটের সাথে বিবাদে মেসিডোনিয়ার পক্ষাবলম্বন করেন। তার সময় ইলিরিয়ানরা মেসিডোনিয়ার বিরোধী বিভিন্ন গ্রীক রাজ্যের উপর ছোটখাট হামলা চালাতে থাকে। এছাড়াও ভূমধ্যসাগরে বিভিন্ন পণ্যবাহী গ্রীক জাহাজ ইলিরিয়ান জলদস্যুদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়।
২৩১ খ্রিস্টপূর্বাব্দে অ্যাগ্রনের মৃত্যুর পর তার রানী টিউটা শাসনভার গ্রহণ করেন। তিনি স্বামীর দেখানো পথ ধরে গ্রিসের পশ্চিম উপকূল জুড়ে ইলিরিয়ানদের হামলা অব্যাহত রাখে। এর সাথে তিনি জলদস্যুতার মাত্রা বৃদ্ধি করেন এবং অ্যাড্রিয়াটিক ও আয়োনিয়ান সাগর জুড়ে তাণ্ডব চালাতে থাকেন। ফলে বিভিন্ন রাজ্য প্রবলভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর মধ্যে দক্ষিণ ইতালির অনেক নগর রাষ্ট্রও ছিল। এসব রাষ্ট্র তখন রোমের প্রভাব বলয়ের ভেতরে অবস্থিত রোমের সাথে মৈত্রী চুক্তিতে আবদ্ধ। সুতরাং প্রতিকার চেয়ে রোমের কাছে তাড়া আবেদন করল।
রোম থেকে প্রথমে টিউটার কাছে ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়। ইলিরিয়ান রানী হেসে তা উড়িয়ে দিলেন। ফলে ২২৯ খ্রিস্টপূর্বাব্দের বসন্তে রোমান জাহাজ ও লিজিওনের সম্মিলিত বাহিনী ইলিরিয়ানদের আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণ প্রতিহত করার শক্তি ইলিরিয়ানদের ছিল না। এক বছরের মধ্যে তারা হার মেনে শান্তিচুক্তি করতে বাধ্য হয়। চুক্তি অনুযায়ী, টিউটা তার ক্ষমতা ধরে রাখতে পারলেও রাজত্বের এক বিরাট অংশ রোমের কাছে হারান। এছাড়াও রোমকে নিয়মিত কর পরিশোধের শর্তে ইলিরিয়ান রাষ্ট্র প্রকৃতপক্ষে রোমের করদ রাজ্যে পরিণত হয়। এছাড়াও আয়োনিয়ান সাগরে জলদস্যুতা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করতে টিউটা অঙ্গীকার করেন।
ইলিরিয়ান যুদ্ধে গ্রীক ভূখণ্ডে পা রাখে রোমান লিজিওন। গ্রিসে বিভিন্ন রাষ্ট্রের সাথে মিত্রতার স্বার্থে সিনেট রোমান সেনাদের উপস্থিতির কারণ ব্যাখ্যা করে সেখানে তাদের প্রতিনিধিদল প্রেরণ করে। জলদস্যুতা বন্ধ হওয়া রোমের মতো গ্রীক রাজ্যগুলোর কাছেও ছিল জরুরি। এ কারণে রোমের সাথে কর্সিরা, এপিড্যামনাস ও অ্যাপোলোনিয়ার মৈত্রীচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এছাড়াও রোমান প্রতিনিধিদল ক্ষমতাশালী ইটোলিয়ান ও আকিয়ান জোটের সাথে সাক্ষাত করে এবং অ্যাথেন্স ও করিন্থ সফর করে। ইলিরিয়ানদের দমনের পরের বছরই, ২২৮ খ্রিস্টপূর্বাব্দে তৎকালীন ইস্থমিয়ান গেমসে রোমের অন্তর্ভুক্ত গ্রিসে তাদের সার্বজনীন গ্রহণযোগ্যতার প্রমাণ দেয়।
এদিকে ইলিরিয়ানদের মিত্র মেসিডোনিয়া সন্দেহ আর শঙ্কা নিয়ে অ্যাড্রিয়াটিকের পূর্বে গ্রীক ভূখণ্ডে রোমের অনুপ্রবেশ দেখছিল। তৎকালীন গ্রিসের সর্বপ্রধান রাষ্ট্রকে পাশ কাটিয়ে মেসিডোনিয়ার শত্রু ইটোলিয়ান ও আকিয়ান জোটের সাথে রোমের দহরম মহরম তাদের পছন্দ হচ্ছিল না। কিন্তু ২২৯ খ্রিস্টপূর্বাব্দে রাজা দেমেট্রিয়াসের মৃত্যুর পর সিংহাসনের উত্তরাধিকার নিয়ে গোলযোগ দেখা দেয়ায় তারা রোমের বিরুদ্ধে তাদের ইলিরিয়ান মিত্রকে সাহায্য করতে পারেনি।
দ্বিতীয় ইলিরিয়ান যুদ্ধ (২২০-২১৯ খ্রিস্টপূর্বাব্দ)
মেসিডোনিয়ার রাজা অ্যান্টিগোনাস আকিয়ান জোটের সাথে মৈত্রী করেন। এর পথ ধরেই মেসিডোনিয়া ২২২ খ্রিস্টপূর্বাব্দে স্পার্টা দখল করে নেয়। এর ফলে প্রায় সাড়া গ্রিসে মেসিডোনিয়ার একচ্ছত্র অধিকার স্থাপিত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়। তখন ফারোসের স্বৈরাচারী রাজা ডেমেট্রিয়াস রোমের পক্ষ ত্যাগ করে মেসিডোনিয়ার জোটে যোগ দেন। ডেমেট্রিয়াসকে রোম কর্সিরার ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করেছিল, কিন্তু তিনি মেসিডোনিয়ার প্ররোচনায় রোমের মিত্র নগর রাষ্ট্রগুলোর উপর আক্রমণ চালাতে শুরু করলেন। তদুপরি, ২২০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে তিনি গ্রীক জলসীমায় জলদস্যু বাহিনী প্রেরণ করেন। এসব কারণে রোম যুদ্ধ ঘোষণা করে। শুরু হয় দ্বিতীয় ইলিরিয়ান যুদ্ধ।
প্রথম যুদ্ধের মতো এখানেও পরিসমাপ্তি হয় খুব দ্রুত। যে মেসিডোনিয়ার শক্তির দম্ভে ডেমেট্রিয়াস রোমের বিরুদ্ধাচরণ শুরু করেছিলেন, তারা তখন তাদের তৎকালীন রাজা পঞ্চম ফিলিপের নেতৃত্বে ইটোলিয়ান জোটের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত। সুতরাং সেদিক থেকে কোনো সহায়তা ডেমেট্রিয়াস পেলেন না। তিনি পালিয়ে বাঁচলেন। তার বাহিনী ও প্রজারা রোমের কাছে আত্মসমর্পণ করার পর রোম ফারোস ও ডিমিলোসে ডেমেট্রিয়াসের প্রধান দুর্গের দখল নিয়ে নেয়।
গ্যালিক যুদ্ধে (২২৫-২২২ খ্রিস্টপূর্বাব্দ)
দুই ইলিরিয়ান যুদ্ধের মধ্যবর্তী কালে রোমের সাথে ইতালিতে বসবাসকারী গল জাতিগোষ্ঠীর সংঘাত দানা বেধে ওঠে। প্রায় পঞ্চাশ বছর ধরে এই গলরা রোমের সাথে চুক্তির ভিত্তিতে পো নদীর অববাহিকাতে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান করছিল। লুটেরা মনোবৃত্তি ছেড়ে তারা বেশিরভাগই মনোনিবেশ করেছিল কৃষিনির্ভর গৃহস্থালিতে। ২৩২/২৩৩ খ্রিস্টপূর্বাব্দে ট্রিবিউন ফ্ল্যামিনিয়াসের জারি করা আইনে গলদের বসবাসের স্থানের দক্ষিণে অনাবাদি জমি প্রাক্তন রোমান যোদ্ধা ও গরিব নাগরিকদের মধ্যে ভাগ করে দেয়া হয়। গলরা একে তাদের বাসস্থান কেড়ে নেয়ার প্রথম ধাপ হিসেবে মনে করে। ফলে রোমের বিরুদ্ধে শুরু হয় সশস্ত্র সংঘাত, যাতে সিনোমানি ছাড়া বাকি সব গল উপজাতি অংশ নেয়।
২২৫ খ্রিস্টপূর্বাব্দে জেসাটি নামে গল জাতির একটি বাহিনী আল্পস পার হয় রোমের অধিভুক্ত এলাকাতে হামলা চালানোর উদ্দেশ্যে। এদের সাথে যোগ দেয় বই ও ইন্সাব্রেস নামে আরও দুই উপজাতি। এদের সম্মিলিত বাহিনীতে ছিল ৫০,০০০ পদাতিক আর ২০,০০০ অশ্বারোহী।
গলদের অভিযাত্রায় রোম ও তার ইটালিয়ান মিত্ররা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে। গলরা যাতে আম্ব্রিয়া ধরে ভেতরে ঢুকতে না পারে সেজন্য এক কন্সাল তার বাহিনী নিয়ে অ্যারিমিনামে ঘাঁটি করলেন, আরেকজন অবস্থান নিলেন সার্ডিনিয়াতে। ইট্রুরিয়ার প্রতিরক্ষার ভার দেয়া হলো রোমানদের মিত্রদের ওপর।
এদিকে গলরা অ্যারিমিনাম এড়িয়ে অ্যাপেনাইন পর্বতমালা পার হয় ইট্রুরিয়া আক্রমণ করল। রোমান মিত্রদের পরাজিত করে তারা বিজিত অঞ্চলে লুণ্ঠন চালাতে লাগল। এদিকে খবর পেয়ে অ্যারিমিনামের রোমান সেনাদল ইট্রুরিয়ার দিকে এগিয়ে আসতে লাগল। সার্ডিনিয়া থেকে অন্য বাহিনীও জাহাজে রওনা হলো।
গলরা অ্যারিমিনামের রোমান বাহিনীর সাথে সংঘর্ষ এড়াতে পিছু হটতে লাগল। ওদিকে সার্ডিনিয়ার সেনাদল তাদের অজ্ঞাতে উত্তরদিকে এসে নামল। টেলেমন নামক এক স্থানে গলরা দুই বাহিনীর মাঝখানে আবদ্ধ হয়ে পড়ল। রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ে গল বাহিনী সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেল। রোমান এক কন্সাল যুদ্ধের ময়দানে নিহত হন, অপর কন্সাল মার্সেলাস গলদের রাজাকে হত্যা করেন।
২২৪ থেকে ২২২ খ্রিস্টপূর্বাব্দের মধ্যে বই ও ইন্সাব্রেসদের বিরুদ্ধে রোম আরো তিনটি ক্যাম্পেইন পরিচালনা করে। গলদের আয়ত্ত্বে রাখতে তারা বইদের এলাকাতে মিউটিনা এবং ইন্সাব্রেসদের অঞ্চলে প্ল্যাসেনশিয়া ও ক্রিমোনা নামে তিনটি মিলিটারি কলোনি স্থাপন করে।
স্পেনে কার্থেজের অনুপ্রবেশ
রোমের সাথে আরেকটি যুদ্ধ অবশ্যম্ভাবী, এটাই ছিল হ্যামিলকার বার্কা ও বারসিড পরিবারের মূলমন্ত্র। এজন্য প্রয়োজন অর্থ ও লোকবল। সিসিলিসহ অন্যান্য দ্বীপ রোমের কাছে হারানোর পর হ্যামিলকার তাই স্পেনের দিকে নজর দিলেন এই দুটি জিনিস সরবরাহের জন্য। ২৩৭ সালে প্রথম তিনি স্পেনে পা রাখেন। স্থানীয় গোত্র ও রাজাদেরকে দ্রুতই পরাভূত করে কার্থেজের উপনিবেশ স্থাপন করতে শুরু করেন। দুর্ভাগ্যজনকভাবে ২২৯ খ্রিস্টপূর্বাব্দে তিনি যুদ্ধে নিহত হন। স্পেনে কার্থেজের সেনাদলের দায়িত্ব এবার কাঁধে তুলে নিলেন হ্যামিলকারেরই জামাতা হাসড্রুবাল। তাঁর নেতৃত্বে উপদ্বীপের দক্ষিণ ও পূর্ব অংশে কার্থেজের সরাসরি আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হয়।
নিউ কার্থেজ
হাসড্রুবাল স্পেনে কার্থেজের ক্ষমতার কেন্দ্র হিসেবে নিউ কার্থেজ নামে একটি নগর প্রতিষ্ঠা করেন। এখান থেকে নিয়মিত স্পেনের রৌপ্য খনি থেকে প্রাপ্ত অর্থ কার্থেজে পাঠানো হত। এই বার্ষিক পরিমাণ ছিল ২,০০০ থেকে ৩,০০০ ট্যালেন্ট (তৎকালীন রোমে প্রচলিত অর্থের মাপকাঠি), আজকের দিনে যা প্রায় ২.৪ থেকে ৩ মিলিয়ন ডলারের সমতুল্য। এই রাজস্বের প্রভাবে কার্থেজের কোষাগার ফুলে ফেঁপে উঠতে থাকে। তার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে বারসিডদের সম্পদ ও প্রতিপত্তি।
হাসড্রুবাল ও রোমের চুক্তি
স্পেনে কার্থেজের ক্রমবর্ধমান ক্ষমতায় মেসালিয়া এবং তার উপনিবেশ এম্পোরিয়া ও রোডিয়ার গ্রীক শাসকদের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। স্পেনের নিকটবর্তী হওয়ার কারণের কার্থেজের আগ্রাসী মনোভাব তাদের বাণিজ্যিক ও রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছিল। মেসালিয়া লম্বা সময় ধরে রোমের সাথে মৈত্রী চুক্তিতে আবদ্ধ ছিল। কাজেই তাদের অনুরোধে রোম হাসড্রুবালের সাথে মধ্যস্থতা করতে রাজি হয়। ২২৬ খ্রিস্টপূর্বাব্দে রোম ও হাসড্রুবাল পারস্পরিক চুক্তির মাধ্যমে কার্থেজ ইব্রো নদীর উত্তরে কোনো সশস্ত্র বাহিনী প্রেরণ না করার অঙ্গিকার করে। এর কয়েক বছর পর ইব্রোর দক্ষিণে স্যাগুন্টাম শহরের সাথে রোমের একটি চুক্তি সম্পাদিত হয়।
হাসড্রুবালের মৃত্যু ও নতুন জেনারেল
২২১ খ্রিস্টপূর্বাব্দে আততায়ীর হাতে হাসড্রুবাল নিহত হলেন। স্পেনে কার্থেজের সেনাবাহিনীর দায়িত্ব নেয়ার জন্য সর্বসম্মতিক্রমে নির্বাচিত হলেন হ্যামিলকারের ছাব্বিশ, মতান্তরে আটাশ বছর বয়সী পুত্র, হ্যানিবাল।