১৪৯২ সালে কলম্বাস আমেরিকা আবিষ্কার করেন। সেই বছরটি আরেকটি বিশেষ ঘটনার জন্য বিখ্যাত। গ্রানাডায় নাসিরি বংশের শেষ শাসক দ্বাদশ মুহম্মদের আত্মসমর্পণের বছর। এ বছর ইতি ঘটে স্পেনে মুসলিম শাসনের দীর্ঘ অধ্যায়ের। ৩০শে এপ্রিল, ৭১১ সালে জিব্রাল্টারে তারিক বিন জিয়াদের অবতরণের মধ্য দিয়ে যার সূচনা হয়েছিল। এই সাতশো বছরে আইবেরিয়ান উপকূল পরিণত হয় সমস্ত ইউরোপের সংস্কৃতি ও সভ্যতার কেন্দ্র হিসেবে। উঠে আসেন ইবনে রুশদ্, আব্বাস ইবনে ফিরনাস এবং ইবনে তোফায়েলের মতো মুসলিম পণ্ডিতেরা। আর এই সময়কেই গণ্য করা হয় ইহুদি সংস্কৃতির স্বর্ণযুগ হিসেবে। এ প্রসঙ্গে বিবিসির প্রতিবেদন,
স্পেনে মুসলিম যুগকে প্রায়ই জ্ঞানচর্চার স্বর্ণযুগ বলা হয়। যেখানে গ্রন্থাগার, বিদ্যালয় ও হাম্মামখানা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো, আর সেই সাথে বিকাশ লাভ করেছিলো সাহিত্য, কবিতা এবং স্থাপত্যকলা। মুসলিম এবং অমুসলিম উভয়ই এতে অবদান রেখেছিলো ব্যাপকভাবে।
মুসলিম শাসনের পতনের যুগ
১০০২ সালে ইবনে আবি আমিরের মৃত্যুর পরপরই মুসলিম স্পেনে বিশৃঙ্খলা নেমে আসে। সমগ্র উপদ্বীপ কম-বেশি ৩৪টি ক্ষুদ্র স্বাধীন শাসকের হাতে চলে যায়। তারা একে অপরের সাথে নিজের স্বার্থ নিয়ে যুদ্ধে লিপ্ত ছিল। এর থেকে মূলত লাভবান হচ্ছিল উত্তর-পশ্চিম অংশের ক্যাথলিক রাজারা।
তারা এই অন্তঃকলহকে কাজে লাগিয়ে দক্ষিণ দিকে রাজ্য বৃদ্ধিতে সফল হলেন। তবে ইউসুফ বিন তাশফিন ১০৯০ সালে মরক্কো থেকে জিব্রাল্টার প্রণালী অতিক্রম করেন এবং আল মুরাবিদ বংশের প্রতিষ্ঠা করেন। মুরাবিদরা অল্প সময়ের জন্য হলেও আগের দাপট ও প্রতিপত্তির প্রকাশ ঘটাতে সক্ষম হয়।
মুরাবিদদের ক্ষমতা যখন ক্ষয়িষ্ণু, তখন ১১৪৭ সালে আল মোহাদরা ইতিহাসের পাতায় সামনে চলে আসে। তাদের সবচেয়ে বড় বিজয় ছিল ১১৯৫ সালে আলারকোসে খ্রিস্টান মিত্রবাহিনীকে পরাজিত করা। আভ্যন্তরীণ নানা কোন্দলের কারণে তারা জর্জরিত হয়ে পড়ে দ্রুত। ১২১২ সালে লে নাভাস দে তলোসার যুদ্ধে পরাজিত ও উচ্ছেদ হয়।
এদিকে গ্রানাডার মুহাম্মদ ইবনে আল আহমার ক্যাস্টাইলের ফার্দিনান্দের রাজায় পরিণত হয়। এমনকি ১২৪৮ সালে তাকে অন্য মুসলিম রাজ্য সেভিল বিজয়ে সহযোগিতা করে। ততদিনে পতন ঘটে গেছে কর্ডোবা (১২৩৬ সালে) এবং ভ্যালেন্সিয়ার (১২৩৮ সালে)। আস্তে আস্তে অন্য নগরীগুলোর ভাগ্যে একই পরিণতি নেমে আসলো। শুধু বাকি থাকলো গ্রানাডা। পরবর্তী প্রায় দুশো বছর গ্রানাডা টিকে থাকতে পেরেছে নিজের যোগ্যতার কারণে নয়, কেবল স্প্যানিশ রাজাদের অভ্যন্তরীণ টানাপোড়েনের জন্য।
নিঃসঙ্গ, ক্লান্ত গ্রানাডা
আস্তে আস্তে পুরো আইবেরিয়ান পেনিনসুলায় গ্রানাডার অবস্থা দাঁড়ায় নিঃসঙ্গ তপস্বীর মতো। এজন্য তা মূলত অন্যান্য অঞ্চল থেকে আসা সর্বহারা মানুষদের অভিবাসন কেন্দ্রে পরিণত হয়। যারা এসেছিল আলমেরিয়া, সেভিল, সারাগোসা কিংবা ভ্যালেন্সিয়ার মতো নগরী থেকে। পরিণামে গ্রানাডার লোকসংখ্যা বেড়ে গেল কয়েকগুণ। শিল্প-সংস্কৃতির বিকাশ ঘটলো।
ব্যবসা-বাণিজ্য জাগ্রত হলো নতুন করে। শাসক পঞ্চম মুহম্মদের পর অর্থাৎ ১৩৯১ সাল থেকে গ্রানাডার ঔজ্জ্বল্য ম্লান হতে শুরু করে। অরাজকতার মধ্য দিয়ে বদল ঘটতে থাকে শাসকের পর শাসক। ওদিকে ক্যাথলিক সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত অ্যারাগনের ফার্দিনান্দ এবং ক্যাস্টিলের ইসাবেলার বিয়ে হয় ১৪৬৯ সালে। ফলে ক্ষমতা সুসংহত হয়।
গ্রানাডায় তখন শাসক আবুল হাসান (১৪৬৫-৮২)। ক্যাথলিকদের সম্মিলিত বাহিনী ১৪৮২ সালে দক্ষিণ-পশ্চিম গ্রানাডায় সিয়েরা দে আল হামাহর তীরে অবস্থিত আল হামাহ দুর্গ দখল করে নেয়। মসজিদে আগুন ধরিয়ে দেবার কারণে অনেক নারী ও শিশু মারা যায়। এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় পরপর দুবার পুনঃদখলের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন আবুল হাসান।
সিংহাসনের টানাপোড়েন
আবুল হাসানের পুত্র মুহম্মদ আবু আব্দুল্লাহ মায়ের প্ররোচনায় পিতার বিরুদ্ধে বিদ্রোহে লিপ্ত হন। ১৪৮২ সালে শহর রক্ষীদের সাহায্যে আল হামারা অবরোধ করেন। গ্রানাডা তার অধিকারে আসে। স্পেনীয় ইতিহাসে তিনি বোআবদিল নামে পরিচিত। ১৪৮৩ সালে বোআবদিল ক্যাস্টিলের অধিকারে থাকা লুসেনা আক্রমণ করে পরাজিত ও বন্দী হন।
শূন্য সিংহাসনে পুনরায় আরোহণ করেন পিতা আবুল হাসান। খুব দ্রুত ভাই মুহাম্মদ আল জাগালের কাছে ক্ষমতা ত্যাগ করেন ১৪৮৫ সালে। বন্দী বোআবদিলকে ফার্দিনান্দ ও ইসাবেলা ক্ষয়িষ্ণু মুসলিম রাজ্যের বিরুদ্ধে দাবার গুটি হিসেবে ব্যবহার করতে থাকেন। ক্যাস্টিলের সৈন্যবাহিনী নিয়ে তিনি চাচার সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হন এবং ১৪৮৬ সালে রাজধানীর কিছু অংশ দখল করেন।
গ্রানাডায় দুই সুলতানের আধিপত্যের দ্বন্দ্ব সুযোগ এনে দিল ফার্দিনান্দ ও ইসাবেলাকে। তারা আলোরা, কাসার, বনিলা, রোন্ডা ও অন্যান্য শহরগুলো অধিকার করেন। পরবর্তীতে লোজা, আলমেরিয়া এবং মালাগা তাদের পদানত হয়। নাগরিকদের দাস হিসেবে বিক্রি করে দেওয়া হতে থাকে। প্রচণ্ড অবরোধের মুখে সহায়হীন অবস্থায় আল জাগাল ১৪৮৭ সালে আত্মসমর্পণে বাধ্য হন। প্রচণ্ড দুর্দশায় তিনি তিলিমসানে গমন করে বাকি জীবন সেখানেই কাটান। তার সম্পর্কে ঐতিহাসিক লেনপুল বলেন,
তিনি সর্বশেষ মুর শাসক। তিনি ছিলেন সাহসী যোদ্ধা, যথার্থ শাসক এবং খ্রিস্টশক্তির বিরুদ্ধে অটল প্রতিদ্বন্দ্বী। যদি ভাতিজার দ্বারা বিঘ্ন না ঘটতো, তবে গ্রানাডা তার হাতেই থাকতো গোটা জীবন। (The Moors in Spain, Page- 248)
বোআবদিল উপাখ্যান
এবার পালা আসে আবু আবদুল্লাহ ওরফে বোআবদিলের। ১৪৯০ সালে ফার্দিনান্দ তাকে গ্রানাডা সমর্পণ করতে আদেশ দেন। এতদিন ধরে মিত্রতা ধরে রাখা আবু আবদুল্লাহ অস্বীকার করলেন। ফলশ্রুতিতে ৪০,০০০ পদাতিক এবং ১০,০০০ অশ্বারোহী সৈন্য নিয়ে ফার্দিনান্দ রওনা হন জবাব দিতে। ১৪৯১ সালে গ্রানাডাকে লণ্ডভণ্ড করে দেয় তার উন্মত্ত বাহিনী। প্রধান সেনাপতি মুসা বিন গাজানের নেতৃত্বে মুসলিম অশ্বারোহীরা প্রতিরোধ করার প্রবল প্রচেষ্টা চালায়। কিন্তু কোনো প্রকার সাহয্য না পাওয়ার কারণে ধীরে ধীরে স্তিমিত হয়ে আসে মুসলিমদের মনোবল ও শক্তি। অতঃপর ২রা জুন, ১৪৯২ সালে বোআবদিল আত্মসমর্পণ করেন।
দুই মাসের নিরুপায় ভাগ্য বিড়ম্বনার পর মুসলমানরা স্পেনে তাদের সর্বশেষ শক্তিশালী দুর্গ হস্তান্তর করে এক সন্ধির নাটকীয়তায়।
সন্ধি ও তার শর্তসমূহ
সেনাপতি মুসা ফার্দিনান্দ ও ইসাবেলার উপর ভরসা করতে নারাজ ছিলেন। অনেকটা এ কারণেই তিনি শর্তসাপেক্ষে আত্মসমর্পণ করতে বিরোধিতা করেছেন। সন্ধির কয়েকটি শর্ত ছিল নিম্নরূপ-
১. বোআবদিল, তার অফিসার এবং নাগরিকগণ ফার্দিনান্দ ও ইসাবেলার প্রতি আনুগত্যের শপথ নেবে।
২. বোআবদিল আল বুশরাতে একটা জায়গীর পাবেন।
৩. মুসলমানরা জীবন ও ধর্মের স্বাধীনতা ভোগ করবে।
৪. সমস্ত বন্দী মুসলিম মুক্তি পাবে।
৫. তাদের আচার, অনুষ্ঠান, রীতিনীতি, ভাষা ও পোশাক বহাল থাকবে।
৬. মুসলিম ও খ্রিস্টানদের মধ্যকার বিরোধ দু’পক্ষ মিলে সমাধান করবে।
৭. চাইলে সমস্ত মালামাল নিয়ে যেকোনো মুসলমান স্পেন ছেড়ে চলে যেতে পারবে। চাইলে আবার তিন বছরের মধ্যে ফিরে আসতে পারবে। এরও পরে হলে সম্পদের এক-দশমাংশ প্রত্যার্পন করতে হবে।
৮. নতুন মুসলমানদের উপর পূর্বের ধর্মে ধর্মান্তরিত করার কোনো চেষ্টা করা হবে না।
৯. মুসলিম শাসকের সময় যে কর দিতে হতো, তা-ই চালু থাকবে।
১০. চুক্তির শর্তসমূহ পালন করার জন্য পরিচালক নিয়োগ করা হবে।
দুই মাস অতিবাহিত হবার পরেও মিশর, তুরস্ক কিংবা অপরাপর মুসলিম রাজ্য থেকে কোনোপ্রকার সাহায্য এলো না। ক্যাস্টেলিয়গণ শহর অবরোধ করলে বোআবদিল আন্দ্রাক্স গমন করেন। পরে সেখান থেকে ফেজে নির্বাসিত হন। আবু আব্দুল্লাহ বিদায় নিলেন। মিনারগুলোতে অর্ধচন্দ্রের পরিবর্তে ক্রুশ শোভা পেতে থাকলো। যে পাহাড়ে দাঁড়িয়ে তিনি রাজধানীর দিকে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলে কেঁদেছেন, তা আজও ‘মুরের দীর্ঘশ্বাস’ নামে পরিচিত। তার মা তাকে বলেছিলেন-
যেহেতু পুরুষের মতো দাঁড়িয়ে রক্ষা করতে পারোনি, নারীর মতোন ফুঁপিয়ে কাঁদো। (J. Read: The Moors in Spain and Portugal, p. 219)
ফেজে অত্যন্ত দুর্দশাপূর্ণ দিন যাপনের মাঝেই ১৫৩৮ সালে তার মৃত্যু হয়।
ফার্দিনান্দের পরবর্তী প্রতিক্রিয়া
সন্ধির পরবর্তী সাত বছর পর্যন্ত ক্যাথলিক শাসক ফার্দিনান্দ ও ইসাবেলার সাথে মুসলিমদের সম্পর্ক স্বাভাবিক থাকে। কিন্তু ক্যাস্টিলীয় এই রাজা দ্রুত তার প্রতিশ্রুতির কথা বেমালুম ভুলে যায়। জোরপূর্বক প্রজাদের ধর্মান্তরিত করতে শুরু করে। গ্রানাডায় রাশি রাশি আরবি বই আগুনে ফেলা হয়। ফ্রান্সিসকো জিমেনেজ দে সিসনেরস ১৪৯৮ সালে গ্রানাডার মুসলিমদের ধর্মান্তরিত করার উদ্দেশ্যে মিশনারী হিসেবে নিযুক্ত হন।
সাবেক মুসলমানরা পরিচিত হতো মরিস্কো নামে। গ্রানাডার প্রধান আর্চবিশপ হেরনান্ডো দে তালাভেরা মরিস্কোদের কর্মপরায়ণতা ও নৈতিকতার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে ‘বিশ্বাসহীন কর্ম ও কর্মহীন বিশ্বাস’ এর ধারণা দেন। জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত করায় পুরাতন গ্রানাডায় কিছু মরিস্কো বিদ্রোহ করে। এর প্রতিক্রিয়ায় আইন পাশ করানো হয় দুই বছরের মাথায়। হয় ধর্মান্তরিত হতে হবে, নাহলে অর্থদণ্ড দিতে হবে। প্রতি বছর মাথাপিছু দশ স্বর্ণমুদ্রা কর দিতে হতো কিংবা খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করতে হতো। অনেকেই কর দিতে না পেরে ধর্মান্তরিত হবার পথ বেছে নেয়। ধর্মান্তরিত হলেও মিলতো তৃতীয় শ্রেণীর নাগরিক মর্যাদা।
সম্পূর্ণ ভিন্ন আইবেরিয়ান উপদ্বীপ
বলে রাখা ভালো, মুসলিমদের বিতাড়নের বহু আগেই ইহুদিদের সমূলে উচ্ছেদ করা হয় স্পেন থেকে। ১৪৯২ সাল থেকেই হয় ধর্মান্তর কিংবা দেশত্যাগের আইন জারি হয়।
প্রথমদিকে ভ্যালেন্সিয়া এবং অ্যারাগনের মরিস্কোরা ধর্ম পালনের অনুমতি পেয়েছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে ঘোলা হয়ে উঠে পরিস্থিতি। ১৫২৫ সালে ধর্ম, ভাষা ও প্রথার বিরুদ্ধে আইন হয়। এজন্য চালু করা হয়েছিলে ফারদা নামক কর। ১৫৬৮সালে মরিস্কোরা বিদ্রোহ করলে তাদের দমন করা হয়। চূড়ান্তভাবে তাদের দমন করার জন্য ১৬০৯ সালের ৪ঠা আগস্ট আইন পাশ করা হয়। নতুন খ্রিস্টানসহ ৪,৬৭,৫০০ জন মরিস্কো দেশ ত্যাগ করে। ১৬১০-১২ সালের মধ্যে আন্দালুসিয়া ও স্পেনের বিভিন্ন এলাকা থেকে মরিস্কোরা বিতাড়িত ও নির্বাসিত হয়। ১৬১০ সালে প্রায় ১,০০০ শিশু তাদের মাতা-পিতাকে স্পেনে রেখে দেশ ত্যাগ করে।
অনেকে ফ্রান্সে আশ্রয় গ্রহণ করতে চাইলে ফ্রান্স অপারগতা দেখায়। নির্বাসিতদের মধ্যে অধিকাংশ তিউনিশিয়া ও রাবাতে এবং সামান্য অংশ তুরস্কে আশ্রয় নেয়। মধ্যযুগের ইতিহাসে এমন মর্মান্তিক ঘটনা বিরল। গঞ্জালেস প্যালেন্সিয়া মনে করেন,
মরিস্কোদের নির্বাসনের ফলে স্পেনের কৃষিক্ষেত্র ও শিল্পকারখানাগুলো ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। জনপদ পরিণত হয় প্রেতপুরিতে। (ইনকুইজিশন, চার্লস লী, ৩য় খণ্ড, পৃষ্ঠা- ৪১০)
সত্যিকার অর্থেই একসময়ের মুসলিম খেলাফতের প্রাণকেন্দ্র থেকে নিষ্ঠুরভাবে বিতাড়িত হয় মুসলমানরা। শিল্প ও জনসমৃদ্ধ স্পেন হারিয়ে যায় ক্যাথলিক জাত্যাভিমানের তলে, এখনো যার ধ্বংসাবশেষ বিদ্যমান। সেই আল হামারা, সেই কর্ডোবা। মুসলিম ইতিহাসের পাতায় রক্ষিত একখণ্ড দীর্ঘশ্বাস।