মিখিয়েল ডি রুইটার (পর্ব-১৬): শনভেল্ডের সংঘর্ষ

[১৫ তম পর্ব পড়ুন]

স্টাডহোল্ডার হিসেবে তৃতীয় উইলিয়াম প্রথমেই হাত দিলেন সেনাবাহিনী পুনর্গঠনে। ডাচ বহরের এক-তৃতীয়াংশ তীরে উঠিয়ে সেখান থেকে লোক নিয়ে এসে সেনাদলে যোগ করা হলো। উইলিয়াম স্পেনের সাথেও মিত্রতা স্থাপন করলেন, ফলে সেখান থেকেও পাওয়া গেল কিছু সৈন্য। মোটামুটি ৫৭,০০০ সৈনিক উইলিয়াম একত্রিত করতে সক্ষম হন। তিনি নিজেই এদের কমান্ডের দায়িত্ব নেন।

ডাচ সেনাবাহিনী সংগঠিত করতে মনোযোগী হন উইলিয়াম; Image Source: nam.ac.uk

স্টাডহোল্ডার হিসেবে উইলিয়াম নৌবাহিনীরও সর্বাধিনায়ক। কিন্তু পূর্বপুরুষের মতোই তিনি সাগরে লড়াই করার কোনো ইচ্ছা দেখালেন না। দূরদৃষ্টিসম্পন্ন উইলিয়াম ডি রুইটারকে নৌপ্রধানের পদে রেখে দেন, যদিও ডি উইটের সাথে রুইটারের বন্ধুত্ব কারো অজানা ছিল না। এছাড়া সম্পর্কে কর্নেলিসের ডি উইটের বোনজামাই ছিলেন ডি রুইটার।

কিন্তু ডি রুইটারের অভিজ্ঞতা আর দক্ষতার সমকক্ষ আর কেউ ডাচ ফ্লিটে ছিল না। ফলে উইলিয়াম তাকে পদোন্নতি দিয়ে লেফটেন্যান্ট অ্যাডমিরাল নিযুক্ত করেন। তাকে নৌবাহিনীর ব্যাপারে প্রায় সর্বময় ক্ষমতা দেয়া হলো। উইলিয়াম শুধু একটাই অনুরোধ করেন, ডি রুইটারের আদেশ অমান্য করে নৌবাহিনী থেকে বহিষ্কৃত ট্রম্পকে ফিরিয়ে আনতে। ডি রুইটার স্টাডহোল্ডারের কথা মেনে নেন।

শুদ্ধি অভিযান ও ডি রুইটার

এদিকে ডি উইটের পতন ও নির্মম হত্যাকান্ডের পর অরেঞ্জিস্টরা এতদিনের পুঞ্জীভূত ক্ষোভের প্রতিশোধ নিতে উদ্যোগী হয়। প্রশাসনের সর্বক্ষেত্রে চলল আমূল সংস্কার। ডি উইটের সাথে সামান্য যোগ আছে এমন লোককেও তাড়িয়ে সবখানে ঢোকানো হলো তাদের নিজস্ব লোক। ডি রুইটার উইলিয়ামের বিচক্ষণতায় স্বপদে বহাল থাকলেও ডি উইটদের সাথে আত্মীয়তার কারণে অনেক অরেঞ্জিস্টের কাছে তিনি ছিলেন চক্ষুশূল, যদিও তিনি অরেঞ্জিস্ট অঞ্চলেরই লোক।

ডি উইট ভ্রাতৃদ্বয়ের খুনের পর শুরু হয় শুদ্ধি অভিযান; Image Source: dreamstime.com

সেসময় নেদারল্যান্ডসে রিপাবলিকানদের কায়দা করতে প্রায়ই মিথ্যে গুজব ছড়িয়ে দেয়া হতো। জনতাকে খেপিয়ে দিয়ে উদ্দিষ্ট লোকদের বিরুদ্ধে কাজে লাগাত অরেঞ্জিস্টদের উগ্রপন্থি অংশ। ডি রুইটারের ব্যাপারেও ১৬৭২ সালের ৬ সেপ্টেম্বর আমস্টারডামে এরকম এক গুজব ছড়িয়ে পড়ে। মূল কথা ছিল- ডি রুইটার চার্লসের কাছ থেকে অর্থ নিয়ে নৌবহর বিক্রি করে দিয়েছেন।

কান নিয়েছে চিলের মতো করে উত্তেজিত জনতা জড়ো হয়ে রওনা হল ডি রুইটারের বাড়ির দিকে, সেখানে তার স্ত্রী, ভাগ্নি আর দুজন নারী কর্মচারী ছাড়া আর কেউ ছিল না সেখানে। বেলা একটার দিকে বাড়ির সামনে এসে তারা প্রায় দরজা ভেঙে ফেলার উপক্রম করে।

সৌভাগ্যক্রমে মাইনহের স্মিট নামে এক বনিক তখন ডি রুইটারের বাড়িতে এসেছিলেন। তিনি শান্তভাবে জনতাকে বোঝানোর চেষ্টা করেন, একইসাথে গোপনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর কাছেও খবর পাঠান। ডি রুইটারের স্ত্রী অ্যাডমিরালের নিজ হাতে লেখা চিঠি জনতাকে দেখান, যেখানে লেখা ছিল তিনি শত্রুদের সন্ধানে যাচ্ছেন। এরই মাঝে রক্ষীরা চলে আসে। পার্শ্ববর্তী খাল থেকেও একটি নৌকায় করে কামান নিয়ে আসা হয় জনতাকে ভয় দেখাতে। অবশেষে অশ্বারোহীরা এসে চূড়ান্তভাবে সবাইকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

১৬৭২ সালের বাকি সময়

এতসব যখন ঘটছে, ডি রুইটার তখন খর্বশক্তির বাহিনী নিয়ে শনভেল্ডে। শ্লেডট (Scheldt) নদীর মুখে নোঙ্গর করে আছেন। একে তো লোক কম, তার উপর লড়াই করার প্রয়োজনীয় রসদপত্রও নেই। এর মধ্যেই অব্যাহতভাবে বিভিন্ন জায়গাতে রয়্যাল নেভির দেখা পাওয়ার খবর আসছে, যার সবগুলো সঠিকও নয়। তবে ডি রুইটারকে তো সবই যাচাই-বাছাই করতে হচ্ছে।

ডি রুইটার অপেক্ষা করছিলেন শ্লেডট নদীর তীরে © Jeroen Stark

২৩ সেপ্টেম্বর হেল্ভেটস্লুইসে এসে জাহাজ থেকে নামলেন ডি রুইটার, গন্তব্য হেগ। হেল্ভেটস্লুইসের প্রতিরক্ষায় ছিল খুব স্বল্প সংখ্যক সেনা, উপকূলবর্তি গুরুত্বপূর্ণ শহর ব্রিয়েলে’রও (Brielle) একই অবস্থা। ডি রুইটার এস্টেট জেনারেল আর স্টাডহোল্ডারকে পরিস্থিতি জানালে তারা আরো ছয়টি রণতরী বহর থেকে সরিয়ে এর সেনাদের প্রতিরক্ষার কাজে লাগিয়ে দেন।

ডি রুইটার হেগ, রটারডাম, ব্রিয়েল ইত্যাদি সফর করে বোডগ্রেভে প্রিন্স অফ অরেঞ্জের সাথে কথা বলেন। উইলিয়াম তাকে অনুমতি দেন পরিবারের সাথে কিছু সময় কাটানোর জন্য। এই উদ্দেশ্যে ডি রুইটার অ্যামস্টারডাম এসে পৌঁছেন ১৬ অক্টোবর।  

১৬৭২ সালের শরত আর শীতকালে ফরাসি সেনারা নতুন করে আগ্রাসনের চেষ্টা করে। চারদিকে পানি থাকায় তারা থমকে গিয়েছিল, কিন্তু শীতকালে পানি বরফ হয়ে গেলে এর উপর দিয়েই তারা কয়েকটি নগরী আক্রমণ করে বসে। এমনকি আমস্টারডামের দিকেও একদল সেনা এগিয়ে আসে। শহর রক্ষাকারী মিলিশিয়ার নেতৃত্ব তখন দেয়া হলো ডি রুইটারকে। তবে বরফের উপর দিয়ে ফরাসিদের হামলা চালানোর পরিকল্পনা শেষপর্যন্ত সফল হয়নি।

নতুন বছর

১৬৭৩ সালে সব পক্ষই নৌবহর প্রস্তুত করতে থাকে। ব্রিটিশ সংসদ চার্লসকে যুদ্ধ চালানোর খরচ হিসেবে প্রতি মাসে ৭০,০০০ পাউন্ড মঞ্জুর করে। এই বরাদ্দের সময়সীমা ধরা ছিল ১৮ মাস।

এদিকে নেদারল্যান্ডসে বসে প্রিন্স অফ অরেঞ্জ ও তার উপদেষ্টারা এক পরিকল্পনা করলেন। রয়্যাল নেভির অধিকাংশ জাহাজই তখন টেমসে। তারা চিন্তা করলেন- টেমসের মুখে পাথর আর আবর্জনা বোঝাই জাহাজ ডুবিয়ে দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবার, তাহলে ব্রিটিশরা জাহাজ বের করতে পারবে না। ইত্যবসরে ফরাসিদের শায়েস্তা করবেন তারা।

এই উদ্দেশ্যে পাথর আর অন্যান্য জিনিস বোঝাই করে আটটি জাহাজ প্রস্তুত করা হলো। এগারোটি রণতরী, চারটি ফ্রিগেট আর ফায়ারশিপ নিয়ে ডি রুইটার ৯ মে সাগরে পাড়ি জমান। রিয়ার অ্যাডমিরাল হান তার সাথে মিলিত হন, তার সাথে ছিল আটটি জাহাজ, যেগুলো ডোবানোর কথা। টেমসের কাছে এসে ভ্যান নেস আর ভ্লাগকে দায়িত্ব দেয়া হলো। কিন্তু ঘন কুয়াশা আর টেমসের মুখে কড়া পাহারা থাকায় তারা পিছিয়ে আসতে বাধ্য হন। ব্যর্থ মনোরথে দেশে ফিরে যেতে হয় ডি রুইটারকে।

টেমসে হামলার জন্য ফায়ারশিপ নিয়ে গিয়েছিলেন ডি রুইটার; Image Source: historynet.com

রয়্যাল নেভির কম্যান্ড পরিবর্তন

১৬৭৩ সালে “টেস্ট অ্যাক্ট” এর জের ধরে (ক্যাথলিকরা কোন সরকারি পদে আসীন হতে পারবে না) ক্যাথলিক ডিউক অফ ইয়র্ক নৌবাহিনী থেকে সরে যেতে বাধ্য হন। তার জায়গা নেন যুবরাজ রুপার্ট, তাকে করা হলো রেড স্কোয়াড্রনের অ্যাডমিরাল। স্যার এডওয়ার্ড স্প্রাগ ব্লু আর ফরাসি কাউন্ট ডি এস্ট্রে হোয়াইট স্কোয়াড্রনের ভার নিলেন।

রুপার্ট রওনা হলেন নেদারল্যান্ডস, ইচ্ছা ডি রুইটারকে খোলা সাগরে লড়াইতে বাধ্য করা। ডাচ নৌবাহিনীর দুর্বলতা তার জানা ছিল, কাজেই তিনি ধারণা করেছিলেন- পূর্ণ শক্তির রয়্যাল নেভির তাদের চূড়ান্তভাবে নিশ্চিহ্ন করে দিতে পারবে, তাহলে জাহাজ ব্যবহার করে দলে দলে সৈন্য ঠিক গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে নামানো যাবে। ডাচদের বাঁধ খুলে দেয়ার কৌশল আর তখন কাজে আসবে না।  

ব্যাটল অফ শনভেল্ড

১ জুন, ১৬৭৩। ব্যাটল অফ সল’বে’র বর্ষপূর্তি।

ব্রিটিশ আর ফরাসি বহর নিয়ে রুপার্ট ঘুরে বেড়াচ্ছেন শনভেল্ডের (Schooneveld) অনতিদূরে। তীরের কাছাকাছি অগভীর পানিতে যাবার মতো জাহাজ তার হাতে কম, কাজেই তিনি চাচ্ছেন ডি রুইটার নিজেই তাকে দেখে বেরিয়ে আসুক। ডি রুইটার আর ট্রম্প তখন একসাথে রাতের খাবার খাচ্ছেন। তাদের কানে রুপার্টের আগমন সংবাদ পৌঁছল।

পরদিন সাগর অত্যন্ত শান্ত থাকায় কোনো পক্ষই আগে বাড়ল না। পরের দু’দিন ঘন কুয়াশা আর ঝড়ো আবহাওয়াও যুদ্ধের সম্ভাবনা নাকচ করে দেয়। অবশেষে ৭ জুন দুই পক্ষ প্রস্তুত হলো লড়াইয়ের জন্য। জাহাজের সংখ্যা নিয়ে প্রচুর বিভেদ আছে, মোটামুটিভাবে ধরে নেয়া যায়- ডি রুইটারের সাথে ছিল ৫৫টি আর রুপার্টের সাথে ৮১টি জাহাজ, যার মধ্যে ২৭টি ফ্রান্সের। ফরাসিদের প্রধান ডি এস্ট্রে।  

রুপার্টের পক্ষে ছিল ওয়েদার গেজ। ফলে তিনি ১০টি ফায়ারশিপ আর ৩৪টি হালকা জাহাজ পাঠালেন ডি রুইটারকে টেনে বের করে আনতে। ডাচরা নিজেদের বহর সজ্জিত করে শত্রুদের মুখোমুখি হয়। ডি এস্ট্রের সাথে ট্রম্পের তুমুল সংঘর্ষ বেঁধে যায়। ট্রম্পের তীব্র আক্রমনে ফরাসিদের মধ্যে বেশ চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। এদিকে ডি রুইটার আর ব্যাঙ্কার্ট ঝাঁপিয়ে পড়েন রেড আর ব্লু স্কোয়াড্রনের উপর।

ডি রুইটারের ফ্ল্যাগশিপ সেভেন প্রভিন্সেস ব্রিটিশ ব্যুহ ভেদ করে ফেললেও ব্যাঙ্কার্টকে বিপদে দেখে তিনি ফিরে এলেন। ব্যাঙ্কার্টের পাশে সেভেন প্রভিন্সেস’কে দাঁড়া করিয়ে কঠিন প্রতিরোধ গড়ে তোলেন তিনি। রুপার্ট দেখতে পেলেন ডি রুইটার তার বেশ কয়েকটি জাহাজকেই ব্রিটিশ সারি থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছেন। তবে এই সুযোগে রুপার্টের উপর মরন আঘাত হানার সম্ভাবনা জলাঞ্জলি দিতে হলো ট্রম্পকে দেখে। ডি এস্ট্রে তাকে প্রায় ঘিরে ফেলেছেন।

সংঘর্ষের তীব্রতায় ট্রম্প ইতোমধ্যে দুবার জাহাজ পাল্টাতে বাধ্য হয়েছেন। ফলে ডি রুইটার আর ব্যাঙ্কার্ট এগিয়ে গেলেন। বলা হয়- তাকে এগিয়ে আসতে দেখে ট্রম্প বলেছিলেন, বন্ধুরা, দেখো আমাদের সহায়তা করতে পিতা আসছেন

এখান থেকেই কিনা কে জানে, অথবা নাবিকদের ব্যাপারে ডি রুইটারের সহৃদয়তা থেকেও হতে পারে, তাকে বেস্তেভার (bestevaêr) উপাধি দেয়া হয়। ডাচ ভাষায় এর মানে করা যেতে পারে দাদা বা শ্রেষ্ঠ পিতা। শ্রদ্ধাসূচক এই ডাক কোনো আনুষ্ঠানিক উপাধি ছিল না, এ উৎসারিত হতো কেবল মানুষের অন্তর থেকে।

ট্রম্পের সাথে মিলে ডি রুইটার আর ব্যাঙ্কার্ট নিজেদের বহর নিয়ে শত্রুদের উপর কামান দাগা চালিয়ে গেলেন। রাত দশটা বাজে অবশেষে দুই পক্ষ আলাদা হলো। ডাচরা ফিরে গেল শনভেল্ডে। ব্রিটিশরা আগের মতই খোলা সাগরে অবস্থান নেয়। শেষ হলো শনভেল্ডের প্রথম লড়াই।

শনভেল্ডের প্রথম নৌ্যুদ্ধ; Image Source: quelery.nl

কয়েকদিন ধরে সব পক্ষই নিজেদের গুছিয়ে নেয়। জাহাজ না হারালেও ব্রিটিশ-ফরাসি জোটের বহু সৈনিক হতাহত হয়েছিল, লম্বা সময় ইংল্যান্ড থেকে দূরে থেকে সংঘাত চালয়ে যাওয়াও তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। এদিকে ডি রুইটার সব মিলিয়ে ৫১টি রণতরী, ১৩টি ফ্রিগেট আর ২৪টি ফায়ারশিপ জোগাড় করতে পেরেছেন। তিনি নতুন করে হামলা চালানোর ফয়সালা করেন।

১৪ জুন, ১৬৭৩।

সকাল ১১:৩০ মিনিটে ডি রুইটার খোলা সাগরে বেরিয়ে এলেন। রুপার্ট কিন্তু এবার তাকে আসতে দেখে পিছিয়ে যান। তিনি তখনও লড়াই করতে প্রস্তুত নন। অবশেষে বিকাল চারটার দিকে দুই পক্ষ সামনাসামনি হলো। রুপার্টের রয়্যাল চার্লস সরাসরি ডি রুইটারের সেভেন প্রভিন্সেসের সাথে গোলা বিনিময় করতে থাকে। ডি রুইটারের আঘাতে চার্লস খারাপভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলে রুপার্ট বাধ্য হন ভিন্ন জাহাজে চলে যেতে।

শনভেল্ডের দ্বিতীয় নৌ্যুদ্ধ; Image Source: useum.org

বেশিক্ষণ এই সংঘাত চলেনি। ব্রিটিশ-ফরাসি জোট মালামালের অপ্রতুলতায় পিছিয়ে যেতে বাধ্য হয়। শক্তি সঞ্চয় করতে তারা ফিরে গেল ইংল্যান্ডে। ডি রুইটার ধাওয়া না দিয়ে শনভেল্ড ফিরে এলেন।

শনভেল্ডের দুই লড়াই ছিল সামরিক দিক থেকে অমীমাংসিত। তবে কৌশলগত দিক থেকে এ ডাচদের বিজয়। কারণ অল্প সংখ্যক জাহাজ নিয়ে তারা অধিক সংখ্যক শত্রুকে ঠেকিয়ে দিতে পেরেছে। তাছাড়া ডি রুইটারকে খোলা সাগরে পরাজিত করার পরিকল্পনাও বানচাল হয়ে গেছে। ফলে চার্লস স্বল্প সময়ে যুদ্ধজয়ের যে আশা করেছিলেন তা দিনে দিনে দুরাশা বলেই প্রতীয়মান হচ্ছে।

শনভেল্ডের যুদ্ধে বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয় ব্রিটিশরা; Image Source: Wikimedia Commons

শনভেল্ডের পর শত্রুবহর ইংল্যান্ডে ফিরে যাওয়ায় সাময়িকভাবে ডাচ উপকূল নিরাপদ হয়। যুদ্ধ লম্বা হয়ে যাওয়ায় ব্রিটিশ জনতার মাঝেও চার্লসের প্রতি ক্ষোভ বাড়ছে। বিশেষ করে চিরশত্রু ফরাসিদের সাথে তার গাঁটছড়া বাধাতে জনতা প্রচণ্ডভাবে ক্ষুব্ধ।

This is a Bengali language article about the intrepid Dutch Admiral, Michiel De Ruyter. The article describes the De Ruyter’s lie and achievements. Necessary references are mentioned below.

References

  1. Douglas, P. Michiel De Ruyter, Held van Nederland. New Netherland Institute.
  2. Grinnell-Milne, G.(1896). Life of Lieut.-Admiral de Ruyter. London: K. Paul, Trench, Trübner & Company.
  3. Curtler, W. T. (1967). Iron vs. gold : a study of the three Anglo-Dutch wars, 1652-1674. Master's Theses. Paper 262.
  4. Michiel Adriaanszoon De Ruyter. Encyclopedia Britannica

Feature Image: Wikimedia Commons

Related Articles

Exit mobile version