১৯৬০ সালে রবার্ট স্কট কেলনার নামে আমেরিকান এক চাকরিজীবী তার দাদাকে অনুসরণ করে জার্মানি আসেন। তিনি ভেবেছিলেন তার দাদা হয়তো অন্য আরো জার্মানের মতো নাৎসি মতবাদে বিশ্বাসী। কিন্তু তিনি তার ধারণার বাইরে ভিন্ন এক জার্মানকে আবিষ্কার করেন। তার দাদা ছিলেন সর্বগ্রাসী নাৎসিদের বিরুদ্ধাচারণ করা এক প্রগতিশীল জার্মান, যিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নাৎসি বাহিনীর সকল অপরাধ নিজের চোখে দেখেছেন। কিন্তু তার সামর্থ্য ছিল না একার পক্ষে সেসব অপরাধ প্রতিরোধ করা। তাই তিনি অসির পরিবর্তে মসি হাতে তুলে নিয়েছিলেন।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পুরোটা সময় স্কট কেলনারের দাদা ফ্রেডরিক কেলনার নাৎসি বাহিনীর সকল অপকর্ম নিজের এক গোপন ডায়েরিতে লিখে রেখেছিলেন, যা পরবর্তীতে হিটলারের সৈন্যদের অপরাধের বিরুদ্ধে প্রামাণ্য দলিল হিসেবে কাজ করেছে। ১৯৬০ সালে ফ্রেডরিকের ডায়েরি পাওয়া গেলেও সেটা বই আকারে প্রকাশ পেয়েছে গত বছর। তার নাতি স্কট নিজে জার্মান ভাষা থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ করে বইটি প্রকাশ করেছেন।
ফ্রেডরিক কেলনার জীবনভর দুটি দর্শন মেনে চলেছেন। এক. একজন ব্যক্তি যতটুকু সম্মান আশা করেন, তাকে সুন্দরভাবে ততটুকু সম্মান দাও, এবং দুই. সবসময় খারাপের বিরুদ্ধে ভালোকে গ্রহণ করো। তাই কেলনার শুরু থেকেই এডলফ হিটলারকে মেনে নিতে পারেননি। কেননা হিটলার ছিলেন বর্ণবাদী। ১৯২৫ সালে যখন হিটলারের আত্মজীবনী ‘মাইন ক্যাম্ফ’ যখন প্রকাশ পায়, তখন তিনি ক্ষোভে ফেটে পড়ে বলেছিলেন,
গুটেনবার্গ, তোমার প্রিন্টিং প্রেসগুলো আজ এই অশুভ বইয়ের দ্বারা নোংরা হয়েছে।
গুটেনবার্গ হলেন প্রিন্টিং প্রেসের আবিষ্কারক। তাই তাকে উদ্দেশ্য করেই কেলনার কথাগুলো বলেছিলেন। অথচ তিনি জানতেন না তার লেখা দিনলিপি ‘মাইন ওয়াইডারস্ট্যান্ড’ বা ‘মাই অপজিশন’ একদিন হিটলারের আত্মজীবনীকে চ্যালেঞ্জ করবে। হিটলার তার নাৎসি মতবাদের যে গুণগান এবং নিজের সংগ্রামের কথা আত্মজীবনীতে তুলে ধরেছিলেন তার সবকিছুকেই প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য কেলনারের দিনলিপি যথেষ্ট।
কেলনারের ‘মাই অপজিশন’ বা ‘আমার বিরোধিতা’ বইটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে হিটলারের সৈন্যদের ইহুদীদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের জ্বলজ্যান্ত প্রমাণ। নাৎসি বাহিনী যে সাধারণ দাঙ্গাকে গণহত্যার পর্যায়ে নিয়ে যাবে সে বিষয়ে জার্মানরা শুরু থেকেই অবগত ছিলেন। কিন্তু এর বিরুদ্ধে তারা যে শক্ত কোনো প্রতিবাদ বা প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করেনি তা এই ডায়েরি থেকে জানা যায়। ১৯৩৯ সালের ৭ অক্টোবর অর্থাৎ পোল্যান্ডে জার্মানির আক্রমণের কয়েক সপ্তাহ পর কেলনার হিটলারের শাসনকালের মোট ১৮টি অপরাধ সম্পর্কে লিখে রেখেছিলেন। এর সাত নম্বরে ছিল ‘ইহুদী নিপীড়ন এবং নিশ্চিহ্নকরণ’। এর পাশাপাশি হিটলারের সরকারের দুর্নীতি, বাকস্বাধীনতা হরণ এবং মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাসের প্রতি অসম্মানের কথা তুলে ধরেন।
কে এই ফ্রেডরিক কেলনার?
ফ্রেডরিক কেলনার ১৮৮৫ সালে জার্মানিতে জন্মগ্রহণ করেন। উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল থেকে পড়াশোনা শেষ করার পর তিনি জার্মান সাম্রাজ্যের বিচার বিভাগের বিশাল আমলাতন্ত্রের একজন কেরানি হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। এরপর প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে তিনি পদাতিক সেনাদের সার্জেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু ফ্রান্সে তিনি বিপক্ষদলের গোলার আঘাতে আহত হন। যুদ্ধের ময়দানে তিনি তার উপর মহলের কর্মকর্তাদের অদক্ষ সমরনীতি এবং সম্রাটের সর্বনাশা জয়ের নেশা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। শেষপর্যন্ত জার্মানি প্রথম বিশ্বযুদ্ধে হেরে যায়।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধে হারের পর জার্মান সাম্রাজ্য ভেঙে পড়ে। কিন্তু তা কেলনার, তার স্ত্রী পলিন প্রয়েস এবং ছেলে কার্ল ফ্রেডরিক উইলহেমের জন্য নতুন আশা,সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর কেলনার বিচার পরিদর্শক হিসেবে পদোন্নতি পান। ফলে তাকে আদালতের দলিলপত্র দেখাশোনা করতে হতো। ঠিক এই সময় কেলনার রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। চাকরির পাশাপাশি অবসর সময়ে তিনি সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রচারণা চালাতেন।
গত শতকের দ্বিতীয় দশকে জার্মানিতে সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটরা ছিলেন রাজনীতির মূলভিত্তি। কিন্তু লাখ লাখ সমর্থক থাকার পরও তারা নাৎসিদের উত্থান ঠেকাতে ব্যর্থ হন। এর পেছনে অবশ্য অর্থনীতির বেহাল দশাও দায়ী ছিল। ১৯২৯ সালে বিশ্বজুড়ে মন্দা থাকার কারণে তা জার্মান অর্থনীতিকেও আঘাত করে, যা নাৎসিদের সাধারণ মানুষের কাছে জনপ্রিয় করে তোলে।
১৯৩৩ সালে নাৎসিরা ক্ষমতায় আসার পর হাজার হাজার সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটদের আটক করে বন্দী করা হয়। নিপীড়নের হাত থেকে বাঁচার জন্য পরিবারসহ রেনিশ শহর ছেড়ে ছোট্ট এক শহর লাওবাকে চলে যান। সেখানে তিনি আদালতের তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে চাকরি নেন। লাওবাকে নিজের রাজনৈতিক মতাদর্শ গোপন রাখেন। কিন্তু লুডউইগ স্মিত নামে যে বিচারকের অধীনে কেলনার কাজ করতে, তিনি ছিলেন নাৎসি দলের নিবন্ধিত সদস্য।
কেলনারকে নাৎসি দলে নাম লেখানোর জন্য প্রস্তাব দেন স্মিত। কিন্তু তিনি তা নাকচ করার পর স্মিত, স্থানীয় মেয়র আটো হোগি এবং স্থানীয় নাৎসি প্রধান আটো পটের সাথে শত্রুতা সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে তার সম্পর্কে উপর মহলে রিপোর্ট করা হয়। কিন্তু তার বিরুদ্ধে বড় কোনো শাস্তি আরোপ করা হয়নি। এরপর যখন ১৯৩৯ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয় কেলনার তখন বিখ্যাত দিনলিপি লেখা শুরু করেন।
কী ছিল কেলনারের দিনলিপিতে?
১৯৩৯ সালে হিটলার যখন পোল্যান্ড আক্রমণের নির্দেশ দেন কেলনার তখন থেকে একটি ডায়েরিতে তখনকার ঘটনাসমূহ লিখে রাখা শুরু করেন, যা শেষপর্যন্ত ৯০০ পৃষ্ঠা ছাড়িয়ে যায়। কেলনার নাৎসি বাহিনীর অপরাধসমূহ এবং ফুয়েরার হিটলারের ইউরোপ জয়ের নেশাকে জার্মানদের সমর্থন করার বিভিন্ন ঘটনা লিখে রাখার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলেন।
কেলনার সেই সময়ে বিভিন্ন পত্রিকার অংশবিশেষ কেটে নিজের দিনলিপিতে আটকে তার নিচে নিজের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে মতামত লিখে রাখতেন। তার এই দিনলিপি থেকে ২০১৮ সালে যে ইংরেজি বই ছাপানো হয়েছে তাতে এসব পত্রিকার কাটিংয়ের ছবি জায়গা করে নিয়েছে। সেই সাথে কেলনারের হাতে লেখা বিভিন্ন মতামতের ছবিও দেওয়া হয়েছে, যাতে এই বইকে সত্যিকার অর্থে দিনলিপির মতো মনে হয়। এই কারণে ‘মাই অপজিশন’ বইয়ের পৃষ্ঠার সংখ্যা ১,০০০ ছাড়িয়ে গেছে।
কেলনারের দিনলিপি থেকে অনেক বিষয় জানা যায়। যেমন- দেশদ্রোহিতার অভিযোগে তার এবং তার স্ত্রীর ফাঁসি হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। দুবার তাদের রাজনৈতিক মতাদর্শ নিশ্চিত হওয়ার জন্য তদন্ত চালায় শুটজস্টাফেল (এসএস)। কিন্তু ভাগ্যক্রমে বিচার বিভাগে চাকরি করার কারণে তাকে গ্রেপ্তার করার জন্য পর্যাপ্ত তথ্য-প্রমাণের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু সেটা হিটলারের বাহিনীর কাছে ছিল না। ফলে তারা রক্ষা পান।
কেলনারের স্ত্রীও নাৎসি মতবাদে গা ভাসিয়ে দেননি। হিটলারের সংগঠনের অনেক নারী সদস্য তাকে নাৎসি দলে নাম লেখানোর জন্য চাপ প্রয়োগ করতেন। কিন্তু পলিন দৃঢ়ভাবে তাদের নাকচ করে দিয়েছেন। এতে তার উপর গোয়েন্দা নজরদারি চালানো হলেও তিনি কখনো নিজের আদর্শকে জলাঞ্জলি দেননি।
কেলনারের দিনলিপি হিটলারের সৈন্যদের নিষ্ঠুরতার বড় এক সাক্ষী। কিছু ঘটনা গা শিউরে ওঠার মতো। ১৯৪১ সালের ২৮ অক্টোবর, জার্মানদের দখলকৃত পোল্যান্ডের এক অংশে বেশ কয়েকজন ইহুদী নারী-পুরুষকে উলঙ্গ করে একটি ময়লাভর্তি গর্তের সামনে সারি করে বসানো হয়। এরপর প্রত্যেককে পেছন থেকে মাথায় গুলি করে সেই ময়লার ভাগাড়ে ফেলা হয়। কেলনারের মতে, এমন কোনো নিষ্ঠুর ও জঘন্য অপরাধ ছিল না যা নাৎসি সৈন্যরা করেনি। আর তাদের সকল অপরাধের জন্য প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রত্যেক জার্মান দায়ী। কারণ তারা নাৎসিদের দৃঢ়ভাবে সমর্থন দিয়েছে। কেলনারের মতে, সেই সময়ের জার্মানরা হয় দুর্বৃত্ত অথবা বোকা ছিল।
আবার জার্মান সৈন্যরা যেসব দেশ দখল করেছিল সেখানকার হাজারো নিরপরাধ নাগরিককে তারা হত্যা করেছে। একবার ফ্রান্সে নন্তেস ও বোর্ডাও শহরে অজানা শত্রুর গুলিতে দুই জার্মান সেনা অফিসার মারা যাওয়ার পর উভয় শহরের ৫০ জন করে নিরপরাধ ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়। এমনকি জার্মানির অনেক হাসপাতাল মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছিল। তারা নাৎসি দলের বাইরের লোকদের চিকিৎসা সেবা দেওয়ার পরিবর্তে কৌশলে সেখানে হত্যা করেছে।
তবে হিটলারের সৈন্যরা যে অপরাধ করেছে তার জন্য মিত্রশক্তি কি দায় এড়াতে পারে? কেলনারের মতে, মিত্রশক্তি যদি শুরুতেই পদক্ষেপ গ্রহণ করতো তাহলে হিটলারের সেনারা এত ভয়ঙ্কর হতে পারতো না। জার্মানি যখন ভার্সাই চুক্তি ভঙ্গ করলো এবং চেকোস্লোভাকিয়াকে নিজেদের অংশ হিসেবে দাবি করলো তখনই মিত্রপক্ষের পদক্ষেপ নেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু তারা সেটা না করে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছে। আর তাদের সেই ধীরগতির পদক্ষেপের কারণে প্রাণ দিতে হয়েছে লাখ লাখ মানুষকে।
তবে জার্মানির অধিকাংশ মানুষ হিটলারের অপরাধকে বাহবা দিয়েছেন। তারা পুরোপুরি হিটলারে মজে ছিলেন। হিটলারের মতো প্রত্যেক জার্মান তরুণ ইউরোপ জয়ের নেশায় মত্ত ছিলেন। এমনকি স্বয়ং কেলনারের ছেলে নাৎসি দলে নাম লিখিয়েছিলেন। পরবর্তীতে তাকে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে পাঠিয়ে দেন। সেখানেও তার ছেলে এক নাৎসি দলের সাথে জড়িয়ে পড়ে। ফলে এফবিআই তাকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করে।
কেলনারের মাহাত্ম্য
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় সরাসরি নাৎসিদের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর মতো সুযোগ কেলনারের ছিল না। কিন্তু তিনি তার জায়গা থেকে যতটুকু সম্ভব ছিল সেটুকু করে গেছেন। তিনি তার সহকর্মীদের নাৎসি দলে নাম লেখাতে নিরুৎসাহিত করতেন। পাশাপাশি মিত্রশক্তির বিমান থেকে ফেলা লিফলেট গোপনে প্রচার করতেন এবং বিবিসিতে শোনা সংবাদ তিনি তার সহকর্মীদের শোনাতেন। তবে তিনি তার ভেতরের সবটুকু বিরোধিতার প্রকাশ করেছেন কলমের মাধ্যমে। ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য তিনি নাৎসিদের অপরাধনামা হিসেবে নিজের লেখা দিনলিপি রেখে গেছেন।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর প্রথম সারির নাৎসি সেনাদের বিচারের মুখোমুখি করা হয়। কেলনার তখন প্রথমে লাওবাকের কাউন্সিলর হন। পরে তিনি শহরের ডেপুটি মেয়রের দায়িত্ব পান। সেই সময় শহর থেকে নাৎসি দলের সদস্যদের বিভিন্ন সরকারি পদ থেকে বরখাস্ত করতে সহায়তা করেন, যাদের অনেকেই বিচারের মুখোমুখি হন। যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর দেখা যায় হিটলারের মতবাদে যারা গা ভাসিয়ে যুদ্ধে যোগ দিয়েছিলেন, তাদের অনেকে স্ত্রী ও সন্তানদের অনাথ করে গেছেন। ডেপুটি মেয়রের দায়িত্ব শেষ করার পর কেলনার আবার তার রাজনৈতিক দল সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি পুনর্গঠন করার কাজে হাত দেন। সেখানকার সদস্যরা তাকে দলীয় প্রধান হিসেবে নির্বাচিত করেন।
হিটলারের নাৎসি মতবাদ কেড়ে নিয়েছিল কেলনারের একমাত্র সন্তান কার্ল ফ্রেডরিককে। ১৯৪৬ সালের এপ্রিলে তিনি ও তার স্ত্রীর লাওবাকে সন্তানের সাথে মিলিত হন। তখন কার্লের শরীরে ইউএস আর্মির পোশাক দেখে কেলনার হতচকিত হয়ে যান। কার্ল অবশ্য তার বাবা-মাকে বিশ্বস্ততা প্রমাণ দেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার বিষয়টি বলেননি। এর সাত বছর পর কার্ল হতাশাগ্রস্ত হয়ে আত্মহননের পথ বেছে নেন। কারণ যে মতবাদের বিরুদ্ধে তার বাবা লড়াই করে গেছেন, সেই মতবাদ গ্রহণ করে তাকে হার দেখতে হয়েছে। শত্রুপক্ষের সেনার পোশাক পরিধান করতে হয়েছে। তবে কেলনার তার কলমের মাধ্যমে যে যুদ্ধ করে গেছেন সেটা অবিস্মরণীয়। বিরুদ্ধ পরিবেশে থেকেও যে নিজের নীতি আর আদর্শকে বজায় রেখে ভিন্নপন্থায় প্রতিবাদ করা যায় তার প্রমাণ কেলনারের ডায়েরি।
ইতিহাসের চমৎকার সব বিষয়ে রোর বাংলায় লিখতে আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন এই লিঙ্কেঃ roar.media/contribute/
অ্যাডলফ হিটলার সম্পর্কে আরও জানতে পড়ে নিন এই বইগুলো:
১) মাইন ক্যাম্ফ
২) এডলফ হিটলার