
১
১৫৫৫ সালের ২২ জুন। সিরহিন্দের যুদ্ধে এদিন সম্রাট হুমায়ুনের মুঘল সেনাবাহিনীর হাতে শোচনীয়ভাবে পরাজিত হন সিকান্দার শাহ সুরি। পিছু হটতে বাধ্য হন তিনি। সিরহিন্দে অসামান্য এই জয়ের ফলস্বরূপ সম্রাট হুমায়ুন দ্বিতীয়বারের মতো দিল্লি দখল করে নিতে সমর্থ হলেন। আর এর সাথে সাথেই অবসান হলো সম্রাটের দীর্ঘ ১৫ বছরের নির্বাসন জীবনের।
সম্রাট হুমায়ুন দিল্লী দখল করেছেন। কিন্তু, তা-ই বলে তার জীবনের সংগ্রাম শেষ হয়ে যায়নি। বরং, বলা যায় মূল সংগ্রাম মাত্র শুরু হলো। সম্রাট দিল্লী দখল করেছেন বটে, তবে মুঘল সাম্রাজ্যের অধিকাংশ ভূখণ্ডই এখনো আফগানদের দখলেই পড়ে আছে। সম্রাটকে অবশ্যই এসব ভূমি পুনরুদ্ধার করতে হবে। তবে তার আগে সম্রাট তার দীর্ঘ সংগ্রাম জীবনে যারা তার পাশে থেকেছেন, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করেছেন, তাদের পুরস্কৃত করতে চান। তাই মসনদে বসার পরেই সম্রাট জায়গীর বিতরণে উৎসাহী হলেন।

জায়গীর ভাগাভাগিতে মাছিওয়ারার যুদ্ধ বিজয়ের প্রধান নায়ক খান-ই-খানান বৈরাম খানকে দেয়া হলো সিরহিন্দের জায়গীর। আর মেওয়াতের জায়গীর দেয়া হলো তরদী বেগকে। আগ্রার দায়িত্ব পড়লো সিকান্দার খান উজবেকের কাছে। অন্যদিকে, আলী কুলি খানের ভাগে পড়লো সম্ভল আর হায়দার মুহাম্মদ খান আখতা বেগ পেলেন বিয়ানার জায়গীর। আর শাহ আবুল মালীকে তো ইতোমধ্যেই পাঞ্জাবের গভর্নর করে জলন্ধরে রেখে আসা হয়েছে।
একইসাথে সম্রাট হুমায়ুন শাহজাদা আকবরকে মসনদের উত্তরাধিকারী ঘোষণা করলেন। তাকে জায়গীর হিসেবে হিসারের দায়িত্ব দেয়া হলো।

সম্রাট তার হিন্দুস্তান বিজয় উপলক্ষে হযরত মুহাম্মদ (স) এর নামে দান-সাদাকার জন্য মুস্তাফাবাদ পরগণার সম্পূর্ণ রাজস্ব ওয়াকফ ঘোষণা করলেন। ঐতিহাসিক বদায়ূনী এই পরগনার বার্ষিক আয় ৩০ লক্ষ টঙ্কা বলে উল্লেখ করেছেন।
২
আমির এবং সেনাবাহিনীকে উপযুক্ত উপহার প্রদান করার পর সম্রাট হুমায়ুন মনোযোগ দিলেন মুঘল সাম্রাজ্যের হৃত ভূখণ্ডগুলো উদ্ধারের দিকে। আমিরদের তিনি চারদিকে ছড়িয়ে দিলেন। যে যে আমির যে যে জায়গীর ভাগে পেয়েছিলেন, তা দখল করতে তারা রওয়ানা হয়ে গেলেন।
হিসার দখল করতে শাহজাদা আকবরের পক্ষে গেলেন শামসুদ্দিন মুহাম্মদ আতাগা খান। এসময় হিসার ছিলো রুস্তম খানের দখলে। তিনি তার হাতে থাকা সামান্য ২,০০০ সৈন্য নিয়ে সাধ্যমতো প্রতিরোধ তৈরি করলেন। কিন্তু পরাজিত হয়ে দুর্গে আশ্রয় নিলেন। ২৩ দিন দুর্গ অবরোধ করে রাখার পর তিনি আত্মসমর্পণ করেন। খুব সহজেই হিসার অধিকার করতে সক্ষম হলো মুঘল সেনাবাহিনী।

এদিকে হায়দার মুহাম্মদ খান আখতা বেগ অগ্রসর হলেন বিয়ানার দিকে। এসময় বিয়ানার গভর্নর ছিলেন আফগান গাজী খান। আখতা বেগের আক্রমণের সংবাদ শুনে তিনি তাকে প্রতিরোধ করতে এগিয়ে গেলেন। তবে তিনিও যুদ্ধে পরাজিত হয়ে পিছু হটে দুর্গে আশ্রয় নিলেন। শেষপর্যন্ত যে দুর্গ দখলে রাখতে পারবেন না, এটা তিনি জানতেন। তাই জীবনরক্ষার প্রতিশ্রুতিতে গাজী খান আত্মসমর্পণ করলেন আখতা বেগের কাছে।
কিন্তু, হায়দার মুহাম্মদ খান আখতা বেগ তার দেয়া প্রতিশ্রুতি রাখলেন না। তিনি গাজী খানকে তো হত্যা করলেনই, এমনকি ছোট-বড় কোনো বাছ-বিচার না করে বন্দী সবাইকেই হত্যা করলেন। সম্রাট হুমায়ুন যখন এই করুণ গণহত্যার কথা শুনলেন, তখন ক্রোধে অস্থির হয়ে উঠলেন। তৎক্ষনাৎ তিনি শিহাবউদ্দিন আহমেদ নামক এক ব্যক্তিকে প্রেরণ করলেন এই ঘটনার তদন্ত করতে ও রাজকোষ বুঝে নিতে।

হায়দার মুহাম্মদ খান আখতা বেগ প্রাপ্ত সম্পদের মধ্য থেকে মূল্যবান জিনিসগুলো সরিয়ে ফেলে তুলনামূলক কম দামি সম্পদ কোষাগারে হস্তান্তর করলেন। এদিকে তদন্তেও তিনি দোষী সাব্যস্ত হলেন। কিন্তু সমকালীন বাস্তব অবস্থার বিচারে সম্রাট তাকে শাস্তি দিতে পারলেন না।
৩
সব ঠিকমতোই হচ্ছিলো। তবে ঝামেলা বাঁধলো বদায়ূন আর সম্ভলকে নিয়ে। আলী কুলি খানের আগেই কম্বর আলী দিউয়ান নামক এক মুঘল জেনারেল রাজকীয় আদেশ ছাড়াই সম্ভল দখল করে বসে ছিলেন। তার পুত্র সাইফুল্লাহও আফগান গভর্নর রায় হুসেন জলওয়ানীকে পরাজিত করে বদায়ূনের দখল বুঝে নেয়। পিতা-পুত্র মিলে আশেপাশের আরও কিছু জায়গা দখল করে স্বাধীন শাসকের মতো আচরণ করতে লাগলেন।
কম্বর আলী দিউয়ান অবশ্য মুখে মুখে সম্রাটের প্রতি অনুগত থাকার কথা বলতেন, এমনকি পত্রের মাধ্যমেও সম্রাটের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করতেন। তবে ঝামেলা ছিলো অন্য জায়গায়। তিনি ক্রমেই নিজের শক্তি বৃদ্ধি করতে লাগলেন এবং নিজে ‘সুলতান’ উপাধি ধারণ করলেন। এমনকি তার অনুগতদের পতাকা ও নাকাড়াও প্রদান করতে লাগলেন। সমস্যা হলো এই কাজগুলো করার অধিকার একমাত্র কোনো স্বাধীন সুলতানেরই ছিলো। সুতরাং, সম্রাট যা বোঝার, তা-ই বুঝে নিলেন। তিনি দ্রুত আলী কুলি খানকে সম্ভলের দিকে প্রেরণ করলেন।

সম্রাটের আদেশ ছিলো কম্বর আলি দিউয়ানকে বন্দী করে দিল্লী প্রেরণ করা। কিন্তু কম্বর আত্মসমর্পণ করতে অস্বীকার করায় আলী কুলি খান বাধ্য হলেন যুদ্ধ করতে। যুদ্ধে কম্বর আলি দিউয়ান পরাজিত হয়ে বদায়ূনের দিকে পালিয়ে গেলেন। অবশেষে ১৫৫৬ সালের ১৮ জানুয়ারি, আলী কুলি খান বদায়ূনে কম্বর আলি দিউয়ানকে হত্যা করলেন।
সম্রাট হুমায়ুন এই হত্যাকাণ্ডের সংবাদে অসন্তুষ্ট হলেন। এই ব্যক্তিটি কোনো রাজকীয় সহায়তা ছাড়াই আফগানদের থেকে বিস্তৃত দু’টি এলাকা মুক্ত করে ফেলেছিলেন। কাজেই তার সাহসিকতা আর যোগ্যতার কোনো অভাব ছিলো না, তা ধরেই নেয়া যায়। আর হিন্দুস্তানের এরকম বিশৃঙ্খল অবস্থায় তার মতো লোকই সম্রাটের বেশি দরকার ছিলো। কিন্তু যা হওয়ার তা হয়ে গেছে, এ নিয়ে আর আফসোস করে কী লাভ!
৪
এদিকে জলন্ধরে অবস্থানরত শাহ আবুল মালী ঘটিয়ে বসলেন আরেক কাণ্ড।
সিরহিন্দের যুদ্ধের পর দিল্লী আসার পূর্বে সম্রাট হুমায়ুন তাকে পাঞ্জাবের গভর্নর নিয়োগ দিয়ে নির্দেশ দিয়েছিলেন জলন্ধরেই অবস্থান করতে। কিন্তু, হুট করেই তিনি জলন্ধর ছেড়ে লাহোর দুর্গে গিয়ে উঠলেন। তার কাজ শুধু এটুকুতে সীমাবদ্ধ থাকলেও হতো। তিনি রাজকীয় কোনো নির্দেশ ছাড়াই দুর্গরক্ষক ফরহাত খানকে সরিয়ে নিজের পছন্দের লোককে দুর্গরক্ষক বানালেন!

এদিকে যুদ্ধ শেষ হলেও যুদ্ধক্ষেত্র ছাড়তে পারলেন না সম্রাটের আরেকজন প্রিয়পাত্র। সিরহিন্দ ত্যাগের পূর্বে সম্রাট তার সেবক জওহরকে সিকান্দার শাহ সুরির অবস্থান খুঁজে বের করার কাজে মোতায়েন করে যান। গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করার জন্য জওহরও মুঘল গুপ্তচরদের চারদিকে ছড়িয়ে দেন। শাহ আবুল মালী যখন জলন্ধর ত্যাগ লাহোরে চলে গেলেন, সেসময়ই মুঘল গুপ্তচরদের চোখে সিকান্দার শাহ সুরির কিছু কর্মকাণ্ড চোখে পড়লো। পরিস্থিতি খুবই গুরুতর। পাঞ্জাব থেকে মুঘলদের বিতাড়িত করার জন্য সিকান্দার শাহ সুরি আবারও যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছেন!
গোয়েন্দাতথ্য মোতাবেক, সিরহিন্দের যুদ্ধে পরাজয়ের পর পলায়নের পথে হাবিব খান সুলতানীর সাথে সিকান্দার শাহ সুরির দেখা হয়। তার সাথে প্রায় ৫ কোটি টঙ্কার রাজস্ব ছিলো। নিজের এই দুরবস্থায় একটি শক্তিশালী সেনাবাহিনী গড়ার জন্য সবচেয়ে প্রথমেই প্রয়োজন হলো অর্থ। কোনো দ্বিধা ছাড়াই সিকান্দার শাহ হাবিব খানকে হত্যা করে অর্থগুলো নিজের অধিকারে নিয়ে নিলেন। পরবর্তী কয়েকদিনে অসহায় দরিদ্রদের মাঝে অর্থ বিলিয়ে তিনি চলনসই একটি সেনাবাহিনী দাঁড় করিয়ে ফেললেন।
কর্তব্যে অবহেলা করে লাহোরে চলে যাওয়ায় শাহ আবুল মালী সিকান্দার শাহ সুরির এসব গোপন তৎপরতার কিছুই টের পেলেন না। তবে সৌভাগ্যের বিষয় হচ্ছে, তিনি জওহরের চোখকে ফাঁকি দিতে পারলেন না।
জওহর বার্তা প্রেরণ করলেন শাহ আবুল মালীর কাছে। এদিকে ইতোমধ্যেই সিকান্দার শাহ সুরি দ্রুত পর্বত থেকে বেড়িয়ে মানকোট আর বাহরি দুর্গের কাছাকাছি এসে ছাউনি ফেললেন!

পরিস্থিতি বেগতিক দেখে শাহ আবুল মালী পরামর্শ সভা ডাকলেন। শাহ আবুল মালী গভর্নরের দায়িত্ব পেয়েও নিজের দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করেননি। ফলে লাহোরে সেসময় মুঘলদের অস্ত্রশস্ত্রের যথেষ্ট ঘাটতি চোখে পড়লো। পরামর্শ সভার সিদ্ধান্ত হলো, উপযুক্ত প্রস্তুতি ছাড়া সিকান্দার শাহ সুরির মুখোমুখি হওয়া যাবে না। সিকান্দার শাহ সুরি যখন সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত, তখন মুঘলদের অস্ত্র তৈরি ও সংগ্রহের কাজ শুরু হলো মাত্র!
যা-ই হোক, সিকান্দার শাহ সুরির মোকাবেলার জন্য অস্ত্র সংগ্রহ আর তৈরির ধুম পড়ে গেলো। অনেকে ব্যক্তিগতভাবেও অনেক অস্ত্র দান করলেন। জওহর একাই দান করেছিলেন ৩০০টি ধনুক, ৩০০টি তীর রাখার তূণ, ২৫০টি ঢাল, পঞ্চাশ মণ বারুদ, ৩০০টি বর্শা আর ৩০ মণ ভরের সীসার গোলক। জওহরের এই দান বিপদের সময় মুঘল সেনাবাহিনীর জন্য ব্যাপক স্বস্তির একটি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিলো।
৫
তবে, সমস্যা শুধু সিকান্দার শাহ সুরিই ছিলেন না, সমস্যা ছিলেন আবুল মালী খোদ নিজেই! সম্রাট হুমায়ুন দিল্লির মসনদ পুনরুদ্ধার করার পরই তিনি অন্যরকম হয়ে গেলেন। বিশেষ করে তার উপর পাঞ্জাবের দায়িত্ব অর্পণ করার পর থেকেই তার আচার-আচরণ বদলে গেলো। এক অদ্ভুত গর্ব নিয়ে তিনি চলতে শুরু করলেন, যেন হয় তিনিই বাদশাহ, নয়তো তার সাহায্য ছাড়া সম্রাট হুমায়ুন কখনোই তার মসনদ ফিরে পেতে পারতেন না।
অধীনস্ত কর্মকর্তাদের সাথে তিনি ক্রমাগত দুর্ব্যবহার করতে লাগলেন। প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে বিভিন্নভাবে রাজকোষের অপব্যয় করতে লাগলেন তিনি। তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে শাহ আবুল মালীর কর্মকর্তারাই সম্রাটকে পত্রের মাধ্যমে অভিযোগ জানালেন। অভিযোগ ছিলো গুরুতর, তাই অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে সম্রাট তার পুত্র আকবর আর বৈরাম খানকে লাহোরে প্রেরণ করলেন।
এদিকে এসময় যুদ্ধ প্রস্তুতি শেষে শাহ আবুল মালী সেনাবাহিনী নিয়ে অগ্রসর হলেন। জলন্ধরের কাছাকাছি এক জায়গায় সিকান্দার শাহ সুরির মুখোমুখি হলেন তিনি। যদিও মুঘলদের প্রস্তুতি আফগানদের তুলনায় কম ছিলো, কিন্তু তারপরও সিকান্দার শাহ সুরি প্রায় কোণঠাসা হয়ে গেলেন।
অন্যদিকে, একই সময়ে আকবর আর বৈরাম খানের আগমন সংবাদ পেয়ে শাহ আবুল মালীর অনেক অধীনস্ত জেনারেল ও কর্মকর্তা তাকে ত্যাগ করে সিরহিন্দে চলে গেলেন। এসব কর্মকর্তার মাঝে মুহাম্মদ কুলী বারলাস, ফরহাত খান, মুহাম্মদ তাহের, খাজা জালালুদ্দিন মাহমুদ উল্লেখযোগ্য ছিলেন।

সিকান্দার শাহ সুরির ভাগ্য বেশ ভালো ছিলো। হঠাৎ এই ব্যাপক দলত্যাগের ফলে শাহ আবুল মালীর সেনাবাহিনীর সামর্থ্য হ্রাস পেয়েছিলো, ফলে তিনি অবরোধ ধরে রাখতে পারলেন না। সুযোগ পেয়ে সিকান্দার শাহ সুরি আবারও পাহাড়ে আত্মগোপন করলেন। শাহ আবুল মালী দলত্যাগী কর্মকর্তাদের ওপর দোষ চাপিয়ে সেবারের মতো নিজের পিঠ বাঁচাতে সক্ষম হলেন।
শাহ আবুল মালী তো নিজের মতো করে ব্যাখ্যা দিয়ে নিজেকে রক্ষা করলেন, তবে সম্রাট বা সভাসদরা এতটাও বোকা না যে তার এই ছলচাতুরি কেউই ধরতে পারবে না। কিন্তু, সাম্রাজ্য পুনরুদ্ধারে তার সহায়তা, সেনাবাহিনীতে তার প্রভাব ইত্যাদি বিষয় বিবেচনা করে সম্রাট কঠোর কোনো সিদ্ধান্ত না নিয়ে আকবরকেই পাঞ্জাবের গভর্নর বানিয়ে দিলেন।
শাহ আবুল মালীর সবচেয়ে ভালো বিকল্প ছিলেন বৈরাম খান। কিন্তু, সাম্রাজ্যের প্রধান আমীর কে হবেন, এ প্রশ্নে বৈরাম খান আর শাহ আবুল মালীর মাঝে পূর্ব থেকেই অলিখিত একটি প্রতিযোগিতা চলছিলো। এ অবস্থায় বৈরাম খানকে পাঞ্জাবের গভর্নর নিযুক্ত করলে। তা বিরোধের আগুনে যে ঘি ঢালার মতোই হবে, তা সম্রাট বুঝেছিলেন। কাজেই আকবরকে সামনে রেখে বৈরাম খানকে বানানো হলো আকবরের অভিভাবক।
আর শাহ আবুল মালীকে পাঞ্জাবের পরিবর্তে হিসারের দায়িত্ব দেয়া হলো। আর এভাবেই জটিল এক সমস্যা থেকে খুব সহজেই মুক্ত হয়ে গেলেন সম্রাট।
[এই সিরিজের পূর্বের প্রকাশিত পর্বটি পড়ুন এখানে। সিরিজের সবগুলো লেখা পড়তে চাইলে ক্লিক করুন এখানে।]