
১৮৮৫ সালের কোনো একদিন শিকাগোর শান্ত পাড়া এঙ্গেলউডে এসে হাজির হন এক আগন্তুক। নীল চোখের এ চিকিৎসক যেমন তুখোড় তেমনই অমায়িক। কিন্তু সে সময়ে কে জানত যে শান্ত এ ভদ্রলোকই একসময় হয়ে উঠবেন আমেরিকার প্রথম এবং ভয়ংকর সিরিয়াল কিলার এইচ. এইচ. হোমস? পাড়ার ফার্মেসীর উপর ওঠা তিনতলা বিশাল ভবনটি যে আসলে ছিল তার হাতে গড়া এক মৃত্যুফাঁদ, কেউ কি তা কোনোভাবেও টের পেয়েছিল? নিজ হাতে গড়া এ মৃত্যুপ্রাসাদ ছিল এ সিরিয়াল কিলারের অস্ত্র। প্রাণ সংহারক এ ভয়ংকর প্রাসাদ, অদ্ভুতুড়ে স্বীকারোক্তি, নিষ্ঠুরতা- এসব কিছুর জন্য এইচ. এইচ. হোমস আজ আমেরিকার প্রথম সিরিয়াল কিলার হিসেবে স্বীকৃত।

‘বীস্ট অফ শিকাগো’ নামে পরিচিত এইচ. এইচ. হোমস ছিলেন আমেরিকার প্রথম সিরিয়াল কিলার, source: wikipedia.com
কে এই এইচ. এইচ. হোমস?
এইচ. এইচ. হোমস, আসল নাম হারমান ওয়েবস্টার মাজেটের জন্ম ১৮৬০ সালে নিউ হ্যাম্পশায়ারের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে। ছোটবেলা থেকেই অত্যন্ত তুখোড় মাজেট ছিলো আর সবার থেকে অন্যরকম। সার্জারিতে আকর্ষণ থাকায় চিকিৎসাশাস্ত্র নিয়ে লেখাপড়া করেন ইউনিভার্সিটি অফ মিশিগানে। মাজেটের অপরাধজগতে প্রবেশও হয় এ সময়ে, ছাত্রাবস্থাতেই তিনি লাশ চুরি করে তা ভুয়া ইন্স্যুরেন্স দাবির জন্য ব্যবহার করতেন। কথিত আছে, তিনি এ মরদেহের উপর বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাতেন। নিজ স্ত্রী এবং সন্তানকে পরিত্যাগ করে ১৮৮৫ সালে মাজেট পাড়ি জমান শিকাগোতে, নাম পাল্টে রাখেন হেনরি এইচ হোমস। নতুন পরিচয়ে হোমস আসেন এঙ্গেলউডে, পেশায় তিনি চিকিৎসক, উদ্যোক্তা এবং পরবর্তীতে নৃশংস এক খুনি।

হোমস তার মার্ডার ক্যাসেলের জন্য তৈরি করেছিলেন খুব জটিল এক নকশা, যার সম্পর্কে তিনি ছাড়া আর কেউ জানত না, source: chicagotribune.com
সেই ক্যাসেলের নির্মাণ
১৮৮৫ সালে এঙ্গেলউডে আসার পর সেখানকার স্থানীয় এক ফার্মেসীতে চাকরি পান হোমস। ফার্মেসীর বিধবা মালিক ১৮৮৭ সালে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হলে তার মালিকানা পান হোমস। এরপরই হোমস নিজ হাতে তৈরি নকশার ভিত্তিতে বিশাল ভবনটির নির্মাণকাজ শুরু করেন। সাধারণত এ কাজে ৬ মাসের বেশি সময় না লাগলেও তিনতলা বিশিষ্ট বৃহদাকার ভবনটি তৈরিতে প্রায় তার ৫ গুণেরও বেশি সময় লেগেছিল। এর কারণ হোমস খুব ঘন ঘন নির্মাণশ্রমিক পাল্টাতেন। তুচ্ছ কারণে অনেককে চাকরিচ্যুত করে অন্যদের এ কাজে নিয়োজিত করতেন। এতে করে শ্রমিকের মজুরির জন্য তার খরচও কম হয়। ঘন ঘন শ্রমিক পাল্টানো, প্রতি শ্রমিককে দালানের নির্মাণকাজের অতি ক্ষুদ্র অংশ দেয়া- এসবই ছিল হোমসের দালানটির নকশা গোপন রাখার কৌশল মাত্র। অবস্থা এমন হয় যে, যারা এ ভবন নির্মাণে কাজ করেছিলেন তারা নিজেরাই জানতেন না যে তারা আসলে কী তৈরি করছিলেন! এ বিশালাকার দালানটির নির্মাণকাজও হয়ে গিয়েছিল শহরের এক অন্যতম দর্শনীয় বস্তু। ছেলে-বুড়ো, নারী-পুরুষ, ছাপোষা কেরানি-পুলিশ নির্বিশেষে পাড়ার মানুষের আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছিল হোমসের এই ‘ক্যাসেল’।

রহস্যজনক এই ক্যাসেলের ভেতর কী ছিল তা জানত না কেউই, source: chicagotribune.com
‘মার্ডার ক্যাসেল’
এঙ্গেলউডবাসীর দেয়া ‘দ্য ক্যাসেল’ নামে পরিচিত হোমসের বিশাল দালানটির ঠিকানা ছিল ৬৩ তম এবং ওয়ালেস স্ট্রিটের একপ্রান্তে। স্কাইস্ক্র্যাপারের যুগে দালানটি উচ্চতায় বেশি না হলেও গোটা ব্লক জুড়ে দালানটি পরিচিত ছিল তার বিশাল আকারের জন্য। সুন্দর কাঠের কাজ করা জানালা, দালানের দেয়ালে ধাতুর পাতের উপর নকশা, সবকিছু মিলিয়ে সেলার সহ তিনতলা বিশিষ্ট দালানটি ছিল অত্যন্ত সুদৃশ্য। দালানের নিচতলা হোমস ভাড়া দেয়ায় ছোটখাট বহু দোকানে আনাগোনা ছিল মানুষের। সে কারণে নিচতলাটি ছিল সবার জন্য উন্মুক্ত। ওপরতলায় বা মাটির নিচের সেলারে কী ঘটে যাচ্ছে তার কোনো ধারণাই মানুষের ছিলো না। ১৮৯২ সালে দালানের নির্মাণকাজ শেষ হবার পর হোমস ঘোষণা দেন, সামনের বছরে ‘শিকাগো ওয়ার্ল্ড ফেয়ার’ বা শিকাগো কলম্বিয়ান এক্সপোজিশন (ক্রিস্টোফার কলম্বাসের আমেরিকা আবিষ্কারের ৪০০ বছরপূর্তি উপলক্ষে শিকাগোতে আয়োজিত অনুষ্ঠান) উপলক্ষে তিনি তার দালানের দোতলা ও তিনতলা শিকাগোতে আসা পর্যটকদের ভাড়া দিবেন। উল্লেখ্য, দালানের দোতলা ও তিনতলাতে অনেকগুলো কামরা ছিল আসবাবপত্রে সুসজ্জিত। শিকাগোতে ওয়ার্ল্ড ফেয়ার উপলক্ষে তখন হাজার হাজার মানুষের ঢল, তাই সে সময় হোমসের এ বিজ্ঞাপন আকৃষ্ট করে অনেককেই। কিন্তু সে সময় তাদের কোনো ধারণাই ছিল না যে তারা কত বড় ফাঁদে পা দিয়েছিল। হোমসের অদ্ভুতুড়ে দালানে সুসজ্জিত কামরার পাশাপাশি ছিল অজস্র রকমের ফাঁদ। দালানের কামরাগুলো অনেকগুলো সরু করিডোরের আড়ালে বিক্ষিপ্ত ছিল। দালানের কিছু অংশে আলোর ব্যবস্থা ছিল অল্প। তার চেয়ে ভয়ংকর বিষয় ছিল যে পুরো দালানের দেয়াল ঘেঁষে ছিল গ্যাস পাইপ, যেগুলো প্রতিটি ঘরের সাথে যুক্ত ছিল। হোমস সুইচের মাধ্যমে এ গ্যাসের প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করতেন। সুইচ চেপে ধরলে ঘরগুলোতে বিষাক্ত গ্যাসে ভরে যেত, প্রাণ হারাতো সে ঘরে থাকা মানুষ। ঘরগুলোর চাবি ছিল হোমসের কাছে, যেন তিনি ছাড়া আর কেউ দরজা না খুলতে পারে। এছাড়া দালানটিতে ছিল অনেকগুলো ট্র্যাপডোর, অনেকগুলো সিঁড়িপথ ছিল যেগুলো শেষ হতো কোনো দেয়ালে অথবা মাঝপথে গিয়ে থেমে যেত হুট করেই। অনেক করিডোর থেকে বের হবার কোনো রাস্তা ছিলো না, গোটা দালান ছিল একটা গোলকধাঁধার মতো। দালানের তৃতীয় তলা ছিল আরো অদ্ভুত। ৫১টি দরজা আর ৬টি হলওয়ে বিশিষ্ট এ তলায় থাকার জন্য সাধারণ কামরা ছিল ৩৫টি। বাকি ঘরগুলোর কতগুলো ছিল আকারে খুবই ছোট, নিচু ছাদের এ ঘরগুলো যেন ছিল একেকটা আলমারি। কতগুলো ঘর ছিল সাউন্ডপ্রুফ। দোতলার মতো এ তলাতেও প্রতি ঘরে গ্যাসের লাইন ছিল, ছিল ট্র্যাপডোর। আবার প্রতিটি ঘরে হোমসের চোখ রাখার জন্য ছিল বিশেষ ‘পিপহোল’ এর ব্যবস্থা, পাছে যদি কোনো ‘অতিথি’ পালিয়ে যায়? তবে সবচেয়ে ভয়ংকর ছিল হঠাৎ করে শুরু হওয়া পিচ্ছিল ঢালু পথগুলো, যেগুলো সরাসরি চলে যায় মাটির নিচের সেলারে। ইটের দেয়ালবিশিষ্ট অন্ধকার এ সেলারটা ছিল এ মার্ডার ক্যাসেলের সবচেয়ে ভয়াবহ অংশ। এখানে ছিল বড় বড় এসিডের পাত্র, ভস্মীভূত করার জন্য বিরাট চুল্লী, ব্যবচ্ছেদের জন্য একটি সার্জনের টেবিল, যেখানে হোমস তার শিকারদের উপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং অত্যাচার চালাতেন। এছাড়া ছিল হোমসের নিজের উদ্ভাবিত অত্যাচারের যন্ত্র ‘ইলাস্টিসিটি ডিটারমিনেটর’, যা দিয়ে পরীক্ষার বস্তুকে তার দৈর্ঘ্যের দ্বিগুণ পর্যন্ত টানা যেত। হোমসের এ যন্ত্রে করুণ পরিণতির শিকার হয়েছেন অনেক ‘অতিথি’। পুলিশ যখন এ যন্ত্রটি উদ্ধার করে, তখন তারা একে মধ্যযুগীয় বর্বরতার সাথে তুলনা করেছিল।

শিল্পীর চোখে হোমস এবং তার শিকার, source : chicagoist.com
মার্ডার ক্যাসেলের শিকার
আটক হবার পর হোমস ২৮ জনকে হত্যা করার কথা শিকার করলেও ধারণা করা হয় তার শিকারের সংখ্যা প্রায় ২০০ জনেরও বেশি। হোমস মূলত দু’ভাবে তার শিকারদের ফাঁদে ফেলতেন, প্রথমত, কলম্বিয়ান এক্সপোজিশন উপলক্ষে আগত পর্যটকদের কামরা ভাড়া দিয়ে; দ্বিতীয়ত, খবরের কাগজে চাকরি অথবা বিয়ের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নারীদের আকৃষ্ট করতেন। কলম্বিয়ান এক্সপোজিশনের ব্যস্ততা কিংবা সেসময়কার পুলিশের দায়িত্বে অবহেলার কারণে এত মানুষ যে নিখোঁজ হয়ে যাচ্ছিল, তা কেউ টের পায়নি। নিখোঁজ নারীদের আত্মীয়-স্বজন কেউ এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে সুবক্তা হোমস তাদের খুব সহজেই নানাবিধ অজুহাত দেখিয়ে ধোঁকা দিতে পেরেছিলেন। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল যে সেই নিখোঁজ হওয়া মানুষদের তখন নৃশংসভাবে দালানের সেলারে হত্যা করা হচ্ছে। তারপর তাদের মৃতদেহ এসিডে গলিয়ে, তাদের কঙ্কাল হোমস বিভিন্ন মেডিকেল স্কুলে বিক্রি করেছেন। হোমসের হাত থেকে রেহাই পায়নি তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী বেঞ্জামিন পিটেজেল, রেহাই পায়নি পিটেজেলের নাবালক পাঁচ সন্তানও।

১৮৯৫ সালে ধরা পড়ে এই নৃশংস খুনি, source : chicagotribune.com
ধরা পড়লেন ‘বীস্ট অফ শিকাগো’ এবং তারপর?
১৮৯৪ সালে ভুয়া বীমা ব্যবসার জন্য হোমস দু’বার আটক হন। এ সময়ে ফিলাডেলফিয়ার গোয়েন্দা ফ্র্যাংক পি গেয়ারের তদন্তে ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসে হোমসের রোমহর্ষক অপরাধের কথা। যার প্রেক্ষিতে শিকাগো পুলিশের তদন্তে ধরা পড়ে হোমস, মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে ‘মার্ডার ক্যাসেল’ এর কথা। ১৮৯৫ সালে অক্টোবরে হোমসের বিচারকার্য শুরু হয়। এটি মাত্র ৬ দিন ব্যাপী হলেও তা শতাব্দীর অন্যতম আলোচিত বিচারকার্য হিসেবে বিবেচিত হয়। গোটা দেশ বিশেষ করে শিকাগোর মানুষ হতবাক হয় এ ঠান্ডা মস্তিষ্কের খুনির বর্বরতা এবং হত্যার বর্ণনা শুনে। তার জবানবন্দিতে হোমস বলেন,
“আমি আমার ভেতরে এক পিশাচকে নিয়েই জন্ম নিয়েছি। একজন কবি যেমন কবিতা লেখা থেকে নিজেকে আটকাতে পারে না, আমিও সেভাবে হত্যা করা থেকে নিজেকে আটকে রাখতে পারিনি। এটা খুব স্বাভাবিক।”
ফাঁসিকাষ্ঠে ঝোলার আগ পর্যন্ত হোমস ছিল হাসিখুশি, অনুশোচনার ছিটেফোঁটাও তার মাঝে দেখা যায়নি। ৩৬ তম জন্মদিনের মাত্র ৯ দিন আগে ৭ মে, ১৮৯৬ সালে হোমসের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়। ফাঁসির পর টানা ১৫ মিনিট ধরে হোমসের হৃদপিন্ড কাজ করছিল। মার্ডার ক্যাসেলের পরিণতিও ছিল রহস্যজনক। হোমসের মৃত্যুর পর এক ব্যক্তি ভবনটি কিনে নেয়, উদ্দেশ্য ছিল ভবনটি একটা জাদুঘরে পরিণত করবেন। কিন্তু আগস্টের ১৯ তারিখে হঠাৎ করে ভবনটিতে আগুন ধরে যায়। পুড়ে যাওয়া এ ভবনটির স্থানে আজ যুক্তরাষ্ট্রের পোস্ট অফিস দাঁড়িয়ে আছে।
মৃত্যুর পরেও হোমসকে নিয়ে রহস্য শেষ হয়নি। ফাঁসির পূর্বে হোমস তার মৃতদেহ কংক্রিটের নিচে চাপা দিতে বলে যান। মৃতদেহ নিয়ে ব্যবসা করা হোমসের আশঙ্কা ছিল যে তার লাশ চুরি হয়ে যেতে পারে। অদ্ভুত হলেও হোমসের সেই ইচ্ছা পূরণ করা হয়েছিল। এরপর বিতর্ক ওঠে যে আদৌ হোমসের মৃত্যু হয়েছিল কিনা এ নিয়ে। হোমসের ফাঁসির নিশ্চয়তা প্রমাণ করতে তার কংক্রিটের কবরও খোঁড়া হয়েছিল। হ্যাঁ, হোমসকে আসলেই ফাঁসি দেয়া হয়েছিল।

হোমসকে নিয়ে রচিত এরিক লারসনের ‘দ্য ডেভিল ইন দ্য হোয়াইট সিটি’ বইয়ের উপর ভিত্তি করে মার্টিন স্করসেসের পরিচালিত চলচ্চিত্রে হোমসের চরিত্রে অভিনয় করবেন লিওনার্দো ডি ক্যাপ্রিও, source : express.co.uk
বই ও সিনেমায় হোমস
এরিক লারসন ২০০৩ সালে ১৮৯৩ সালের ওয়ার্ল্ড ফেয়ার এবং হোমসের কুকীর্তি নিয়ে তার বিখ্যাত ‘দ্য ডেভিল ইন দ্য হোয়াইট সিটি ‘ বইটি রচনা করেন। বইটির উপর ভিত্তি করে মার্টিন স্করসেসের পরিচালিত একই নামের চলচ্চিত্র বের হবে অতি শীঘ্রই। এতে হোমসের চরিত্রে অভিনয় করবেন অস্কারপ্রাপ্ত লিয়োনার্দো ডি ক্যাপ্রিও। এছাড়া ‘আমেরিকান হরর স্টোরি: হোটেল ‘ সিরিজের কাহিনীতে ১৯২০ সালে লস এঞ্জেলসের হোটেল কর্টেজ এর মালিক জেপি মার্চ এর চরিত্রটি মূলত হোমসের ছায়া অবলম্বনে তৈরি।
বলা হয় এইচ. এইচ. হোমস ‘জ্যাক দ্য রিপার’ এর কাহিনী দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। কিন্তু জ্যাক এবং হোমসের মধ্যে পার্থক্য হল, জ্যাকের শিকার ছিল শহরের যৌনকর্মী, কিন্তু হোমসের শিকার ছিল অল্প বয়সী তরুণীরা, যারা কিনা নিজেদের পায়ে দাঁড়াবার স্বপ্ন দেখত।
হোমসের আদর্শে পরবর্তীতে বহু সিরিয়াল কিলার অনুপ্রাণিত হলেও তার মতো রক্তাক্ত এবং নৃশংসতার ইতিহাসের ধারেকাছে আসতে পেরেছে খুব অল্প খুনি। বুদ্ধিমত্তা, নৃশংসতা এবং তার রহস্যময় মার্ডার ক্যাসেলের জন্য বীস্ট অফ শিকাগো, এইচ. এইচ. হোমস আজও পরিচিত আমেরিকার প্রথম সিরিয়াল কিলার হিসেবে।
ফিচার ছবিসূত্র: chicagotribune.com