Welcome to Roar Media's archive of content published from 2014 to 2023. As of 2024, Roar Media has ceased editorial operations and will no longer publish new content on this website.
The company has transitioned to a content production studio, offering creative solutions for brands and agencies.
To learn more about this transition, read our latest announcement here. To visit the new Roar Media website, click here.

রোমের নারীরা: অন্দরমহল থেকেই সাম্রাজ্যের পরিচালনা করেছিল যারা

সব পুরুষের কৃতিত্বের পেছনে নাকি থাকে একজন নারীর অবদান। প্রাচীন রোমও এই কথার বাইরে যায়নি। তখনকার দিনে নারীদের কাজ ছিল শুধু গৃহস্থালি সামলানো। জনজীবন থেকে যতটা পারা যায় দূরে রাখা হতো তাদের। কিন্তু এর মধ্যেও কিছু নারী সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছেন রাজনীতিতে। কখনো সিংহাসনে পছন্দের পুরুষকে বসিয়ে, কখনো রাজাকে নিজের হাতের পুতুল বানিয়ে ইতিহাসে জায়গা করে নিয়েছেন তারা।

মেসালিনা

মেসালিনা; Source: romeacrosseurope.com

মেসালিনা তার রাজনৈতিক প্রভাবের থেকেও বেশি পরিচিত অস্বাভাবিক যৌন জীবনের জন্য। বলা হয়ে থাকে, তৎকালীন রোমের সেরা পতিতার সাথে পাল্লা দিতে ২৫ জন পুরুষের সাথে থেকেছিলেন তিনি। কিন্তু এসব কতটা সত্য, তা জানা যায় না। ঐসময়ের ঐতিহাসিকেরা যাকেই অপছন্দ করতেন,তাকে যৌনতা সংক্রান্ত ঘটনায় অভিযুক্ত করতেন। তাকে অপছন্দ করার যথেষ্ট কারণ ছিল ঐতিহাসিকদের। স্বাভাবিক নিয়মের বাইরে মেসালিনা নিজের সময় পর্যন্ত রোমের সবচেয়ে প্রভাবশালী নারী ছিলেন। তিনি ছিলেন একাধারে নির্মম ও উচ্চাকাঙ্ক্ষী। মেসালিনার স্বামী ক্লডিয়াস সম্রাট হতে পেরেছিলেন বংশের বেঁচে থাকা একমাত্র পুরুষ হিসেবে। তিনি এতটাই বোকা ছিলেন যে ক্ষমতালোভীরা তাকে হত্যা করার প্রয়োজনবোধ করেনি। ক্যালিগুলাকে হত্যা করার সময়ে তিনি ভয়ে পর্দার পেছনে লুকিয়ে ছিলেন।

ক্লডিয়াস সম্রাট হলেও, সাম্রাজ্য চলত অনেকটা মেসালিনার কথাতেই। স্বামীকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে প্রশাসনব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছিলেন মেসালিনা। তার বিরুদ্ধাচরণের শাস্তি ছিল যেকোনো অভিযোগে জেলে যাওয়া। এমনকি মেসালিনা ক্লডিয়াসকে বোঝান যে স্বপ্নে তিনি নিজের সৎ বাবাকে সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে দেখেছেন। আর এই স্বপ্নে দেখার অভিযোগকে ভিত্তি করে মেসালিনার সৎ বাবার শাস্তি হয় মৃত্যুদণ্ড। সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল, কিন্তু মেসালিনা অন্য এক পুরুষকে বিয়ে করে বসলেন। ঐতিহাসিকদের মতে, এটি একটি বিদ্রোহের পরিকল্পনা ছিল। মেসালিনা চেয়েছিলেন ক্লডিয়াসকে চিরতরে সরিয়ে দিতে। কিন্তু ক্লডিয়াসের আমলারা সহজেই ক্লডিয়াসকে বোঝালেন, মেসালিনা রাজদ্রোহী, তার বিচার হওয়া উচিত। মেসালিনাকে সম্রাট মৃত্যুদণ্ড দেন। মৃত্যুর আগে ক্লডিয়াসের সাথে তাকে দেখা করতে দেওয়া হয়নি এই ভয়ে, যদি তিনি আবারো ক্লডিয়াসকে বোকা বানান!

এগ্রিপ্পিনা

মেসালিনার মৃত্যুর পর ক্লডিয়াস আইন সম্পাদনা করে নিজের ভাগ্নী এগ্রিপ্পিনাকে বিয়ে করেন। এগ্রিপ্পিনার রাজবংশের ষড়যন্ত্র, কূটকৌশল সম্পর্কে শৈশব থেকেই জ্ঞান ছিল। তার বড় বোনকে সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার অভিযোগে আটক করান মেসালিনা। সেখানে না খেয়ে মারা যায় এগ্রিপ্পিনার বড় বোন। আগেরবারের মতই ক্লডিয়াস আবারো নতুন স্ত্রীর কথায় ওঠাবসা করতেন। এগ্রিপ্পিনা এই সুযোগে রোমের নিয়ন্ত্রণ নেন। এমনকি সরকারি কাগজপত্রে স্বাক্ষর ও বৈদেশিক চুক্তিও করতেন তিনি।

এগ্রিপ্পিনার আগের সংসারে তার একটি পুত্রসন্তান (নিরো) জন্মায়। নিরোকে ক্লডিয়াস নিজের ছেলে ব্রিটানিকাসের চেয়েও বেশি অধিকার দিয়েছিলেন। ব্রিটানিকাস সাম্রাজ্যের উত্তরাধিকারী হলেও নিরোকে সম্রাট হিসেবে মনোনীত করা হয়। আর এসবই হয়েছিল এগ্রিপ্পিনার প্ররোচনার কারণে। নিরোকে সম্রাটের আসনে বসানোই এগ্রিপ্পিনার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল। নিরোর বিরোধিতাকারীদের আটক করা হত জেলে। ক্লডিয়াস নিরোকে নিজের উত্তরাধিকারী করার পর, ক্লডিয়াসকে আর দরকার ছিল না এগ্রিপ্পিনার। ক্লডিয়াসের প্রিয় মাশরুমের তরকারিতে বিষ মেশানো হল। অসুস্থ হয়ে পড়লেও মারা যাননি ক্লডিয়াস। কিন্তু চিকিৎসকের সাথে ষড়যন্ত্র করে আবারো বিষ খাওয়ানো হল তাকে। ক্লডিয়াস মারা গেলে সম্রাট হলেন নিরো। এগ্রিপ্পিনার উদ্দেশ্য পূর্ণ হল।

পপেইয়া স্যাবাইনা

পপেইয়া স্যাবাইনা; Source: Flickr

নিরো সম্রাট হলেও ক্ষমতার প্রভাব বজায় রেখেছিলেন এগ্রিপ্পিনা। এদিকে নিরো ভালোবাসত পপেইয়া স্যাবাইনাকে। স্যাবাইনা চাইতো নিরো তাকে বিয়ে করুক। কিন্তু নিরোর আগেই বিয়ে হয়ে গিয়েছিল ক্লডিয়াস ও মেসালিনার মেয়ে অক্টাভিয়ার সাথে। এগ্রিপ্পিনা যখন স্যাবাইনার বিষয়ে জানলেন, তখন তিনি স্যাবাইনার ভেতর নিজের ছায়া দেখতে পেয়েছিলেন। তাই বিভিন্নভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন যেন নিরো-অক্টাভিয়ার বিচ্ছেদ না হয়, নিরো যেন স্যাবাইনাকে বিয়ে না করতে পারে।

অন্যদিকে স্যাবাইনার মাকে জোরপূর্বক আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছিলেন মেসালিনা। তাই অক্টাভিয়ার উপর আগে থেকেই রাগ ছিল তার। নিরোকে তিনি প্ররোচিত করলেন নিজের মা এগ্রিপ্পিনার বিরুদ্ধে দাঁড়াতে। উভয় সংকটে পড়ে নিরো মাকে হত্যার পরিকল্পনা করল। এগ্রিপ্পিনা যখন নৌবিহারে বেরোলেন, সেই নৌকা আগেই নষ্ট করে রাখল নিরো। মাঝপথে গিয়ে নৌকা ডুবে গেলেও কপালের জোরে বেঁচে গেলেন এগ্রিপ্পিনা। কিন্তু চতুর এগ্রিপ্পিনা বুঝে ফেললেন, এ সাধারণ কোনো দুর্ঘটনা নয়, বরং তাকে হত্যার ষড়যন্ত্র। নিরো ভয় পেয়ে নিজের অপরাধ স্বীকার করে নেন!

জুলিয়া ডমনা

দীর্ঘ পুরুষশাসিত যুগের পর রোমের শাসনকার্যে নারীদের শক্তিশালী আগমন হয় সেভেরান বংশের সময়ে। এই প্রথার শুরু হয়েছিল সম্রাট সেপ্টিমিয়াস সেভেরাসের আমল থেকে। তাঁর স্ত্রী জুলিয়া ডমনা তাঁর বিশ্বাসী উপদেষ্টা ছিলেন। জুলিয়ার সময় শুরু হয় যখন সেপ্টিমিয়াস তার দুই ছেলে কারাকালা আর গেটার সাহায্যে রোমের ক্ষমতায় আসীন হন। সেপ্টিমিয়াস মারা যাওয়ার পর কারাকালা যখন প্রচারণা চালাচ্ছিল, জুলিয়া তখন সাম্রাজ্য ও শাসনকার্য নিয়ন্ত্রণ করতেন। কিন্তু জুলিয়াও নিজের পরিবারকে রাজবংশীয় লোভ আর ট্র্যাজেডি থেকে বাঁচাতে পারেননি। কারাকালা হত্যা করেন গেটাকে। এরপর কারাকালা নিজেও খুন হন ম্যাক্রিনাসের হাতে। এতকিছু সহ্য করার ক্ষমতা ছিল না জুলিয়ার। তিনি আত্মহত্যা করেন।

জুলিয়া মায়েসা ও জুলিয়া সোয়াইমিয়াস

জুলিয়া সোয়াইমিয়াসের নামের মুদ্রা; Source: Ancient Coin Club of Los Angeles

কারাকালাকে হত্যা করে নিজেকে সম্রাট ঘোষণা করেন ম্যাক্রিনাস। কিন্তু তিনি বোধহয় শক্তিশালী সেভেরান বংশীয় নারীদের ভুলে গিয়েছিলেন। ডমনার বোন জুলিয়া মায়েসা ও তার মেয়ে জুলিয়া সোয়াইমিয়াস ম্যাক্রিনাসের উপর প্রতিশোধ নিয়ে নিজেদের পরিবারকে আবারো ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে বদ্ধপরিকর ছিল। প্রচারণার সময়ে তারা পশ্চিমের সৈন্যবহরকে নিজেদের দলে টেনে নিল। সোয়াইমিয়াসের ছেলে এলাগাবালুসকে সম্রাট করার জন্য তারা কাজ করে যাচ্ছিল। তার গ্রহণযোগ্যতা দেখানোর জন্য গুজব ছড়ানো হলো, এলাগাবালুস আসলে সোয়াইমিয়াস ও কারাকালার সন্তান। ম্যাক্রিনাসের বহু চেষ্টার পরেও সম্রাট হলেন এলাগাবালুস। কিন্তু এলাগাবালুস তখন ১৪ বছরের অনভিজ্ঞ অনাগ্রহী এক কিশোর। তাকে সিংহাসনে বসিয়ে সাম্রাজ্য চালাতেন মায়েসা ও সোয়াইমিয়াস। অনেক কষ্টে পুনরুদ্ধার করা এই সাম্রাজ্যে দ্রুতই এলাগাবালুস নিজের রূপ দেখাতে শুরু করলেন। তিনি এক রথের সারথি হিরোক্লিসকে বিয়ে করে প্রাসাদে নিয়ে আসেন। তৎকালীন চিকিৎসকদের কাছে তিনি নিজেকে নারী বানিয়ে দেওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেন। তাকে ঘিরে পুরুষদের একে অপরের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্রের গল্প শোনা যায়। এসবের ঐতিহাসিক সত্যতা বিতর্কিত হলেও এটা সত্য যে এলাগাবালুস খুব দ্রুতই সাম্রাজ্য থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিলেন। তার মা-ও তাকে নিয়ন্ত্রণ করতেন না। এমন সময় তার নানী মায়েসা বিদ্রোহ করে বসেন। তিনি চাচ্ছিলেন আলেকজান্ডারকে সিংহাসনে বসাতে। এই দ্বিতীয়বারের মতো নিজের মনোনীত ব্যক্তিকে সম্রাট করতে মায়েসা নিজের মেয়ে সোয়াইমিয়াস ও নাতি এলাগাবালুসের হত্যা করিয়েছিলেন।

জুলিয়া মামিয়া

জুলিয়া মামিয়া; Source: Pinterest

আলেকজান্ডার ছিলেন মায়েসার আরেক নাতি। তার মা জুলিয়া মামিয়া তার নানীকে সাহায্য করেছিলেন সফল হতে। মায়েসার মৃত্যুর পর মামিয়া কিশোর আলেকজান্ডারের হয়ে সাম্রাজ্য পরিচালনা করতে থাকেন। এই রাজবংশের শেষ প্রভাবশালী নারী ছিলেন মামিয়া। সিনেটরদের সাথে নিয়ে সুদক্ষভাবে সব কাজ সম্পাদন করতেন তিনি। তিনি এমনকি সেনাবাহিনীর প্রচারণাতেও অংশ নিতেন, যা তার সময় পর্যন্ত অভূতপূর্ব ছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে সৈন্যরা বিদ্রোহ করে বসল। তাদের হাতে আলেকজান্ডার ও মামিয়ার খুন হওয়ার মধ্য দিয়ে সেভেরান রাজবংশের সমাপ্তি ঘটে।

আল্পিয়া সেভারিনা

আল্পিয়া সেভারিনার মুদ্রা; Source: MA-Shops

আল্পিয়া সেভারিনা ছিলেন সম্রাট অরেলিয়ানের স্ত্রী। তার সম্পর্কে খুব বেশি কিছু জানা যায় না। তবে তার প্রভাবের অস্তিত্ব বোঝা যায় সেসময়ের মুদ্রায় তার ছবি ও উল্লেখ থেকে। অরেলিয়ানের ক্ষমতাকালে তার ও তার স্ত্রীর নামে কিছু ধাতব মুদ্রা ছাড়া হয়। অরেলিয়ান মারা যাওয়ার পর সংক্ষিপ্ত একটি সময়ে শাসন করেন আল্পিয়া। তার শাসনকালে শুধু তার নামেই মুদ্রা ছাড়া হয়। কোনো কোনো গবেষক মনে করেন, অরেলিয়ানের মৃত্যু ও ট্যাসিটাসের সিংহাসন গ্রহণের মধ্যবর্তী সময়ে সিংহাসন ফাঁকা ছিল। আবার কেউ কেউ বলেন, ট্যাসিটাস আল্পিয়ার সাম্রাজ্যের ইতিহাস মুছে দিতে চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ততদিনে মুদ্রাগুলো উঠিয়ে নেয়ার কোনো উপায় ছিল না। খুব সম্ভবত সম্রাটের অধিকার নিয়ে রাজ্য পরিচালনাকারী প্রথম রোমান নারী ছিলেন আল্পিয়া।

এলিয়া পুলকেরিয়া

পুলকেরিয়ার অভিষেক; Source: Pinterest

এলিয়ার নেতৃত্বগুণ তার কৈশোরেই প্রকাশ পেয়েছিল। মাত্র ১৫ বছর বয়সে নিজের ১৩ বছরের ভাইয়ের রাজপ্রতিনিধি হিসেবে ঘোষণা করেন নিজেকে। সেই সময় থেকেই সাম্রাজ্যের ক্ষমতায় প্রভাবশালী হয়ে ছিলেন চার দশক। নিজের দায়িত্বে অটল থাকতে তিনি পার্থিব সব সম্ভোগকে ত্যাগ করেছিলেন এবং ধর্মীয় জীবনযাপন করতেন। সাম্রাজ্যের জন্য নিজে চিরকুমারী থাকার প্রতিজ্ঞা করেন। কিন্তু ভাই মারা যাওয়ার পর বেশ বিপাকেই পড়েছিলেন এলিয়া। তিনি তখনকার দিনে একমাত্র যোগ্য শাসক হলেও, রোম সম্রাট হিসেবে পুরুষ ছাড়া অন্যকিছু ভাবতে পারত না। সবচেয়ে সহজ সমাধান ছিল বিয়ে করা। কিন্তু বিয়ে করলে তার কুমারিত্বের প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ হবে। সবদিক সামলাতে তিনি মারসিয়ান নামের একজন সিনেটরকে বিয়ে করেন। তবে তার আগে মারসিয়ানকে জনসম্মুখে প্রতিজ্ঞা করতে হয়েছিল যে তারা কখনো স্বামী-স্ত্রীর মতো মিলিত হবেন না।

গালা প্লাসিডিয়া

তখন রোমের বেশ দুর্দিন চলছে। পশ্চিম সাম্রাজ্যের আলো নিভু নিভু। সেই সময়ে সম্রাট থিওডোসিয়াসের মেয়ে প্লাসিডিয়ার জন্ম। ছোটবেলাতেই নিজের পালিকাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে নিজের কঠোরতার প্রমাণ দিয়েছিলেন। কয়েক বছর পর ভিসিগথেরা রোম আক্রমণ করে প্লাসিডিয়াকে বন্দী করে নিয়ে যায়। প্লাসিডিয়ার বিনিময়ে তারা তার ভাইয়ের কাছে মুক্তিপণ দাবি করে। কিন্তু প্লাসিডিয়ার ভাই মুক্তিপণ দিতে রাজি ছিল না। ভিসিগথেরা প্লাসিডিয়াকে নিয়ে ৬ বছর ইউরোপের বিভিন্ন স্থানে ঘোরে। অবশেষে ৪১৪ খ্রিষ্টাব্দে তরুণ ভিসিগথ রাজা এটহল্ফকে বিয়ে করে। এটহল্ফ খুন হওয়ার পর রোমে ফিরে আসেন প্লাসিডিয়া। সম্রাট কনস্টানটিয়াসের সাথে বিয়ে হয় প্লাসিডিয়ার। এই দম্পতির সন্তান যখন একদম ছোট, মারা যায় কনস্টানটিয়াস। সম্রাটের মৃত্যুর পর তার সন্তান দুধের শিশু থাকায় সিংহাসনকে ঘিরে ষড়যন্ত্র বাড়তে থাকে। তখন সন্তানকে নিয়ে কনস্টান্টিনোপল পালিয়ে আসেন প্লাসিডিয়া। ভাগ্নী পুলচেরিয়ার সাহায্যে সেনাবাহিনী যোগাড় করে সিংহাসন পুনরুদ্ধার করেন। তারপর শিশুপুত্রকে নামেমাত্র সম্রাট রেখে,তার প্রতিনিধি হয়ে সাম্রাজ্য শাসন করেন পরবর্তী ১৪ বছর।

ফিচার ইমেজ- romeacrosseurope.com

Related Articles