২৮ অক্টোবর, ১৯৭১
ধলই বর্ডার আউটপোস্ট (বিওপি)
শ্রীমঙ্গল বর্ডার, সিলেট।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নরম্যান্ডিতে ল্যান্ডিং[1]-এর সময় ওমাহা বিচ দখল করতে এসেছিল দুই ডিভিশন আমেরিকান সেনা। তাদের ধারণা ছিল সম্ভবত এক ব্যাটালিয়নের মতো জার্মান সেনা ওমাহা বিচ পাহারা দিচ্ছে। কিন্তু আসলে প্রতিরক্ষায় ছিল গোটা এক জার্মান পদাতিক ডিভিশন। সৈকতে পা রাখতেই জার্মান বুলেট আর স্প্লিন্টারের বৃষ্টিতে প্রায় ২ হাজার মিত্রবাহিনীর সৈন্য হতাহত হলো, আর সৈকত পেরিয়ে তীরের উঁচু ভূমি পর্যন্ত পৌঁছাতে পেরেছিল মাত্র ৬০০ জন। কিন্তু বিগত এক বছরের পরিকল্পনা আর অন্য চার বিচে পাওয়া সাফল্যের সমন্বয়ে তিন দিন পর ওমাহা বিচ মিত্রবাহিনীর করায়ত্ত হলো।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ‘অপারেশন নেপচুন’-এর সাথে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ধলই বিওপির যুদ্ধের মিল দ্বিবিধ। এক. উভয় ক্ষেত্রেই যুদ্ধের শুরুতে শত্রুর সঠিক সংখ্যা আন্দাজে গলদ ছিল। দুই. উভয় ক্ষেত্রেই শেষ অবধি আক্রমণকারীরা যুদ্ধে জয়লাভ করতে সমর্থ হয়েছিল।
শ্রীমঙ্গল শহরের মাইল দশেক দক্ষিণ-পূর্বে ধলই বিওপি। মার্চ মাসের গোড়া থেকেই ৩০ ফ্রন্টিয়ার ফোর্স এক কোম্পানি রাজাকারসহ এখানে ঘাঁটি গেড়ে বসেছে। তাদের এই শক্ত অবস্থানের[2] কারণে ধলই-শ্রীমঙ্গল অক্ষে এবং সীমান্ত বরাবর প্রায় ৫০ কিলোমিটার এলাকায় মুক্তিসেনাদের চলাচল অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়লো। তাছাড়া ধলই বিওপির ওপারেই ছিল ভারতের কমলপুর শহর যেখানে মুক্তিযোদ্ধারা প্রায়ই তাদের অপারেশন শেষে সীমান্ত পেরিয়ে গিয়ে আশ্রয় নিতেন। পাকিস্তানিরা ধলই বিওপির ভেতরে রাখা কামান আর মর্টার দিয়ে কমলপুরের ওপর নিয়মিত গোলাবর্ষণ চালিয়ে শহরটাকে প্রায় পরিত্যক্তই বানিয়ে ফেলেছিল।
তাই একদিকে ভারতীয় মিত্রবাহিনীও তাদের আসন্ন সিলেট-শ্রীমঙ্গল অভিযান যেমন ধলই বিওপি দিয়েই শুরু করতে চাইছিল, তেমনি মুক্তিসেনাদের সেক্টর-৪-এর জেড ফোর্সও ধলই বিওপির পতন ঘটাতে উদগ্রীব হয়েছিল। অক্টোবরের শুরু থেকেই ভারতীয় ৪র্থ কোরের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল স্বগত সিং মুক্তিসেনাদের জেড ফোর্স আর ফ্যান্টম ফোর্স (ভারতীয় ৬১ মাউন্টেন ব্রিগেড) সহ ধলই আক্রমণের পরিকল্পনা শুরু করলেন।
দ্বিমত দেখা দিল ধলই বিওপিতে কী পরিমাণ পাকিস্তানি ডিফেন্স নিয়েছে তা নিয়ে। ফ্যান্টম ফোর্স কমান্ডারের দাবি সাকুল্যে এক কোম্পানি পাকসেনা আর কিছু মুজাহিদ; কিন্তু মুক্তিসেনাদের ধারণা ন্যূনতম তিন কোম্পানি ফ্রন্টিয়ার ফোর্স আর এক কোম্পানি মুজাহিদ। কে যে সঠিক তা অনিশ্চিত।[3]
ধলই বিওপিতে পাকিস্তানের ৩০ ফ্রন্টিয়ারের অধিনায়ক তার সামরিক জ্ঞানের পূর্ণ সদ্ব্যবহার করে অনুপম এক ডিফেন্স নিয়েছিলেন। ক্যামোফ্লাজ আর কন্সিলমেন্ট[4] ছিল এতই নিখুঁত এবং বিওপির নিরাপত্তা আর চলাচলের গোপনীয়তা ছিল এতই কড়া যে, এমনকি স্থানীয়রাও তেমন কার্যকর কোনো তথ্য দিতে পারছিলেন না।
প্রতিটা ট্রেঞ্চ আর বাংকার ছিল সুপরিসর আর মাথার ওপর ছিল শক্ত আচ্ছাদন যেন মাঝারি আর্টিলারি গোলাবর্ষণেও ট্রেঞ্চের ভেতরে কোনো ক্ষতি না হয়। ট্রেঞ্চ থেকে ট্রেঞ্চে এমুনিশন সাপ্লাই পৌঁছে দেওয়র জন্য ছিল সুরক্ষিত লেন। বিওপির প্রবেশপথও ছিল সুরক্ষিত আর বিওপির চারপাশে পাতা ছিল সুপরিকল্পিত মাইনফিল্ড। আবার মাইনফিল্ডের ফাঁকে হাঁটুসমান বাঁশের চোখা পাঞ্জির গাঁথা ছিল যেন আচমকা কেউ বিওপির ওপর এসে হামলা করতে না পারে। এ ছাড়া আক্রান্ত হলে নিরবচ্ছিন্ন আর্টিলারি ফায়ারের ব্যবস্থাও করা ছিল। তাই ধলই বিওপিকে পাকিস্তানিদের দুর্ভেদ্য দুর্গই বলা চলে।
ধলই বিওপির দক্ষিণে ছিল জলা-কাদার মাঠ, তারপর নালা; তা ছাড়া পাকিস্তানিদের ডিফেন্সের প্যাটার্ন পর্যালোচনায়ও বোঝা যায় দক্ষিণমুখী করেই তারা বেশি সংখ্যায় অস্ত্র মোতায়েন করেছে। তারপরও উপায়ান্তর না পেয়ে দক্ষিণ থেকেই আক্রমণের পরিকল্পনা করা হলো। লেফটেন্যান্ট কাইয়ুমের সি কোম্পানি দায়িত্ব পেল মূল আক্রমণ পরিচালনার। অন্যরা চারদিক থেকে ধলই বিওপিকে আলাদা (আইসোলেটেড) করে ফেলবে যেন পাকিস্তানিরা কোনো রিইনফোর্সমেন্ট পাঠাতে না পারে অথবা বিওপি ছেড়ে একজন পাকিস্তানি বা মুজাহিদও যেন পালাতে না পারে।
ভোর চারটায় লেফটেন্যান্ট কাইয়ুমের সি কোম্পানি দক্ষিণের নালা পেরিয়ে ধলই বিওপি আক্রমণের উদ্দেশ্যে রওনা দিল। বামে ৭নং প্লাটুন নিয়ে এগোচ্ছিলেন লেফটেন্যান্ট নূর, ডানে ৮নং প্লাটুন নিয়ে নায়েব সুবেদার আবুল হাসেম টিজে; মাঝে ৯নং প্লাটুন নিয়ে লেফটেন্যান্ট কাইয়ুম স্বয়ং আর সাথে তার রানার সিপাহি হামিদুর রহমান।
৭ আর ৮নং প্লাটুন মর্টার ফায়ারের কাভারে বাম আর ডান থেকে শত্রুর কাছাকাছি পৌঁছে হামলে পড়বে আর ১০৬ মি.মি. রিকোয়েললেস রাইফেল দিয়ে শত্রু বাংকারগুলো ধ্বংস করা হবে। সবশেষে ৯নং প্লাটুন গিয়ে বিওপির পূর্ণ দখল নেবে। এই ছিল পরিকল্পনা।
প্রথম ৫০০ গজ সন্তর্পণে পেরিয়ে শত্রুর ২০০ গজের ভেতর পৌঁছে গেল ৭ আর ৮নং প্লাটুন, শুরু হলো গোলাগুলি, মুক্তিসেনাদের রিকোয়েললেস রাইফেল আর মর্টারও গর্জে উঠল, হতাহতের আহাজারি আর হামলার গর্জনে আকাশ ভারী হয়ে উঠল। মুহূর্তে ধলই বিওপি পরিণত হলো রণক্ষেত্রে।
লেফটেন্যান্ট কাইয়ুমের প্লাটুন পাকিস্তানিদের অবিরাম মেশিনগানের গুলি বৃষ্টির জন্য আটকে গেল পথেই, লেফটেন্যান্ট কাইয়ুম আহত হয়ে চিকিৎসার জন্য পেছনে যেতে বাধ্য হলেন। সুবেদার হাসেম প্রাণপণে চেষ্টা করছিলেন এগিয়ে যেতে, কিন্তু চারপাশে হতাহতের সংখ্যা আর শত্রুর ফায়ারের তোড়ে তিনিও থমকে দাঁড়াতে বাধ্য হলেন। লেফটেন্যান্ট কাইয়ুম পরিষ্কার বুঝলেন শত্রুর সংখ্যা তাদের অনুমানের চেয়ে অনেক বেশি।
লেফটেন্যান্ট কাইয়ুম মেশিনগান পোস্ট দুটো আবার দেখলেন, একটা ঠিক তার বরাবর আর আরেকটা বিওপির পশ্চিম পাশে। এই মেশিনগান দুটো ধ্বংস না করতে পারলে না এগোনো যাচ্ছে, না পিছু হটা যাচ্ছে। লেফটেন্যান্ট কাইয়ুম দেখতে পেলেন পোস্ট দুটোর মাঝ দিয়ে একটা নালা বয়ে যাচ্ছে। উপায়ন্তর না দেখে তিনি সিপাহি হামিদুরকে নির্দেশ দিলেন সেই নালা হয়ে ক্রলিং করে এগিয়ে গিয়ে যেকোনো একটা মেশিনগান পোস্ট ধ্বংস করে আসতে।
হামিদুর শুরু থেকেই তার কমান্ডারের পাশে থেকে যুদ্ধের অগ্রগতি দেখছিলেন, রানার হিসেবে বেশ কয়েকবারই লেফটেন্যান্ট কাইয়ুম আর সুবেদার কাসেমের কাছে কোম্পানি কমান্ডারের মেসেজ আনা-নেওয়া করেছেন। তাই মেশিনগান পোস্টটা ধ্বংসের প্রয়োজনীয়তা তিনিও খুব ভালোভাবেই বুঝতে পারছেন। অতএব কোনো বাক্য ব্যয় না করে তিনি পাশের সহযোদ্ধার সাথে নিজের অস্ত্রটা বদল করে একটা সাবমেশিন কারবাইন হাতে নির্ভীক এগিয়ে গেলেন।
লেফটেন্যান্ট কাইয়ুমের কাভারিং ফায়ারের সুযোগে ক্রলিং করে শত্রু মেশিনগান পোস্টের খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেলেন হামিদুর, প্রায় পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে তিনি বাংকারের ভেতর গুলি ছুড়লেন। তারপর পিন খোলা একটা গ্রেনেড হাতে তাকে শত্রুর বাংকারের ভেতর ঝাঁপিয়ে পড়তে দেখা গেল…
বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহি হামিদুর রহমান শেখের সংক্ষিপ্ত জীবনী
মোহাম্মদ হামিদুর রহমান ১৯৫৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি তদানীন্তন যশোর জেলার (বর্তমানে ঝিনাইদহ জেলা) মহেশপুর কালীগঞ্জ উপজেলার খোদ্দ খালিশপুর গ্রামে আব্বাস আলী মণ্ডল এবং মোসাম্মাৎ কায়সুন্নেসার সংসারে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্তির ফলে তাদের পরিবারে নেমে আসে নিদারুণ দারিদ্র্য। সংসারের জ্যেষ্ঠ পুত্র হামিদুর তার পিতার সাথে অন্যের জমিতে কাজ করতেন। শৈশবে তিনি খালিশপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং পরবর্তীকালে স্থানীয় নাইট স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেন।
সুঠামদেহী হামিদুর ছিলেন চৌকস কাবাডি খেলোয়াড়। অত্যন্ত ধার্মিক আর সমাজসেবী তরুণ। হামিদুর আনসার বাহিনীর সাথে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে পরে ১৯৭০ সালে মুজাহিদ বাহিনীর সদস্য হিসেবেও কিছুদিন কাজ করেন। ১৯৭১ সালের ২ ফেব্রুয়ারি তিনি ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট সেন্টারে সৈনিক হিসেবে যোগ দেন৷
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ তিনি চট্টগ্রামের ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট সেন্টারে রিক্রুট হিসেবে প্রশিক্ষণরত ছিলেন এবং ওই রাতে চট্টগ্রাম সেনানিবাসের নিরস্ত্র বাঙালি সেনা ও তাদের পরিজনদের ওপর পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ২০ বেলুচ রেজিমেন্টের পাক সেনারা হামলা চালায়। তার চোখের সামনেই হত্যা করে অসহায় ২,৫০০ রিক্রুট এবং অন্যান্য বাঙালি সৈনিকদের বেশির ভাগকে। পাক সেনাদের এমন কাপুরুষোচিত আক্রমণের মুখে তিনি সৌভাগ্যক্রমে প্রাণে বেঁচে গিয়ে হেঁটে নিজ গ্রামে চলে আসেন। বাড়িতে ফেরার পথেই তিনি তার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন এবং মায়ের কাছে অনুমতি নিয়ে পরদিনই যশোর-চৌগাছা অক্ষে যুদ্ধরত ১ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে যোগ দেন।
তিনি ৪নং সেক্টরের অধীনে যুদ্ধ করেন। ১৯৭১ সালের অক্টোবর মাসে হামিদুর রহমান সিনিয়র টাইগার্সের (১ম ইস্ট বেঙ্গল) সি কোম্পানির সাথে ধলই বিওপি দখল অভিযানে অংশ নেন। শুরুতে নিযুক্ত হন রান্নার কাজে। কিন্তু সম্মুখ যুদ্ধের প্রতি অদম্য আগ্রহের কারণে তাকে লেফটেন্যান্ট কাইয়ুমের রানার হিসেবে যুদ্ধে অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়। বীরত্ব প্রদর্শন করেন কোদালকাঠি পাকিস্তানি অবস্থান আক্রমণে। ২৮ অক্টোবর ১৯৭১, ১ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ধলই আক্রমণে সহযোদ্ধাদের জীবন রক্ষার্থে শত্রুর বাংকার ধ্বংস করতে গিয়ে হামিদুর শাহাদত বরণ করেন। সেই বাংকারে দুজন পাকসেনার মৃতদেহের সাথে হামিদুরের মৃতদেহ পাওয়া যায়, মরার আগে তিনি এই দুজনকে মেরে মরেছেন। তার সফল আত্মত্যাগের কারণে সি কোম্পানির বাকিদের প্রাণ রক্ষা হয়েছিল। ভারতীয় মিত্রবাহিনী দ্রুতই বেলিজারেন্ট রেশিও-সংক্রান্ত তাদের ভুল বুঝতে পেরেছিল। ২য় জাট রেজিমেন্ট রিইনফোর্স করতে এগিয়ে এলে, ৩০ অক্টোবর সকালে মিত্রবাহিনীর সম্মিলিত আক্রমণে ধলই বিওপির পতন ঘটে।
হামিদুর রহমানকে সীমান্তের অদূরেই ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের হাতিমেরছড়া গ্রামে দাফন করা হয়। কালক্রমে কবরটি একসময় পানির তলায় তলিয়ে যায়। ২০০৭ সালের ২৭ অক্টোবর বাংলাদেশ সরকার হামিদুর রহমানের দেহাবশেষ বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেয় এবং ২০০৭ সালের ১০ ডিসেম্বর যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে কুমিল্লার বিবিরহাট সীমান্ত দিয়ে তার দেহাবশেষ বাংলাদেশে নিয়ে আসা হয়। ১১ ডিসেম্বর রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানকে ঢাকার বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে সমাহিত করা হয়।
ফুটনোট
[1] অপারেশন নেপচুন, ৬ জুন ১৯৪৪। ডি ডে নামেও সমাধিক পরিচিত।
[2] রণকৌশলগতভাবে শক্ত অবস্থান বা স্ট্রং পয়েন্ট মানে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি সৈন্য আর হাতিয়ার নিয়ে অবস্থান নেওয়া। এ জাতীয় অবস্থানে যেকোনো দিক দিয়ে আক্রমণ প্রতিহত করার সুব্যবস্থা থাকে।
[3] ধলই বিওপিতে আসলেই মুক্তিযোদ্ধাদের দাবি মতে তিন কোম্পানি ফ্রন্টিয়ার ফোর্স আর এক কোম্পানি মুজাহিদ ডিফেন্স নিয়েছিল; ধলই যুদ্ধ শেষে ভারতীয় ব্রিগেডিয়ার টম পান্ডে এ তথ্য নিশ্চিত করেছিলেন।
[4] ক্যামোফ্লাজ মেনে চারপাশের সাথে মিল রেখে ডাল-পাতা দিয়ে নিজেকে লুকানো, আর কনসিলমেন্ট মানে ভুমির গড়নের সাথে মিল রেখে অবস্থান নেওয়া যেন দূর থেকে হঠাৎ চোখে না পড়ে।
তথ্যসূত্র ও সহায়ক গ্রন্থাবলি
১। হাসান হাফিজুর রহমান কর্তৃক সম্পাদিত, বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ, অষ্টম থেকে একাদশ খণ্ড, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষে সম্পাদিত, বিজি প্রেস, তেজগাঁও, ঢাকা, নভেম্বর, ১৯৮২।
২। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক সংকলিত, বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ-ব্রিগেডভিত্তিক ইতিহাস, দশদিশা প্রিন্টার্স, ১২৪, আরামবাগ, ঢাকা-১০০০, মার্চ, ২০০৬।
৩। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক সংকলিত, বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ-সেক্টরভিত্তিক ইতিহাস, দশদিশা প্রিন্টার্স, ১২৪, আরামবাগ, ঢাকা-১০০০, মার্চ, ২০০৬।
৪। মুহাম্মদ নূরুল কাদির, দুশো ছেষট্টি দিনে স্বাধীনতা, মুক্ত প্রকাশনী, ১২৯ দক্ষিণ কমলাপুর রোড, ঢাকা-১২১৭, ২৬ মার্চ, ১৯৯৭।
৫। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, ১ম থেকে ৭ম খণ্ড, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শিক্ষা পরিদপ্তর কর্তৃক প্রকাশিত, এশিয়া পাবলিকেশনস, ৩৬/৭ বাংলাবাজার, ঢাকা, বইমেলা ২০০৮।
৬। মুক্তিযুদ্ধে সামরিক অভিযান, ১ম থেকে ৭ম খণ্ড, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শিক্ষা পরিদপ্তর কর্তৃক প্রকাশিত, এশিয়া পাবলিকেশনস, ৩৬/৭ বাংলাবাজার, ঢাকা, মে ২০১৫।
৭। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইতিহাস, ১ম থেকে ৫ম খণ্ড, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শিক্ষা পরিদপ্তর কর্তৃক প্রকাশিত, এশিয়া পাবলিকেশনস, ৩৬/৭ বাংলাবাজার, ঢাকা, মে ২০১৫।
৮। মিলি রহমান সম্পাদিত, বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর স্মারকগ্রন্থ, আগামী প্রকাশনী, ৩৬ বাংলাবাজার, ঢাকা-১১০০, ফেব্রুয়ারি ২০০৫।
৯। লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির, বীর প্রতীক, বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুরের দেশে ফেরা, শুধুই মুক্তিযুদ্ধ প্রকাশনী, ৭২ ইন্দিরা রোড, ফার্মগেট, ঢাকা-১২১৫, ফেব্রুয়ারি ২০০৮।
১০। চন্দন চৌধুরী, বীরশ্রেষ্ঠ, কথাপ্রকাশ, আজিজ সুপার মার্কেট, শাহবাগ, ঢাকা-১০০০, ফেব্রুয়ারি ২০০৮।
১১। সাইদ হাসান দারা, সাত বীরশ্রেষ্ঠ ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, সময় প্রকাশন, ৩৮/২ক বাংলাবাজার, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ২০১০।
১২। ডা. মোহাম্মদ সেলিম খান, বাংলার বীরশ্রেষ্ঠ, মুক্তপ্রকাশ, ৩৮ বাংলাবাজার, ঢাকা, ডিসেম্বর ২০১১।
১৩। History of Counter Insurgency Operations in Chittagong Hill Tracts (1976-1999), Vol-2, Chapter – 3, 4 and 5, Page – Appendix 4E1-1.
ফিচার ছবি- রহমান আজাদ
[বি: দ্র: ডেল এইচ খানের লেখা সাতজন বীরশ্রেষ্ঠের বীরত্বের সবকটি গল্প পড়তে চাইলে দেখুন আদর্শ প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত ‘বাংলাদেশের বীরগাথা‘ বইটি।]