Welcome to Roar Media's archive of content published from 2014 to 2023. As of 2024, Roar Media has ceased editorial operations and will no longer publish new content on this website.
The company has transitioned to a content production studio, offering creative solutions for brands and agencies.
To learn more about this transition, read our latest announcement here. To visit the new Roar Media website, click here.

বেবিফেস: ভোগান্তি নাকি আশীর্বাদ?

একটি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা বলি। সেলুনে গিয়েছি চুল কাটাতে। নাপিত বেশ মিশুক। হাসতে হাসতে গল্প জমিয়ে ফেলেন। জিজ্ঞেস করলেন, ‘ভাই কোন স্কুলে পড়েন?’

প্রশ্নটা করে নিজেই কেন যেন অনুতপ্ত হলেন নাপিত। বললেন, ‘নাহ, ভাই মনে হয় কলেজে। কোন কলেজ?’ 

বললাম, ‘বিশ্ববিদ্যালয়।’

নাপিত জিভ কেটে বললেন, ‘এবার মনে হয় ভর্তি হইসেন, না ভাই? এজন্যই বুঝতে পারি নাই। আমার ভাইগ্নাটাও ভর্তি হইসে এইবার।’

বললাম, ‘আমি থার্ড ইয়ারে।’

নাপিত সাহেব আর একটা কথাও বলেননি। এমন অভিজ্ঞতার সাথে হয়তো অনেকেই পরিচিত আছেন। কেউ সরাসরি এসবের সম্মুখীন হয়েছেন, কেউ বা দেখেছেন বন্ধুবান্ধবকে হতে। সমস্যাটার নাম বেবিফেস, বা বাচ্চাসুলভ চেহারা, বয়সের তুলনায় তরুণ চেহারা। হরমোনাল কারণে প্রাকৃতিকভাবেই যে কেউ বেবিফেস হতে পারেন, এটি কোনো রোগ নয়। তবে আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে বা সামাজিক মূল্যায়ণে এর একটা প্রভাব আছে। ভালো এবং মন্দ দুইই হতে পারে এর মাধ্যমে। বেবিফেস হওয়াটা যেমন ঝামেলার, তেমনি কিছু ক্ষেত্রে সুবিধারও।

কেউ তো গুরুত্বের সাথে নাও?

বেবিফেসদের মূল সমস্যার জায়গাটা সাধারণত কর্মক্ষেত্রে। কথায় আছে, আগে দর্শনধারী, তারপর গুণবিচারী। একটু ভারিক্কি দশাসই চেহারা হলে যেমন আধিপত্য বিস্তার একটু সহজ হয়, তেমনি বাচ্চাসুলভ চেহারার হলে কেউ যেন গুরুত্বের সাথে নিতেই চায় না। শিক্ষক হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দিয়ে কেউ যদি পেছন থেকে পিঠে চাপড় খেয়ে শোনে, ‘কীরে কোন ইয়ার?’, তার ভালো লাগবে না নিশ্চয়ই।

সহকর্মী বা বসের সুনজর এড়িয়ে যান বেবিফেসরা, মত প্রদানের সময় এলেই সহকর্মী কিংবা বস ভাবেন, ‘এই বাচ্চা আবার কী বলবে!’  তাই নতুন কর্মক্ষেত্রে বয়স কমাতেই নয়, বাড়াতেও নানাজনে করে নানারকম কসরত! কেউ মোটা ফ্রেমের চশমা পরেন, কেউ ভ্রু কুঁচকে রাখেন সারাক্ষণ, কেউ বেমানান মুখেও রেখে দেন এক চিলতে গোঁফ। তাতেও যদি উদ্ধার মেলে।

কী কিউট!

এটা ঠিক যে বেবিফেস হলে ‘কিউট’ অভিধায় ভাসবেন অহরহই। সাথে হয়তো প্রশংসাকারী কর্তৃক সামান্য গাল টেপাও পাবেন মুফতে। কিন্তু মাঝেমধ্যে তো মন অবশ্যই চায়, কাছে এসে গাল টিপে নয়, বরং দূরে দূরেই বিপরীত লিঙ্গের কেউ অস্ফুটস্বরে আপনাকে দেখে বলুক, ‘দারুণ-চমৎকার-তুলনাহীন…’।

সঙ্গীর পাশে বাচ্চাসুলভ দেখাচ্ছে কিনা, এই চিন্তায় তটস্থ থাকেন বেবিফেসরা; Image Source: Getty Images

প্রেম যখন বিপাকে

প্রেমের সম্পর্কেও বেবিফেসের আছে নেতিবাচক প্রভাব। বেবিফেস মেয়ে হলে আপনি কিছুটা শঙ্কায় থাকবেন প্রেমিককে নিয়ে, পাছে না প্রেমিক কোনো পূর্ণ আবেদনময়ীর পাল্লায় পড়ে। কিংবা বাচ্চা-বাচ্চা ছেলেরাও প্রস্তাব দেবে আপনাকে! আর বেবিফেস ছেলে হলে আরেক দুশ্চিন্তা এসে ভর করে। এসে পড়ে আত্মবিশ্বাসহীনতা, না জানি প্রেমিকাকে আমার জন্য পাছে কত খোঁটা শোনা লাগে। অনেকে বলেন, শক্ত-সামর্থ্য ও পুরুষালি ব্যক্তির সাথে তাদের নারী সঙ্গীরা বেশি নিরাপদ ও আত্মবিশ্বাসী থাকেন। সেখানে পুরুষ যদি হয় বেবিফেস, যাকে কিনা আশেপাশেই খুব একটা সমীহ করা হয় না, তার সঙ্গে প্রেমিকা নিরাপদ বোধ করছেন কিনা, এই চিন্তাও গ্রাস করে প্রেমিককে। কোথাও ঘুরতে গেলে টের পাওয়া যায় এই হীনমন্যতা।

আটকে দেবে না তো

বয়সসীমা নির্ধারিত, এমন কিছু কিনতে গেলে বা এমন কোথাও প্রবেশ করতে গেলে বুকটা দুরুদুরু করে। এই ভয় থেকেই সিনেমা হল বা ক্লাবে যেতে সাথে রাখতে হয় পরিচয়পত্র, যেখানে থাকে বয়স সংক্রান্ত তথ্যাদি। বাড়তি ঝামেলাই বটে। আটকে দেবার পর নিজের বয়স দেখিয়ে ছাড়া পেলে একই সঙ্গে জয় ও পরাজয়ের মিশ্র অনুভূতি হয়।

আইডি কার্ড দেখিয়ে বয়স চেনানোটা ঝক্কি বটে; Image Source: BuzzFeed

উফ… আমি বড়

বয়সে ছোট কেউ যখন ‘তুই/তুমি’ সম্বোধন করে কিংবা বয়োজ্যেষ্ঠ অপরিচিত কেউ ‘বাচ্চা/বাবু’ ‘অ্যাই ছেলে/অ্যাই মেয়ে’ ডাকে, তখন নিশ্চয়ই ভালো লাগে না। কিংবা কেমন লাগে, যখন ভবনের কেয়ারটেকার বা সেলসম্যান দরজায় কড়া নেড়ে আপনার সাথে সরাসরি কথা না বলেই জিজ্ঞেস করেন, ‘তোমার আব্বু বা আম্মু বাসায় আছে?’

জীবন হবে সহজ

তবে বেবিফেস হওয়ার সুবিধা নেহাত কম নয়। যেহেতু বেবিফেস হওয়ায় আপনাকে কম ক্ষতিকর ভাবা হবে এবং আপনার সঙ্গে পারতপক্ষে কারো ব্যক্তিত্বের সংঘাত তৈরি হবে না। তাই বেবিফেসরা অন্যদের তুলনায় অনেক কম জটিলতায় পড়ে। পাশাপাশি চেহারার জন্য সকলের কাছ থেকে কিছুটা নমনীয়তা আর সৌজন্যও পেতে পারেন।

স্বাস্থ্যবান পকেট

টাকা যদি বাঁচাতে চাইলে বেবিফেস হলে ভালো কাজে দেয়। অফিস করতে ব্যাকপ্যাক কোলে রেখে যাচ্ছেন মহাখালী থেকে মতিঝিল। বাস কন্ডাক্টরকে পুরো ভাড়া দেবার জন্য হয়তো একশো টাকা দিলেন, আপনাকে হতবাক করে দিয়ে তিনি রাখলেন কেবল অর্ধেক ভাড়া। দাঁত কেলিয়ে হয়তো বলবেন ‘মামা তো স্টুডেন্ট’।

স্বাস্থ্যবান ভবিষ্যৎ

এক গবেষণায় দেখা গেছে যেসব নারী তাদের বয়সের তুলনায় অধিকতর কমবয়সী দেখান, তাদের নিম্ন রক্তচাপ রয়েছে। নিম্ন রক্তচাপ বেশ কিছু সুবিধা দেয়। যেমন হৃদ-জটিলতা কমায়, স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়, দৃষ্টিক্ষমতা বাড়ায়, কিডনি ভালো রাখে ইত্যাদি। অর্থাৎ বেবিফেস নারী হলে হয়তো আয়ুও কিছুটা দীর্ঘায়িত হবে আপনার। আরেকটি গবেষণা অনুসারে, এই চেহারা আপনাকে অন্যদের নিকট বন্ধুসুলভ মনে করার ক্ষেত্রেও সাহায্য করে।

মূদ্রার অপর পিঠ

সমবয়সী অথবা বড় মেয়ের ওপর অনেক ছেলেই আকৃষ্ট হন। কিন্তু বেবিফেস থাকার কারণে মেয়েটির কাছে জুনিয়রসুলভই হয়তো থেকে যান পুরো টিনএজ-কাল। এবার মুদ্রার অপর পিঠও দেখুন। ধরুন আপনি বয়সে একটু বেশিই সিনিয়র। দেখবেন ক্যাম্পাসে নতুন আসা মেয়ের সাথেও অনায়াসে মানিয়ে যাচ্ছে আপনাকে। বয়সের এত পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও প্রেম করার জন্য কেউ খোঁটা শোনাচ্ছে না। নিন্দুকের মতে, ‘বাঙালি ছুড়ি, কুড়িতেই বুড়ি’ এই ধারণায় চুনকালি মাখাতে পারেন বেবিফেস নারীরাই। দুই-তিন বছরের ছোট ছেলের সাথেও যদি তারা প্রেম করে, আপনি টেরও পাবেন না!

মেয়েদের ক্ষেত্রে বেবিফেস হওয়ার সুবিধা আসলে কতটা বেশি, তা বোঝা যাবে যুক্তরাষ্ট্রের কোলগেট বিশ্ববিদ্যালয়ের অবাচনিক যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ক্যারোলিন কেটিং এর উক্তিতে। তিনি বলেন-

বড় চোখ, ছড়ানো চোখের পাপড়ি, বাঁকানো ভ্রু, ছোট থুতনি, গোল মুখ আর ক্ষুদ্র নাক- এটা যদি কোনো শিশুর বিবরণ না হয়, তবে নিশ্চিতভাবেই এটা কোনো নারী সুপারমডেলের বিবরণ।

শুধু টোল নয়, অস্ট্রেলিয় সুপারমডেল মিরান্ডা কের আসলে বিশ্বময় বিখ্যাত তার বেবিফেসের জন্যই, কে বলবে তিনি দুই সন্তানের মা এবং বয়স ৩৫! Image Source: Thrive Global

বেবিফেসসুলভ এই কমনীয়তা নাহয় নারীত্বের সাথে বেশ মানিয়ে যাচ্ছে। পুরুষদের বেলায় কী? উত্তর পাওয়া যায় যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট অ্যান্ড্রুজ বিশ্ববিদ্যালয়ের মনস্তত্ত্ববিদ ডেভিড পেরেটের এক গবেষণায়।

১৯৯৮ সালে তিনি একবার কম্পিউটারে নারী ও পুরুষালি বৈশিষ্ট্য মিশিয়ে বেশ কয়েকটি সাধারণ নারী ও পুরুষ মুখ তৈরি করেছিলেন। এরপর স্বেচ্ছাসেবীদের বললেন, আকর্ষণীয় না লাগা অবধি এদের চেহারার মেয়েলি বা পুরুষালি বৈশিষ্ট্যগুলো বাড়িয়ে যেতে পারেন। পেরেট বিস্ময়ের সাথে লক্ষ্য করলেন, পুরুষালি বৈশিষ্ট্য যেসব ছবিতে বেশি বাড়িয়ে রেখেছেন, সেগুলো স্বেচ্ছাসেবীরা ঠিক পছন্দ করছেন না। কেননা নারী-পুরুষ নির্বিশেষে চেহারায় কিছুটা কমনীয়তা (নারীসুলভ) থাকলে তাকে বরং সাহায্যকারী দয়ালু ও আন্তরিকতা দেখায়।

হতে পারেন তালমিছিরির ছুরি

ত্রিশের দশকে আমেরিকার কুখ্যাত গ্যাংস্টার জর্জ নেলসনকে তার বড় চোখ, শ্মশ্রুবিহীন গোল মুখ, ছোট নাকের জন্য অনেকেই আড়ালে ‘বেবিফেস’ ডাকতেন। এফবিআই তাকে হত্যাও করতে চেয়েছিল। হত্যার গোপন অভিযানে তিনি এফবিআইয়ের চোখ ফাঁকি দিয়েছিলেন বিস্ময়করভাবে। সে আরেক ঘটনা। তবে মূল কথা হচ্ছে, এই চেহারা তাকে কম সন্দেহজনক দেখাতে সাহায্য করত। এটিই তাকে আরো ভয়ঙ্কর বানিয়েছে।

জর্জ নেলসন; Image Source: Alamy

বলা হয়ে থাকে এ ধরনের একটা সুবিধা রাজনীতিবিদরাও পান। চাতুর্য, মিথ্যার ফুলঝুরি, কপটতা- সব ঢাকা পড়ে যেতে পারে গোবেচারা মুখের হাসিতে। ক্যারোলিন কেটিং বিভিন্ন সামাজিক পরীক্ষা চালিয়ে দেখেছেন, বড় চোখওয়ালা বা বয়সের তুলনায় তরুণদর্শন বা বেবিফেস রাজনীতিকদের প্রতি আমজনতা অনেকটাই নমনীয়। তারা ভাবে, আহা, না জানি আমাদের নেতা কত বিশ্বস্ত, আন্তরিক, দয়ালু। কেটিংয়ের মতে, মনিকা লিউনস্কির সাথে যৌন কেলেঙ্কারির সময় অবধি প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন এ ধরনের নৈতিক সুবিধা পেয়েছেন।

মনিকা ও বিল; Image Source: Extra.ie

সুবিধার উল্টো পিঠে আছে সমস্যাও। নির্বাচিত হয়ে যাওয়ার পর নাহয় বেবিফেসদের অনেক আরাম, কিন্তু নির্বাচনে জেতাটা কি চ্যালেঞ্জিং নয়? কেননা বেবিফেসদের ক্ষেত্রে সাধারণত ভাবা হয়, এরা প্রয়োজনে কঠোর হতে পারবে না, নেতৃত্বের জন্য তারা কম উপযুক্ত। কিংবা কোনো কারণ ছাড়াই লোকে ভাবে, ‘নাহ, ঠিক যেন নেতা নেতা মনে হচ্ছে না একে!’ এ প্রতিকূলতা অতিক্রম করা বেশ দুরূহ। শুধু রাজনীতি নয়, যেকোনো ক্ষেত্রে নেতৃত্বদায়ী ভূমিকার বেলাতেই বেবিফেসদের কিছুটা প্রতিকূলতা সহ্য করতে হয়।

বাচ্চামি করুন, যত খুশি তত

এক বিখ্যাত আলোকচিত্রী তার বাংলাদেশ অ্যালবামের ক্যাপশনে লিখেছিলেন,

সম্ভবত বাংলাদেশই আমার দেখা সবচেয়ে কম হাসির দেশ। এখানকার মানুষেরা ছবিতে খুবই কম হাসে বা জোর করে হাসে। হাসিকে এ দেশে ‘ইম্ম্যাচ্যুরিটি’ ভাবা হয়।

হাসিকে আসলেই এদেশে অপ্রাপ্তবয়স্কসুলভ আচরণ ভাবা হয় কিনা, তার থেকে জরুরি হলো আলোকচিত্রীর এই উপলব্ধি একেবারে অমূলক নয়। শুধু হাসি নয়, ক্ষেত্রবিশেষে আপনার বেশি মিশুক হওয়া, আড্ডায় বেশি কথা বলা, অতিরিক্ত চটপটেপনা দেখানো, দুর্বল কৌতুক করা, অল্পেই হাসি-কান্না-রাগে ফেটে পড়া ইত্যাদিকে অপ্রাপ্তবয়স্ক আচরণই ভাবা হয়।

এছাড়াও জীবনে বিভিন্ন ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়াও ধরা হয় অপ্রাপ্ত বয়সের প্রতীক হিসেবে। আর স্বাভাবিকভাবেই এমন আচরণের জন্য একটু তো নেতিবাচক মূল্যায়ণ হবেই আপনার। কিন্তু আপনি যদি হন বেবিফেস, আপনার এ ব্যাপারে সাত খুন মাফ। আরে, ‘অপ্রাপ্তবয়স্করা’ তো অপ্রাপ্তবয়স্কের মত আচরণই করবে, নাকি!

বেবিফেসের সেরা সুবিধা

ধরুন, আপনার বয়স ২৪। কিন্তু দেখতে আপনি ১৭-১৮ বছর বয়সী ছেলে বা মেয়ের মতো। এখন কোনো বিতর্ক প্রতিযোগিতায় গেলেন বা কোনো অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখলেন। আপনার যদি প্রকৃতিপ্রদত্ত কিছুটা প্রতিভা থেকে থাকে, আপনি কিন্তু খুব সহজেই নজর কাড়বেন। কেননা বয়সের চেয়েও সপ্রতিভ ভাবা হবে আপনাকে। বিশেষ প্রতিভা হিসেবে আখ্যায়িত হবে আপনি। এ কারণে বেশিরভাগ সময়েই বেবিফেসদের স্মার্ট বলতে কারোরই দ্বিধা থাকে না। এই স্মার্টনেসের সাথে চেহারার নিষ্কলুষপনা আপনাকে কিন্তু ভালো রকম একটা জনপ্রিয়তা দিতে সক্ষম।

হয়তো আপনাদের অনেকেই ইতোমধ্যে সে জনপ্রিয়তা উপভোগও করছেন। এখন সত্যিটা হলো, আপনি যদি আপনার সত্যিকারের বয়সের মতোই দেখতে হতেন, জনপ্রিয়তা হয়তো কিছুটা কম পেতেন। শিরোনামের শুরুতে যে ছবি ব্যববার করা হয়েছে সেটি কোনো স্কুলবালক নয়, তিনি অস্কারজয়ী ৩৬ বছর বয়সী অভিনেতা এডি রেডমেইন। তিনিও হয়তো এতটা ‘বিশেষ’ হতেন না, যদি না বেবিফেস হতেন।

সিঙ্গাপুরের আলোকচিত্রী চুয়ান্ডো ট্যান। তার আসল বয়স ৫০। কিশোর বয়সে এই ব্যক্তিটি নিশ্চয় ‘বেবিফেস’ হওয়ার জন্য কটু অভিজ্ঞতার শিকার হয়েছেন। অথচ আজ…! Image Source: YouTube

এটা মোটামুটি স্বতঃসিদ্ধ যে, ত্রিশের আগে বেবিফেসদের ভালোই ভুগতে হয়, বিশেষত টিনএজে। কিন্তু একটা সময় যখন সবাই বুড়িয়ে যেতে শুরু করে, লাখ টাকার লেজার থেরাপি নিয়েও বলিরেখা দূর করতে পারে না, সেই সময়টায় বিজয়ের হাসি কিন্তু বেবিফেস ব্যক্তিটিই হাসতে যাচ্ছে। প্রিয় বেবিফেস, সে সময় আসা পর্যন্ত আত্মবিশ্বাসে টইটম্বুর থাকুন।

ফিচার ইমেজ- hollywoodgossip.com

Related Articles