কথায় আছে, “Beauty is pain.” আর আপনি যদি নিজেকে সবার থেকে সুন্দর ও আলাদাভাবে উপস্থাপন করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই চড়া মূল্য দিতে হবে। নিজেকে হালের ফ্যাশান ট্রেন্ডের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে আপনাকে অনেক কিছু অর্জন করতে হবে এবং বিসর্জনও দিতে হবে, এটাই সত্যি। তবে অতীতের সাথে যদি বর্তমান ফ্যাশান ট্রেন্ডের তুলনা করতে যাই, তাহলে এ যুগের ফ্যাশান ইতিহাসে দাগ কেটে যাওয়া ফ্যাশান ট্রেন্ডের দুধভাত মনে হবে। আপনার মনে যদি প্রশ্ন আসে নিজেকে সবার থেকে আলাদা, সুন্দর আর আকর্ষণীয় করতে কি এমন করেছেন আমাদের পূর্বপুরুষরা? তাহলে আপনাকে সম্পূর্ণ লেখাটি পড়তে হবে।
কর্সেট (CORSET)
আকর্ষণীয় কোমর সবাই চায়। আপনি যদি কোনো নারীকে জিজ্ঞেস করেন যে সে আকর্ষণীয় পাতলা কোমর চায় কিনা, বিশ্বের কোনো নারী ‘না’ বলবে না, এটা শতভাগ নিশ্চিত। সুন্দর পাতলা কোমরের জন্য ব্যাকুলতা নতুন কোনো ফ্যাশান ট্রেন্ড নয়, বলা যায় সু-প্রাচীনকাল থেকেই এই ট্রেন্ড চলে আসছে। আর ইতিহাসের অনেকগুলো মারাত্মক ও বিপদজনক ফ্যাশান ট্রেন্ডগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। নারীদের বহুল কাঙ্ক্ষিত এই চিকন ও আকর্ষণীয় পাতলা কোমরের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করেছিল ‘কর্সেট’।
বহু শতাব্দী ধরে কর্সেট ব্যবহার হয়ে আসছিল নারীর সৌন্দর্য তথা আকর্ষণীয় পাতলা কোমরের স্বপ্ন পূরণের হাতিয়ার হিসেবে। কিন্তু ১৮৯০ সালের দিকে শক্ত ও ভীষণ টাইট লেসের তৈরি কর্সেট বেশ বিপদজনক হয়ে দাঁড়ায়। স্টিল ও লেসের সমন্বয়ে তৈরী শক্ত কর্সেট ব্যবহার করার কারণে শরীরের অভ্যন্তরীণ অঙ্গ চেপ্টে যাওয়া, অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ, শ্বাসকষ্ট ও পাঁজর ভেঙে যাওয়ার মতো বিপদজনক সমস্যাগুলো সৃষ্টি হয়।
লেখিকা সামার স্ট্রিভেনস মারাত্মক এসব ফ্যাশান ট্রেন্ড নিয়ে তার ‘ফ্যাশনেবলি ফ্যাটাল’ বইয়ে কর্সেট সম্পর্কে আরও অনেক আতঙ্কজনক তথ্য প্রদান করেন। এই বইতে বলা হয়, ১৯০৩ সালে বেয়াল্লিশ বছর বয়সী মেরি নামক একজন মহিলা আকস্মিকভাবে মৃত্যুবরণ করেন। পরবর্তীতে নিউ ইয়র্ক টাইমস এর রিপোর্টে বলা হয় যে,“two pieces of corset steel were found in her heart, their total length being eight and three-quarter inches. Where they rubbed together the ends were worn to a razor edge by the movement of her body.”
ক্রিনোলিন (Crinoline)
আঠারো শতকের প্রতিটি সিনেমা সেটের জন্য যদি কোনো ‘মাস্ট হ্যাভ’ পোশাকের কথা উল্লেখ করতে বলা হয়, তাহলে কোনো সংশয় ছাড়াই ক্রিনোলিনের নাম বলে দেওয়া যায়। R.C. Milliet উদ্ভাবিত ক্রিনোলিনকে ইতিহাসের আরেকটি অন্যতম ডেডলি ফ্যাশান ট্রেন্ড হিসেবে ধরা হয়। ক্রিনোলিন মূলত হর্সহেয়ার এবং স্টিলের একধরনের ফ্রেম, যা নারীদের স্কার্ট বা পোশাককে বিশালাকৃতি প্রদান করতো। এই পোশাক কেবল অস্বস্তিদায়ক ছিল না, স্টিলের ফ্রেমের কারণে কোথাও বসা বা দরজা দিয়ে বের হওয়া অসম্ভব ছিল। শুধু কি তা-ই, বাতাসের সামনে পরলে তো আর রক্ষে থাকতো না! তবে এই পোশাকের সবচেয়ে বিপজ্জনক দিকটি ছিল অগ্নিদাহ্যতা। খুব সাধারণভাবে ফায়ারপ্লেস বা আগুনের পাশে দাঁড়িয়ে থাকলেও এই পোশাকে আগুন ধরে যাওয়ার শতভাগ সম্ভাবনা থাকতো। এখানেই শেষ নয়, এই বিশালাকারের খাঁচাকৃতির পোশাকের কারণে কোনো বিল্ডিংয়ে আগুন লেগে গেলে জীবন বাঁচাতে যে পালাতে চাইবেন, তারও উপায় ছিল না।
১৮৫০ থেকে ১৮৬০ সনের দিকে ক্রিনোলিন এতটাই বড় ঘের সৃষ্টিকারী পোশাকে রূপান্তরিত হয়েছিলো, যে তা হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এই দুই শতকে ইংল্যান্ডে তিন হাজার নারী ক্রিনোলিন সৃষ্ট আগুনে পুড়ে মারা যায়। ক্রিনোলিন দ্বারা সৃষ্ট সবচেয়ে কুখ্যাত অগ্নিকাণ্ড ঘটে ১৮৬৩ সালে চিলির ‘দ্য চার্চ অফ দ্য কোম্পানি অফ জেসাস ইন সান্টিয়াগো’-তে, আনুমানিক তিন হাজার মানুষ ওই কক্ষে মারা যায় একমাত্র অগ্নিদাহ্য ক্রিনোলিন থাকার কারণে।
এখন বলুন তো, শুধুমাত্র ফ্যাশান ট্রেন্ড ফলো করার জন্য আপনাকে যদি এই প্রাণঘাতী পোশাক পরতে বলা হয়, পরবেন কি?
হাবল স্কার্ট (Hobble Skirts)
ইতিহাস ঘাঁটলে যদি উদ্ভট ফ্যাশান ট্রেন্ড বলে কিছু খুঁজে পাওয়া যায়, তাহলে সেটা নিঃসন্দেহে হাবল স্কার্ট। এই স্কার্ট এতটাই জনপ্রিয় হয়েছিলো যে, কে কীভাবে কখন এই স্কার্ট আবিষ্কার করেছিল, এ সম্পর্কে কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্য না থাকায় সবাই এর কৃতিত্ব নেওয়ার জন্য মুখিয়ে থাকতো।
১৯১০ সনের দিকের কথা, যখন নারীরা নিজেদের পোশাকে রুচিশীলতা ফুটিয়ে তুলতে অতীতের অতিরিক্ত কাপড়, পোশাকের স্তর এবং বিশালাকার কোমরে জড়িয়ে থাকা কাপড়ের শৃঙ্খল পায়ে মাড়িয়ে, তার পরিবর্তে তাদের গোড়ালি কাপড় দিয়ে জড়িয়ে এক করে ফেলতে শুরু করে। আপনি ঠিক ধরেছেন, এটিই সেই বিখ্যাত হাবল স্কার্ট। হাবল স্কার্ট হাঁটু থেকে গোড়ালি অব্দি এতটাই টাইট ছিল যে, এটি পরার কারণে আপনি কেবলমাত্র অতি সামান্য ধাপে পা ফেলে হাঁটতে পারবেন। অতিসত্ত্বর হাবল স্কার্ট প্যারিস থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে জমাতে ফ্যাশান স্ক্যান্ডালে পরিণত হয়। কার্টুনিস্টরা হাবল স্কার্ট পরিহিত নারীদের হাঁটার ছবি আঁকতে শুরু করেন এবং নিউইয়র্ক টাইমসে বিশাল প্রবন্ধ প্রকাশ করা হয় পোশাক শিল্পে এই হাবল স্কার্টের প্রভাব নিয়ে, যার শিরোনাম দেওয়া হয় “An ungraceful and immodest freak of fashion”
কিন্তু এই ট্রেন্ড সহজেই হারিয়ে যায়নি, উল্টো এই স্কার্টের জনপ্রিয়তা এতটাই বেড়ে গিয়েছিলো যে অতিসত্ত্বর ট্রেন ও স্ট্রিটকারে পা দিয়ে ওঠার সিঁড়ি আরও কমিয়ে আনা হয়, যাতে করে হাবল স্কার্ট পরিহিত নারীরা গুটি গুটি পায়ে বাইরে যাত্রার জন্য নিশ্চিন্তে যানবাহনে উঠতে পারে।
ফুট বাইন্ডিং/লোটাস ফিট (LOTUS FEET/ Foot binding)
যদিও পুরো পৃথিবী এখন মুদ্রণ, কাগজ বানানো, গান পাউডার ও কম্পাস উদ্ভাবনের জন্য প্রাচীন চীনকে কৃতজ্ঞতা ভরে স্মরণ করে, কিন্তু ফুট বাইন্ডিং বা লোটাস ফিটের চর্চা ও প্রচলন মোটেও প্রাচীন চীনের যুগান্তকারী উদ্ভাবনের মধ্যে পড়ে না।
দশম ও একাদশ শতাব্দীতে নারীর লোটাস ফিট বা ফুট বাইন্ডিং সম্পদ ও প্রাচুর্যের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হতো। আপনি যদি ফুট বাইন্ডিং এর ছবি লক্ষ করে থাকেন, তাহলে বুঝতে পারবেন এই সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া কতটা যন্ত্রণাদায়ক ছিল। এই প্রক্রিয়া মূলত চার থেকে নয় বছরের মধ্যে সম্পূর্ণ হয়ে থাকতো। লোটাস ফিটের জন্য প্রথমে ভিনেগার ও প্রাকৃতিক গাছপালার মিশ্রণে পা ভিজিয়ে রাখা হতো। এরপর পায়ের আঙুলের নখ কেটে ফেলা হতো এবং পরবর্তীতে পায়ের আঙুল দৃঢ়ভাবে নিচের দিকে টেনে বেঁধে রাখা হতো, যতক্ষণ না পর্যন্ত হাড় ভেঙে যায়। ধনবান নারীরা দিনে একবার তাদের পা কাপড় দিয়ে শক্ত করে বেঁধে রাখতো, যাতে পায়ের আকার কাঙ্ক্ষিত গড়নে থাকে।
এই প্রথার মধ্য দিয়ে নারী হয়ে উঠতো অনেকটা কাঙ্ক্ষিত ‘গৃহস্থালি পণ্য’ হিসেবে, কারণ বলার আর অপেক্ষা রাখে না যে ওই পা দিয়ে কোনো কাজ করা তো দূরের কথা, ঠিকভাবে চলাফেরা করাই দুষ্কর ছিল। পুরুষেরা লোটাস ফিটের অধিকারী নারীদের জোরপূর্বক আরও ছোট পদক্ষেপে হাঁটতে বাধ্য করতো, যাতে করে ফুট বাইন্ডিংয়ের উদ্দেশ্য বজায় থাকে। যার ফলাফল, এই বেদনাদায়ক পদ্ধতির ফলে নারীরা তাদের পায়ের আঙুলের অনুভূতি হারায়, গ্যাংগ্রিন, রক্তে বিষাক্ততা এবং আরও ভয়াবহ ফল হচ্ছে আঙুলে সংক্রমণ হয়ে পচন ধরা ও আঙুল খুলে পড়ে যাওয়া।
দ্য আর্সেনিক ড্রেস (The Arsenic dress)
কী, শিরোনাম দেখে আঁতকে উঠলেন? নিশ্চয়ই ভাবছেন, এও কি সম্ভব! অবিশ্বাস্য মনে হলেও এটি সত্যি যে আঠারো শতকে আর্সেনিক ভিত্তিক সবুজ রঙের পোশাক দারুণ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে, আক্ষরিক অর্থে যা অনেকটা মৃত্যুকে আমন্ত্রণ জানানোর সমান ছিল। এই অত্যন্ত বিষাক্ত পান্না সবুজ ক্রিস্টাল পাউডার ‘প্যারিস গ্রিন’ নামে পরিচিত ছিল, যা ঘরের পর্দা থেকে শুরু করে পোশাকে ব্যবহার করা হতো। এই পোশাক এতটাই জনপ্রিয়তা পায় যে, পরিধানকৃত ব্যক্তিকে ডাক্তার এসে মৃত ঘোষণার আগমুহূর্ত পর্যন্ত পোশাক ওই ব্যক্তির শরীরেই থাকতো।
আঠারো শতকের এই আর্সেনিক-ভিত্তিক সবুজ রঙের পোশাক থেকে বিষ ধীরে ধীরে শরীরে মিশে চর্মরোগ, শরীরে ঘা-পাঁচড়া, ডায়রিয়া, মাথাব্যথা এবং ক্যান্সারের মতো রোগের সৃষ্টি করে। প্রায় একশ বছর ধরে মানুষ এই সবুজ রঙের রঙিন পোশাক ব্যবহার করে আসছিল, পরবর্তীতে একজন রসায়নবিদ আর্সেনিক-ভিত্তিক এই সবুজ রং ‘প্যারিস গ্রিন’ ভালোভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখার প্রয়োজন বলে মনে করেন এবং তখনই সম্পূর্ণ ব্যাপারটা সামনে আসে। ফ্যাশান ট্রেন্ডের নামে যে মানুষ এতটা বছর নিজের শরীরে এবং ঘরে বিষ বহন করে আসছিল, তা সে সময় জনসম্মুখে প্রকাশ পায়।
ব্ল্যাক টিথ (Black Teeth)
বর্তমান কালের ফ্যাশান মানেই হল মুখভর্তি সুন্দর ঝকঝকে সাদা দাঁত, কিন্তু যদি আমাদের নজর ২০০ খ্রিস্টাব্দের জাপানের দিকে ফিরিয়ে নেওয়া যায়, তাহলে দেখতে পাবো সাদা দাঁত নয়, উল্টো কালো দাঁতের মর্যাদা ছিল সবচেয়ে বেশি। হ্যাঁ, অতীতে আপনি যদি জাপানে জন্মগ্রহণ করতেন তাহলে নিজেকে হালের ফ্যাশানের সাথে তাল মেলাতে দাঁত কালো করতেই হতো।
তখনকার সময়ে কালো দাঁত ছিল ধন, সৌন্দর্য এবং যৌন ক্ষমতার প্রতীক। জাপানে এই দাঁত কালো করার প্রক্রিয়া ‘ওহাগুরো’ নামে পরিচিত ছিল। কালো দাঁত অর্জন করতে উক্ত ব্যক্তিকে আয়রন-ভিত্তিক কালো রং পান করতে হতো। পান করার সময় যাতে রাসায়নিকের কটু স্বাদ মুখে না লাগে, এর জন্য জাপানিরা পানীয়ের সাথে দারুচিনি মিশিয়ে নিতেন।
১৮৭০ সালের ৫ই ফেব্রুয়ারি জাপান সরকার ‘ওহাগুরো’ এর প্রচলন বন্ধ ঘোষণা করেন এবং পরবর্তীতে এই প্রথা বিলুপ্তি লাভ করে।
ডিটাচেবল হাই-কলার (Detachable High-Collar)
‘ফাদার কিলার’ নামে খ্যাত ডিটাচেবল হাই-কলার উনিশ শতকে পুরুষের অত্যন্ত জনপ্রিয় ফ্যাশান ট্রেন্ড ছিল, যা স্টাড দ্বারা শার্টের সাথে সংযুক্ত থাকতো। এই হাই-কলারের প্রতি পুরুষের অতি আগ্রহ এটা প্রমাণ করেছিল যে, ফ্যাশান ট্রেন্ড অনুসরণ করতে কেবল নারীরা নয়, বরং পুরুষেরাও জীবন ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পিছপা ছিল না। দেখতে সাধারণ হলেও এই হাই-কলার এতো শক্ত এবং টাইট ছিল যে একজন মানুষের মস্তিষ্কে রক্তসঞ্চালন বন্ধ করে দিয়ে স্নায়বিক অস্থিরতা সৃষ্টি ও মস্তিষ্ক অকেজো করে ফেলতে সক্ষম।
১৮৮৮ সালে নিউইয়র্ক টাইমের একটি প্রতিবেদনে বলা হয় যে, John Cruetzi নামক একজন ব্যক্তিকে পার্কে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। মৃত ব্যক্তির মাথা নুয়ে তার বুকের উপর ছিল এবং তার পরিহিত ভীষণ শক্ত ও টাইট হাই-কলার মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল বন্ধ করে দেয়। অর্থাৎ মস্তিষ্কে রক্তসঞ্চালন বন্ধ হয়েই ব্যক্তিটি মারা যান।
লিড ফেস পেইন্ট (Lead face paint)
আপনি কি কখনও ষোল শতাব্দীর কুইন এলিজাবেথের পেইন্টিংটি দেখেছেন? যদি দেখে থাকেন, তাহলে হয়তো আপনার মনে প্রশ্ন জেগেছিল যে, কেন রানীর মুখ এত সাদা ছিল? আপনার এই প্রশ্নের উত্তরের জবাব হচ্ছে এবারের আরেকটি উদ্ভট ফ্যাশান ট্রেন্ড, যা ষোল শতকে দারুণভাবে জনপ্রিয় ছিল। লিড ফেস পেইন্ট হচ্ছে সে সময়ের দারুণ জনপ্রিয় ফ্যাশান ট্রেন্ড, যা নারীদের প্রাচুর্য ও সৌন্দর্যের প্রতীক বলে ধারণা করা হতো। আর এ কারণেই চেহারায় সম্পূর্ণ সাদাভাব অর্জন করার জন্য নারীরা ত্বকে বিষাক্ত এই ‘লিড ফেস পেইন্ট’ ব্যবহার করতো, যা ছিল ত্বকের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। শুধু ত্বকের সমস্যা নয়, এই ফেস পেইন্ট মাথাব্যথা, দাঁত ব্যথা, দাঁত পড়ে যাওয়া, পেটে অসুখ, চুল পড়ে যাওয়া, পক্ষাঘাত এমনকি মৃত্যুও ঘটাতে পারতো।
সবচেয়ে দুঃখজনক ব্যাপার হচ্ছে, এসব কিছু জানার পরেও নারীরা শুধুমাত্র তাদের প্রাচুর্য ও সৌন্দর্য প্রদর্শনের উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য এই মারাত্মক ফ্যাশান ট্রেন্ড বহু বছর ধরে অনুসরণ করে আসছিলো।
ফিচার ইমেজ- bbc.com