স্টিফেন কিং হরর উপন্যাসের কিংবদন্তী স্রষ্টা। একের পর এক উপন্যাস লিখে যাচ্ছেন। আর তার উপন্যাসের উপর ভিত্তি করে তৈরি হচ্ছে জনপ্রিয় সব চলচিত্র। দিনে দুই হাজার শব্দ করে লিখেন এই লেখক। বিশাল এক উপন্যাসের ভাণ্ডার তৈরি করছেন প্রতিনিয়ত। রোলিং স্টোনকে তিনি একটি ইন্টারভিউ দিয়েছিলেন। তার ব্যক্তিগত পছন্দের বিষয় সহ আরও অনেক কিছু উঠে এসেছে এই ইন্টারভিউতে।
সফলতার সবচেয়ে ভালো দিক আর সবচেয়ে খারাপ দিক কী?
সফলতার সবচেয়ে ভালো দিক হলো আমি সেই জিনিসের জন্য টাকা পাচ্ছি, যেটা আমি টাকা না পেলেও এমনিতে করতাম। কাজটা আমি খুব উপভোগ করি। নতুন কিছু সৃষ্টি করতে পছন্দ করি। আর খারাপ দিক যদি বলতে চাই, আমি রেড সক্সের (বেসবল টিম) খেলা দেখতে যাচ্ছি। সেখানে অটোগ্রাফের জন্য লোকজন হোটেলের সামনে জমা হবে। আমি হোটেল থেকে বের হতে পারি না। স্যান্ডউইচ খেতে যেতে পারি না। এই লোকগুলোকে এড়িয়ে আমি মুভি দেখতে যেতে পারি না। এটা এমন এক অবস্থা, মনে হবে আপনি স্টেজে উঠতে চাচ্ছেন না কিন্তু আপনাকে স্টেজে উঠতে হচ্ছে। এটা হলো সফলতার একটা খারাপ দিক।
সেলফি নিশ্চয়ই বিরক্তিকর?
হ্যাঁ, সেলফি ভালো নয়। সবারই এখন একটি সেল ফোন আছে। কিন্তু যারা অটোগ্রাফ নেয়, তারা হয়তো বলবে ‘ফায়ারস্টারটার’ এর পোস্টারে অটোগ্রাফ দিতে যা কিনা তার দাদীর জন্য, যিনি দুই বছরের মধ্যে মারা যাবেন। কিন্তু আপনি নিশ্চিত জানেন যে, তারা এটা ইবে-তে বিক্রি করবে। মানুষকে আমি আনন্দ দিতে পারছি, এত এত মানুষ আমার বই পড়ছে এই ব্যাপারটি আমি ভালোবাসি। কিন্তু কেউ যদি আমাকে না চিনতো, সেটাই আমার কাছে সবচেয়ে ভালো লাগতো। অনেক লোক হয়তো এই ইন্টার্ভিউটি পড়বে আর বলবে আমারও যদি এমন সমস্যা হতো। কিন্তু একই জিনিস ২৫-৩০ বছর ধরে হলে ব্যাপারটা একটু পুরনো হয়ে যায়।
লেখক না হলে আপনি কী হতেন?
লেখক না হলে আমি স্কুলের অথবা কলেজের ইংরেজি শিক্ষক হতাম। মদ্যপানের কারণে হয়তো পঞ্চাশ বছরের কাছাকাছি সময়ে মারা যেতাম। আমার বিয়ে এতদিন টিকতো কিনা আমি নিশ্চিত না। আমি মনে করি মানুষ যখন তার প্রতিভাকে কাজে লাগাতে পারে না, তখন তার বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে যায়।
আপনার পাওয়া সবচেয়ে ভালো উপদেশ কোনটি?
স্যাচেল পেজ বলেছিলো, “কখনও পেছনে ফিরে তাকাবেন না। না হলে কোন কিছু হয়তো আপনাকে আচ্ছন্ন করে ফেলবে।” কিছু লোক থাকবে যারা আপনার কাজ পছন্দ করবে। কিন্তু লোক আছে যারা আপনার কাজ পছন্দ করবে না। তারা যদি আপনার শেষ কাজের ভুল ধরে আর আপনি যদি আপনার পরবর্তী কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকেন, তাহলে সবকিছুই আপনার পক্ষে যাবে।
আপনার জীবনের নায়ক কারা?
ডেভিড ওর্টিজ তাদের মধ্যে একজন। তিনি যা করেন তাতে তিনি সেরা। তিনি তার স্বভাবসিদ্ধ ক্ষমতা কখনও হারান না। করমাক ম্যাকার্থি একজন অসাধারণ লেখক। তিনি সবসময় নিজের মতো করে সবকিছু করেছেন। যদি কোনো চলচ্চিত্রকারের নাম নিতে হয়, তাহলে আমি বলবো মার্টিন স্করসেজি। আমার নতুন বই ‘এন্ড অফ ওয়াচ’ এ একটি চরিত্র বলে “চলচিত্রকাররা ছোট গল্প বানায়। আর স্করসেজি বানায় উপন্যাস।”
আপনার ছোটবেলার সবচেয়ে প্রিয় বই কোনটি? বইটি আপনার নিজের সম্পর্কে কী বলে?
ছয় বছর বয়সে আমার প্রিয় বই ছিলো ড. সসের ‘The 500 Hats of Bartholomew Cubbins’, গল্পটি ছিলো একটি লোককে নিয়ে। তাকে রাজার সামনে টুপি খুলে ফেলতে বলা হয়েছিলো। কিন্তু সে একটি টুপি খুললে তার নিচে আরেকটি টুপি চলে আসতো। অবশেষে তারা তাকে গ্রেফতার করে ও তার মাথা কেটে ফেলে। এটি একটা লোমহর্ষক ঘটনা ছিলো।
বইটি আপনার নিজের সম্পর্কে কী বলে?
এটা সম্ভবত বলে যে, আমি একটা অস্বাভাবিক শিশু ছিলাম।
এখন আপনার প্রিয় বই কোনটি?
থমাস উইলিয়ামস-এর ‘The Hair of Harold Roux’। আমি বইটি চার থেকে পাঁচবার পড়েছি। বইটি এরন বেনহাম নামের এক লোকের জীবনের কিছুদিন নিয়ে। এরন একটি লোককে নিয়ে বই লিখছে, যে একটি বই লিখছে। অনেকটা আয়নাঘরের মতো। আমার বইটি ভালো লাগে, কারণ এটি সত্যি কথা বলে, কারণ আমি জানি একজন লেখকের জীবন কেমন!
পৃথিবীতে আপনার প্রিয় শহর কোনটি?
নিউইয়র্ক; কারণ এখানে আমি আমার রাস্তা খুঁজে পাই। আমি একজন দেশী লোক এবং এ শহর আমার সাথে যায়। প্রতিটি গলিতে দেখার কিছু আছে, দোকান অথবা ছোট রেস্টুরেন্ট। সবসময় একজন বয়স্ক মহিলা থাকে, যে কুকুরের বাচ্চা নিয়ে হাঁটাহাঁটি করে। চারপাশে সব অদ্ভুত মানুষজন। ওখানকার স্থাপত্যকর্ম অসাধারণ। যেকোনো ধরনের মুভি ওখানে দেখা যায়। রক ব্যান্ডের উপর ভিত্তি করে ‘গ্রিন রুম’ নামে একটা হরর মুভি মুক্তি পেয়েছে। আমি মুভিটি দেখতে চাই কিন্তু এটা এখানে দেখানো হচ্ছে না। আমি যদি নিউইয়র্কে থাকতাম তাহলে মুভিটা দেখতে পারতাম।
আপনি কি কখনও শহরে এপার্টমেন্ট কেনার কথা ভেবেছেন যাতে করে এখানে বেশি সময় কাটাতে পারেন?
আমার স্ত্রী ও আমি একসময় এটা চিন্তা করেছিলাম। কিন্তু এটা আমার জন্য সাংস্কৃতিক হয়ে যায় বেশি। আমি অনেক বেশি লেখকের আশেপাশে থাকতে চাই না। নিউইয়র্কের প্রতিটি গলিতে একজন লেখকের দেখা আপনি পাবেন। তাদের মধ্যে অনেকে খুবই বিখ্যাত। আমি একবার লিটারেরি গিল্ড পার্টিতে গিয়েছিলাম। তখন মনে হয় আমার তিনটি বই প্রকাশ হয়েছিলো। ওখানে সবাই মদ পান করছিলো। আরইউন শ এক কোনায় বসে ছিলেন। তার সাথে লাঠি ছিলো। তিনি ভালোই মাতাল ছিলেন এবং তার চেহারা লাল হয়ে গিয়েছিলো। তিনি আমাকে উপর থেকে নিচে দেখে বললেন, “তুমি এই মাসের ফ্লেভার”। আমি বলতে গেলে ওখান থেকে দৌড়ে বের হয়ে এলাম। এটা অনেকটা জন মেলেনক্যাম্পের গানের মতো।
যখন আপনি শুরু করেছিলেন তখন কী ধরনের উপদেশ পেলে আপনার ভালো হতো?
এটা যে, সম্পাদকের কথা সবসময় শুনতে নেই। মাঝে মাঝে আপনি যেভাবে চিন্তা করছেন ওভাবেই হওয়া উচিত। আমি মনে করতাম সব লেখকই আমার চেয়ে ভালো, কিন্তু পরে দেখলাম এটা সত্য নয়।
আপনি এটা কখন বুঝতে পারলেন?
ওহ গড! এটা বুঝতে আমার অনেক সময় লেগেছে। আমার বয়স তখন সম্ভবত ৪৫ ছিলো। ঐ সময় আমি ‘It’ লিখেছিলাম। এটা ছিলো ১৯৮৫ সালের দিকে। সম্পাদকের কাছে দেওয়ার পর বইটি অনেক কাঁটা-ছেড়া সহ ফেরত এলো। কিন্তু আমি বললাম, “এগুলো এভাবেই থাকবে।” ঐ সময় আমার সম্পাদক এলেন উইলিয়ামস একটি কথাই বারবার বলতেন, যা আমি তাকে বলেছিলাম। “শিশুরা এটা বুঝবে” এবং এটা সত্য ছিলো।
আপনি আরাম করার জন্য কী করেন?
আমি বই পড়ি, টিভি দেখি। এখন তো টিভি অনেক বেড়ে গেছে। এটা অনেকটা বিনোদনের দ্বীপে থাকার মতো। আমি গিটারও বাজাই। মাঝে মাঝে নতুন গান শেখার চেষ্টা করি। আমি ভালো গান গাইতে কিংবা বাজাতে পারি না। কিন্তু তবুও এটা আমাকে শান্তি দেয়।
তাবিথার সাথে আপনার বিয়ে হয়েছে ৪৫ বছর হলো। এই দীর্ঘ সময়ে আপনি সম্পর্ক নিয়ে কী বুঝেছেন?
মাঝে মাঝে আপনি সবচেয়ে ভালো যা করতে পারেন তা হলো, মুখ বন্ধ রাখা এবং অপরজনকে তার কাজ করতে দেওয়া। একটা বিয়ে টিকিয়ে রাখার জন্য অনেক কিছু মেনে নিতে হয় আর কথা বলতে হয়। আপনাকে অপরজনকে পছন্দও করতে হবে এবং এটা আপনাকে অনেক সাহায্য করে।
লেখার সময় আপনি বিচ্যুতি কীভাবে এড়িয়ে চলেন?
এটা একটা খাঁটি অভ্যাস। আমি সকাল সাড়ে সাতটা থেকে দুপুর পর্যন্ত লিখি। আমি তখন একধরনের ঘোরের মধ্যে চলে যাই। মনে রাখা দরকার, এটা জীবনের সবচেয়ে বড় জিনিস নয়। জীবনের সবচেয়ে বড় জিনিস হলো যখন আপনার পরিবারের আপনাকে প্রয়োজন হয়। যখন কোনো জরুরী পরিস্থিতি তৈরি হয়। কিন্তু আপনাকে অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বাদ দিতে হবে। এটার মানে, টুইটার বাদ দিতে হবে। কিম কার্দাশিয়ান কী করছে এটা দেখার জন্য হাফিংটন পোস্টে যাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। এগুলো করারও সময় আছে। আমি ঘুমোতে যাওয়ার আগে এসব করি। আমি কুকুরের ভিডিও কিংবা অন্য কোনো ভিডিও দেখে তাতে সম্মোহিত হয়ে পড়ি।
আপনার ব্যাপারে মূল কথা কী?
আমি একজন দেশী লোক। আমার একটা গাড়ি আছে। শীতকালে এটি লাগে কারণ, তখন অনেক রাস্তার বেহাল দশা থাকে।
১৯৯৯ সালের ভ্যান এক্সিডেন্ট থেকে আপনি কী শিক্ষা পেয়েছেন?
আপনি কষ্টের সাথেও বাঁচতে পারেন এবং ভালো কিছু করতে পারেন। কিছু সময় পর আপনি এটাকে মেনে নেন। এর সাথে বাঁচতে শুরু করেন। আপনি কিছু জিনিস করতে পারেন। ব্যায়াম করতে পারেন। যেদিকে আপনার এখনও সারেনি, ওদিকে আপনি কম ভার নেন। এটা সবকিছুর পেছনের একটা আওয়াজ হিসেবে থেকে যায়।
এক্সিডেন্টের কয়েক সপ্তাহ পরে কি আপনি ভেবেছিলেন, আপনি এই ব্যথা নিয়ে বাঁচতে পারবেন না?
হ্যাঁ। এটা কয়েক সপ্তাহ নয়, প্রায় ছয় মাস ছিলো। একসময় আপনি বলে উঠেন, “ সব কিছু যদি এভাবে যেতে থাকে আমি আর বাঁচতে চাই না।” ধীরে ধীরে ব্যথা কমতে থাকে আর আপনার মেনে নেওয়ার ক্ষমতা বাড়তে থাকে। একসময় আপনার মেনে নেওয়ার ক্ষমতা বেড়ে যায় এবং জীবনের সবকিছু ঠিক হয়ে যায়।
মৃত্যুর পর লোকে আপনাকে কী বলে স্মরণ করুক আপনি চান?
এটা শুনতে ভালো লাগবে যদি তারা বলে “সে কঠোর পরিশ্রম করেছে। অনেক উপন্যাসের ভাণ্ডার রেখে গেছে এবং সমাজের জন্য ভালো করেছে।” এটা ছাড়া আমি পর জীবন থেকে বেশি কিছু আশা করি না। আমি মনে করি, লেখক থেকে সঙ্গীতশিল্পী ও গীতিকারের সংখ্যা অনেক বেশি।
আপনি কি মনে করেন না ৫০ বছর পরেও মানুষ ‘দ্য স্ট্যান্ড’ পড়বে?
এটা হলে ভালো লাগবে। তারা হয়তো ‘শাইনিং’ পড়বে। তারা হয়তো ‘সেলেম’স লট’ পড়বে। আমার মতে, হরর ও ফ্যান্টাসি উপন্যাস অন্যান্য বইয়ের চেয়ে বেশিদিন টিকে। আমি যখন ছোট ছিলাম ঐ সময়ের কিছু বেস্টসেলার বই ছিলো ‘সেভেন ডেইস ইন মে’ এবং আরভিং ওয়ালেসের বইগুলো। আপনি যখন বইগুলোর নাম শুনেন তখন আপনার কিছু অনুভূত হয় না। বেশিরভাগ লেখকের সাথে এটাই হয়। মানুষ ভুলে যায়।
কোন গানটি আপনার সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে?
আমার প্রথমেই যে গানটি মনে আসে তা হলো, স্কটিশ ব্যান্ড ডেল আমিত্রির ‘অলওয়েস দ্য লাস্ট টু নো’। এটি অসাধারণ। যদি শিল্পীদের নাম বলতে হয় তাহলে জেরি লি লুইস, এডি কক্রেন এবং ষাটের দশকের আরও ক’জন, যারা আসলেই অসাধারণ ছিলো। লেটস হেভ পার্টি, রকেট এইটিএইট এবং এভ্রিবডি ইন মাই কার’স গন্না টেক এ লিটল নিপ। যদিও এটা রাজনৈতিকভাবে যায় না, তবে আমার ভালো লাগে।
ইন্টারনেটের ফলে কি মানবজাতির লাভ হয়েছে নাকি তা ক্ষতির কারণ হয়েছে?
আমি মনে করি এটা একটা ধাক্কার মতো। এই সকালে আমার একটা ইন্ডিয়ান নাম দরকার ছিলো। আমি ফায়ারফক্সে গেলাম আর পেয়ে গেলাম, বুম! আপনি সাথেই সাথেই সব কিছু পেয়ে যান। এর মানে, আপনার বই খোঁজার দরকার নেই। হয়তো আপনি বই খুঁজেও পাবেন না। ইন্টারনেট একুশ শতকের ম্যাজিক এইট বলের মতো। ওখানে আপনি সব সময় উত্তর পাবেন। সঠিক না হতে পারে, তবে উত্তর পাবেন।
অন্যদিকে পলিটিক্যাল কারেক্টনেস বাড়ছে এর ফলে। কারণ, ট্রল সবসময়ই আছে। আপনি একটি ভুল পদক্ষেপ নিলে কিংবা এমন কিছু বললে যা তারা পছন্দ করে না, তারা আপনার উপর ইটের স্তূপের মতো পড়তে থাকবে। এটা সবার জন্য একটা ইন্টেলেকচুয়াল ক্রাচে পরিণত হয়েছে। একদিন সবকিছু ভেঙে পড়বে। একটা লম্বা সময়ের জন্য লোকজন অসহায় হয়ে পড়বে।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা দেখে কি আপনি মনঃক্ষুণ্ণ?
আমি দেশের উপর মনঃক্ষুণ্ণ। ট্রাম্প এমন একজন আমেরিকান, যে মনে করে নারীরা তাদের জায়গা থেকে সরে এসেছে এবং দেশে ভুল রঙের মানুষরা ভেতরে আসছে। সে ঐসব মানুষের সাথে কথা বলে। ট্রাম্প জনপ্রিয় কারণ, মানুষ সাদা চামড়ার মানুষকে ক্ষমতা শীর্ষে দেখতে চায় এবং এ নিয়ে কেউ প্রশ্ন করবে না।
আপনি কি মনে করেন তিনি জিততে পারেন?
আমি একটি পোল দেখেছি যেখানে বলা হয়েছে হিলারি ক্লিনটন শুধুমাত্র তিন পয়েন্টে এগিয়ে আছে। যখন সে প্রেসিডেন্ট লড়াইয়ের জন্য সে ঘোষণা দিয়েছিলো সবাই এটিকে তামাশা হিসেবে নিয়েছিলো। সংবাদপত্র এটাকে তামাশা মনে করেছে। রোলিং স্টোন এটিকে তামাশা মনে করেছে। জন স্টুয়ার্ট বলেছিলেন, “ওকে প্রেসিডেন্ট পদে লড়তে দাও। ও আমাদের তামাশার সেরা উপকরণ।” যা-ই হোক, এখন কিন্তু আর কেউ হাসছেন না।
এই বছর যত পদপ্রার্থী আছেন তার মধ্যে যোগ্যতার কিছুটা কাছাকাছি আছেন হিলারি ক্লিনটন। তার বিরুদ্ধে অনেক নেতিবাচক ধারণা আছে। এটা শুধু উনি নারী বলে। নারী দ্বারা পালিত হয়ে এবং এমন পরিবারে থেকে, যেখানে আমার স্ত্রীর ছয় বোন আছে, নারীদের প্রতি এই ধরনের মনোভাবকে আমি ঘৃণা করি।
শেষ প্রশ্ন। আপনার নতুন বই ‘এন্ড অফ ওয়াচ’ এর খারাপ লোকটি হোটেল রুম ২১৭তে থাকে। আমি মনে করি এটা দৈব বিষয় না যে ‘শাইনিং’ এ হন্টেড হোটেল রুমের নম্বরও এক ছিলো।
না। এটা দৈবভাবে হয় নি। এটি হোটেল ওভারলুক থেকে শুরু হয়।
ফিচার ইমেজ: Highlight Hollywood