কালে কালে পৃথিবীজুড়ে যত সভ্যতার আবির্ভাব হয়েছে, ব্যবিলন সাম্রাজ্য তাদের মধ্যে অন্যতম। সুপ্রাচীন মেসোপটেমিয়ার টাইগ্রিস নদীকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা ব্যবিলন টিকে ছিল খ্রিস্টপূর্ব অষ্টাদশ শতক থেকে ষষ্ঠ শতক পর্যন্ত। মারদুক ছিল ব্যবিলনের পৃষ্ঠপোষক দেবতা। ব্যবিলনবাসী তাকে দেবতাদের প্রধান হিসেবে মানতো, এবং এসাগ্লিয়া নামের মন্দিরে তার উপাসনা করত।
ব্যবিলনবাসী বিশ্বাস করত- মারদুক প্রথম পৃথিবী ও আকাশ সৃষ্টি করে, এবং দেবতাদের বসবাসের জন্য স্বর্গ তৈরি করে। পরবর্তীতে দেবতাদের সেবা করার জন্য মারদুক মানবজাতিকে সৃষ্টি করে এবং ব্যবিলন শহর প্রতিষ্ঠা করে। এই আখ্যান “এনুমা এলিশ” বা ব্যবিলনীয় সৃষ্টিগাঁথা নামে সুপরিচিত। যদিও খ্রিস্টপূর্ব ১২ শতকে এনুমা এলিশ লিপিবদ্ধ করা হয় বলে প্রমাণ পাওয়া যায়, তবে এই কাহিনী এরও বহু আগে থেকে প্রচলিত ছিল বলে ঐতিহাসিকগণ ধারণা করেন।
আবিষ্কার
ব্যবিলন সভ্যতা সম্পর্কে জানা থাকলেও এনুমা এলিশ বা মারদুকের আবির্ভাব বিষয়ে দীর্ঘ সময় কোনো বিস্তারিত ঐতিহাসিক নথি বা লেখনি খুঁজে পাওয়া যায়নি। এই অবস্থার পরিবর্তন হয় ১৮৩০ সালে প্রাচীন নিনেভ শহর খননকালে আশুরবানিপালের লাইব্রেরির সন্ধান মিললে। ১৮৪৮ থেকে ১৮৭৬ সালের মধ্যে প্রত্নতাত্ত্বিক অস্টিন লেয়ারড, হরমুজদ রোসাম এবং জর্জ স্মিথ খণ্ডিতভাবে এনুমা এলিশের কয়েকটি ট্যাবলেট খুঁজে পান। ১৯০২ থেকে ১৯১৪ সালের মধ্যে জার্মান নেতৃত্বাধীন প্রজেক্টে আরও কিছু ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। সর্বশেষ ১৯২৪-২৫ সালে অক্সফোর্ড এবং শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ অভিযানে আরও দুটি ট্যাবলেট আবিষ্কারের মাধ্যমে ঐতিহাসিকগণ এনুমা এলিশের পরিপূর্ণ অর্থোদ্ধার করতে সমর্থ হন, যেখানে সাতটি ট্যাবলেটের মধ্যে ব্যবিলন সৃষ্টির উপাখ্যান কবিতার আকারে চিত্রিত হয়েছে।
সারকথা
সৃষ্টির শুরুতে: তখন স্বর্গ, নরক, আকাশ, পৃথিবী কিছুই ছিল না। ছিল শুধু অবিশ্রান্ত কুণ্ডলী পাকানো নোনা ও মিষ্টি পানির তীব্র ধারা এবং তা থেকে উৎক্ষেপিত ধোঁয়াশা। মিষ্টি পানির দেবতা আপ্সু, আর নোনা পানির দেবী টিয়ামেট। তাদের সন্তান, আপ্সুর একান্ত বিশ্বস্ত সহচর মুম্মু প্রতিনিধিত্ব করত ধোঁয়াশার।
আপ্সু ও টিয়ামেটের মিলনের ফলে প্রথমে জন্ম হয় ভাই-বোন লাহমা ও লাহামুর, পরে আনশার ও কিশারের। আনশার ও কিশারের থেকে জন্ম নেয় আনু, যাকে ব্যবিলনবাসী আকাশের দেবতা হিসেবে বিবেচনা করত। আনুর পুত্র ইয়া, দেবতাদের মধ্যে জ্ঞান ও জাদুতে যার জুড়ি ছিল না। কালক্রমে ইয়া হয়ে ওঠে ভূগর্ভস্থ মিষ্টি পানি ও জাদুবিদ্যার দেবতা। মারদুক, ব্যবিলনের প্রধান দেবতা ও এনুমা এলিশের অন্যতম চরিত্র, এই ইয়া ও দেবী দামকিনার সন্তান। ছোটবেলা থেকেই শৌর্যবীর্যে দেবতাদের মধ্যে অপ্রতিদ্বন্দ্বী মারদুক সময়ের সাথে সাথে হয়ে উঠছিল আরও পরিণত ও জ্ঞানী। আসন্ন মহাবিপদ থেকে সবাইকে রক্ষা করে নিজেকে দেবতাদের শিরোমণি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা তার ভাগ্যেই লেখা ছিল। এরা ছাড়াও আরও অনেক দেবদেবী কালক্রমে অস্তিত্ব লাভ করে।
আপ্সুর ক্রোধ ও সংহার: তরুণ দেবতারা হট্টগোলে ও হাসি-তামাশায় একটা বড় সময় পার করত, যা ক্রমে ক্রমে আপ্সু ও টিয়ামেটের বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। বিশেষ করে আপ্সু অত্যন্ত রাগান্বিত হয়, কারণ তাদের কোলাহলে তার দৈনন্দিন কাজকর্ম এবং রাতের ঘুম বিঘ্নিত হচ্ছিল। অনেক চেষ্টা করেও যখন আপ্সু তাদের শান্ত করতে পারল না, তখন মুম্মু তাকে পরামর্শ দিল এর একটা চূড়ান্ত বিহিত করার জন্য।
মুম্মুর প্ররোচনায় আপ্সু সিদ্ধান্ত নিল সে মুম্মু ও টিয়ামেট ছাড়া সবাইকে বধ করে ফেলবে এবং সৃষ্টির শুরুতে যেমন ছিল তেমন অবস্থায় ফেরত যাবে। তার পরিকল্পনা নিয়ে সে যখন টিয়ামেটের সাথে কথা বলতে গেল তখন দেবী টিয়ামেট যুগপৎ আতঙ্কিত ও ক্রোধান্বিত হয়ে উঠল। আমরা যা সৃষ্টি করেছি তা কীভাবে ধ্বংস করে ফেলতে পারি, এই কথা বলে সে আপ্সুকে নিরস্ত করার চেষ্টা করল এবং অন্য কোনো পথ বিবেচনা করতে অনুরোধ করল। কিন্তু মুম্মুর প্ররোচনায় আপ্সু এতটাই প্রভাবিত ছিল যে সে তার সিদ্ধান্ত থেকে টলল না এবং তার সকল সন্তান-সন্ততিদের হত্যা করার চূড়ান্ত পরিকল্পনা করে ফেলল।
টিয়ামেট যখন দেখল কোনোভাবেই সে তার স্বামীকে নিরস্ত করতে পারছে না, অনন্যোপায় হয়ে সে তার সন্তানদের আপ্সুর পরিকল্পনা জানিয়ে দিল। আপ্সুর পরিকল্পনা জানতে পেরে দেবতারা বিচলিত বোধ করে। তবে ইয়া তাদের আশ্বস্ত করে যে এর বিহিত সে করবে। সেই অনুযায়ী ইয়া জাদুর সাহায্যে আপ্সুকে ঘুম পাড়িয়ে দেয় এবং ঘুমন্ত অবস্থাতেই তাকে হত্যা করে ও মুম্মুকে বন্দি করে।
টিয়ামেটের প্রতিশোধস্পৃহা: আপ্সু হত্যার সংবাদে টিয়ামেট ক্রোধে আত্মহারা হয়ে যায় এবং প্রতিশোধের সংকল্প করে। তার সাথে যোগ দেয় তরুণ দেবতাদের একাংশ। হত্যাকারী দেবতাদের শাস্তি দেয়ার জন্য টিয়ামেট এগারোটি ভয়ঙ্কর দানব সৃষ্টি করে এবং কিঙ্গু নামের এক দেবতাকে তার সঙ্গী হিসেবে গ্রহণ করে তাকে তার বাহিনীর প্রধান নিযুক্ত করে। কিঙ্গুর ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য টিয়ামেট তাকে “ট্যাবলেট অফ ডেস্টিনি” বা ভাগ্যনিয়ন্ত্রক ট্যাবলেট উপহার দেয়।
ইয়া এবং অন্যান্য দেবতারা যখন আপ্সুর কবল থেকে রক্ষা পেয়ে উল্লসিত, তখন তাদের কাছে টিয়ামেটের সংকল্পের খবর এসে পৌঁছল। স্বভাবতই তারা দিশেহারা হয়ে পড়ল, এমনকি ইয়াও, যে কি না সবেমাত্রই আপ্সুকে সংহার করেছে। এর কারণ হলো তারা জানত একমাত্র সম্মুখ সমর ছাড়া টিয়ামেটকে পরাজিত করার কোনো রাস্তা নেই, কারণ জাদুর প্রভাব তার উপর খাটবে না।
সম্মুখ যুদ্ধে টিয়ামেটের মুখোমুখি হবার শক্তি ও সাহস উপস্থিত কোনো দেবতারই ছিল না। এই পরিস্থিতিতে ইয়া আনশার শরণাপন্ন হয়। সমস্ত ঘটনা জানতে পেরে আনশার নিজেও বিচলিত হয়ে পড়ল এবং ইয়াকে পরামর্শ দিল টিয়ামেটের সাথে দেখা করে তাকে বোঝানোর জন্য যাতে সে তার প্রতিশোধের প্রতিজ্ঞায় ক্ষান্ত দেয়। কিন্তু ইয়া ব্যর্থ হলো। এরপর আনশার নিজ পুত্র আনুকে অনুরোধ করলে সে টিয়ামেটের কাছে গেলো। কিন্তু আনুও আতঙ্কিত হয়ে ফিরে এল এবং পিতাকে নিজের অপারগতার কথা জানিয়ে আর কাউকে দায়িত্ব দিতে বলল।
দেবতারা তখন চারদিকে অন্ধকার দেখছিল। টিয়ামেট ও তার বাহিনী আসন্ন আক্রমণের জন্য প্রস্তুত, অন্যদিকে দেবতারা কেউই নিজেকে টিয়ামেটের সাথে যুদ্ধে অবতীর্ণ হওয়ার মতো সক্ষম মনে করছিল না। এমন সময় আনশার মনে পড়ল পরাক্রমশালী মারদুকের কথা। সে এর মধ্যেই বিভিন্নভাবে নিজের বীরত্বের প্রমাণ দিয়েছে, এই বিপদ থেকে কেউ তাদের রক্ষা করতে পারলে সে মারদুক। সুতরাং আনশার মারদুককে ডেকে পাঠাল এবং সবকিছু ব্যাখ্যা করে তার সাহায্য প্রার্থনা করল।
মারদুকের উত্থান: মারদুক ছিল অত্যন্ত বলশালী ও আত্মবিশ্বাসী। সে টিয়ামেটকে হত্যা করার ব্যাপারে সম্পূর্ণ আত্মবিশ্বাসী ছিল। মারদুক সবাইকে ভয় না পেতে পরামর্শ দিল এবং প্রতিজ্ঞা করল যে সে শীঘ্রই টিয়ামেটের মৃতদেহের উপর দাঁড়িয়ে জয়োল্লাস করবে। তবে এর বিনিময়ে তাকে সমস্ত দেবদেবীদের মাঝে শীর্ষস্থান দিতে হবে এবং বাকি সবাইকে তার কর্তৃত্ব মেনে নিতে হবে।
দেবতারা এই শর্তে সম্মত হলো। তারা মারদুকের জন্য একটি বিশাল সিংহাসন স্থাপন করল এবং তার হাতে ক্ষমতার নিদর্শনস্বরূপ দেবতাদের রাজদণ্ড ও আলখাল্লা তুলে দিলে। মারদুক আলখাল্লা পরিধান করে রাজদণ্ড হাতে তুলে নিয়ে সিংহাসনে উপবিষ্ট হলে দেবতারা তার ক্ষমতা পরিক্ষার মানসে এক টুকরো কাপড় তার সামনে উপস্থিত করল। মারদুকের নির্দেশে প্রথমে কাপড়টি ছিন্নভিন্ন হয়ে গেলো এবং পরবর্তী নির্দেশে পূর্বাবস্থায় ফিরে গেলো। দেবতারা সন্তুষ্ট হলো।
সংঘাত ও বিজয়: মারদুক যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে শুরু করল। সে এক কাঁধে তির ও ধনুক ঝুলিয়ে নিল এবং অন্য হাতে মুগুর তুলে নিল। এছাড়া নিজের জন্য একটি জাল প্রস্তুত করল এবং তার অধীনে থাকা বায়ুকে নির্দেশ দিল তা বহন করার জন্য। সব প্রস্তুতি সমাপ্ত হলে মারদুক বাতাসের রথে চড়ে টিয়ামেটের মুখোমুখি হতে চলল।
মারদুককে নিকটবর্তী হতে দেখে টিয়ামেটের বাহিনীতে চাঞ্চল্য দেখা দিল। তারা সকলেই এই তরুণ দেবতার শক্তিমত্তা সম্পর্কে অবহিত ছিল। মারদুক তার অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে যতই অগ্রসর হতে লাগল ততই টিয়ামেটের অনুচরদের আতঙ্ক বাড়তে থাকল। ভয় পেল না শুধু টিয়ামেট। সে মারদুককে দেখে গর্জন করে উঠল এবং তাকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করলে। কিন্তু মারদুক উল্টো তাকেই গালমন্দ করে দ্বন্দ্বযুদ্ধে আহ্বান করল। তার ধৃষ্টতায় টিয়ামেট এতয়াই রাগান্বিত হয়ে পড়লো যে অগ্রপশ্চাৎ না ভেবেই তাকে আক্রমণ করতে এগিয়ে গেলো।
মারদুক টিয়ামেটকে এগিয়ে আসতে দেখে তার জাল ছুড়ে দিল। টিয়ামেট জালে জড়িয়ে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠল এবং বিশাল হাঁ করে মারদুককে গিলে ফেলতে চাইল। মারদুক তার তির ছুঁড়ে দিলে সেই তির তার মুখ দিয়ে ঢুকে হৃদযন্ত্রে আঘাত করলে টিয়ামেটের মৃত্যু হয়। টিয়ামেটের মৃত্যুর সাথে সাথে তার বাহিনী ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। মারদুক টিয়ামেটের সৃষ্ট এগারো দানবকে হত্যা করে, যেসব দেবতারা টিয়ামেটের সাথে যোগ দিয়েছিল তাদের বন্দী করে এবং কিঙ্গুর কাছ থেকে “ট্যাবলেট অফ ডেস্টিনি” কেড়ে নিজের অধিকারে নেয়।
স্বর্গ ও মর্ত্যের সৃষ্টি: মারদুক তার মুগুরের আঘাতে মৃত টিয়ামেটের মাথা গুঁড়িয়ে দেয় এবং তার দেহকে দুই ভাগ করে একভাগ দিয়ে আকাশ ও একভাগ দিয়ে মর্ত্য সৃষ্টি করে। টিয়ামেটের শরীরের অংশ দিয়ে মারদুক আকাশে গ্রহ-নক্ষত্র স্থাপন করে এবং দেবদেবীদের বসবাসের নিমিত্তে স্বর্গের পত্তন করে।
মানুষের উৎপত্তি: বিজয়ীর বেশে ফিরে আসা মারদুককে দেবতারা যথাযথ সম্মান দেখিয়ে তাদের নেতার আসনে অধিষ্ঠিত করে। টিয়ামেটের সাথে যোগসাজশকারী কিঙ্গু ও অন্যান্য দেবতাদের মারদুক ও তার সঙ্গী দেবদেবীদের দাসে পরিণত করা হয়। একসময় তারা অতিষ্ঠ হয়ে উঠলে মারদুকের কাছে মুক্তি প্রার্থনা করে। মারদুক অন্যান্য দেবতাদের সাথে পরামর্শ করে তাদের দাস হিসেবে মানুষকে সৃষ্টি করার সিদ্ধান্ত নেয়। এই উদ্দেশ্যে মারদুক কিঙ্গুকে হত্যা করে এবং তার রক্ত থেকে মানবজাতি সৃষ্টি করে যাতে তারা দেবতাদের সেবা করতে পারে।
শেষকথা
এনুমা এলিশের ঐতিহাসিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক গুরুত্ব অসীম। সাতটি ট্যাবলেটে বিভক্ত এই মহাউপাখ্যানের সাহিত্যিক মূল্যও কম নয়। একে তৎকালীন সমাজব্যবস্থার রূপক হিসেবে অনেক গবেষক আখ্যায়িত করেছেন। তাদের মতে, আপ্সু ও টিয়ামেটের মাধ্যমে মহাবিশ্বের সূচনা মেসোপটেমিয়ার আদিরুপ নির্দেশ করে। মেসোপটেমিয়ার শাব্দিক অর্থ দুই নদীর তীরবর্তী স্থান। নোনা ও মিষ্টি পানির সংমিশ্রণে পলি জমে এই অঞ্চলের সৃষ্টি, যা আপ্সু আর টিয়ামেটের মিলনের মতোই। এনুমা এলিশ বর্ণনা করে সৃষ্টির শুরুতে যে বিশৃঙ্খলা ছিল তা কীভাবে দূর হয়ে একটি সুশৃঙ্খল কাঠামোবদ্ধ ব্যবস্থা গড়ে ওঠে, যেখানে মারদুক প্রধান দেবতা এবং তার অধীনে প্রত্যেক দেবতার দায়িত্ব সুবিন্যস্ত। একে তুলনা করা যায় মেসোপটেমিয়ার বিভিন্ন জাতির মধ্যে চলমান সহিংসতা এবং পরবর্তীতে ব্যবিলন সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠা, যা এই অঞ্চলকে একটি সুশৃঙ্খল সমাজব্যবস্থার মধ্যে নিয়ে আসে, যেখানে ব্যবিলন সম্রাট মারদুকের প্রতিনিধি হিসেবে শাসন পরিচালনা করে থাকেন। সুতরাং এনুমা এলিশকে শুধু একটি মিথ বা পুরাকাহিনী ভাবা ভুল হবে। একে বিচার করতে হবে তৎকালীন ব্যবিলন সমাজব্যবস্থার এক অমূল্য নিদর্শন হিসেবে।
বিশ্বের চমৎকার, জানা-অজানা সব বিষয় নিয়ে আমাদের সাথে লিখতে আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন এই লিঙ্কে: https://roar.media/contribute/