১৭৭৬ সালের ৪ জুলাই স্বাধীনতা লাভের পর পেরিয়ে গেছে দুই শতাব্দীরও বেশি সময়। এই দীর্ঘ সময় ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সগৌরবে টিকে আছে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা, উত্থান ঘটেনি স্বৈরশাসকের। প্রশ্ন জাগতে পারে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কেন ঘটেনি স্বৈরশাসকের উত্থান? কী আছে এর পেছনে? কেনই বা গণতন্ত্র টিকে আছে সেখানে? এই প্রশ্নের উত্তর যদি আমেরিকান সংবিধান হয়, তাহলে কেন উত্তর আমেরিকার দেশসমূহ ও ফিলিপাইনের মতো দেশের সংবিধান হুবহু আমেরিকার মতো হওয়া সত্ত্বেও সেখানে স্বেরশাসকের উত্থান ঘটেছে বহুবার? ১৯১৯ সালে জার্মানির সংবিধান তৈরি করেন তৎকালীন সবচেয়ে অভিজ্ঞ মানুষজন, তবুও তা ব্যর্থ হয়। তাহলে গণতন্ত্র টিকে থাকার জন্য মূলত কী জরুরি? সংবিধান, সরকারব্যবস্থা, আইন- এগুলো? নাকি ভিন্ন কিছু? এই লেখায় আমেরিকায় গণতন্ত্র দীর্ঘকাল ধরে টিকে থাকার কারণ আলোচনা করা হবে।
অনানুষ্ঠানিক অলিখিত রীতিনীতি
কোনো রাষ্ট্রের সংবিধান রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা নিরাপদ রাখতে পারে না, সেজন্য দরকার পড়ে গণতন্ত্রের অলিখিত রীতিনীতির উপস্থিতি। আমেরিকার সংবিধান দেশটির গণতন্ত্রে স্বৈরশাসকের উত্থানের জন্য একমাত্র প্রতিরোধব্যবস্থা না। এর পেছনে রয়েছে অপ্রাতিষ্ঠানিক অলিখিত বিভিন্ন নিয়ম। অলিখিত রীতিনীতিগুলোর মাঝে দুটি রীতি মৌলিক।
১) পারস্পরিক সহনশীলতা
সাধারণত পারস্পরিক সহনশীলতা হলো পরস্পরকে সহ্য করার ক্ষমতা। রাজনীতিবিজ্ঞানে এটি একটি বিশেষ অর্থে ব্যবহৃত হয়। একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে রাজনৈতিক দল ও দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে পারস্পরিক সহনশীলতা থাকা। পারস্পরিক সহনশীলতার সবচেয়ে পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যায় স্টিভেন লেভিটস্কি এবং ড্যানিয়েল জিব্লাটের লেখায়। তাদের মতে,
পারস্পরিক সহনশীলতা বলতে বোঝায় যে, যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বীরা সাংবিধানিক নিয়ম অনুসারে চলে, আমরা স্বীকার করি যে তাদের অস্তিত্বের, ক্ষমতার জন্য প্রতিযোগিতা এবং শাসন করার সমান অধিকার রয়েছে। … তাছাড়া পারস্পরিক সহনশীলতা মানে এই ধারণা পোষণ করা যে, আমাদের রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীরা শালীন, দেশপ্রেমিক, আইন মেনে চলা নাগরিক; তারা আমাদের দেশকে ভালোবাসে, এবং সংবিধানকে আমাদের মতো করে সম্মান করে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শুরুর দিকে পারস্পরিক সহনশীলতা ছিল দুর্বল। ফেডারেলিস্ট এবং রিপাবলিকানরা একে অপরকে কটাক্ষ করত, অভিযোগ আনত বিশ্বাসঘাতকতার। দলীয় শত্রুতা এবং অবিশ্বাস ধীরে ধীরে হয়ে যায় পরিবর্তন, গড়ে ওঠে পারস্পরিক সহনশীলতার আদর্শ। গৃহযুদ্ধ ও দাসপ্রথা এই পারস্পরিক সহনশীলতার আদর্শ ভেঙে ফেলে প্রচন্ডভাবে, হুমকির মুখে পড়ে আমেরিকান গণতন্ত্র। কিন্তু খুব দ্রুতই তারা এই সংকট কাটিয়ে ওঠে; ডেমোক্র্যাট এবং রিপাবলিকানরা আবারও একে অপরকে ভাবতে শুরু করে বৈধ প্রতিদ্বন্দ্বী। পারস্পরিক সহনশীলতার আদর্শ শেখায় প্রতিপক্ষকে সম্মান করতে, শেখায় তাদের দেশপ্রেমিক ভাবতে, যার দরুন আমেরিকানরা সহজে মেনে নেয় নির্বাচনের ফলাফল, প্রতিষ্ঠিত হয় সুষ্ঠু গণতন্ত্র।
২) প্রাতিষ্ঠানিক সহনশীলতা
সাধারণত প্রাতিষ্ঠানিক সহনশীলতা বলতে, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আরোহণের পর ক্ষমতাসীন কর্তৃক রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করে প্রতিপক্ষকে দমন না করা বোঝায়। প্রাতিষ্ঠানিক সহনশীলতা একটি গুরুত্বপূর্ণ গণতান্ত্রিক রীতি, যার দ্বারা বোঝায় ক্ষমতায় থাকা দল ও ব্যক্তির দ্বারা তাদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বা অন্যান্য প্রান্তিক মানুষ এবং গোষ্ঠীর ক্ষতি করার জন্য সেই ক্ষমতার ব্যবহার না করা। পারস্পরিক সহনশীলতা থেকে জন্মে প্রাতিষ্ঠানিক সহনশীলতা। একটি রাষ্ট্র তখনই প্রকৃত গণতান্ত্রিক হবে যখন সেখানে পারস্পরিক সহনশীলতা ও প্রাতিষ্ঠানিক সহনশীলতা বিদ্যমান থাকবে। একটি রাষ্ট্রে অনেকগুলা প্রতিষ্ঠান নিয়ে গড়ে ওঠে তার রাজনৈতিক ব্যবস্থা। যদি রাষ্ট্রে প্রাতিষ্ঠানিক সহনশীলতা না থাকে, তাহলে ক্ষমতাসীন সরকারপ্রধান সহজে বিরোধী দল দমন করতে পারে, কুক্ষিগত করতে পারে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা। প্রাতিষ্ঠানিক সহনশীলতার অভাবে হুমকির মুখে পড়ে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা, সহজে উত্থান ঘটতে পারে স্বৈরশাসকের।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় বিদ্যমান রয়েছে প্রাতিষ্ঠানিক সহনশীলতার আদর্শ। সেখানে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট চেষ্টা করেন না রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে কোণঠাসা করার। স্বাধীনতার দুই শতাব্দীর বেশি সময় ধরে যে দেশটি প্রাতিষ্ঠানিক সহনশীলতা ও পারস্পরিক সহনশীলতায় ভরপুর ছিল তা-ও না। আমেরিকার প্রজাতন্ত্রকে পেরোতে হয়েছে নানা চড়াই-উৎরাই। এর মধ্যে অনেক রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের চেষ্টা করেছেন, তবে আমেরিকান সিস্টেমের ‘চেকস এন ব্যালেন্স’ এর জন্য ব্যর্থ হন তারা। কিন্তু পৃথিবীর অন্য সব দেশে যেখানে আমেরিকান মডেলের গণতন্ত্র বিদ্যমান, সেখানে প্রাতিষ্ঠানিক সহনশীলতা ছিল না। সেজন্য সহজে স্বৈরশাসকের উত্থান ঘটেছে সেখানে। উদাহরণ হিসেবে আর্জেন্টিনার কথা বলা যায়। আর্জেন্টিনার সংবিধান আমেরিকান সংবিধানের সাথে দুই-তৃতীয়াংশ হুবহু মিলে গেলেও, এবং আমেরিকান মডেলের গণতন্ত্র হওযার পরও সেখানে ১৯৩০ ও ১৯৪৩ সালে সামরিক অভ্যুত্থান হয়েছে, উত্থান ঘটেছে প্যারনের মতো স্বৈরশাসকের।
শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রীতিনীতি
আমেরিকান প্রজাতন্ত্রে গণতান্ত্রিক রীতিনীতি খুবই শক্তিশালী। গণতান্ত্রিক রীতিনীতির বাইরে আচরণ করাকে দেখা হয় গুরুতর অলঙ্ঘনীয় কাজ হিসেবে। গণতান্ত্রিক রীতিনীতি একটি শান্তিপূর্ণ, সম্মানজনক এবং সুচারুরূপে পরিচালিত সরকারকে সহজভাবে কাজ করতে সাহায্য করে। এটি শেখায় বিরোধী দলকে বৈধ হিসেবে মেনে নিতে, শেখায় অন্যের অধিকারে হস্তক্ষেপ না করতে। গনতান্ত্রিক রীতিনীতি বলে দেয় একজন নাগরিক নির্ধারণ করবে কে শাসন করবে, শিক্ষা দেয় পারস্পরিক ও প্রাতিষ্ঠানিক সহনশীলতার।
লাতিন আমেরিকার দেশগুলোতে যেখানে আমেরিকান মডেলের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত, সেখানে গণতান্ত্রিক রীতিনীতি দুর্বল থাকায় গণতন্ত্র সেখানে ভঙ্গুর। খুব সহজেই সেখানে গণতন্ত্র রুপ নেয় স্বৈরতন্ত্রে। কিন্তু আমেরিকান প্রজাতন্ত্রে গণতান্ত্রিক রীতিনীতি শক্তিশালী হওয়ার দরুন স্বাধীনতার প্রায় আড়াইশো বছরেও উত্থান ঘটেনি কোনো স্বৈরশাসকের।
জাতীয় সম্পদের প্রাচুর্য
সফল গণতন্ত্রের অন্যতম পূর্বশর্ত হচ্ছে শক্তিশালী অর্থনৈতিক ব্যবস্থা, কার্ল মার্কস যাকে বলেছেন সমাজের মৌল কাঠামো। অর্থনৈতিক দিক থেকে একটি রাষ্ট্রকে শক্তিশালী হতে হলে প্রয়োজন রাষ্ট্রীয় সম্পদের প্রাচুর্য ও তার যথাযথ ব্যবস্থাপনা। প্রয়োজনীয় রাষ্ট্রীয় সম্পদ ও সম্পদের যথাযথ ব্যবস্থাপনার অভাবে গণতান্ত্রিক দেশের সরকারকে রাষ্ট্র পরিচালনায় হিমশিম খেতে হয়, যার ফলে যেকোনো সময় পতন ঘটতে পারে সরকারের। সম্পদের দুষ্প্রাপ্যতা তৈরি করে সম্পদের অসম বণ্টন, যা সুযোগ তৈরি করে দেয় বিরোধী দলের উত্থানের। এই অসম বণ্টনই জন্ম দেয় গণঅসন্তোষের, গণআন্দোলনের, ধাক্কা লাগে সরকারের চূড়ান্ত ক্ষমতায়, ডাক আসতে পারে পতনের। অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা অনেক সময় মানুষকে বোধহীন করে তোলে, লোপ পেতে পারে গণতান্ত্রিক আদর্শের। এভাবে অর্থনৈতিক সমস্যা ধীরে ধীরে সৃষ্টি করে রাজনৈতিক অস্থিরতার।
বড় মধ্যবিত্ত শ্রেণী ও প্রাণবন্ত সিভিল সোসাইটি
রাষ্ট্রের জনসংখ্যার গুরুত্বপূর্ণ ও প্রভাবশালী অংশ হচ্ছে একটি বড় মধ্যবিত্ত শ্রেণী ও একটি প্রাণবন্ত সিভিল সোসাইটি। পৃথিবীর সকল দেশের সমাজে রয়েছে এই দুই শ্রেণীর অস্তিত্ব, এমনকি সমাজতান্ত্রিক দেশেও প্রভাবশালী অংশ হচ্ছে এই দুই শ্রেণী। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সাধারণ জনগণ নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের শাসক নির্বাচন করে। সাধারণ জনগণ কোনো জননায়ক কর্তৃক খুব সহজে প্রতারিত হতে পারে, নিজের অজান্তে হারাতে পারে গণতান্ত্রিক পরিবেশ। নিজেদের অধিকার নিয়ে তারা অতটুকু সচেতন না।
একটি রাষ্ট্রের মধ্যবিত্ত শ্রেণী হচ্ছে একটি সচেতন নাগরিক সমাজ। তারা ধারণা রাখে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সমূহে। তাদের সহজে রাজনৈতিক মারপ্যাচে পরাজিত করা যায় না। রাষ্ট্রের সম্পদের উল্লেখযোগ্য অংশের মালিকও হয় তারাই। রাষ্ট্র তাদের কাছ থেকে বিশাল অংকের ট্যাক্স পায়, রাষ্ট্রের কাছে তারা গুরুত্বপূর্ণ। সেজন্য রাষ্ট্র কোনো নতুন আইন প্রণয়নের সময় মধ্যবিত্ত শ্রেণীর স্বার্থের প্রতি গুরুত্ব দেয় বেশি। একটি স্বতঃস্ফূর্ত রাজনীতিসচেতন মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মতো রাষ্ট্রে সিভিল সোসাইটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ও প্রভাবশালী অংশ। রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা টিকে থাকা বহুলাংশে নির্ভর করে তাদের দেশপ্রেম ও রাষ্ট্রীয় কাজে অংশগ্রহণের উপর।“Middle Class Driven Democratic Domino” তত্ত্বানুযায়ী, একটি দেশের মধ্যবিত্ত শ্রেণীর আকার বাড়লে সেখানে গণতন্ত্রের মাত্রা বাড়ে। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, মধ্যবিত্ত শ্রেণী নিজ দেশে ও প্রতিবেশি দেশেও গণতন্ত্রকে বিকশিত করার সক্ষমতা রাখে।
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সিভিল সোসাইটি ও মধ্যবিত্ত শ্রেণী সবচেয়ে বেশি প্রভাবশালী। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাতেও এই দুই শ্রেণীর অস্তিত্ব ও প্রভাব রয়েছে। ২০২১ সালের জরিপ অনুযায়ী, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৫০% জনগণ মধ্যবিত্ত শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত। ঐতিহাসিকভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবিত্ত শ্রেণী তাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও সমৃদ্ধির ইঞ্জিন। মার্কিন ব্যবস্থায় এই সচেতন মধ্যবিত্তের বিশালতা তাদের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে আরো স্থায়ী ও মজবুত রাখে। তাদের সিভিল সোসাইটি সরকার ও নাগরিকদের তথ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস ও প্রাণবন্ত একটি গোষ্ঠী। তারা পর্যবেক্ষণ করে সরকারের নীতি ও গৃহীত কর্মকাণ্ড, সরকারকে তার কাজের জন্য জবাবদিহি করতে বাধ্য করে। তারা সরকারের উপর একটি প্রেশার গ্রুপ হিসেবে কাজ করে। তারা সরকার ও এর অঙ্গসংগঠনগুলোকে জনসম্পৃক্ত নীতি নিতে সাহায্য করে। এভাবে আমেরিকার জাগ্রত সিভিল সোসাইটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে রাখে সচল, প্রাণবন্ত, সময়োপযোগী ও জনকল্যাণকামী।
উল্লিখিত অপ্রাতিষ্ঠানিক অলিখিত রীতিনীতি, কনভেনশন, শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রীতিনীতি, আমেরিকান সমাজের মধ্যবিত্ত শ্রেণী- এগুলো হঠাৎ করে আমেরিকানদের মাঝে জন্ম নেয়নি। ধীরে ধীরে আমেরিকান সমাজ এগুলো ধারণ করেছে, ত্যাগ করেছে গণতান্ত্রিক আদর্শ-বহির্ভূত আচরণ। এসব বৈশিষ্ট্যের জন্য আজও আমেরিকায় সগৌরবে ঠিকে আছে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা। পৃথিবীর অন্যান্য গণতন্ত্রে এসব বৈশিষ্ট্যের অনুপস্থিতি তাদের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার ধ্বংস ও স্বৈরশাসক উত্থানের জন্য দায়ী। তাই রাষ্ট্রগুলোকে শুধু আমেরিকান সরকারব্যবস্থা নকল করার দিকে মনোযোগ না দিয়ে আমেরিকান সমাজের অন্যান্য বৈশিষ্ট্য, যেগুলো গণতন্ত্র টিকে থাকার জন্য অপরিহার্য, সেসব নির্মাণে মনোযোগী হতে হবে।