গল্প উপন্যাসে আর সিনেমায় কত শত নিত্যনতুন চরিত্রের দেখা মেলে। তাদের একটা বড় অংশই হারিয়ে যায় কালের গর্ভে। কিন্তু কিছু চরিত্র তাদের অনন্যতা, অসাধারণত্ব, মেধা, সৌন্দর্য আর ব্যক্তিগত কমনীয়তার জোরে মানুষের হৃদয়ে টিকে থাকে যুগের পর যুগ। সেসব চরিত্র কখনো আসে কল্পকাহিনী আর পুরাণ থেকে, কখনো বা আসে গল্প উপন্যাস আর কমিক থেকে।
গল্প-উপন্যাসের চরিত্র যখন জনপ্রিয়তা লাভ করে, তখন তাকে নিয়ে নির্মিত হয় সিনেমা। সেসব সিনেমার মাঝেও কিছু সিনেমা আবার অমর হয়ে থাকে বইয়ের পাতার চরিত্রের যথার্থ চিত্রায়নের জন্য। এরকম ৭টি কাল্পনিক চরিত্র নিয়ে আমাদের আজকের আলোচনা, যেগুলো গল্পে, উপন্যাসে কিংবা সেলুলয়েডের ফিতায় সমাদৃত। তবে এই চরিত্রগুলোর জনপ্রিয়তার ক্রমবিন্যাস করার দুঃসাহস কারো পক্ষে দেখানো সম্ভব নয়। কারণ এ তালিকার প্রতিটি চরিত্রই পরস্পরের চেয়ে আলাদা, অনুপম, যাদের রয়েছে স্বতন্ত্র ভক্তশ্রেণী।
ব্রুস ওয়েইন
“সবকিছুই অসম্ভব, যতক্ষণ না কেউ তা করে দেখায়!”- ব্রুস ওয়েইন
এমন একজন মানুষের কথা ভাবুন তো, যার মেধা সাধারণ মানুষের চেয়ে অনেক বেশি, যিনি মার্শাল আর্টে এতটা দক্ষ যে আট-দশজন শক্তসমর্থ্য মানুষকে একাই কুপোকাত করতে পারেন, যিনি এমন সব প্রযুক্তি ব্যবহার করেন যেগুলো সমকালীন সময়ের চেয়ে অগ্রসর এবং সর্বসাধারণের চিন্তার বাইরে, যিনি ছদ্মবেশে শহরে ঘুরে বেড়ান, যিনি গোয়েন্দা হয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড রুখে দেন, এবং যিনি কাল্পনিক শহর গোথামের বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান ‘ওয়েইন এন্টারপ্রাইজ’ এর মালিক।
যার কথা বলা হচ্ছে, তিনি ছোট বড় সকল ফ্যান্টাসি সিনেপ্রেমিকের পছন্দের চরিত্র ব্রুস ওয়েইন, তথা ব্যাটম্যান। ১৯৩৯ বিল ফিঙ্গারের লেখা গল্পের চরিত্র ব্রুস ওয়েইনকে ব্যাটম্যান রূপে চিত্রায়িত করেছিলেন কার্টুনিস্ট বব কেইন। সেবছর ডিসি কমিক্সের একটি গোয়েন্দা পর্বে ব্যাটম্যান হাজির হয়েছিলেন। তারপর থেকে তিনি যেন বাস্তব চরিত্রে রূপ নিয়েছেন। ১৯৪৩ সালে প্রথম ‘ব্যাটম্যান’ সিনেমা মুক্তির পর থেকে এখনো পর্যন্ত মোট ১৩টি ছবিতে নিজের শহরকে বাঁচানোর লড়াই করেছেন ব্যাটম্যান। মাঝে হয়ে গেছে অনেকগুলো টেলিভিশন সিরিজ আর অ্যানিমেশন ছবিও। আর এসবের মধ্য দিয়ে ব্যাটম্যান হয়ে উঠেছেন পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় কাল্পনিক চরিত্রগুলোর একটি।
উইনি দ্য পুহ
খ্যাতিমান ব্রিটিশ শিশুসাহিত্যিক অ্যালান আলেকজান্ডার মিলনে একবার তার শিশুপুত্র ক্রিস্টোফার রবিনকে একটি টেডি বিয়ার কিনে দেন। ভালুকটির প্রতি পুত্রের প্রেম দেখে মিলনে সেটির একটি নাম রেখে দেন। প্রথমে উইনি বলে ডাকা হলেও পরে সাথে যুক্ত হয় পুহ শব্দটি। ১৯২৪ সালে মিলনে তার শিশুতোষ কবিতার বই ‘হোয়েন উই অয়ার ভেরি ইয়াং’-এ উইনি দ্য পুহের নাম প্রথম উল্লেখ করেন। এর দুই বছর পর তিনি প্রকাশ করেন উইনি দ্য পুহ নামে স্বতন্ত্র একটি বই। আর তারপর বাকিটা ইতিহাস। এই বই এত জনপ্রিয়তা লাভ করে যে, বইয়ের কাল্পনিক উইনি ভালুক বাস্তবে রূপ ধারণ করতে শুরু করে। একাধিক ভাষায় অনূদিত হয় এই বই, যা উইনিকে বিশ্বব্যাপী পরিচিতি এনে দেয়। ষাটের দশকে ডিজনি উইনির বেশ কিছু গল্পের স্বত্ব কিনে নেয় এবং তৈরি করে সিনেমার ইতিহাসে অন্যতম সফল চলচিত্রের সিরিজ। এই সিরিজের পরই উইনি বিশ্বের সবচেয়ে পরিচিত টেডি বিয়ারে পরিণত হয়। আজও বিশ্বব্যাপী উইনি দ্য পুহ টেডি বিয়ারগুলো শিশুদের কাছে সমান জনপ্রিয়।
সিন্ড্যারেলা
“নিজের স্বপ্নগুলোর উপর ভরসা হারিয়ে ফেল না। কোনো না কোনোদিন সেগুলো ধরা দেবেই।”- সিন্ড্যারেলা
দীর্ঘদিন কষ্ট ভোগের পর হঠাৎ করেই ভাগ্যের আমূল পরিবর্তন ঘটে কাল্পনিক চরিত্র সিন্ড্যারেলার। অপ্রাপ্তি আর বঞ্চনার কঠিন পথ পাড়ি দিয়ে সুখের সন্ধান পেয়ে সিন্ড্যারেলা যখন উপরোক্ত উক্তিটি করে, তখন বইয়ের পাতায় পড়তে থাকা পাঠক কিংবা টিভি পর্দায় জীবন্ত সিন্ড্যারেলাকে দেখতে থাকা দর্শক, সকলের মন এক অতুলনীয় তৃপ্তিতে ভরে উঠে। আর এভাবেই যুগ যুগ ধরে ছেলে, বুড়ো সকলকে আনন্দ দিয়ে আসছে লাস্যময়ী তরুণী সিন্ড্যারেলা।
সেই খ্রিস্টপূর্ব ৭ম শতকে কোনো এক গ্রিক ভূগোলবিদ স্ট্র্যাবো ‘দ্য স্টোরি অব রোডোপিস’ নামক একটি গল্প বর্ণনা করেন। গল্পটি ছিল এক গরীব দাসীকে নিয়ে, যে ঘটনাক্রমে দেশের রাজাকে বিয়ে করে। এই গল্পটিকেই বলা হয় সিন্ড্যারেলার সবচেয়ে পুরনো সংস্করণ। এরপর এ গল্প যে কত ভাষায়, কতভাবে বর্ণিত হয়েছে তার ইয়ত্তা নেই। একেক ভাষায় সিন্ড্যারেলার একেক নাম যেমন, ইতালিয়ান ভাষায় সেনেরেন্টোলা, ফরাসি ভাষায় সেন্ড্রিলন, চীনা ভাষায় ইয়ে জিয়ান, স্প্যানিশ ভাষায় সেনিসিয়েন্টা। ভাষার সাথে সাথে বদলে যায় গল্পের ধরনও। তবে গল্পের মূল কথা ঐ একই থাকে, আর তা হলো হঠাৎ করে ভাগ্যের পরিবর্তন। বিভিন্ন ভাষার কবি-সাহিত্যিকগণও সিন্ড্যারেলাকে নিজেদের মতো করে কল্পনা করেছেন, মনমতো করে সাজিয়েছেন। সিন্ড্যারেলাকে নিয়ে তৈরি হয়েছে শত শত সিনেমা আর কার্টুন। আর কালক্রমে সিন্ড্যারেলা পরিণত হয়েছে এক জীবন্ত কাল্পনিক চরিত্রে।
ভিতো কোরলিওনে
“আমি শ্রেণীকক্ষে যা কিছু শিখেছি, পথেঘাটে তার চেয়ে অনেক বেশি শিখেছি!”- ভিতো কোরলিওনে
গালের মাংস কিছুটা ঝুলে পড়েছে বয়সের ভারে, সাদা-কালো চুলগুলো চিরুনির আঁচড়ে মসৃণ, চোখ দুটোর উপর সর্বদা রহস্যময় অন্ধকার ছায়া, সব মিলিয়ে অসম্ভব রকমের এক রাশভারী চেহারা তার। সেই সাথে গলার স্বরে ক্রমাগত প্রকাশ পায় তার গম্ভীরতা, কর্তৃত্ব আর পৌরুষ। বলছিলাম সিনেমা ইতিহাসের কিংবদন্তি চরিত্র ডন ভিতো কোরলিওনের কথা, যাকে পর্দায় যথার্থরূপে জীবন্ত করেছিলেন কিংবদন্তি অভিনেতা মারলন ব্র্যান্ডো।
মার্কিন লেখক মারিও পুজোর অমর উপন্যাস ‘দ্য গডফাদার’ এর কাহিনী অবলম্বনে পরিচালক ফ্রান্সিস ফোর্ড কপোলা তৈরি করেছিলেন ইতিহাসের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সিনেমা ‘দ্য গডফাদার’। মূল উপন্যাস যতটা না সাড়া ফেলেছিল, কপোলার সিনেমা তার চেয়ে বহুগুণ বেশি জনপ্রিয়তা লাভ করে। এই সিনেমার বদৌলতে মূল উপন্যাসও বিশ্বব্যাপী সমাদৃত হয়, আর ভিতো কোরলিওনে চরিত্রটি কিংবদন্তিতে পরিণত হয়।
ভিতো কোরলিওনে মূলত একজন ইতালিয়ান, যার শৈশব কাটে ইতালিতে। কোনো কারণে সেখানকার স্থানীয় মাফিয়া তার পরিবারের সদস্যদের হত্যা করলে তিনি সিসিলি থেকে পালিয়ে আমেরিকা চলে আসেন। সেখানে ধীরে ধীরে নিজের মাফিয়া সংঘ গড়ে তোলেন। কোরলিওনে মাফিয়া পরিণত হয় আমেরিকার সবচেয়ে প্রভাবশালী মাফিয়া সংগঠনে। এর মাঝে ডন কোরলিওনে সিসিলি গিয়ে নিজের পরিবার হত্যার প্রতিশোধও নিয়ে নেন।
অ্যালবাস ডাম্বলডোর
বড় বড় সাদা দাঁড়ি, লম্বা সোনালী চুল, চোখে চিকন ফ্রেমের চশমা, হাতে একটি অদ্ভুত কাঠি, তার চেয়ে অদ্ভুত তার কথাবার্তা, আর অদ্ভুত রকমের গাম্ভীর্য তার চাহনিতে, যা মানিয়ে যায় তার পোশাকের সাথে। এই ব্যক্তিকে আমরা সবাই চিনি, জানি এবং ভালোবাসি। আমাদের অনেকেরই শৈশব কেটেছে এই ব্যক্তির অদ্ভুত এবং বিস্ময়কর সব জাদুকরী ক্ষমতায় মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে। তিনি হলেন ‘অর্ডার অব দ্য ফিনিক্স’ এর প্রতিষ্ঠাতা এবং হগওয়ার্টস জাদুবিদ্যার স্কুলের প্রধান শিক্ষক অ্যালবাস পারসিভাল উলফ্রিক ব্রায়ান ডাম্বলডোর, সংক্ষেপে যাকে অ্যালবাস ডাম্বেলডোর বলেই চিনি আমরা।
ব্রিটিশ লেখিকা জে. কে. রোলিং এর বিশ্বজোড়া পাঠক সমাদৃত উপন্যাস সিরিজ ‘হ্যারি পটার’ এর অন্যতম কেন্দ্রীয় চরিত্র অ্যালবাস ডাম্বলডোর। যদিও মূল উপন্যাসে কিংবা সিনেমা উভয় ক্ষেত্রেই হ্যারি পটার, হারমায়োনি গ্রেঞ্জার, সেভেরাস স্নেপ কিংবা লর্ড ভল্ডেমর্টদের আলোচনা বা দৃশ্যায়ন ডাম্বলডোরের চেয়ে অনেক বেশি ছিল, তথাপি ডাম্বলডোর পাঠক কিংবা দর্শক, উভয় শ্রেণীর মনেই বিশেষ স্থান লাভ করেছেন। রাশভারী কিন্তু বন্ধুসুলভ, মানবিক, আর অসীম সাহসী চরিত্র ডাম্বলডোর অশুভ শক্তিকে চিরতরে ধ্বংস করতে যা কিছু করেছেন, তা সকলকেই মুগ্ধ করে। আর তাই এই কাল্পনিক চরিত্রটি আমাদের মাঝে জীবন্ত হয়ে আছে এখনো।
গ্যানডালফ
মধ্য পৃথিবীর ইস্তারি বর্গের একজন সদস্য তিনি। তাকে এলভসরা ডাকে মিথান্ড্রির বলে, বামনদের নিকট তিনি ঠারকুন নামে পরিচিত, পশ্চিমে ওলোরিন আর দক্ষিণে ইনক্যানাস নামে পরিচিত এই ব্যক্তি পূর্ব দিকে কখনো যান না। চিনতে পারছেন না? মনে নেই সেই লম্বা সাদাকালো দাঁড়িওয়ালা বৃদ্ধের কথা? যার হাতে থাকতো একটি অদ্ভুত রহস্যময় লাঠি, পরনে লম্বা ধূসর আলখেল্লা সদৃশ পোশাক আর মাথায় জাদুকরদের মতো টুপি। কিংবা সেই দৃশ্যটির কথা মনে করুন, যখন তিনি এক ড্রাগন সদৃশ দানবের সাথে মারামারি করে অন্যদের রক্ষার্থে নিজের জীবন উৎসর্গ করেন। খাদের কিনারা থেকে পতিত হবার মুহূর্তে তিনি যখন বাকিদের বলেছিলেন, “ফ্লাই ইউ ফুলস”, সে দৃশ্য কি আপনাকে নাড়া দেয়নি? কিংবা জঙ্গলের মধ্যে যখন অপ্রত্যাশিতভাবে তিনি পুনর্জন্ম লাভ করে সকলের মাঝে ফিরে আসেন, সে দৃশ্য কি আপনাকে আনন্দ দেয়নি?
এবার বুঝতে পেরেছেন অবশ্যই। এখানে সেই ব্যক্তির কথাই বলা হচ্ছে যাকে উত্তরে ডাকা হতো ‘গ্যানডালফ দ্য গ্রে’ নামে। যদিও পুনর্জন্মের পর তিনি হয়ে যান ‘গ্যানডালফ দ্য হোয়াইট’। ব্রিটিশ লেখক জে. আর. আর. টোকিনের কালজয়ী উপন্যাস ‘দ্য হবিট’ এবং ‘দ্য লর্ড অব দ্য রিংস’ এর অন্যতম কেন্দ্রীয় চরিত্র গ্যানডালফ আমাদের আরো প্রিয় হয়ে উঠেছেন যখন হলিউড পরিচালক পিটার জ্যাকসনের পরিচালনায় টোকিনের উভয় উপন্যাসের কাহিনী অবলম্বনে দুটি পৃথক চলচ্চিত্র সিরিজ নির্মিত হয়।
শার্লক হোমস
পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ গোয়েন্দা কে? এই প্রশ্নের উত্তরে প্রায় শতভাগ মানুষই সিআইএ, মোসাদ, এমআই ফাইভ, কেজিবির মতো কোনো গোয়েন্দা সংস্থার কোনো তুখোড় গোয়েন্দার নাম স্মরণ করার চেষ্টা করবেন না। বরং নির্দ্বিধায়, বিনা বাক্যব্যয়ে বলে দেবেন ‘শার্লক হোমস’। এর সাথে অমত হবারও কি কোনো উপায় আছে? অথচ শার্লক হোমস চরিত্রটিই কি না কাল্পনিক! তবে অন্য যুক্তিতে যদিও বলা যায় যে, শার্লক হোমসের স্যার আর্থার কোনান ডয়েলই আসলে শার্লক হোমস। তথাপি, ডয়েলের কথা আর কজন দর্শক/পাঠক ভাবেন? তার চেয়ে বরং কাল্পনিক চরিত্র শার্লক হোমসকে বইয়ের পাতায় আর টিভি পর্দায় দেখে দেখে তাকেই বাস্তবে স্থান দিয়েছে মানুষ।
‘আ স্টাডি ইন স্কার্লেট’ দিয়ে ১৮৮৭ সালে যাত্রা শুরু করার পর মোট ৪টি উপন্যাস আর ৫৬টি ছোটগল্পে নিজের তুখোড় মেধা আর দুঃসাহসিক গোয়েন্দাগিরি দেখিয়েছেন শার্লক হোমস। কত ভাষায় যে তা অনুবাদ হয়েছে তার হিসাব নেই। আর সিনেমা? গিনেজ রেকর্ডে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক সিনেমায় স্থান পাওয়া চরিত্র হচ্ছেন শার্লক হোমস! এবার বুঝুন। নির্বাক চলচ্চিত্রের যুগে ৯টি সিনেমা সহ অর্ধশতাধিক ছবি নির্মিত হয়েছে শার্লক হোমসকে নিয়ে। আধুনিক কালে তাকে নিয়ে নির্মিত টেলিভিশন সিরিজ ‘শার্লক’ও দর্শকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। প্রতিনিয়ত শার্লক হোমসকে বইয়ের পাতায় আর টিভি পর্দায় দেখতে দেখতে আমরা এতটাই অভ্যস্ত যে তার সাথে সাথে তার বন্ধু ওয়াটসন আর তার ভাড়া বাড়ি ২২১বি বেকার স্ট্রিটও আমাদের নিকট ধ্রুব হয়ে গেছে। পরামর্শক গোয়েন্দা শার্লক হোমসই তাই অধিকাংশের মতে সবচেয়ে জনপ্রিয় কাল্পনিক চরিত্র।
ফিচার ছবি: pinterest.com