মনে করা যাক, আপনার ক্যারিয়ারের জন্যে বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি পরীক্ষার তারিখ এগিয়ে আসছে। এই পরীক্ষার উপরে আপনার অনেক কিছু নির্ভর করছে। আপনিও তাই অন্যসব পরীক্ষার তুলনায় একে আলাদা গুরুত্ব দিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। অবশেষে পরীক্ষার দিন এলো। আপনিও পরীক্ষা দিয়ে এলেন এবং ফলাফলের ব্যাপারে মোটামুটি আত্মবিশ্বাসীই ছিলেন। কিন্তু, ফলাফল ঘোষণার পরে, আপনি আশানুরূপ কিছু পেলেন না।
এর পেছনে ব্যাখ্যা কী তা ভাবতে গেলে পাবেন, আপনার প্রস্তুতিতে যথেষ্ট ঘাটতি ছিল। পড়ার সময় কতবার স্মার্টফোন হাতে নিয়েছেন, ফেসবুকে ঢু মেরেছেন, আড্ডা দিয়েছেন, এসব স্মৃতিই আপনার মাথায় ভেসে আসবে। এমনকি পরীক্ষার সময়ে কোন প্রশ্নের উত্তর লিখতে গিয়ে বাড়তি সতর্ক হওয়া উচিত ছিল, সেসবও আপনার চিন্তায় ভেসে বেড়াবে। অথচ, ফলাফলের আগে কিন্তু এসবকিছুই আপনি ভাবেননি। আপনার হঠাৎ করেই মনে হবে যেন, আপনার পরীক্ষা খারাপ হওয়ার পেছনে যথেষ্ট পরিমাণ আভাস ছিল। আপনি অবচেতনভাবে তা আগেই জানতেন।
এ ধরনের ঘটনা আমাদের সবার সাথেই কমবেশি ঘটে থাকে। এখানে মূল সমস্যাটি হচ্ছে, যেকোনো ঘটনারই সবধরনের ফলাফলের পক্ষে যথেষ্ট কারণ দেখানো যায়। কিন্তু, আমরা শুধুমাত্র সে কারণগুলোই চিন্তা করি, যা ফলাফলের সাথে মেলে। যেমন: উপরের ঘটনায় আপনার ফলাফল যদি ভালো হতো, আপনার ভাবনায় শুধু নিজের কঠিন পরিশ্রমের স্মৃতিগুলোই ভেসে আসতো। অর্থাৎ, আপনার ফলাফলের সাথে স্মৃতির সামঞ্জস্যতা রক্ষা করতে গিয়ে চিন্তার প্যাটার্নে একধরনের ভ্রান্তির উদ্ভব হচ্ছে। আপনার মনে হচ্ছে, ‘এটা আমি আগে থেকেই জানতাম’। কিন্তু সত্যি বলতে, আপনি মোটেও তা জানতেন না। এই ভ্রান্তিটিকে বলা হয় ‘হিন্ডসাইট বায়াস’। এটা একধরনের চিন্তাজনিত ত্রুটি। আমাদের মস্তিষ্কের কার্যক্রমের একটি জটিল প্রক্রিয়ার ফলে এই ত্রুটিটির জন্ম হয়।
আমাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় এই বায়াসটি বড় রকমের নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। ভালো সিদ্ধান্ত নির্ধারকের একটি গুণ হচ্ছে, বিভিন্নরকম সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে বাস্তবিক পৃথিবীতে তার পরিণতি কী হবে, সেটি মূল্যায়ন করতে পারা। হিন্ডসাইট বায়াসের ফলে নিজের অনুমান ক্ষমতার উপরে আমাদের অত্যাধিক আস্থা তৈরি হয়। যদি নিজেদের অতীত সিদ্ধান্তগুলো নিয়ে ভাবার সময়ে আমাদের মনে হয় যে, এই সিদ্ধান্তগুলোর ফলাফল আমরা আগে থেকেই জানতাম, তা অবশ্যই নিজেদের ক্ষমতাকে অতিরঞ্জিত করে দেখা। এই ব্যাপারটি বিপজ্জনক, কারণ এর ফলে যে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস জন্ম নেয় তা আমাদেরকে অপ্রয়োজনীয় ঝুঁকি নেওয়ার দিকে এগিয়ে দেয়। একজন জুয়ারি যদি তার অতীত জুয়াগুলোর কথা ভাবার সময় সেগুলোকে অনুমানযোগ্য মনে করে, সেটি তার ভবিষ্যৎ বাজিগুলোতে ঝুঁকি নেওয়ার জন্যে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস যোগাবে এবং প্রণোদিত করবে।
পুরনো কোনো ঘটনা সংক্রান্ত নতুন তথ্য যখন আমাদের সামনে উদয় হয়, সেই মূল ঘটনার ব্যাপারে আমাদের মূল ভাবনাটি পরিবর্তন হয়। মনোবিজ্ঞানী নিয়াল রিজ ও ক্যাথলিন ভোসের মতে, তিন লেভেলে এই ব্যাপারটি ঘটতে পারে। প্রথম লেভেলটি হচ্ছে ‘মেমোরি ডিস্টোরশন’ বা স্মৃতি বিকৃতি। অতীতের কোনো সিদ্ধান্ত বা বিবেচনাকে ভুলভাবে মনে রাখলে এ রকম বিকৃতি ঘটতে পারে। এই ব্যাপারটি আমাদের সাথে প্রায়ই ঘটে। দেখা যায় যে, অনেক কাজ আমরা করিনি, কিন্তু এরপরেও আমাদের মনে হয় যে, আমরা তা করেছি।
অতীতে ঘটে যাওয়া কোনো ঘটনা অনিবার্য ছিল, এই বিশ্বাসকে কেন্দ্র করে দ্বিতীয় লেভেলটি আবির্ভূত হয়। রিজ এবং ভোস হিন্ডসাইট বায়াসের এই মাত্রাকে ‘ইনেভিট্যাবিলিটি’ নাম দিয়েছেন। সর্বশেষ লেভেল হচ্ছে ‘ফোরসিঅ্যাবিলিটি’। ঘটে যাওয়া কোনো ঘটনা আমাদের কাছে অনুমেয় মনে হলে, সেটিই ফোরসিঅ্যাবিলিটি। অর্থাৎ এই ভ্রান্তিটি ঘটে, যখন আমরা অতীতের সিদ্ধান্তগুলো ভুলভাবে স্মরণ করি, অতীত ঘটনাটি অনিবার্য ছিল তা ভাবি এবং বিশ্বাস করি যে, ঘটনাটি অনুমেয় ছিল।
রিজ এবং ভোসের মতে, এ রকম তিন লেভেলের হিন্ডসাইট বায়াসকে প্রভাবিত করে তিনটি ঘটনা। প্রথমটি হচ্ছে ‘কগনিটিভ’। আমরা সত্য বলে যেটিকে ধরে নিই, সেটিকে সমর্থন করে, এমন তথ্যগুলোই শুধু আমাদের চিন্তায় জীবিত থাকে। অতীত ঘটনার স্মৃতি বিকৃত করার পেছনে এটাই প্রধান ভূমিকা রাখে। আমরা এই কাজটি করি, যেন এমন একটি গল্প সাজানো যায়, যা আমাদের জানা তথ্যকে সমর্থন করে। এই ব্যাপারটি আরেকটি চিন্তাগত ত্রুটি ‘কনফার্মেশন বায়াসে’র সাথে সম্পর্কযুক্ত।
দ্বিতীয় ব্যাপারটি হচ্ছে মেটাকগনিটিভ। আমরা নিজেদের চিন্তা নিয়ে যা ভাবছি, সেটাকে মেটাকগনিশন বলে। মানুষ যখন পুরনো কোনো ঘটনা বা সিদ্ধান্ত নিয়ে চিন্তা করতে সহজ অনুভব করে, তখন এই সহজবোধ্যতাকেই নিশ্চয়তার সাথে গুলিয়ে ফেলে। অর্থাৎ, যেটিকে সহজ মনে হয়, সেটিই নিশ্চিত বলে ধরে নেয়। কোনো ঘটনা কেন অথবা কীভাবে ঘটেছে, সেটি চিন্তা করার সহজবোধ্যতার পেছনে কিছুটা হলেও অ্যাভেলেবিলিটি বায়াস কাজ করে। এটাও আরেকরকম চিন্তাগত ত্রুটি। এটা নিশ্চিত করে যে, ঘটনার পূর্বেও এই বোধগম্যতাটি আমাদের ছিল।
তৃতীয় উপাদানটি প্রেডিক্টেবিলিটি বা অনুমানযোগ্যতা। পৃথিবীর যাবতীয় ঘটনা অনুমেয় এবং সুশৃঙ্খল, এ রকম চিন্তা আমাদেরকে একরকম প্রশান্তি দেয়। যার ফলে, অপ্রত্যাশিত ঘটনাকেও আমাদের কাছে প্রত্যাশিত মনে হয়। আবার, নিজের অনুমান সঠিক হওয়ার ব্যাপারটি ভালো অনুভূতি দেয়। গবেষণায় দেখা গেছে, আমাদের কাজকর্ম অবচেতনভাবেই নিজেদের কোনো ইতিবাচক ব্যাপার তুলে ধরতে অনুপ্রেরণা পায়।
ব্যক্তিগত ও পেশাদার জীবনে ভালো সিদ্ধান্ত গ্রহণের পেছনে ভবিষ্যতের একটি বাস্তবিক অনুমান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তার জন্য নিজের অনুমান ক্ষমতা কত ভালো, সে ব্যাপারে একটি সঠিক মূল্যায়ন দরকার। এই জায়গায় হিন্ডসাইট বায়াস এসে বাধা তৈরি করে। এর ফলে, অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের সাথে আমরা ভবিষ্যৎ মূল্যায়ন করি। একইসাথে ঝুঁকিপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার ফলে যে বাজে ফলাফল দেখা যায়, সেটাকে ন্যায্যতা প্রদানের চেষ্টা করি। আরো নির্দিষ্টভাবে বললে, এই বায়াসটি নিজেদের অভিজ্ঞতা থেকে শেখার পথে বাধা দেয়। যদি আমরা অনুভবই করি যে, কোনো ঘটনা আমরা আগে থেকেই জানতাম, তাহলে সে ফলাফলের ব্যাপারে আমরা সতর্কভাবে ভাবতে চাইব না, সেটাই স্বাভাবিক। আমাদের অনুমান কেন ভুল হলো, সেখানেও আমরা চিন্তা করতে আগ্রহী হব না। এর ফলে, যে কোনো ঘটনার সত্যিকার প্রকৃতি বুঝতে আমরা বরাবরই ব্যর্থ হব।
হিন্ডসাইট বায়াসের ব্যাপারে নিয়মমাফিক বৈজ্ঞানিক স্টাডি শুরু হয়েছিল সত্তরের দশকে। বিখ্যাত মনোবিজ্ঞানী ড্যানিয়েল কাহনেম্যান ও অ্যামোস টিভার্স্কির কাজে অনুপ্রাণিত হয়ে, তাদের ছাত্র বারুখ ফিশশোফ এই ব্যাপারে প্রথম এক্সপেরিমেন্ট চালান। তার আরেকটি অনুপ্রেরণা ছিল পল মিহলের লেখা একটি পেপার, যেখানে রোগীর চূড়ান্ত অবস্থার ব্যাপারে ডাক্তারদের অতিরঞ্জিত অনুমান নিয়ে স্টাডি হয়েছিল। একই ব্যাপার রাজনৈতিক ঘটনার ক্ষেত্রে কেমন হতে পারে, তা পরীক্ষা করতে তিনি ১৯৭৫ সালে রুথ বেইথ-ম্যারমের সাথে যোগ দিয়েছিলেন। পরীক্ষাটিতে অংশগ্রহণকারীদেরকে তখনকার মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিক্সনের চীন এবং সোভিয়েত ইউনিয়ন ভ্রমণের পরে বিভিন্নরকম ফলাফলের সম্ভাব্যতা যাচাই করতে বলা হয়েছে।
নিক্সনের ভ্রমণ শেষ হলে, সেই মানুষগুলোকে তাদের প্রাথমিক অনুমানগুলো স্মরণ করতে বলা হয়েছিল। ফলাফলে দেখা যায়, তারা প্রথমে যে অনুমান করেছিল, সেটি এখন বজায় রাখছে না। সত্যিকারের ফলাফল যা হয়েছিল, তারা সেদিকেই বেশি ঝুঁকেছিল। এই স্টাডিটি পরবর্তীতে হিন্ডসাইট বায়াস নিয়ে বড় রকমের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিল।
রাজনৈতিক ঘটনাবলির ক্ষেত্রে, হিন্ডসাইট বায়াসের প্রাবল্য দেখা যায়। বিশেষত, নির্বাচনের পরে অনেককেই বলতে শোনা যায় যে, তারা ফলাফল আগে থেকেই জানতো। ডরোথি ডিট্রিচ এবং ম্যাথিউ ওলসন নামের দুইজন গবেষক ১৯৯৩ সালে এরকম একটি স্টাডি করেছেন, যেখানে তারা ভোটারদের এইরকম বায়াস ঠিক কতদূর যেতে পারে, তা বের করতে চেয়েছেন।
হ্যামলিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৭ জন শিক্ষার্থীকে ডিট্রিচ এবং ওলসন মার্কিন সিনেট নির্বাচনের ব্যাপারে অনুমান করতে বলেছিলেন। ভোটের ফলাফল কী হবে, সিনেটে দলগুলোর মধ্যে ভোট কীভাবে ভাগাভাগি হবে এসব প্রশ্ন করা হয়েছিল তাদেরকে। একইসাথে, এই অনুমানের ব্যাপারে তারা কতোটুকু আত্মবিশ্বাস রাখে, তাও জিজ্ঞেস করা হয়েছিল। নির্বাচনের একমাস পরে, তাদেরকে এই অনুমান এবং আত্মবিশ্বাসের ব্যাপারে আবারো প্রশ্ন করা হয়। ফলাফলটি হিন্ডসাইট বায়াসের প্রভাবকে ভালোমতোই সমর্থন করেছিল। নির্বাচনের আগে, ৫৮ শতাংশ শিক্ষার্থী অনুমান করেছিল, ক্ল্যারেন্স থমাস নির্বাচিত হবে। নির্বাচনে থমাস জিতেছিলেন ঠিকই। কিন্তু, নির্বাচনের পরে দেখা গেল, ৭৮ শতাংশ শিক্ষার্থী জানাচ্ছে, তারা এ রকমই অনুমান করেছিল।
নির্যাতিতকে দোষারোপের ক্ষেত্রে হিন্ডসাইট বায়াসের আরেকটি বড় প্রভাব রয়েছে। আইন অথবা সাধারণ জনতা উভয়ের বিচারেই এই বায়াসটি প্রভাব ফেলে। আগেই একবার উল্লেখ করা হয়েছে, কোনো ঘটনার প্রকৃতি দ্রুত বুঝার জন্যে আমরা প্রায় সময়ে সহজতম ব্যাখ্যা ও অনুমান খুঁজে বেড়াই। কোনো অপরাধের পেছনে সামাজিক, অর্থনৈতিক কিংবা সিস্টেমের যে বিভিন্ন স্তরের ভূমিকা রয়েছে, তার তুলনায় ব্যক্তির কার্যক্রমকে ব্যাখ্যা করা সহজ। আবার, যে ঘটনা ঘটে গেছে তার ব্যাপারে অনুমান তৈরি ও তা সমর্থন করাও সহজ। যৌন নির্যাতনে ভিক্টিম ব্লেমিংয়ের ব্যাপকতা এই বায়াস দিয়ে ব্যাখ্যা করা সম্ভব। এরকম ঘটনাগুলোর পরে, পরায় সময়েই ‘তাদের বুঝা উচিত ছিল’ ধরনের কথা শোনা যায়। অপরাধীর ব্যাপারে চিন্তা না করে, নির্যাতিতকে ‘নিজের দূর্ভাগ্য নিজেই টেনে এনেছে’ বলে দোষারোপ করা হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, হিন্ডসাইট বায়াসের ফলে, ধর্ষণের শিকার হওয়ার পরে নির্যাতিতকেই বেশি অবজ্ঞা ও মর্যাদাহানিকর পরিস্থিতি সহ্য করতে হয়।
রিজ এবং ভোস হিন্ডসাইট বায়াস এড়ানোর একটি উপায় ব্যাখ্যা করেছেন। সম্ভাব্য যে ফলাফলগুলো ঘটেনি, সেগুলো ঘটলে পরিস্থিতি কেমন হতো সে ব্যাপারে আমাদেরকে চিন্তা করতে হবে। চিন্তায় সবগুলো সম্ভাব্য ফলাফল থাকলে, এরমধ্যে যেকোনো একটিকে আর অনিবার্য ও অনুমেয় মনে হবে না। অবশ্য, এটা করতে গিয়ে আমাদেরকে বিশাল সংখ্যক বিকল্প ফলাফল নিয়ে চিন্তা করলে ভুল হবে। তাতে, সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী এই অনুমানের কাঠিন্যতা ঠিকঠাক নিরূপণ করতে পারবেন না। এতো বেশি ফলাফল ভাবলে, যেকোনো অনুমানই অকার্যকর মনে হবে।
আরেকটি উপায় হচ্ছে, পূর্ববর্তী ঘটনাগুলোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত ও অনুমানগুলোকে লিপিবদ্ধ করে রাখা। এখানে, সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী তার সিদ্ধান্ত ও সিদ্ধান্তের পেছনের ভাবনার বিস্তারিত রেকর্ড রাখবেন। এর ফলে, নিজের ভুল অনুমান ও সিদ্ধান্তগুলো খুঁজে পেতে সহজ হবে। অন্তত যেকোনো ঘটনার ব্যাপারে এই আত্মবিশ্বাস জন্মাবেনা যে, ‘এটা আমি আগে থেকেই জানতাম’। দুইরকম পদ্ধতি অনুসরণ করে এই বায়াসের শিকার হওয়া থেকে নিজেদেরকে আমরা কিছুটা হলেও বাঁচাতে পারব।