ভ্যাক্সিনেশনের সেকাল ও একাল

টিকা বা ভ্যাক্সিনের খোঁজ পেতে ইতিহাসের পাতা উল্টে চলে যেতে হবে শত শত বছর আগে। জনশ্রুতি আছে- বৌদ্ধ সন্ন্যাসীরা নাকি সাপের কামড়ে পাত্তাই দিতেন না, কারণ তারা আগেই সাপের বিষ বের করে পান করে নিতেন। এভাবে নাকি তাদের মধ্যে সাপের কামড়ের প্রতি প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হত।

এর সত্য-মিথ্যা নিয়ে বিতর্ক থাকলেও আজ থেকে প্রায় ছয় সাতশ বছর আগে চীনে ইনঅকুলেশন নামে একটি পদ্ধতি প্রচলিত ছিল, যাকে আধুনিক ভ্যাক্সিনের আদিরূপ বলা যেতে পারে। তখন মিং রাজবংশের সময়, গুটিবসন্ত মোটামুটি নিয়মিত হানা দিচ্ছে। এর থেকে রক্ষা পেতেই এই প্রক্রিয়া অবলম্বন করা হয়। গুটিবসন্তের রোগীর পুঁজ থেকে রোগের উপাদান নিয়ে ঢুকিয়ে দেয়া হতো সুস্থ মানুষের দেহে, দেখা যেত পরবর্তীতে এদের অধিকাংশই গুটিবসন্ত মহামারীর ভেতরেও দিব্যি ভাল থাকেন।

প্রাচীন চীনে ইনঅকুলেশন; Image Source: historyofvaccines.org

রোগসম্বলিত চামড়ার অংশ প্রথমে শুকিয়ে নেয়া হতো, এরপর ভাল করে ছেঁচে বানানো হতো পাউডার। এই পাউডার টেনে নিতে হতো নাক দিয়ে। মেয়েদের জন্য বাম নাক, আর ছেলেদের জন্য ডান নাক দিয়ে পাউডার টেনে নেয়ার বিধান ছিল চীনে।  

চীন থেকে এই পদ্ধতি পৌঁছে যায় উসমানি দরবারে। গুটিবসন্তে ইউরোপ তখন কাহিল। উসমানি দরবার থেকে ইংল্যান্ডে খবর চলে যায় ইনুঅকুলেশনের, বিরোধিতা সত্ত্বেও আস্তে আস্তে ইনুঅকুলেশনের জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এবং রাজপরিবারও তা ব্যবহার করে। কিন্তু সরাসরি রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণু ব্যবহার ঝুঁকিপূর্ণ, এবং ব্যাপক জনগোষ্ঠীর উপর প্রয়োগও সহজসাধ্য নয়। ফলে চলছিল নতুন পদ্ধতির খোঁজ।

গুটিবসন্তে সাফ হয়ে যাচ্ছিল ইউরোপ; Image Source: vox.com

এগিয়ে এলেন প্রথিতযশা চিকিৎসক এডওয়ার্ড জেনার। ১৭৯৬ সালের ১৪ মে জেমস ফিপ্স নামের আট বছরের এক বালকের শরীরে প্রবেশ করালেন গোবসন্তের জীবাণু, যা ছিল গুটিবসন্তের তুলনায় দুর্বল একটি রোগ। তৎকালীন ইংল্যান্ডে অনেকেই জানত যাদের গোবসন্ত বা কাউপক্স হয় তারা গুটিবসন্তে আক্রান্ত হয় না।

তবে জেনারই প্রথম পুরো বিষয়ই একটি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির মধ্যে নিয়ে আসেন। ফিপ্স প্রথম এক সপ্তাহ কিছুটা অসুস্থবোধ করলেও শীঘ্রই সেরে উঠল। পরবর্তীতে গুটিবসন্তের জীবাণু তার উপর প্রয়োগ করে দেখা গেল যে রোগে কাতারে কাতারে মানুষ মরে যাচ্ছে তাতে ফিপ্সের কিছুই হচ্ছে না। জেনার তার গবেষণার ফলাফল নিয়ে প্রকাশ করলেন খটমটে একটি বই, An inquiry into the causes and effects of the variolae vaccinae: a disease discovered in some of the western counties of England, particularly Gloucestershire, and known by the name of the cow pox। গরুর ল্যাটিন নাম ভ্যাক্কা থেকে তিনি তার পদ্ধতির নাম দিলেন ভ্যাক্সিনেশন, যেহেতু গোবসন্তের জীবাণু ব্যবহার করেছেন তিনি। তার এই ওষুধের নাম হলো ভ্যাক্সিন। তখন এটি শুধু গুটিবসন্তের জন্যই পরিচিত ছিল। এর ফলেই জেনার পরে পান ভ্যাক্সিনেশনের জনকের স্বীকৃতি।

এডওয়ার্ড জেনার © DEA Picture Library/Getty Images

তৎকালীন রয়্যাল সোসাইটি জেনারের তথ্য উপাত্তের স্বল্পতার জন্য এই নতুন পদ্ধতিতে আগ্রহ দেখাল না। তবে ব্যক্তিগত পর্যায়ে অনেক চিকিৎসক জেনারের ভ্যাক্সিনেশন ব্যবহার করে সুফল পেতে থাকলেন। ১৮০১ সাল নাগাদ প্রায় এক লাখ মানুষ ভ্যাক্সিন পেয়ে যায়।  ধীরে ধীরে ইনঅকুলেশনকে দৃশ্যপট থেকে সরিয়ে দিয়ে ভ্যাক্সিনেশন হয়ে উঠল গুটিবসন্তের বিরুদ্ধে মূল প্রতিরোধ।

তবে জেনারের প্রক্রিয়ার সীমাবদ্ধতাও খুব দ্রুত বিজ্ঞানীদের দৃষ্টিগোচর হয়। একই পদ্ধতিতে অন্য কোনো রোগের প্রতিরোধক তৈরি করা নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে দেখতে পেলেন গুটিবসন্তের মতো যেরকম গরুতে গোবসন্ত, সেরকম তো সব রোগে হয় না। তাছাড়া অনেক পশুবাহিত রোগ তো মানুষের জন্য মারাত্মক হতে পারে। কাজেই তারা মনোযোগী হলেন রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণুকে নিষ্ক্রিয় করার দিকে। তাহলে হয়তো এগুলো মানবদেহে নিরাপদে প্রবেশ করানো সম্ভব হবে। এতে এক ঢিলে দুই পাখি মরবে, রোগ হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পাবে, একইসাথে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হবে।

সুতরাং বিজ্ঞানীরা জোর গবেষণা চালালেন। তারা উপলব্ধি করলেন যে তাদের সামনে দুটি পথ খোলা- ১) জীবাণুকে হত্যা করে সুস্থদেহে প্রবেশ করানো, এবং ২) জীবাণুকে বাঁচিয়ে রাখা, কিন্তু নানা প্রক্রিয়ায় তাকে দুর্বল করে দেয়া যাতে তার মানবদেহে রোগ তৈরির সামর্থ্য কমে যায়। দুই ক্ষেত্রেই তারা একই ফলাফল আশা করছিলেন।

জেনারের আবিষ্কারের প্রায় দেড়শ বছর পর্যন্ত এই নিয়ে বিভিন্ন দেশের নানা বিজ্ঞানি গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। ফরাসি অনুজীববিজ্ঞানী লুই পাস্তুর এক অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেন। তিনি অ্যানথ্রাক্স আর জলাতঙ্ক, বা র‍্যাবিসের জীবাণুকে অক্সিজেন আর তাপে রেখে দেখতে পান তাদের প্রাণঘাতী ক্ষমতা কমে গেছে। এই দুর্বল জীবাণু কাজে লাগিয়ে ১৮৮১ সালে অ্যানথ্রাক্স আর ১৮৮৫ সালে জলাতঙ্কের টিকা বানালেন তিনি। ১৮৮৭ সালে তার প্রতিষ্ঠিত পাস্তুর ইন্সটিটিউট পাস্তুরের মৃত্যুর পরও ভ্যাক্সিন নিয়ে কাজ চালিয়ে যায়। বর্তমান পৃথিবীতে ফ্রান্সের এই ইনস্টিটিউট ভ্যাক্সিন নিয়ে কাজ করা অন্যতম একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। 

গবেষণাগারে লুই পাস্তুর © Bettmann Archive / Getty Images

বিংশ শতকের প্রারম্ভে ভ্যাক্সিনের ক্ষেত্রে আরেকটি বিপ্লব সাধিত হয়। ফরাসি চিকিৎসক অ্যালবার্ট কাল্মেট (Albert Calmette) আর পশু চিকিৎসক ক্যামিল গুয়েরিন (Camille Guérin) জেনার আর পাস্তুরের দেখানো পথে তৈরি করলেন তৎকালীন অন্যতম ভয়ানক রোগ যক্ষ্মার টিকা। তারা এজন্য গরুতে যক্ষ্মা সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়াকে বারবার বংশবিস্তার করালেন কৃত্রিম পরিবেশে। ২৩০ প্রজন্ম পরে এমন একটি প্রজাতি পাওয়া গেল, যা যক্ষ্মার কারণ ব্যাকটেরিয়ার প্রজাতি হলেও রোগ উৎপাদনের ক্ষমতা তুলনামূলকভাবে অনেক কম। এটা দিয়েই তারা বানিয়ে ফেলেন তাদের ভ্যাক্সিন, তাদের নামানুসারে যা আজও বিসিজি (ব্যাসিলি ক্যাল্মেট গুয়েরিন) নামে পরিচিত। 

বিসিজি আজও যক্ষ্মার বিরুদ্ধে সুরক্ষা দিয়ে যাচ্ছে; Image Source: pharmaceutical-technology.com

পাস্তুরের পদ্ধতি বেশ দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠল। হামসহ অন্যান্য বেশ কিছু রোগের জন্য ভ্যাক্সিন প্রস্তুত করা হলো এভাবে। কিন্তু এখানেও সমস্যার শেষ হলো না। বিজ্ঞানীরা জানতে পারলেন দুর্বল ভাইরাস ব্যাকটেরিয়াও বিভিন্ন কারণে রোগের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। আজকের দিনে আমরা জানি মিউটেশনের ফলে এসব জীবাণু অনেক সময় আরো ভয়ানক রোগের জন্ম দেয়। এজন্য মৃত জীবাণু ব্যবহার করা অনেকেই বেশি নিরাপদ মনে করছিলেন।

স্যাল্মন আর স্মিথ নামে দুই গবেষক এবং পাস্তুর ইন্সটিটিউট থেকে প্রায় একই সময় প্রথম মৃত জীবাণু দ্বারা ভ্যাক্সিন তৈরি করা হয়। এই পদ্ধতি প্রথমে প্রয়োগ করা হয় টাইফয়েড, কলেরা আর প্লেগের জীবাণুর উপরে। ইংল্যান্ডে রাইট আর সেম্পল নামে দুজন বিজ্ঞানী প্রথম টাইফয়েডের ভ্যাক্সিন প্রয়োগ করেন। প্লেগের টিকা মানুষের উপর সর্বপ্রথম ব্যবহার করেন হ্যাফকিন। কোল নামে আরেক বিজ্ঞানী তাপে মৃত কলেরা জীবাণু ভ্যাক্সিন হিসেবে বানান। এর আগে ফেরান আর হ্যাফকিন আলাদা আলাদাভাবে জীবিত জীবাণু দিয়ে কলেরার টিকা বানালেও শেষমেশ টিকে যায় কোলের ভ্যাক্সিনই।

উনবিংশ ও বিংশ শতাব্দীতে মৃত জীবাণু দ্বারাই কলেরা, ধনুষ্টংকার, ইনফ্লুয়েঞ্জা ইত্যাদি রোগের ভ্যাক্সিনেশন করা হতো। এভাবে উনবিংশ শতকের শেষদিকে প্লেগের জন্য একপ্রকার ভ্যাক্সিন বানানো হয়েছিল। জীবাণু মারার জন্য প্রথমে উচ্চ তাপ ব্যবহার করাই ছিল চল। তবে ১৯২৫ সালে খ্যাতনামা ব্রিটিশ রোগ প্রতিরোধ বিশেষজ্ঞ অ্যালেক্সান্ডার গ্লেনি আর হপকিন্স ফরমাল্ডিহাইড দিয়ে টিটেনাসের টক্সিন নিষ্ক্রিয় করেন। পরবর্তীতে ফরমাল্ডিহাইড অথবা ফরমালিনের মিশ্রণ দিয়ে জীবাণু মারার প্রক্রিয়া জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। এই পদ্ধতিতে ১৯২৬ সালে ডিপথেরিয়ার ভ্যাক্সিন তৈরি হয়। ধনুষ্টংকারের ভ্যাক্সিন বাজারে আসতে লেগে যায় আরো ২২ বছর।

ক্যাল্মেট আর গুয়েরিন কৃত্রিম পরিবেশে ব্যাকটেরিয়ার বংশবৃদ্ধি ঘটিয়ে তা দিয়ে ভ্যাক্সিন বানান। ভাইরাসের জন্য সেরকম কৃত্রিম পরিবেশ আবিষ্কার হতে হতে প্রায় ৩৫ বছর লেগে যায় (১৯৫০-৮৫)। এর সূত্র ধরে ১৯৫৫ সালে আমেরিকান ভাইরাস বিশেষজ্ঞ জোনাস স্যাক প্রস্তুত করেন পোলিওর টিকা, যার মধ্যে ছিল মৃত ভাইরাস। পোলিও ভাইরাস মারতে তিনি বেছে নিয়েছিলেন ফরমাল্ডিহাইড। ইঞ্জেকশন দিয়ে শরীরে দিতে হতো স্যাকের ভ্যাক্সিন। এর সুবিধা ছিল- মৃত বলে পোলিও হবার কোনো সম্ভাবনা নেই।

স্যাকের সাত বছরের মাথায় দুর্বল পোলিও ভাইরাস ব্যবহার করে মুখে খাবার পোলিও টিকা নিয়ে এলেন আমেরিকান-পোলিশ গবেষক অ্যালবার্ট স্যাবিন। তার পোলিও ভ্যাক্সিনই ব্যাপকভাবে গৃহীত হয়, কারণ মুখে দেয়া যেত বলে এর প্রয়োগকারীর জন্য কোনো বিশেষ প্রশিক্ষণের দরকার হতো না। তবে এখানে পোলিও হবার খুব সামান্য একটি ঝুঁকি ছিল, তবে পরবর্তীকালে প্রমাণিত হয় এই ঝুঁকি প্রায় শূন্য। 

 জোনাস স্যাক (বামে) এবং অ্যালবার্ট স্যাবিন (ডানে) © Salon/Getty Images

১৯৪০ সালের পর থেকে বিজ্ঞানীরা জীবাণুর দেহের বিভিন্ন অংশ নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা চালাতে থাকেন। তাদের মাথায় ছিল কীভাবে সম্পূর্ণ জীবাণু ব্যবহার না করে সামান্য অংশ দিয়েই ভ্যাক্সিন তৈরি করা যায়। এর পথ ধরেই এলো হেপাটাইটিস বি-র ভ্যাক্সিন।

এর সাথে সাথে বিজ্ঞানীরা কাজ করছিলেন কীভাবে ব্যাকটেরিয়ার মতো ভাইরাসকেও নিষ্ক্রিয় করে ভ্যাক্সিন তৈরি করা যায়, কারণ ততদিন পর্যন্ত মৃত জীবাণু দিয়ে তৈরি ভ্যাক্সিন সবই ছিল ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগের বিরুদ্ধে। সর্বপ্রথম এভাবে প্রস্তুত ভ্যাক্সিন হলো ইনফ্লুয়েঞ্জার, এরপর এলো হেপাটাইটিস-এ ভ্যাক্সিন। বর্তমানে অণুজীবের ডিএনএ, আরএনএ, ভেক্টর ভাইরাস ইত্যাদি ব্যবহার করে ভ্যাক্সিন তৈরির কাজ চলছে, যা করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রে আমরা দেখতে পাচ্ছি।

ভ্যাক্সিন তৈরি এবং বিপণন একটি ব্যয়বহুল প্রক্রিয়া। সরকারিভাবে যতটা প্রণোদনা দেয়া হয়, তার থেকে বেশি অর্থ আসে বহুজাতিক ওষুধ প্রতিষ্ঠান থেকে। তাদের মাধ্যমেই নতুন নতুন ভ্যাক্সিন আবিষ্কার ও প্রয়োগ হচ্ছে। ২০২০ সালের হিসেবে নিম্নের দশটি বহুজাতিক ওষুধ কোম্পানি ভ্যাক্সিন গবেষণা ও প্রস্তুতে শীর্ষে ছিল।

গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইন

নামকরা ওষুধ কোম্পানি গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইনের জন্ম ১৮৭৩ সালে জোসেফ এডওয়ার্ড নাথান নামে এক ভদ্রলোকের হাত ধরে, নিউজিল্যান্ডের ওয়েলিংটনে। বর্তমানে লন্ডনভিত্তিক এই প্রতিষ্ঠানের সাফল্যের তালিকায় রয়েছে জলাতঙ্ক আর চিকেনপক্সসহ আরো অনেক ভ্যাক্সিন।

মার্ক

১৮৯১ সালে জর্জ মার্কের প্রতিষ্ঠিত এই মার্কিন কোম্পানি বিশ্বজুড়ে সুপরিচিত। তাদের অন্যতম ভ্যাক্সিনের মধ্যে আছে নারীদের সারভাইকাল ক্যান্সারের ভ্যাক্সিন, হেপাটাইটিস বি-এর ভ্যাক্সিন ইত্যাদি।

সানোফি

১৯৭৩ সালে আলোর মুখে দেখা ফরাসি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান সানোফির ঝুলিতে আছে পোলিওর ভ্যাক্সিনের মতো সফল টিকা।

ফাইজার

করোনাভাইরাসের টিকা নিয়ে আসা ফাইজার মার্কিন কোম্পানি। ১৮৪৯ সালে চার্লস ফাইজার আর চার্লস এরহার্ট মিলে এর ভিত্তি বুনে দেন। অন্যান্য অনেক কিছুর সাথে মেনিনজাইটিসের ভ্যাক্সিনে তারা অগ্রগামী।

নোভাভ্যাক্স

এটিও ১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠিত একটি মার্কিন কোম্পানি। এরা ভ্যাক্সিন তৈরিতে জৈবপ্রযুক্তি বা বায়োটেকনোলজি নিয়ে কাজ করে। শ্বাসতন্ত্রের কিছু রোগের ভ্যাক্সিন তারা তৈরি করেছে।

এমারজেন্ট বায়োসল্যুশন

বায়োটেকনোলজিভিত্তিক এই মার্কিন কোম্পানির জন্ম ১৯৯৮ সালে। তাদের অ্যানথ্রাক্স ভ্যাক্সিন সুপরিচিত।

সিএসএল

অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক সিএসএল-এর যাত্রা শুরু ১৯১৬ সালে। ফ্লু, নিউমোনিয়া ইত্যাদি রোগের ভ্যাক্সিন আছে তাদের।

ইনভিয়ো

১৯৭৯ সাল থেকে কার্যক্রম শুরু করা ইনভিয়োর হেড অফিস যুক্তরাষ্ট্রের প্লাইমাউথে অবস্থিত। এইচআইভি-র ভ্যাক্সিন নিয়ে তারা প্রচুর কাজ করছে।  

বাভারিয়ান নর্ডিক

ড্যানিশ এই কোম্পানি ১৯৯৪ সাল থেকে কাজ করছে। তারা সারভাইকাল ক্যান্সারের ভ্যাক্সিনসহ আরো কিছু ভ্যাক্সিনের জন্য নাম করেছে।

মিটসুবিশি টানাবে

১৯৮১ সাল থেকে জাপানী এই প্রতিষ্ঠান নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। চিকেনপক্সের ভ্যাক্সিন আছে তাদেরও।

Related Articles

Exit mobile version