দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া
ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া
একটি ধানের শিষের উপরে
একটি শিশিরবিন্দু।
ছোটবেলায় ‘দেশ ভ্রমণ’ রচনা লিখতে গিয়ে ভূমিকা কিংবা উপসংহারে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই লাইনগুলো রঙিন কালিতে আমরা প্রায় সবাই-ই লিখতাম। ভ্রমণ নিয়ে বলা এই কথাগুলোর মর্মার্থ আজকে থেকে মাত্র দশ বছর আগেও খুব বেশি অনুধাবন করতে পারতাম না হয়তো আমরা। ভাবতাম, নানান দেশ-বিদেশ বাদ দিয়ে বুঝি নিজের ঘরের পাশের সৌন্দর্যই কেবল দেখতে বলছেন কবি! এখন কিন্তু দিন একদম পাল্টে গেছে। এই ক’টি লাইনের সত্যিকারের অর্থ আমরা বুঝতে শিখছি; সারা পৃথিবীর ধানের শীষের উপরের শিশিরবিন্দু, জনারণ্যের বর্ণিল রং কিংবা ঝরঝর ঝরে পড়া তুষারের সৌন্দর্য দেখতে মানুষ এখন অনেক অনেক বেশি ভ্রমণপিপাসু হয়েছে আগের চেয়ে।
ভ্রমণপথের ঝামেলা কমে আসা আর যানবাহনের সহজলভ্যতা তো আছেই; সেই সাথে সামাজিক মাধ্যমগুলোর বদৌলতে কিংবা নিজের আগ্রহের কারণে বিভিন্ন দেশে মানুষের ঘুরে বেড়ানোর পরিমাণটা বেড়ে গেছে আগের চেয়ে অনেক বেশি। শখ মেটানোর পাশাপাশি নানান দেশের নানান রকমের অজানা তথ্যও ভ্রমণের মাধ্যমে জানতে চান সবাই। কিন্তু দেশের বাইরে ঘুরে বেড়ানোর সময় বেশ কিছু জটিল প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয় সবাইকে। এর মধ্যে প্রথমটিই হলো- ভিসা! আমাদের দেশে ট্রাভেল বুকিং বাংলাদেশ এর মতো প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় ভিসা সংক্রান্ত যাবতীয় জটিলতা সহজেই মোকাবেলা করতে পারেন আপনি। তবে এই প্রক্রিয়াগুলো নিয়ে কিছুটা প্রাথমিক ধারণা রাখাও দরকার। সে উদ্দেশ্যেই আজকের এই লেখায় থাকছে ভিসা প্রক্রিয়া নিয়ে একটি সংক্ষিপ্ত আলোচনা, যেখান থেকে ভিসার নানা খুঁটিনাটি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাবে এক নজরেই।
ভিসা কী
একটি দেশ থেকে কেউ যদি অন্য কোনো দেশে প্রবেশ করতে চায়, তাহলে সেজন্য তাকে একটি বিশেষ অনুমতিপত্র দেওয়া হয়। এই অনুমতিপত্রটিকেই বলা হয় ভিসা। ভিসা ছাড়া কেউ যদি তার নিজের দেশ ছাড়া অন্য দেশে প্রবেশ বা অবস্থান করতে চায়, সেটি অবৈধ এবং অপরাধ হিসেবে পরিগণিত হবে। সাধারণত পাসপোর্ট বা ট্রাভেল পারমিটের একটি পাতায় সিল অথবা স্টিকার লাগিয়ে ভিসা প্রদান করা হয়। সেখানে প্রয়োজনীয় নথিসহ ভিসার সময়সীমা দেওয়া থাকে। এই সময়ের ভেতরেই পাসপোর্টধারীকে সেই দেশে গিয়ে ঘুরে আসতে হবে, সময় অতিক্রান্ত হলে প্রবেশ নিষিদ্ধ হয়ে যাবে।
বিভিন্ন ধরনের ভিসা
বিভিন্ন কারণে মানুষের বিদেশে যাওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। বিদেশ যাওয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর নির্ভর করে বিভিন্ন ধরনের ভিসার জন্য আবেদন করতে হয়। অর্থাৎ ভিসার রয়েছে বেশ কিছু ক্যাটাগরি বা শ্রেণিবিভাগ। এর মধ্যে রয়েছে এক্সকার্শন বা আনন্দ ভ্রমণ, ইমিগ্রেশন বা অভিবাসন, হায়ার স্টাডিজ বা উচ্চশিক্ষা, বিজনেস ট্রিপ বা ব্যবসায়িক ভ্রমণ, এমপ্লয়মেন্ট বা চাকরি ইত্যাদি। চিকিৎসা কিংবা অন্যান্য কারণে জরুরি ভিত্তিতেও কিছু ক্ষেত্রে ভিসা প্রদান করা হয়ে থাকে। প্রয়োজনীয়তা ভেদে একটি ভিসা একবার কিংবা একাধিকবার প্রবেশের জন্যও দেওয়া হয়।
ভিসা করানোর প্রক্রিয়া
সরকারি, বেসরকারি, ভ্রমণ, ব্যবসা-বাণিজ্য, উচ্চশিক্ষা, বৃত্তি, অভিবাসন- কারণ যেটাই হোক না কেন, ভিসা পাওয়ার জন্য বেশ কিছু শর্ত থাকে সংশ্লিষ্ট দেশের। যেমন: দেশ ভেদে এক মাস থেকে শুরু করে এক বছর পর্যন্ত পাসপোর্টের মেয়াদ থাকতে হয়। পাসপোর্টের মেয়াদকাল ছাড়াও পাসপোর্টের কত পাতা খালি আছে, আবেদনকারীর ক্রিমিনাল রেকর্ড আছে কিনা, তার স্বাস্থ্য পরিস্থিতি ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় খেয়াল করে বিভিন্ন দেশের দূতাবাস। আগ্রহী ব্যক্তি যে দেশে যেতে চান, সে দেশের দূতাবাস থেকে যথাযথ নিয়ম অনুযায়ী ধাপে ধাপে ভিসার আবেদনের প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। বিভিন্ন দেশে ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া বিভিন্ন রকমের হয়। তবে সব ক্ষেত্রেই নির্দিষ্ট দেশের জন্য দূতাবাস প্রদত্ত ভিসার আবেদনপত্র সঠিকভাবে পূরণ করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ জমা দিয়ে আসতে হয়। প্রায় সব দেশের ভিসার জন্য কিছু সাধারণ কাগজপত্র সরবরাহ করতে হয়, সেগুলো হলো:
১. আবেদনকারীর অরিজিনাল পাসপোর্ট
২. পুরাতন পাসপোর্ট (যদি থাকে)
৩. সঠিকভাবে পূরণ করা ভিসার আবেদনপত্র
৪. পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি (এক বা একাধিক, নির্ভর করে দেশের উপর)
৫. জাতীয় পরিচয়পত্র/ জন্মসনদপত্রের একটি কপি
৬. ভ্রমণের খরচ বহনের প্রমাণস্বরূপ নির্দিষ্ট পরিমাণ ডলারের ব্যাংক এনডোর্সমেন্ট
৭. ভিসা আবেদনের নির্দিষ্ট ফি
৮. আবেদনকারীর কর্মস্থলের অনাপত্তিপত্র (নো অবজেকশন সার্টিফিকেট)
৯. রিটার্ন এয়ার টিকেট (কিছু কিছু দেশের ক্ষেত্রে)
এসব নথিপত্র ছাড়াও বিভিন্ন দেশ ভেদে কিছু অতিরিক্ত কাগজ সরবরাহ করতে হয়। যেমন: আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতের ভিসা পেতে নিজের আবাসস্থলের প্রমাণ হিসেবে বিদ্যুৎ, গ্যাস বা টেলিফোন বিলের অনুলিপি জমা দিতে হয়। ব্যবসায়িক কাজে বিদেশ গমনের ক্ষেত্রে রেজিস্টারকৃত কোম্পানি অথবা সংস্থার স্থানীয় যোগাযোগের ঠিকানা, টিন সার্টিফিকেট সহ ট্রেড লাইসেন্স এর কপি ও অন্যান্য কাগজপত্রের প্রয়োজন হয়। আবার উচ্চশিক্ষার জন্য ভিসায় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কাগজপত্র ও আইডি কার্ডের অনুলিপি সরবরাহ করতে হয়। এছাড়া ভ্রমণ ভিসায় গন্তব্যের নাম, আবাসিক হোটেলের ঠিকানা, ফেরার সম্ভাব্য তারিখ ইত্যাদি তথ্যও জানাতে হয়।
ভিসা অফিসারের সাথে সাক্ষাৎ
ভিসা অফিসারের সাথে সাক্ষাৎকার ভিসা আবেদন প্রক্রিয়ার একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। যেসব দেশে ভ্রমণের আগেই ভিসা নিতে হয় সেসব দেশের দূতাবাস থেকে ভিসার আবেদন জমা দেওয়ার সময় একজন অফিসারের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। সেসব প্রশ্ন হতে পারে আবেদনকারীর দেওয়া তথ্যের বিষয়ে, আবার হতে পারে ভ্রমণের কারণ বিষয়ে। একই সাথে সেসময় তারা আবেদনকারীর ছবিও তুলে রাখেন। বিশেষত কেউ যদি অভিবাসন ভিসার জন্য আবেদন করে থাকে তার জন্য অফিসারের সাক্ষাৎকার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ, একজন ইমিগ্রেশন অফিসারের হাতে প্রার্থীকে ভিসা প্রদান কিংবা প্রত্যাখ্যানের সর্বময় ক্ষমতা রয়েছে।
যেসব বিষয়ের উপর ভিত্তি করে তিনি প্রার্থীর যোগ্যতা নিরূপণ করেন সে বিষয়গুলোতে প্রার্থীকে অবশ্যই সর্বোচ্চ মনোযোগ দিতে হবে। প্রার্থীকে মার্জিত পোশাকের ও আত্মবিশ্বাসী হতে হবে, স্বাভাবিক ও স্বতস্ফুর্ত কথাবার্তা বলতে হবে। এমনও হতে পারে, প্রার্থীর মানসিক দৃঢ়তা যাচাইয়ের উদ্দেশ্যে অফিসার বিভিন্ন প্রশ্ন করবেন, সুকৌশলে উত্তেজনা বর্জন করে সেগুলোর জবাব দিতে হবে। অভিবাসন ভিসা চাইলে মনে রাখতে হবে, অনুকম্পা নয় বরং অফিসারকে বোঝাতে হবে যে আপনি তাদের দেশে গিয়ে উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখতে সক্ষম।
মেডিকেল টেস্ট
ভিসা প্রক্রিয়ার একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো মেডিকেল টেস্ট। সাধারণত ভ্রমণ ভিসার ক্ষেত্রে মেডিকেল টেস্টের প্রয়োজন হয় না। তবে দীর্ঘ সময়ের জন্য বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশে মেডিকেল টেস্ট বাধ্যতামূলক, যাতে আপনি সেখানে গিয়ে বিভিন্ন অপ্রচলিত রোগ ছড়াতে না পারেন। স্বাস্থ্য পরীক্ষার অংশ হিসেবে সাধারণ শারীরিক পরীক্ষা, মলমূত্র পরীক্ষা, এক্স-রে, রক্ত পরীক্ষা (এইচএসবিএসজি, হেপাটাইটিস – এ ও বি), ভিডিআরএল (যৌনরোগ/সংক্রমণ পরীক্ষা), এইচআইভি (এইডস-এর পরীক্ষা), টিউবারকিউলোসিস (যক্ষ্মার পরীক্ষা), ম্যালেরিয়া, লেপ্রোসি, মহিলাদের ক্ষেত্রে গর্ভবতী কিনা ইত্যাদি বিষয়ের পরীক্ষা করা হয়। এছাড়া একজিমা, খুব বেশি চর্মরোগ, শরীরের কোনো অংশ খুব বেশি পুড়ে যাওয়া ইত্যাদি কারণেও অনেক সময় প্রার্থীকে ‘আনফিট’ ঘোষণা করে দেওয়া হয়।
ভিসা ও পাসপোর্ট সংগ্রহ
যদি আবেদনকারীর ভিসার আবেদন গৃহীত হয়, তাহলে সকল প্রকার প্রক্রিয়া শেষ হবার ১০ কার্যদিবসের ভেতরেই পাসপোর্ট ও ভিসা দিয়ে দেওয়া হয়। পাসপোর্ট সংগ্রহের জন্য তাকে ‘পাসপোর্ট সংগ্রহের জন্য প্রস্তুত’ এই খবরটি জানিয়ে একটি মেইল করা হয়। এছাড়া ফোন নম্বর দেওয়া থাকলে সেখানে একটি ক্ষুদেবার্তাও পাঠানো হয়। যে স্থানে তিনি সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন, সেখান থেকেই তিনি পাসপোর্টটি সংগ্রহ করতে পারবেন। জরুরি বিষয় হলো, সেদিনের আগে তিনি কোনোভাবেই জানতে পারবেন না, ভিসা আসলে তিনি পেয়েছেন নাকি না! অর্থাৎ পাসপোর্টটি হাতে নিয়ে পাতা উল্টিয়ে সিল বা স্টিকার দেখলে তিনি ভিসা পেয়েছেন, আর না দেখলে প্রার্থীকে বুঝতে হবে, তার ভিসার আবেদন গৃহীত হয়নি।
ফ্রি ভিসা, অন–অ্যারাইভাল ভিসা ও ই–ভিসা
আজকাল এই ব্যস্ত সময়ে বিদেশ ভ্রমণের স্বপ্ন অনেকেরই অধরা থেকে যায় কেবলমাত্র ভিসার ঝামেলার জন্য। অনেকে শেষ মুহূর্তে ভিসার আবেদন গৃহীত না হওয়ায় বহুদিনের পরিকল্পিত ভ্রমণ বাদ দিয়ে ফেলেন। এছাড়াও আরও নানামুখী সমস্যায় পড়তে হয় এই ভিসা নিয়ে। কিন্তু দারুণ একটি ব্যাপার হলো, এমন অনেক দেশই রয়েছে যেখানে যেতে ভিসার দরকার পড়ে না, অথবা অন অ্যারাইভাল ভিসা প্রদান করা হয়! পরস্পরের মধ্যে সম্পর্ক আরও জোরদার করতে এবং পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে বিশ্বের অনেক দেশই পরস্পরের জন্য এ ধরনের ফ্রি ভ্রমণ ভিসা দিয়ে থাকেন। বাংলাদেশ থেকে আমেরিকার বলিভিয়া এবং এশিয়ার ভূটান, ইন্দোনেশিয়া, মালদ্বীপ, নেপাল ও পূর্ব তিমুরে ভিসা ছাড়াই যাওয়া যায়। আর আমাদের জন্য আফ্রিকার ভিসাবিহীন দেশগুলো হলো বেনিন, কেপ ভার্দে, কমোরো দ্বীপপুঞ্জ, জিবুতি, গাম্বিয়া, গিনি বিসাউ, লেসোথো, মাদাগাস্কার, মোজাম্বিক, সেশেল দ্বীপপুঞ্জ, টোগো, উগান্ডা, মৌরিতানিয়া, রুয়ান্ডা ও সোমালিয়া।
ওশেনিয়ায় আগে ভিসা না নিয়েই যাওয়া যাবে কুক আইল্যান্ড, ফিজি, মাইক্রোনেশিয়া, দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় নিউই, সামোয়া, তুভালু, ভানুয়াতু। আর ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের মধ্যে ভিসার ঝামেলা ছাড়াই ঘুরে আসতে পারেন বাহামাস, বার্বাডোস, ব্রিটিশ ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জ, ডমিনিকা, গ্রেনাডা, হাইতি, জ্যামাইকা, মন্টসেরাট, সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস, সেন্ট ভিনসেন্ট, ত্রিনিদাদ থেকে। শ্রীলঙ্কা, কম্বোডিয়া আর কেনিয়ায় আবেদন করে আপনি পেতে পারেন ইলেক্ট্রনিক ভিসা বা ই-ভিসা। আর মালয়েশিয়ান এয়ারলাইনস থেকে অস্ট্রেলিয়াগামী টিকেট কিনলে মালয়েশিয়ায় পাবেন অন-অ্যারাইভাল ভিসার সুবিধা।
সেনজেন ভিসা
ভিসা সংক্রান্ত দারুণ একটা আয়োজন হলো এই সেনজেন ভিসা। বিশেষ কিছু চুক্তির আওতায় এসে বিভিন্ন দেশ নিজেদের মাঝে ভিসা প্রথা স্থগিত রাখতে পারে। এতে করে সেসব দেশের কিংবা বাইরের পর্যটকদের বেশ সুবিধা হয়। যেমন সেনজেন চুক্তির আওতায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের মোট ২৬টি দেশের নাগরিক ভিসা ছাড়াই এক দেশ থেকে অন্য দেশে চলাচল করতে পারে। এই ২৬টি দেশ একসাথে সেনজেন এলাকা নামে পরিচিত। আবার সেনজেন এলাকার বাইরের দেশের নাগরিক চাইলে সেনজেন ভিসা নিয়ে ঐ ২৬টি দেশের যেকোনোটিতে চলাচল করতে পারবে এবং একবার প্রবেশের পর সেনজেনের অধিভুক্ত অন্য দেশগুলোতেও ভ্রমণ করতে পারবে। সেনজেনভুক্ত দেশগুলো হলো- অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, চেক রিপাবলিক, ডেনমার্ক, এস্তোনিয়া, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, গ্রিস, হাঙ্গেরি, আইসল্যান্ড, ইতালি, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, লুক্সেমবার্গ, মাল্টা, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, পোল্যান্ড, পর্তুগাল, স্লোভাকিয়া, স্লোভেনিয়া, স্পেন, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড ও লিচেনস্টাইন। মনে রাখা দরকার, সেনজেন আর সিঙ্গাপুরের ভিসার জন্য বাংলাদেশী পাসপোর্টধারীদের আবেদনের সময় ভ্রমণের বিস্তারিত পরিকল্পনা আগেই জানিয়ে দিতে হবে।
সংক্ষেপে এই হলো ভিসা সংক্রান্ত প্রাথমিক কী, কেন, কীভাবে প্রশ্নগুলোর উত্তর। শুরুতেই বলেছিলাম ট্রাভেল বুকিং বাংলাদেশ এর কথা, যাদের সহায়তায় আপনি বিশ্বের যে প্রান্তেই যেতে চান না কেন, খুব সহজেই ভিসা প্রসেসিং থেকে শুরু করে দারুণ সব ভ্রমণ প্যাকেজ নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন নিশ্চিন্তে। যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ভারতের ভিসা কিংবা সেনজেন ভিসার জন্য আপনার নিজেকেই কাগজপত্র জমা দিয়ে আবেদন করতে হবে, কিন্তু ট্রাভেল বুকিং বাংলাদেশ থেকে সহায়তা পাবেন সেই কাগজপত্র গুছিয়ে নিতে। ভিসা কিংবা ভ্রমণ সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয়ে জানতে ঘুরে আসুন তাদের ওয়েবসাইট আর ফেসবুক পেইজ থেকে। ভ্রমণ হোক আনন্দের, জানুন গোটা বিশ্বকে!