মানব সভ্যতা টিকিয়ে রাখার একমাত্র কাণ্ডারি হচ্ছে শিশু। বলা হয়ে থাকে, আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। তাই শিশুর সুরক্ষা প্রতিটি অভিভাবক তথা সমগ্র মানব জাতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
শিশু জন্মাবার পর থেকে প্রাপ্তবয়স্ক হবার আগ পর্যন্ত বেশ নাজুক অবস্থায় থাকে। এই অবস্থায় শিশুর প্রয়োজন হয় সর্বোচ্চ পরিমাণ যত্ন এবং সুরক্ষার। এই সুরক্ষা দিতে শিশুর অভিভাবকে সর্বদা থাকতে হয় সজাগ। একটু অযত্নের জন্যে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। সেকারণে সবচেয়ে বেশি সতর্ক থাকতে হয় শিশুর মা-বাবাকেই, কেননা আগামী দিনের ভবিষ্যৎকে সুস্থ রাখার গুরুদায়িত্ব যে তাদের ওপরেই।
তবে অভিভাবকের পাশাপাশি সমাজেরও দায়িত্ব আছে প্রতিটি শিশুকে সুস্থ-সবল করে গড়ে তোলার জন্য। সে লক্ষ্যে শুরু থেকেই কাজ করে যাচ্ছে সুপারমম ডায়াপার।
শিশু জন্মানোর পর প্রত্যেক বাবা মায়ের অন্যতম ভাবনার বিষয় থাকে শিশুর জন্য ডায়াপার কেনা। কোন ব্র্যান্ডের ডায়াপার শিশুর জন্য সবচেয়ে উপকারী হবে তা নিয়ে চিন্তা থেকেই যায়। সুপারমম ডায়াপার বাবা-মায়ের মস্তিষ্ক থেকে সে চিন্তা একেবারেই দূর করতে সক্ষম হয়েছে। গুনগত মানসম্মত ডায়াপার সরবরাহ করে সুপারমম ইতোমধ্যেই বাজারের সেরা ডায়াপারের জায়গা দখল করে নিয়েছে।
তবে বাজারের সেরা স্থান দখল করে শুধুমাত্র মুনাফা অর্জনই কিন্তু সুপারমম ডায়াপারের একমাত্র লক্ষ্য নয়। শিশু এবং শিশুর বাবা-মায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের জন্য এবার বদ্ধপরিকর হয়েছে সুপারমম। সুপারমমের বড় যেকোনো প্যাক কিনলেই তার সাথে শিশু, মা এবং বাবা- তিন জনের জন্য থাকছে ২০ হাজার টাকার অবিশ্বাস্য ইনস্যুরেন্স প্যাকেজ, যার মেয়াদ হবে ৩০ দিন। নিচে উল্লেখিত সাইজগুলো কিনলে আপনি ইনস্যুরেন্সের আওতাভুক্ত হবেন। এজন্য কিনতে হবে নিচের যেকোনো একটি বড় প্যাক।
- নবজাতক – ৮ কেজি – ২৮ প্যাড
- ৬ – ১১ কেজি – ২৬ প্যাড
- ৯ – ১৪ কেজি – ২২ প্যাড
- ১২ – ১৭ কেজি – ২০ প্যাড
ইনস্যুরেন্সের নামে ভোগান্তির দিন শেষ
সাধারণভাবে ইনস্যুরেন্স শব্দটি শুনলেই আমাদের মাথায় আসে প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা প্রদানের ভোগান্তির কথা। যে টাকাটা দিয়েও অনেক সময় গ্রাহক নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন না। কারণ, দরকারের সময় দেখা যায় কাগজপত্রের ঝক্কি পোহাতে পোহাতেই সেই টাকার প্রয়োজন ফুরিয়ে যায়। এতসব ঝামেলা মাথায় নিয়ে ইনস্যুরেন্স করাটাই অনেক সময় বৃথা প্রমাণিত হয়। কিন্তু এসব ঝামেলা বাদ দিয়ে ইনস্যুরেন্স যদি হয় একদম ফ্রি-তে? সে সুযোগই নিয়ে এসেছে সুপারমম।
সুপারমমের যেকোনো বড় প্যাক কিনলে সেই প্যাকের ভেতরে পাওয়া যাবে একটি ইউনিক কোড। সেই কোডটি মোবাইল এসএমএসের মাধ্যমে পাঠালেই হয়ে যাবে রেজিস্ট্রেশন। আর রেজিস্ট্রেশনের সাথে সাথেই চালু হয়ে যাবে ইনস্যুরেন্সটি। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি, এর জন্য অতিরিক্ত কোনো টাকাই দিতে হবে না শিশুর অভিভাবককে। ইনস্যুরেন্স পলিসি চালুর জন্য লাগবে-
- শিশুর জন্ম-নিবন্ধনের ছবি (যদি থাকে)
- অভিভাবকের NID/পাসপোর্ট/ড্রাইভিং লাইসেন্স/জন্ম সনদের ছবি
মাত্র এই দুটি সনদ প্রদানের মাধ্যমে খুব সহজেই চালু হয়ে হয়ে যাবে আপনার ইনস্যুরেন্স।
বীমা কভারেজের মধ্যে থাকছে
- শিশুর হাসপাতাল ভর্তিজনিত বেনিফিট, সর্বোচ্চ ৪,৫০০ টাকা পর্যন্ত
- শিশুর ডাক্তার/ডায়াগনস্টিক খরচ বেনিফিট, সর্বোচ্চ ১,০০০ টাকা পর্যন্ত
- অভিভাবকের হাসপাতাল ভর্তিজনিত বেনিফিট, সর্বোচ্চ ৪,৫০০ টাকা পর্যন্ত
- অভিভাবকের জীবনবীমা ১০,০০০ টাকা
এই বীমার মেয়াদ থাকছে ইনস্যুরেন্স চালু হবার ৩০ দিন পর্যন্ত। এর মধ্যে একজন গ্রাহক সর্বোচ্চ ১০টি ইনস্যুরেন্স একই সাথে চালু রাখতে পারবেন। আরও বিস্তারিত জানার জন্যে ০৮ ০০০ ৮৮৮ ০০০ (টোল ফ্রি) নাম্বারে ফোন করা যাবে, অথবা ভিজিট করুন https://supermombd.com/ ।
এবার চলুন শুনি মানহার গল্প
ভাবতেই পারিনি ৭৫০ টাকা দিয়ে ডায়াপার কিনে ৪৫০০ টাকার বিমা কভারেজ পাবো!
মানহার বাবা রাকিবুল ইসলাম বাচ্চার ব্যাপারে বেশ যত্নবান। একবার মানহার ঠাণ্ডা লাগার পর, হাসপাতালে ডাক্তার দেখাতে নিয়ে যাওয়া, সেখানে রেখে চিকিৎসা করানোসহ কত কী করার দরকার হয়েছিল! সাথে খরচ হয়ে যায় বেশ কিছু টাকা। একদিন হঠাৎ মনে পড়ল যে মানহার জন্য সুপারমম ডায়াপার কিনে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করেছিলেন রাকিবুল। তারপর সেখানকার নম্বর বের করে ফোন করলেন, এরপর অনলাইনে খুব সহজে সকল দরকারি ডকুমেন্টের ছবি শেয়ার করে পেয়ে গেলেন ৪৫০০ টাকার বীমা কভারেজ!
এমন একটি সুবিধা, শিশুদের জন্য এত ভালো একটি সার্ভিস পেয়ে মানহার বাবা-মা দুজনই বেশ খুশি!
মানহার গল্প জেনে আপনার প্রশ্ন জাগতে পারে, দরকারি ডকুমেন্ট কোনগুলো? আসুন দেখে নিই কী কী তথ্য লাগবে বীমার টাকা হাতে পাওয়ার জন্য-
হাসপাতালে ভর্তি সংক্রান্ত ক্লেইমের জন্য
- হাসপাতালে ভর্তির জন্য ডাক্তারের প্রেসক্রিপশনের ছবি
- ডিসচার্জ সার্টিফিকেটের ছবি
- হাসপাতালের বিলগুলোর ছবি
- চিকিৎসা সম্পর্কিত অন্যান্য ডকুমেন্ট (যদি থাকে)
- ঘটনার ৩০ দিনের মধ্যে জমা দিতে হবে
বহির্বিভাগ চিকিৎসা সংক্রান্ত ক্লেইমের জন্য
- ডাক্তারের প্রেসক্রিপশনের ছবি
- ডাক্তার দেখানোর মানি রিসিটের ছবি (যদি থাকে)
- চিকিৎসা সম্পর্কিত অন্যান্য ডকুমেন্ট (যদি থাকে)
- ডায়াগনোসিস/মেডিকেল পরীক্ষার জন্য ডাক্তারের প্রেসক্রিপশনের ছবি
- ডায়াগনোসিস/মেডিকেল রিপোর্টের ছবি
- রোগ নির্ণয়/মেডিকেল পরীক্ষার মানি রিসিটের ছবি
জীবনবীমা ক্লেইমের জন্য
- মৃত্যু-সনদের ছবি
- এফআইআর এর ছবি (দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুর জন্য প্রযোজ্য)
- ময়নাতদন্তের রিপোর্টের ছবি (দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুর জন্য প্রযোজ্য)
- ঘটনার ৩০ দিনের মধ্যে জমা দিতে হবে
এই সব ধরনের সুবিধা পাবে শূন্য থেকে পাঁচ বয়সী শিশু এবং ১৮-৬০ বছর বয়সী তাদের বাবা এবং মা। এই তিনজনকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। উল্লেখ্য যে, ইনস্যুরেন্স চালু করার পর থেকে এর মেয়াদ থাকবে ৩০ দিন পর্যন্ত।
শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিয়ে সবাই ভাবে। বাজারে অনেক ধরনের ডায়াপারও পাওয়া যায়, কিন্তু ক’টি ডায়াপার ব্র্যান্ড শিশুসহ শিশুর বাবা-মায়ের এরকম নিরাপত্তার কথা ভাবে? শিশুর পাশাপাশি শিশুর বাবা-মায়েরও সমান সুরক্ষার ব্যাপারেই বিশ্বাসী ও আন্তরিক সুপারমম ডায়াপার, যেখানে ব্যবসা নয়, মানবতাই মূল উদ্দেশ্য। তাই ডায়াপার যখন ব্যবহার করছেনই তখন সুপারমম নয় কেন?