টেস্ট ক্রিকেট তথা লংগার ভার্সন ম্যাচের পরতে পরতে ছড়িয়ে থাকে অনেক রঙ, রোমাঞ্চ। বিশেষ করে ম্যাচের চতুর্থ ও শেষ ইনিংসটা ব্যাটসম্যানদের জন্য বড় পরীক্ষার ক্ষেত্র সবসময়ই। ম্যাচের অন্তিমে কখনো সাপের মতো ফণা তোলে স্পিনারদের বল, পেসারদের বাউন্সার-শর্ট বলের মিছিল বিষিয়ে তোলে ২২ গজে ব্যাটসম্যানদের জীবন। শেষ দিনে ব্যাটিং করা তাই পাহাড়সম চাপ জয়ের সমতুল্যই বটে।
ম্যাচের চতুর্থ ইনিংসে, ম্যাচের শেষ দিনে এমন চ্যালেঞ্জকে ধারণ করতে গিয়ে বিভিন্ন টেস্ট দলের ব্যাটিং লাইন হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ার দৃশ্য হরহামেশাই দেখা যায়। আবার ইস্পাত কঠিন সংকল্পে, বীররসে ঠাসা ইনিংস দিয়ে চাপ জয়ের নজিরও অনেক আছে টেস্ট ইতিহাসে। তবে সাদা পোশাকের ক্রিকেটে এমন কঠিন পরীক্ষার মঞ্চে বাংলাদেশ জাতীয় দলের ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার দলিলই বেশি। সফলতার সুখস্মৃতিও আছে। সেটি নেহায়েতই হাতে গোনা।
প্রায় এক যুগ ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলা তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদদের অভিজ্ঞতার ঢালও বিপর্যয় ঠেকাতে পারদর্শিতা দেখাতে ব্যর্থ হয়। দেশের মাটিতে, দেশের বাইরে বিষম চাপের মঞ্চে সিনিয়রদের ব্যর্থতার মিছিল অব্যাহত থাকলেও সম্প্রতি বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল অবিশ্বাস্য ব্যাটিংয়ের প্রদর্শনী করেছে। ম্যাচের শেষ দিনে ব্যাটিং ও চতুর্থ ইনিংসের চাপ জয়ের অনন্য রেকর্ড গড়েছে, পাড়ি দিয়েছে বিশাল টার্গেট।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজের দ্বিতীয় চার দিনের ম্যাচে চতুর্থ ইনিংসে ৩৩৩ রানের টার্গেট টপকে রোমাঞ্চকর জয় তুলে নিয়েছিলো বাংলাদেশ যুব দল। মাহমুদুল হাসান জয়ের সেঞ্চুরি, তৌহিদ হৃদয়ের হাফ সেঞ্চুরিতে ম্যাচের শেষ দিনেই ২৯৯ রান তুলেছে টাইগার জুনিয়ররা। যা যুব ক্রিকেটে চতুর্থ ইনিংসে রান তাড়া করে জেতার তৃতীয় সেরা রেকর্ড। সাগরিকায় আকবর আলী দল ম্যাচটা জিতেছিলো তিন উইকেটে।
যুব ক্রিকেটে চতুর্থ ইনিংসে সর্বোচ্চ ৪০৪ রান তুলে ম্যাচ জিতেছিলো ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৯ দল। সেটা অস্ট্রেলিয়া যুব দলের বিরুদ্ধে। সেই কীর্তি গড়েছিলো ইংলিশ ২৮ বছর আগে, ১৯৯১ সালে। এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে পাকিস্তান যুব দল। এই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধেই ২০০৭ সালে ৩৪২ রান করে ম্যাচ জিতেছিলো পাকিস্তানের যুবারা। বাংলাদেশের আগে তালিকার তৃতীয় স্থানে ছিল অস্ট্রেলিয়া। ১৯৯৪ সালে ভারতের বিরুদ্ধে ৩১১ রান তুলে ম্যাচ জিতেছিলো অজি জুনিয়ররা।
সাগরিকায় ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিন উইকেটের জয়ে সিরিজটাও বগলদাবা করেছিলো বাংলাদেশের যুবারা। দুটি চারদিনের ম্যাচের সিরিজ ২-০ তে জিতেছিলো স্বাগতিকরা। আর এই জয়ের মধ্য দিয়ে যুব ক্রিকেটে আরেকটি কীর্তির খাতায় নাম লিখিয়েছে বাংলাদেশ, যা টেস্ট স্ট্যাটাস উত্তর সময়ে গত ১৯ বছরেও করে দেখাতে পারেনি বাংলাদেশ জাতীয় দল।
চার দিনের ম্যাচের সিরিজের আগে ওয়ানডে, টি-২০ ফরম্যাটেও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জিতেছিলো বাংলাদেশের যুবারা। একমাত্র টি-২০ তে এবং তিন ওয়ানডেতে ৩-০ ব্যবধানে ইংলিশদের হারিয়েছিলো স্বাগতিকরা। তাতেই এক সিরিজে তিন ফরম্যাটে প্রতিপক্ষকে সিরিজ হারানোর অসামান্য গৌরব অর্জন করেছে বর্তমান বাংলাদেশ যুব দল। জাতীয় দলের আগেই এক সিরিজে ত্রিমুকুট জয়ের কৃতিত্ব দেখিয়েছে যুবারা।
চাপ জয়ের নায়ক মাহমুদুল হাসান জয়
সাগরিকায় ম্যাচের চতুর্থ ইনিংসে জয়ের জন্য বাংলাদেশের টার্গেট ছিল ৩৩৩ রান। তৃতীয় দিনের বিকেলেই ১ উইকেটে ৩৪ রান করেছিলো বাংলাদেশ। শেষ দিনে প্রয়োজন ছিল ২৯৯ রান। অসম্ভব না হলেও কঠিনতম চ্যালেঞ্জ ছিল যুবাদের জন্য।
চতুর্থ দিনের সকালে হাফ সেঞ্চুরি করা তানজিদ হাসান (৫১ রান) বিদায় নেন। পারভেজ হোসেনের সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে ৫৪ রানের জুটি গড়েন মাহমুদুল হাসান জয়। ১২১ রানে তিন উইকেট পতনের পর পরাজয়ের ভয় চেপে বসেছিলো। চতুর্থ উইকেটে তৌহিদ হৃদয়ের সঙ্গে ১৪২ রানের জুটি গড়ে দৃশ্যপট বদলে দেন জয়। তৌহিদ হৃদয় ৭৬ রান করে আউট হলেও সেঞ্চুরি তুলে নেন জয়। দলকে জয় থেকে ৭ রান দূরে থেকে আউট হন তিনি। ২২৪ বলে ১১৪ রানের ঐতিহাসিক ইনিংস খেলেন জয়। পরে রেকর্ড গড়া জয় পায় বাংলাদেশ যুব দল।
রান তাড়া করার সেই চ্যালেঞ্জ, রোমাঞ্চ সম্পর্কে কথা বলেছেন জয়। ব্যাটিংয়ে নামার আগে দলের পরিকল্পনা জানতে চাইলে জয় বলেছেন,
‘আমরা আসলে উইকেট নিয়ে তেমন পরিকল্পনা করিনি। আমাদের পরিকল্পনা ছিল যে সেশন বাই সেশন খেলা। এই পরিকল্পনাতেই আমরা খেলছি। রানের বিষয়ে চিন্তা ছিল না। তিন উইকেট পড়ার পর আমরা একটু ব্যাকফুটে চলে যাই। এরপর আমার ও তৌহিদ হৃদয়ের জুটিতে আমরা আবার ম্যাচে ফিরে আসি।’
ম্যাচ জেতার চিন্তা মাথা থেকে দূরে রেখে কোচ নাভিদ নেওয়াজের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যাটিং করে গেছেন এই যুবা। চাঁদপুরের ছেলে জয় বলেছেন,
‘ওই ধরনের চিন্তা মাথায় ছিল না। চিন্তা ছিল শুধু আমরা তিনটা সেশন খেলবো। আর আমাকে কোচ বলে দিয়েছিলো, তুমি একটা প্রান্তে থেকে নটআউট থাকবা। শেষ পর্যন্ত খেলে যাবা। রেজাল্ট কী হয়, সেটা নিয়ে চিন্তা করবা না। শুধু নটআউট থাকবা।’
দুই সেশন কাটিয়ে দেয়ার পর তৃতীয় সেশনে জয়ের ছবিটা বাংলাদেশ শিবিরের দৃশ্যপটে চলে আসে। বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং পরিকল্পনায় আসে কিছুটা পরিবর্তন। জয় বলেন,
‘যখন আমরা শেষ সেশনে যাই, তখন আমাদের পরিকল্পনায় একটু পরিবর্তন আসে। তখন একটু দ্রুত খেলেছি, রানের জন্য খেলেছি। তখন ছন্দটা আমাদের দিকে ছিল। সেই সুযোগটা আমরা নিতে পেরেছি।’
অবশ্য ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সাগরিকায় যুব ক্রিকেটের ইতিহাসে রান তাড়ায় রেকর্ড করার বিষয়টি জানতো না বাংলাদেশ যুব দল। জয় জানালেন,
‘আমরা এমন রেকর্ড সম্পর্কে জানতাম না। এখনই আপনার কাছ থেকে জানতে পারলাম।’
ম্যাচের শেষ দিনে উইকেটে কিছুটা টার্ন ছিল। তবে পেসারদের বোলিং সমস্যা তৈরি করতে পারেনি। ব্যাটিংয়ের সময় অনেক প্রতিকূলতা পাড়ি দিতে হয়ে জয়কে। ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান বলেছেন,
‘মাঝেমধ্যে আমি যখন ২-১ টা বল বিট হয়েছি, তখন ওরা অনেক স্লেজিং করতেছিলো। তখন একটু চাপে পড়ে গিয়েছিলাম। তারপর কামব্যাক করছি।’
তবে নিজের খেলা অনন্য ইনিংসে আগের চেয়ে আত্মবিশ্বাস হয়েছেন জয়। বলেছেন,
‘ব্যাটসম্যান হিসেবে আমার আত্মবিশ্বাস এখন অনেক ভালো আছে। কারণ দ্বিতীয় ইনিংসে সেঞ্চুরি করাটা অনেক কঠিন ছিল। কিন্তু আমি পেরেছি। এখন আমার আত্মবিশ্বাস অনেক ভালো। পরের সিরিজগুলোতে আশা করি এই আত্মবিশ্বাস আমার অনেক কাজে লাগবে।’
ইয়ুথ টেস্টে বাংলাদেশের চার জয়
যুব টেস্টে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জয়ের রেকর্ডটা ইংল্যান্ডের দখলেই। ক্রিকেটের জন্মদাতা দেশটি ১৪৯ ম্যাচে সর্বোচ্চ ৩৬ টি জয় পেয়েছে। তারপরই অস্ট্রেলিয়ার অবস্থান। অস্ট্রেলিয়া ৭৩ ম্যাচে ২৭ জয়, ভারত ৭৬ ম্যাচে ২৫ জয়, ৩৬ ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয় ১৩টি, নিউজিল্যান্ড ৪৩ ম্যাচে জয় পেয়েছে ১১ বার, পাকিস্তান ৬৬ ম্যাচে জিতেছে ১০টি। বাকি দলগুলোর জয়ের সংখ্যা দুঅঙ্কের ঘর পার হয়নি। শ্রীলঙ্কা ৬২ ম্যাচে জিতেছে ৯টি, বাংলাদেশ ২০ ম্যাচে ৪টি জিতেছে, দক্ষিণ আফ্রিকা ৩৩ ম্যাচে ৪ জয় পায়। এই তালিকায় জয়শূন্য শুধু জিম্বাবুয়ে, ৬ ম্যাচে কোনো জয় নেই তাদের।
যুব ক্রিকেটে চারদিনের ম্যাচে বাংলাদেশের চারটি জয়ের তিনটিই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে, যার মধ্যে শেষ ম্যাচটিতেই সাগরিকায় রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ। এছাড়া বাকি তিনটি জয়ও বিস্মৃত হওয়ার নয়।
-
চট্টগ্রাম, প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা ২০০৯
যুব টেস্টে বাংলাদেশ প্রথমবার জয়ের স্বাদ পেয়েছে ২০০৯ সালে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। ১৬-১৯ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হওয়া ম্যাচে জো রুটদের নিয়ে গড়া ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে ২ উইকেটে পরাজিত করেছিলো বাংলাদেশের যুবারা। মাহমুদুল হাসান লিমনের নেতৃত্বে ঐতিহাসিক সেই জয়ের ম্যাচে বাংলাদেশ যুব দলে খেলেছিলেন মুমিনুল হক, এনামুল হক বিজয়, সাব্বির রহমান, আলাউদ্দিন বাবু, আবুল হাসান রাজু, নুর হোসেন মুন্নারা। প্রথমে ব্যাট করে ইংলিশরা ২২১ রানে অলআউট হয়েছিলো। রুট ২১, ডেন্ট ৪৫, অধিনায়ক আজিম রফিক ৫৩ রান করেছিলেন। বাংলাদেশের বাঁহাতি স্পিনার শাকের আহমেদ চারটি, লেগ স্পিনার নুর হোসেন মুন্না তিনটি উইকেট পেয়েছিলেন। সৈকত আলীর ৪৫, বিজয়ের ৪৬ রানে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ অলআউট হয়েছিলো ১৭২ রানে। লিড পেলেও দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ডের যুবারা ১০৭ রানে গুটিয়ে যায়। ১৫৭ রানের টার্গেট পাড়ি দিয়েছিলো বাংলাদেশ বিজয়ের হাফ সেঞ্চুরিতে। আট উইকেটে ১৫৭ রান তুলে ম্যাচ জিতেছিলো বাংলাদেশ। বিজয় ম্যাচসেরার পুরস্কার পেয়েছিলেন।
-
কলম্বো, প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা, ২০১৮
ঠিক নয় বছর পর যুব ক্রিকেটে দ্বিতীয় টেস্ট জিতেছে বাংলাদেশ। গত বছর শ্রীলঙ্কা সফরে স্বাগতিকদের ১৩ রানে হারিয়ে দেয় টাইগার জুনিয়ররা। প্রথমে ব্যাট করে ৩০৯ রানে অলআউট হয় তৌহিদ হৃদয়ের দল। অমিত হাসান ৬৪, তৌহিদ হৃদয় ৫৪, প্রান্তিক নওরোজ নাবিল ৪৫, শামীম হোসেন ৪৩, তানজিদ হাসান ৪২ রান করেন। দিনুশার সেঞ্চুরিতে লঙ্কানরা প্রথম ইনিংসে করে ২৮৮ রান তোলে। দিনুশা ১০০, পারানাভিথানা ৪০, শামাজ ৩১ রান করেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ১১৫ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। সর্বোচ্চ ৪২ রান করেছিলেন আকবর আলী। জয়ের জন্য লঙ্কান যুবাদের টার্গেট দাঁড়ায় ১৩৭ রান। চতুর্থ ইনিংসে ও শেষ দিনে রান তাড়ার চাপেই কিনা ভেঙে পড়ে স্বাগতিকরা। ১২৩ রানে অলআউট হয়ে যায় শ্রীলঙ্কা যুব দল। বাংলাদেশের রকিবুল হাসান, শাহীন আলম তিনটি করে উইকেট নিয়েছিলেন।
-
চট্টগ্রাম, প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড, ২০১৯
যুব টেস্টে তৃতীয় জয়ে বাংলাদেশ দেখিয়েছিলো হোম কন্ডিশনের দাপট। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ডকে ৮ উইকেটে পরাজিত করেছিলো আকবর আলীর দল। ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে সফরকারীরা প্রথমে ব্যাট করে ২৮০ রান তুলেছিলো। চালর্সওয়ার্থ ৯৯, বাল্ডারসন ৬৫ রান করেন। বাংলাদেশের রুহেল আহমেদ চারটি, মিনহাজুর রহমান তিনটি, আসাদউল্লাহ গালিব দু’টি করে উইকেট নেন। জবাবে চার হাফ সেঞ্চুরিতে ৯ উইকেটে ৩৯৮ রান তুলে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ যুব দল। শাহাদাত হোসেন ৮৪, অধিনায়ক আকবর আলী ৮২, পারভেজ হোসেন ৬২, তৌহিদ হৃদয় ৬১ এবং অমিত হাসান ৪৯ রান করেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ১৫২ রানে গুটিয়ে যায় ইংলিশরা, বাঁহাতি স্পিনার মিনহাজুর ২৮ রানে নেন ৬ উইকেট। ৩৫ রানের টার্গেট পাড়ি দিয়েছে বাংলাদেশ অনায়াসেই; ১০ ওভারে ২ উইকেটে ৪০ রান তুলে ম্যাচ জিতে নেয় স্বাগতিকরা। দুই ইনিংসে নয় উইকেট নিয়ে মিনহাজুর ম্যাচ সেরা হন।
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে হোম সিরিজটা ছিল বাংলাদেশ যুব দলের জন্য সব পাওয়ার সিরিজ। তিন ফরম্যাটেই প্রতিপক্ষকে হারিয়েছে বাংলাদেশ, জিতেছে ত্রিমুকুট। আর শেষ ম্যাচে রান তাড়া করার রেকর্ডেও নাম লিখিয়েছে। চার দিনের ম্যাচে বাংলাদেশের চারটি জয়ের তিনটিই এনে দিয়েছে বর্তমান যুব দল। বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের ‘ভালো দলের’ সুনাম আরও পোক্ত করেছেন মাহমুদুল হাসান জয়, আকবর আলীরা।