Welcome to Roar Media's archive of content published from 2014 to 2023. As of 2024, Roar Media has ceased editorial operations and will no longer publish new content on this website.
The company has transitioned to a content production studio, offering creative solutions for brands and agencies.
To learn more about this transition, read our latest announcement here. To visit the new Roar Media website, click here.

কোপা আমেরিকার পূর্বে : আর্জেন্টিনা

কোপা আমেরিকার ট্রফি জয়ের স্বাদ আর্জেন্টিনা সর্বশেষ পেয়েছিল ১৯৯৩ সালে। বিশ্বকাপের গল্পটা আরও আগের। ১৯৮৬ সালে মারাডোনা, বুরুচাগা, প্যাসারেলা,ভালদানোর বদৌলতে বিশ্বকাপ আর ১৯৯৩ এ সিমিওনে, বাতিস্তুতা ও অল্টামারিয়ানোদের হাত ধরে কোপা আমেরিকা জয়ের পর আর্জেন্টিনা আর কখনও ট্রফি থেকে গেছে অধরা। ১৯৯৩ থেকে ২০১৯, এই দীর্ঘ ২৬ বছরে আর্জেন্টিনার ইতিহাস তো কম প্রতিভার দেখা পায়নি!

বাতিস্তুতা থেকে পাবলো আইমার, কার্লোস তেভেজ, জানেত্তি, আয়ালা, রিকুয়েমে, আগুয়েরো থেকে হালের লিওনেল মেসি; এছাড়া অসংখ্য প্রতিভার দেখা মিললেও আর্জেন্টিনার ঘরে শিরোপা আসেনি। কোপা আমেরিকা ফাইনাল হেরেছে মোট ৪টি। একবার বিশ্বকাপ ফাইনালে গিয়েও আর্জেন্টিনা ফিরেছে খালি হাতে। স্বয়ং মেসিসহ আর্জেন্টিনা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেও টানা তিন বছর ফাইনাল হেরে ফিরেছে। তাই আর্জেন্টিনার এ শিরোপাখরার এ তিক্ত স্বাদ শুধু খেলোয়াড় বা বোর্ডের নয়, আর্জেন্টিনা ও আর্জেন্টিনার বাইরে থাকা প্রত্যেক আলবিসেলেস্তে সমর্থকেরও। 

২০১৯ সালের কোপা আমেরিকা তাই আর্জেন্টিনার সামনে আরও একটি চ্যালেঞ্জ। অগ্নিপরীক্ষা লিওনেল মেসির জন্যও। টানা তিনটি ফাইনালে হেরে ফিরে আসার পর আর্জেন্টিনার জন্য কোনো শিরোপা জিতে অবসর নেবার শেষ সুযোগ এটি। অথচ সে সুযোগকে ব্যবহার করতে আর্জেন্টিনা দলটিই যেন প্রস্তুত নয়।

মেসির আরও একবার সুযোগ আর্জেন্টিনার হয়ে শিরোপা জেতার © mundoalbiceleste

২০১৮ এর রাশিয়া বিশ্বকাপের পর এ দলে পরিবর্তন এসেছে অসংখ্য। হোর্হে সাম্পাওলি রাশিয়াতে যে স্কোয়াড নিয়ে গিয়েছিলেন, তার সাথে বর্তমানের কোচ লিওনেল স্কালোনির দলের বিস্তর ফাঁরাক। শুধুমাত্র মিল একটি জায়গায়, শক্তিশালী দল থাকার পরও আর্জেন্টিনা আগে যে মিইয়ে যাওয়া দল ছিল, এখনও তেমনই আছে।

রাশিয়া বিশ্বকাপের পর সাম্পাওলিকে ছাঁটাই করে আর্জেন্টিনা নতুন কোচ নিয়োগ দেয় লিওনেল স্কালোনিকে, যার অধীনে আর্জেন্টিনা খেলেছে ৯টি আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ। স্কালোনি কোচের দায়িত্ব পেয়ে আর্জেন্টিনা দলকে ঢেলে সাজিয়েছেন। স্থানীয় ফুটবল ক্লাব থেকে দলে এনেছেন নতুন প্রতিভা, তেমনই ইউরোপের আনাচে-কানাচে থাকা খেলোয়াড়দেরও সুযোগ করে দিয়েছেন তার দলে। এই বাছাইয়ের ফলে আর্জেন্টিনা গোছানো একটি দল পেয়েছে, যা আরও পোক্ত করতে পারলে ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করতে হবে না।

লিওনেল স্কালোনি ©India Today

গোলরক্ষক হিসেবে স্কালোনি এবার দলে রেখেছেন এস্তেবান আন্দ্রাদা, ফ্রাঙ্কো আরমানি ও মার্চেসিনকে। বহু বছর ধরে আর্জেন্টিনার গোলবার সামলানোর পুরনো সৈনিক সার্জিও রোমেরোকে এবার দলের বাইরে রেখেছেন স্কালোনি। অথচ বিশ্বকাপে তার শূন্যতা প্রকাশ পেয়েছে প্রতি ম্যাচে। যদিও স্কালোনির প্রাথমিক দলেই ছিলেন না এ মৌসুমে অনেকটা অনিয়মিত হয়ে যাওয়া রোমেরো। ইউরোপের ক্লাবে খেলা ওয়াল্টার বেনিতেজ, জেরোনেমো রুলি ও হুয়ান মুসোকেও বিবেচনা করেননি স্কালোনি। যদিও তারা এ মৌসুমে নিজ নিজ ক্লাবের হয়ে আলো ছড়িয়েছেন। আরমানি ও আন্দ্রাদা মধ্যমমানের গোলরক্ষক হলেও নিজের ক্লাবে তারা সেরা। এ মৌসুমেও তারা ছিলেন দুর্দান্ত ফর্মে। উচ্চতায় দীর্ঘ, রিফ্লেক্স ভালো, এমনকি তারা গোলবার থেকে পাস দিতেও বেশ পটু। তাই কোপার স্কোয়াডে স্কালোনি বিবেচনা করেছেন তাদের। মার্চেসিন অবশ্যই তৃতীয় পছন্দের গোলরক্ষক, তবে প্রথম পছন্দ আন্দ্রাদা নাকি আরমানি, পরিষ্কার নয়।

সুযোগ পেলে আন্দ্রাদাকে এবার নির্ভুল হতে হবে ;  ©Argentina – Diario AS

লিওনেল স্কালোনির অধীনে আর্জেন্টিনা যে ৯টি ম্যাচ খেলেছে, তাতে দলটির হারের সংখ্যা দু’টি। তবে স্কালোনি আর্জেন্টিনাকে একই ফর্মেশনে কখনও খেলাননি। কখনও ৪-৩-৩, বা ৪-৪-২, অথবা ৩-৫-২ ছকে খেলিয়েছেন। কোপাতে কোনো নির্দিষ্ট ফর্মেশন, নাকি এভাবে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে একাদশ সাজাবেন, তা প্রকাশ করেননি আর্জেন্টিনা কোচ। যদিও আর্জেন্টিনা বরাবরই এক ফর্মেশনে নিয়মিত খেলে অভ্যস্ত। সেখানে প্রত্যেক ম্যাচে পরিবর্তিত একাদশ বা ট্যাকটিক্স দলটির জন্য কতটা সুবিধার হবে, তা ম্যাচ না দেখে অনুমান করা মুশকিল।

তবে ৪-৩-৩ বা ৪-৪-২ যেভাবে আর্জেন্টিনার স্কোয়াড তৈরি হোক, লেফটব্যাকে নিকোলাস তালিয়াফিকো থাকা নিশ্চিত। আয়াক্সের হয়ে দুর্দান্ত একটি মৌসুম কাটিয়েছেন তিনি। এবং সব থেকে বড় বিষয় হলো, তার থেকে ভালো আর্জেন্টাইন লেফটব্যাক স্কালোনির হাতে নেই। নিকোলাস ওটামেন্ডি এ মৌসুমে গার্দিওলার একাদশেই অনিয়মিত হয়ে গেছেন। তবুও বহুদিনের অভিজ্ঞতা উপর আস্থা রেখে রক্ষণের মূল ব্যাটনটা তাকেই দেবেন স্কালোনি। কোপা আমেরিকায় তার সঙ্গী সেন্টারব্যাক হবার কথা ছিলো ওয়াল্টার কানেমানের, তবে ইনজুরির কারণে আর্জেন্টিনা দল থেকে ছিটকে গেছেন তিনি। তাই খুব সম্ভবত ওটামেন্ডির সঙ্গী হবেন ফ্লোরেন্তিনার ২৮ বছর বয়সী ডিফেন্ডার জার্মান পেজ্জেলে। এছাড়াও টটেনহামের তরুণ ডিফেন্ডার হুয়ান ফয়েথ ও ভিয়ারিয়ালের পরিক্ষিত ডিফেন্ডার রামিরো ফুয়েনেস মরি তো থাকছেনই।

বিতর্ক তৈরি হচ্ছে রাইটব্যাক পজিশনে। পাবলো জাবালেতার পর আর্জেন্টিনা সেভাবে আর রাইটব্যাক পায়নি। মাঝে গ্যাব্রিয়েল মের্কাদোকে ব্যবহার করা হয়েছিল এবং বিশ্বকাপের আগে বাজিয়ে দেখা হয়েছিল বুসতোসকে। এছাড়াও স্কালোনি পরীক্ষা করেছেন রিভারপ্লেটের গঞ্জালো মনতিয়েলকে নিয়ে। কিন্তু ভরসা করার মতো মের্কাদো থেকে ভালো কেউ উঠে আসেনি। বিশ্বকাপের পর প্রীতি ম্যাচে ব্রাজিলের নেইমারকে রুখে দিয়ে নজর কেড়ে নেন রেঞ্জো সারাবিয়া। এরপর থেকে স্কালোনি তাকে এ পজিশনে খেলার সুযোগ করে দিয়েছেন, সারাবিয়াও তাকে হতাশ করেননি। তাই মের্কাদোর ফর্মহীনতার ফলে কোপা আমেরিকায় আর্জেন্টিনার রাইটব্যাকের দায়িত্ব পালন করবেন রেঞ্জো সারাবিয়া। এবং তালিয়াফিকো ও সারাবিয়ার বদলি খেলোয়াড় হিসেবে বেঞ্চে থাকবেন মিল্টন ক্যাস্কো ও মার্কোস আকুনিয়া।

রেঞ্জো সারাভিয়া ; ©YouTube

আর্জেন্টিনার বহুদিনের সমস্যা যেখানে, সেই মধ্যমাঠই বর্তমানে সব থেকে শক্তিশালি। তবুও এখানে আছে বিরাট চমক। ম্যানুয়েল লানজিনি ও এরিক লামেলা নেই, নেই আনহেল কোরেয়া বা এভার বানেগার মতো মিডফিল্ডার। তবে ঘরোয়া লিগ থেকেও ডাকা হয়নি সবাইকে। লিওনেল স্কালোনি মধ্যমাঠ গড়েছেন ইউরোপে নিয়মিত খেলা খেলোয়াড়দের নিয়েই।

যদি স্কালোনি ৪-৩-৩ ফর্মেশনে আর্জেন্টিনা দলকে মাঠে নামান, তাহলে সেখানে জিওভানি লো সেলসো ও লিয়ান্দ্রো পারেদেস থাকবেন। লো সেলসো এবার লা লিগার অন্যতম সেরা খেলোয়াড়। পারেদেস নতুন ক্লাবে এসে খারাপ খেলেননি। তাই এই দুই তরুণের কারণেই আর্জেন্টিনার মধ্যমাঠকে বেশ শক্তিশালী ভাবা হচ্ছে। 

পারেদেস ও লো সেলসোর সাথে জুটি বানাতে পারতেন রিভারপ্লেটের তরুণ মিডফিল্ডার এক্সিকিয়েল প্যালাসিয়স। তবে ইনজুরিতে কোপা আমেরিকার দল থেকে ছিটকে গেছেন তিনি। তার পরিবর্তে নতুন করে দলে ডাক পেয়েছেন টাইগ্রেসের ২৯ বছর বয়সী ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার গুইদো পিজারো। তবে লো সেলসো ও পারেদেসের সাথে প্রথমে একাদশে রবার্তো পেরেইরার থাকার সম্ভবনা বেশি। আর যদি স্কালোনি একজন রক্ষণাত্মক খেলোয়াড় নিয়ে একাদশ সাজাতে চান, তাহলে গুইদো রদ্রিগেজ একাদশে থাকতে পারেন।

আর্জেন্টিনার মধ্যমাঠের ভরসা জিওভানি লো সেলসো ; ©TEAMtalk

তবে স্কালোনি যদি ৪-৩-৩ পজিশন ছেড়ে ৪-৪-২, অর্থাৎ মধ্যমাঠে ৪ জন মিডফিল্ডার খেলান, তবে সেখানে প্যালাসিওসের না থাকার সম্ভবনা বেশি। পারেদেস ও লো সেলসোর পাশাপাশি তখন হয়ত লেফট-মিড ও রাইট-মিড হিসেবে দেখা যেতে পারে ডি মারিয়া অথবা উদিনেসের ডি পল ও ওয়ার্টফোডের রবার্তো পেরেইরাকে।

প্রথমে ৪-৩-৩ ফর্মেশনের জন্য বিবেচনা করা যাক। মেসি থাকতে রাইট উইংয়ে কোনো সুযোগ নেই পাওলো দিবালার জন্য। খুব সম্ভবত তার কোপা আমেরিকা শুরু হতে পারে বেঞ্চে বসে। সার্জিও আগুয়েরো এ মৌসুমে যে আগুনঝড়া ফর্মে আছেন। যেকোনো ফর্মেশনে স্ট্রাইকার ভূমিকাতে সুযোগ নিশ্চিত তার। বিতর্ক শুধু লেফট-উইংয়ে। ডি মারিয়া নাকি রদ্রিগো ডি পল, স্কালোনির গত ৯ ম্যাচের ট্যাকটিক্স দেখে বোঝার উপায় নেই, লেফট উইং তিনি কার জন্য বরাদ্দ করে রেখেছেন।

লিওনেল স্কালোনি আর্জেন্টিনাকে যে ৯টি ম্যাচ খেলিয়েছেন, সেখানে ছিলেন না লিওনেল মেসি। আর্জেন্টাইন সুপারস্টার ফেরার পর তিনি ব্যবহার করেছিলেন ৪-৩-৩ ফর্মেশন। তাই ৪-৪-২ এর জন্য মেসি কি সেকেন্ড স্ট্রাইকার হবেন, নাকি লাউতারো মার্টিনেজের কাছে সে পজিশন ছেড়ে মধ্যমাঠের ডানপাশে সরে যাবেন, তা যুক্তি দিয়ে ব্যাখ্যা বা অনুমান করা সম্ভব নয়। আসলে আর্জেন্টিনার বর্তমানে খেলোয়াড়দের নিজের পছন্দের পজিশন ও কোচের ট্যাকটিক্সের ভেতর এতটাই পার্থক্য ও জটিলতা যে, যেকোনো মুহূর্তে সবকিছু বদলে যেতে পারে।

আলেহান্দ্রো গঞ্জালেজ সাবেয়ার আর্জেন্টিনার পর লিওনেল স্কালোনির আর্জেন্টিনাও বেশ ভারসাম্যপূর্ণ একটি দল। শক্তিগত দিক এবং ভারসাম্যগত দিক থেকে এ দলটি শিরোপাস্বপ্ন পূরণ করার মতোই একটি দল। তবে ২০১৭ সালের কোপা আমেরিকা হারার পর থেকে আর্জেন্টিনা মানসিকভাবে যে আত্মবিশ্বাস হারিয়েছে, তা না ফেরানো গেলে বর্তমান দল কেন, যেকোনো শক্তিশালী দলই মুখ থুবড়ে পড়বে। সেক্ষেত্রে, মাত্র কয়েক মাসে স্কালোনি দলের প্রতি কতটুকু যত্নবান হয়েছেন, দলের ভাবমূর্তি কতটা স্থিতিশীল হয়েছে, তা নিয়ে সংশয় থেকে যায়। তবে স্কালোনির গোছানো মনোভাব দেখে আবার একদম আশা ছেড়েও দেওয়া যায় না।

আগুয়েরো হতে পারবেন আর্জেন্টিনার গোলমেশিন? ©Goal

বর্তমান আর্জেন্টিনা দল সব দিক থেকেই সাজানোগোছানো। হিগুয়াইন বা মাশ্চেরানো অবসর নিয়ে নিয়েছেন। মেসির সাথে বোঝাপড়া ভালো, এমন খেলোয়াড়ের সংখ্যা বর্তমানে কম। এদিক থেকে ভাবলে স্কালোনি এভার বানেগাকে না রেখে এক প্রকার ভুল করেছেন। মেসির সাথে বানেগার রসায়ন কেমন, তার প্রমাণ রাশিয়া বিশ্বকাপেই পাওয়া গেছে। ক্রোয়েশিয়া বা নাইজেরিয়ার ম্যাচে যেখানে মধ্যমাঠ থেকে বল মেসির পায়ে যাচ্ছিল না, সেখানে বারবার নিখুঁতভাবে পাস দিয়ে গেছেন এই বানেগাই। বর্তমানে ফর্মও খারাপ চলছে না তার। তাই লো সেলসো ও পারেদেসের মতো তরুণদের মাঝে বানেগার মতো অভিজ্ঞ একজন মিডফিল্ডার এই আর্জেন্টিনা দলকে আরও শক্তিশালীই করে তুলতো।

তবে একটা দিক থেকে স্কালোনি বেশ এগিয়ে। আর্জেন্টিনার যে কয়টি ম্যাচের কোচের দায়িত্বে ছিলেন তিনি, তার ভেতর প্রায় সব ম্যাচেই মেসি ছিলেন অনুপস্থিত। তাই তিনি মেসিকে উহ্য রেখে দল সাজিয়ে গেছেন। মেসিকে বাদে একাদশ সাজিয়ে এবং সেই একাদশ নিয়ে ৮ ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা বিগত কোনো আর্জেন্টিনা কোচের হয়নি। এর আগে সবাই মেসিকে কেন্দ্র করেই দল সাজিয়ে গেছে। তবে স্কালোনি যেহেতু মেসি ছাড়াই একাদশ নামানোর মতো অভিজ্ঞতা অর্জন করে ফেলেছেন, তাতে মেসি দলে থাকলেও মেসিকেন্দ্রিক একাদশ হবে না বলেই আশা করা যায়। মেসি অবশ্যই দলে থাকবেন, খেলবেন দলের প্রাণভোমরা হয়ে। তবে যখন বিপক্ষ দল মেসিকে কড়া মার্কিংয়ে রাখবে, মেসি যখন নিস্ক্রিয় থাকবেন, তখন যদি অন্য কেউ ম্যাচ বের করে দিতে পারেন, তাহলেই স্কালোনির এ অনন্য অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে।

ব্রাজিলে অনুষ্ঠিতব্য এবারের কোপা আমেরিকায় আর্জেন্টিনা ‘ফেভারিট’ দল হিসেবে হয়তো হিসেব করা হবে না। দল যতই শক্তিশালী হোক, সে দলের রসায়ন ও মনোভাব যদি সেই মানের না হয়, সে দল কখনোই কোন প্রতিযোগিতায় ফেভারিট নয়। তবে আর্জেন্টিনার ভবিষ্যৎ প্রজন্মের শুরুটা হচ্ছে এই কোপা আমেরিকার মাধ্যমেই। সে শুরু যদি সাফল্যের ভেতর দিয়েই হয়, মেসিও আর্জেন্টিনার হয়ে ট্রফি জেতার ব্যর্থতা ঘোচানোর শেষ সুযোগ যদি পান, ক্ষতি কী!

This article is in Bangla language which is about the national team of Argentina in Copa America tournament 2019.References are hyperlinked inside the article.

Feature Image : mundoalbiceleste

Feature Source: 

1.http://mundoalbiceleste.com/2019/05/21/argentina-copa-america-team-announced-aguero-dybala-included/

2.http://mundoalbiceleste.com/2019/05/21/analysis-of-argentinas-23-man-copa-america-squad/

Related Articles