২০১১ সালে ম্যানচেস্টার সিটি যখন সেমিফাইনালে নগর প্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে হারিয়ে এফএ কাপের ফাইনালে পৌঁছায়, সেটি ছিল ১৯৮১ সালের পর, অর্থাৎ ত্রিশ বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে, তাদের প্রথম কোনো মেজর টুর্নামেন্টের ফাইনালে উত্তরণ। আর সে বছর ১৪ মে অনুষ্ঠিত ফাইনালে স্টোক সিটিকে ১-০ ব্যবধানে হারানোর মাধ্যমে তারা শুধু পঞ্চম এফএ কাপই জেতেনি, জিতেছিল ১৯৭৬ লিগ কাপের পর প্রথম কোনো মেজর ট্রফিও। ওই একই সপ্তাহে তারা প্রিমিয়ার লিগে টটেনহ্যাম হটস্পারকে ১-০ ব্যবধানে হারানোর মাধ্যমে ১৯৬৮ সালের পর প্রথমবারের মতো অর্জন করেছিল উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলার যোগ্যতাও। ২০১০-১১ মৌসুমের শেষ দিনটিতে স্পার্সদের হারানোর মাধ্যমে সিটি আর্সেনালকে টপকে লিগ টেবিলের তৃতীয় স্থানে পৌঁছে গিয়েছিল, এবং জিতে নিয়েছিল সরাসরি চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ স্টেজে খেলার টিকিট।
হুট করে এসব পুরনো কাসুন্দি ঘাঁটার পেছনে বিশেষ একটি কারণ আছে। কারণটি হলো, মাত্র বছর আটেক আগেও সিটিজেনদের অবস্থা ঠিক কেমন ছিল, তা আপনাদের সামনে তুলে ধরা। তখন তারা যা-ই অর্জন করছিল, তাতেই তাদের ইতিহাস নতুন করে রচিত হয়ে যাচ্ছিল। আর সবাই টিটকারি দিয়ে বলছিল, সবই হলো তেল বিক্রির টাকায় নামিদামি খেলোয়াড় কেনার সুফল। অথচ মাত্র আট বছরের মধ্যেই সিটির অবস্থার খোলনলচে পরিবর্তন ঘটেছে। এখনো অনেকেই তাদের নিয়ে উপহাস করে বটে, কিন্তু ইংলিশ ফুটবলে তারা যে একটি স্বতন্ত্র জায়গা করে নিয়েছে, এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই। আর এই মুহূর্তে তারা এমন অনন্য একটি অর্জনের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে, যা নেই ইংল্যান্ডের শত বছরের ইতিহাস ও ঐতিহ্য সমৃদ্ধ কোনো দলেরই। এমনকি ৮০’র দশকের লিভারপুল কিংবা স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের অধীনে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডও যে সাফল্য অর্জন করতে পারেনি, ঠিক সেই সাফল্য থেকেই আর মাত্র কয়েক কদম দূরে পেপ গার্দিওলার অদম্য ম্যানচেস্টার সিটি। অর্থাৎ তারা এখন আর কেবল নিজেদের ইতিহাসই নতুন করে রচনা করছে না, চেষ্টা করছে সামগ্রিক ইংলিশ ফুটবলের ইতিহাসও নতুন করে রচনার।
কোন সেই অর্জন, যার মাধ্যমে ইতিহাস পালটে দিতে চাচ্ছে সিটি? সেটি হলো: প্রথম কোনো ইংলিশ ক্লাব হিসেবে একই মৌসুমে সম্ভাব্য চারটি মেজর শিরোপা জয়, যার অপর নাম হলো ‘কোয়াড্রুপল জয়’। ইতিমধ্যেই কারাবাও কাপ জয় করে ফেলেছে পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা, এবং তাদের পক্ষে খুবই সম্ভব মৌসুমের বাকি তিনটি শিরোপা, অর্থাৎ প্রিমিয়ার লিগ, এফএ কাপ এবং চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ও।
প্রিমিয়ার লিগে এই মুহূর্তে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে তারা। তবে এক ম্যাচ বেশি খেলা লিভারপুলের চেয়ে তারা পিছিয়ে রয়েছে মাত্র ২ পয়েন্টে। ৩৩ ম্যাচ থেকে লিভারপুলের সংগ্রহ ৮২ পয়েন্ট, আর ৩২ ম্যাচ থেকে সিটির সংগ্রহ ৮০ পয়েন্ট। অর্থাৎ সিটির ভাগ্য এখনো তাদের নিজেদের হাতেই। নিজেদের বাকি ম্যাচগুলোতে জিততে পারলেই লিগ জয় করতে পারবে তারা, প্রয়োজন পড়বে না লিভারপুল যেন হোঁচট খায় সে প্রার্থনা করার।
সিটির জন্য বাকি ৬টি ম্যাচের ৬টিই জেতা সহজ হবে না অবশ্যই। কেননা তাদের পরবর্তী ৬টির মধ্যে ৪টি ম্যাচই অ্যাওয়ে। এমনকি রেড ডেভিলদের সাথে ডার্বিও খেলতে হবে ওল্ড ট্রাফোর্ডে গিয়ে। এছাড়া হোম ফিক্সচার হলেও, টটেনহ্যামের বিপক্ষে ম্যাচটিতেও তাদের দিতে হবে কঠিন পরীক্ষা। আর বাকি ৪ ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ ক্রিস্টাল প্যালেস (অ্যাওয়ে), লিস্টার সিটি (হোম), বার্নলি এফসি (অ্যাওয়ে) এবং ব্রাইটন (অ্যাওয়ে)।
এদিকে এফএ কাপের সেমিফাইনালে ব্রাইটনকে ১-০ ব্যবধানে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে তারা। তবে জয়টি ছিল কষ্টার্জিত। নিজেদের সেরা ফর্মের চেয়ে অনেকটাই পিছিয়ে ছিল তারা। তারপরও গ্যাব্রিয়েল জেসুসের শুরুর দিকের গোলে তারা ন্যূনতম ব্যবধানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পেরেছে। আর এর ফলে পেপ গার্দিওলার অধীনে প্রথমবারের মতো উঠতে সক্ষম হয়েছে এফএ কাপের ফাইনালে।
সেমিফাইনালে হয়তো খুব ভালো করেনি সিটি, তবে সার্বিকভাবে এবারের মৌসুমটা তাদের জন্য ছিল সোনায় সোহাগা। এখন পর্যন্ত এবারের এফএ কাপে তারা মোট গোল করেছে ২০টি। ২০১১-১২ মৌসুমের পর এফএ কাপের এক মৌসুমে কোনো দলের সর্বোচ্চ গোলসংখ্যা এটিই। ২০১১-১২ মৌসুমে চেলসিও সমান ২০টি গোলই দিয়েছিল। এ থেকেও প্রমাণিত হয়, চলতি মৌসুমে ঠিক কতটা অসাধারণ খেলেছে পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা। ১৮ মে অনুষ্ঠিতব্য ফাইনালে যদি তারা এই ফর্মের ছিটেফোঁটাও ধরে রাখতে পারে, তাহলে ওয়াটফোর্ডকে হারিয়ে শিরোপা জয় একদমই কঠিন হওয়ার কথা নয়।
বাকি থাকল চ্যাম্পিয়নস লিগ। এটিকেই ধরা হচ্ছে মূলত সিটির সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে। সেমিফাইনালে এখন পর্যন্ত তারা একবারও শিরোপা জিততে পারেনি। তাদের সেরা সাফল্য হলো ২০১৫-১৬ মৌসুমে শেষ চার পর্যন্ত যাওয়া। সেবার সেমিফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদের সাথে ঘরের মাঠে গোলশূন্য ড্র করলেও, বার্নাব্যুতে গিয়ে ১-০ ব্যবধানে হেরে বিদায় নিতে হয়েছিল তাদেরকে। তবে এবার নিশ্চয়ই তাদের আশা থাকবে ফাইনাল পর্যন্ত পৌঁছানোর, এবং মাদ্রিদে অনুষ্ঠিতব্য ফাইনালেও জয়ী হওয়ার। নিঃসন্দেহে খুবই উচ্চাকাঙ্ক্ষী আশা, তবে এখন পর্যন্ত ৮ ম্যাচে ২৬ গোল দেয়া এবং শেষ ষোলোর দুই লেগ মিলিয়ে শালকের জালে ১০ বার বল জড়ানো দলটি সে আশায় বুক বাঁধতেই পারে। তার আগে অবশ্য তাদেরকে জয় করতে হবে ৯ ও ১৭ এপ্রিল কোয়ার্টার ফাইনালের দুই লেগে টটেনহ্যাম চ্যালেঞ্জ।
সিটির পক্ষে আদৌ চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতা সম্ভব হবে কি না, এ নিয়ে সন্দিহান অনেকেই। তেমনই একজন হলেন ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক অ্যালান শিয়ারার। তিনি বলছেন, অবশিষ্ট ৩টির মধ্যে ২টি শিরোপা জিততে পারলেও, চ্যাম্পিয়নস লিগে এসে আটকে যাবে সিটি।
“আমার মনে হয় ম্যানচেস্টার সিটি এফএ কাপ জিতবে। তারা এমনই একটি দল, যারা সব ধরনের প্রতিযোগিতায় তাদের সর্বশেষ ২২টি ম্যাচের মধ্যে ২১টিতেই জিতেছে (এফএ কাপ সেমিফাইনালের আগ পর্যন্ত)। তাদের রয়েছে অসাধারণ একটি স্কোয়াড, এবং ততোধিক মেধাবী একজন ম্যানেজার, যিনি এর আগেও এমন অনেক অর্জনের সাক্ষী হয়েছেন। কিন্তু আমার মনে হয় না তারা ৪টি শিরোপাই জিতবে। খুব সম্ভবত তারা ৩টি শিরোপা জিতবে, প্রিমিয়ার লিগ ও এফএ কাপসহ। কিন্তু চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতা তাদের জন্য একটু বেশিই (কঠিন) হয়ে যাবে।”
এবং বিস্ময়কর ব্যাপার হলো, শিয়ারারের সাথে একমত স্বয়ং সিটি কোচ গার্দিওলাও, যিনি এর আগে বার্সেলোনার হয়ে এক মৌসুমে ৬টি শিরোপা জয়ের অবিশ্বাস্য রেকর্ডও গড়েছিলেন। অথচ সেই তার কাছেও সিটির হয়ে কোয়াড্রুপল জয়কে অসম্ভব বলে মনে হচ্ছে।
“এর আগে কেউ এটি করতে পারেনি (কোয়াড্রুপল জয়), তাহলে আমরা কীভাবে এটি করব? সবকিছু অর্জন করা প্রায় অসম্ভব ব্যাপার, এবং এটিই সত্য। আপনাদের কি আসলেই বিশ্বাস হয়, আমরা ৬০টি ম্যাচ খেলব, এবং প্রতিবারই দারুণ পারফরম্যান্স উপহার দেব? কোনো দলের পক্ষেই তা সম্ভব নয়। স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন ট্রেবল জিতেছিলেন, কিন্তু প্রতিটি ম্যাচই তেমন ছিল না। এভাবে হয়ই না আসলে।”
হ্যাঁ, ট্রেবল জয়ের পরও স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের দল সব ম্যাচেই তাদের সেরাটা দিতে পারেনি, তাই তাদের পক্ষেও কোয়াড্রুপল জয় সম্ভব হয়নি। ১৯৯৮-৯৯ মৌসুমে ফার্গুসনের অধীনে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড চ্যাম্পিয়নস লিগ, প্রিমিয়ার লিগ এবং এফএ কাপ জয়ের মাধ্যমে ট্রেবল সম্পন্ন করেছিল, কিন্তু ১৯৯৮ সালের ডিসেম্বরে লিগ কাপ থেকে তারা ছিটকে পড়েছিল। তাই কোয়াড্রুপল জয়ের সুযোগ হারিয়েছিল তারা। আর অন্য কোনো ইংলিশ দল তো এখন পর্যন্ত কোয়াড্রুপলের ধারেকাছেও যেতে পারেনি।
বলাই বাহুল্য, শিষ্যদের উপর বাড়তি চাপ দিতে চান না বলেই গণমাধ্যমের সামনে কোয়াড্রুপল জয়ের ব্যাপারে আশাব্যঞ্জক কিছু বলছেন না গার্দিওলা। কিন্তু মনে মনে তিনিও নির্ঘাত আশা করছেন এমন কিছুরই। কারণ ইতিমধ্যেই বার্সেলোনা ও বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে অসাধারণ সব সাফল্যের পর তিনি যদি ম্যানচেস্টার সিটিকেও কোয়াড্রুপল জেতাতে পারেন, তাহলে তিনিই যে সময়ের সেরা কোচ, এ ব্যাপারে আর কারো মনে কোনো দ্বিমত থাকবে না।
এছাড়া ম্যানচেস্টার সিটি যদি কোয়াড্রুপল জয় করতে পারে, তাহলে ফুটবল জগতে আরো বড় বড় কিছু পরিবর্তন আসবে।
প্রথমত, এতদিন সিটিকে নিয়ে অনেক ফুটবল অনুসারীর মনেই যে নাক সিঁটকানো মনোভাব ছিল, তা দূর হবে। অবশেষে সবার কাছেই সিটির গ্রহণযোগ্যতা তৈরি হবে। কেননা চ্যাম্পিয়নস লিগসহ কোয়াড্রুপল জয় তো কোনো চাট্টিখানি কথা নয়।
দ্বিতীয়ত, সিটি যদি চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতে, তার মানে ২০১৩-১৪ মৌসুমের পর প্রথমবারের মতো কোনো ‘অ-স্প্যানিশ’ ক্লাব ইউরোপ সেরার মুকুট জিতবে। তাছাড়া ২০১১-১২ মৌসুমে চেলসির পর আবারো চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা ফিরবে ইংল্যান্ডে। ফলে ঘুচবে ইউরোপ শ্রেষ্ঠত্বের প্রতিযোগিতায় ইংলিশ ক্লাবগুলোর এতদিনের বন্ধ্যাত্ব।
তৃতীয়ত, সিটি যদি কোয়াড্রুপল জেতে, তাহলে পরবর্তী ব্যালন ডি’অর তাদের কোনো খেলোয়াড়ের জেতার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। হতে পারে সেটি সার্জিও আগুয়েরো। চলতি মৌসুমে ৩৮ ম্যাচ খেলে ২৯টি গোল এবং ৮টি অ্যাসিস্ট করেছেন তিনি। তবে সে যে-ই হোক না কেন, ১১ বছর পর হয়তো প্রথমবার ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের কোনো খেলোয়াড়ের হাতে উঠবে ব্যালন ডি’অর। সর্বশেষ ২০০৮ সালে প্রিমিয়ার লিগের খেলোয়াড় হিসেবে ব্যালন ডি’অর জিতেছিলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো।
যা-ই হোক, শেষ পর্যন্ত ম্যানচেস্টার সিটির পক্ষে যদি কোয়াড্রুপল জয় সম্ভব না-ও হয়, মৌসুমের এই শেষভাগ পর্যন্ত এসেও যে তারা কোয়াড্রুপল জয়ের সম্ভাবনা জিইয়ে রেখেছে, সেটিকেও কিন্তু কোনোভাবেই খাটো করা যাবে না। মৌসুমের এই পর্যায়ে এসেও কোয়াড্রুপল জয়ের সম্ভাবনা বাঁচিয়ে রাখার ইতিহাস আছে আর মাত্র দুইটি দলের: ২০০৬-০৭ মৌসুমে চেলসির, এবং ২০০৮-০৯ মৌসুমে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের।
মরিনহোর অধীনে চেলসি ২০০৭ সালের ১ মে পর্যন্ত কোয়াড্রুপল জয়ের পথে ছিল। কিন্তু চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে লিভারপুলের কাছে পেনাল্টিতে হেরে গিয়ে কোয়াড্রুপল জয়ের স্বপ্ন ধূলিস্মাৎ হয় তাদের। এরপর প্রিমিয়ার লিগেও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কাছে তাদের প্রথম স্থান হাতছাড়া হয়। তবে তাদের ঝুলিতে ঠিকই জমা হয়েছিল এফএ কাপ ও লিগ কাপের শিরোপা।
দুই বছর বাদে, ফার্গুসনের অধীনে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড কোয়াড্রুপল জয়ের রাস্তায় ছিল ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত। কিন্তু এফএ কাপের সেমিফাইনালে এভারটনের কাছে পেনাল্টি শ্যুট-আউটে হেরে বসে তারা। প্রিমিয়ার লিগ ও লিগ কাপ জিততে পারলেও, ফাইনালে বার্সেলোনার কাছে হেরে চ্যাম্পিয়নস লিগ হাতছাড়া হয় তাদের।
ম্যানচেস্টার সিটি কোয়াড্রুপল জিতে ইতিহাস গড়তে পারবে কি না, তা সময়ই বলে দেবে। কিন্তু বিগত এক দশকে তাদের যত অর্জন, সেগুলোকে গ্রাহ্য না করে কোনো উপায় নেই। ট্রফি কেসে একটিও চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা না থাকা তাদের জন্য একটি বড় ব্যর্থতা অবশ্যই, কিন্তু শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলে তাদের যে তুমুল উত্থান, তাতে করে এই মৌসুমে কিংবা অদূর ভবিষ্যতেই তাদের চ্যাম্পিয়নস লিগ জিততে না পারার আক্ষেপও হয়তো ঘুচে যাবে। তখন বিশ্বের সেরা দলগুলোর তালিকায় ম্যানচেস্টার সিটির নাম দেখলে কারোই আর ভ্রু কুঁচকে যাবে না!
চমৎকার সব বিষয়ে রোর বাংলায় লিখতে আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন এই লিঙ্কে: roar.media/contribute/