অল্প কিছুদিন আগের কথা। এই শতকের শুরুর দিকে আর্সেন ওয়েঙ্গারের আর্সেনাল, ফার্গুসনের ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, বা জোসে মরিনহোর চেলসি যখন প্রিমিয়ার লিগে রাজত্ব করত, তখন ম্যানচেস্টার সিটি সাধারণ মানের একটি ক্লাব মাত্র। লিগের শিরোপা বা শক্ত প্রতিপক্ষ, কোনো তকমাই এই দলের সাথে যেত না। কিন্তু বিগত দশকের শুরু থেকে এই সাধারণ মানের ক্লাব বদলে যেতে শুরু করে। ম্যানুয়েল পেলেগ্রিনি ম্যানচেস্টার সিটিকে ধীরে ধীরে বদলে দেওয়া শুরু করেন। আর প্রথম প্রিমিয়ার লিগ জেতার পরই মূলত ম্যানচেস্টার সিটি গড়ে ওঠে বড় দল হিসেবে।
এরপর আসে সব থেকে বড় পরিবর্তন। আমিরাতের শেখ জায়েদ আল মনসুর নামক ধনকুবের কিনে নেন সিটির মালিকানা। এরপর ক্লাবের কোচ হয়ে আসেন পেপ গার্দিওলাও। পেট্রোডলারের আশীর্বাদে পেপ গার্দিওলা নিজের মনের মতো একাদশ বানান। পুরো স্কোয়াডকে বদলে ফেলেন চোখের পলকে। কারণ, অর্থের কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। আর অর্থ হাতে থাকলে, কিনে নেয়া যায় এমন যেকোনো জিনিস দখলে নেয়া সম্ভব। ফুটবলের খেলোয়াড় তো কোন ছাড়!
দলে তারকা খেলোয়াড়ের মেলা বসেছে, সাফল্যও খুব অধরা না। পরপর দুইবার প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা জেতা হয়ে গেছে। আর্সেনাল, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের এখন দুর্দিন। বিপরীতে সিটিজেনরা প্রিমিয়ার লিগের লড়াইয়ে থাকা প্রথম দিকের দল। ক্লাবের ভাবমূর্তিও বদলে গেছে। তারা এখন বড় দল, এই পরিবর্তন যেন ইতিহাসের বাতাসে সবসময় উড়ে বেড়ায়। কিন্তু গার্দিওলা বা সমর্থক সবার একটি মাত্র আক্ষেপ। চ্যাম্পিয়নস লিগ তো জেতা হয়নি, উল্টো বড় ক্লাবের তকমা লাগিয়েও ম্যানচেস্টার সিটি ইউরোপের সবথেকে বড় প্রতিযোগিতার মঞ্চে ব্যর্থ। এই ব্যর্থতাকে চাপা দেবার জন্য দল কম চেষ্টা করেনি। প্রতিবার পেপ গার্দিওলা দলকে ঢেলে সাজানোর কথা ভেবেছেন। হয়েছেও তেমনটাই। তার বাছাই করা খেলোয়াড় শেখ মনসুর এনে দিয়েছেন চড়া মূল্য। আর সমস্যা তৈরি হয়েছে এখানে। ২০১৪ সালে একই কারণে ২০ মিলিয়ন ইউরো জরিমানা দিয়েও শিক্ষা হয়নি তাদের। আয় আর ব্যয়ের হিসাবে গরমিল এবং দলবদলের বাজারে অতিরিক্ত অর্থ খরচের দায়ে তাদের পেতে হচ্ছে সর্বোচ্চ শাস্তি। ৩০ মিলিয়ন ইউরো জরিমানা খুব বেশি নয় সিটিজেনদের জন্য। তবে আগামী দুই মৌসুম চ্যাম্পিয়নস লিগে আর খেলা হবে না সিটির। অথচ তারাই হন্যে হয়ে ঘুরছিল একবার এই শিরোপা জেতার লক্ষ্যে।
পরপর দুই মৌসুম চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে বিতাড়িত, সাথে ৩০ মিলিয়ন অর্থ জরিমানা। কোন দোষে ম্যানচেস্টার সিটির এমন বড় শাস্তি? এর প্রধান কারণ আর্থিক গরমিল। ২০১২ থেকে ২০১৬ সালে ম্যানচেস্টার সিটি স্পন্সরশীপ থেকে যা আয় করেছে, সেই অর্থে গরমিল পেয়েছে উয়েফার আর্থিক সঙ্গতি নীতি নিয়ন্ত্রক সংস্থা। কিন্তু তাদের এই নীতির নিয়ম বা উদ্দেশ্য কী? বর্তমানে ইউরোপের ক্লাব খেলোয়াড় কেনাবেচার ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা ও ব্যাপক পরিমাণে অর্থ খরচ করার প্রবণতা শুরু হয়েছে। এই নিয়ম-ছাড়া ব্যবস্থাকে নিয়মের ভেতর আনতে ২০১১ সালে উয়েফা তাদের এই নিয়ম চালু করে। এই নিয়ম থাকার পরও ম্যান সিটি খেলোয়াড় কেনাবেচায় একটু বেশি সরব ছিল। ফলে উয়েফারও সন্দেহ হয়। তারা তদন্ত শুরু করে প্রায় ৪ বছরের আর্থিক গরমিল খুঁজে বের করে। এবং তাদের তদন্তে ম্যানচেস্টার সিটিও তেমন কোনো সহায়তা করেনি। ফলে এই শাস্তির খড়্গ নেমে এসেছে তাদের উপর।
তবে সিটির সুখের সাম্রাজ্য ভেঙে চুরমার করে দেবার পেছনে অন্য একজনের নাম জড়িয়ে আছে। কারণ সিটির এই আর্থিক অসংগতি উয়েফার গোয়েন্দা নয়, তাদের এই গোলমাল প্রথম বের করে ফাঁস করে দেন রুই পিন্টো নামক এক পর্তুগীজ হ্যাকার। ২০১৫ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত আলোড়ন তোলা “ফুটবল লিকস” এর হ্যাকার তিনি। এই সময়ের মাঝে তিনি সিটির মেইল হ্যাক করে তাদের আর্থিক এই গরমিল খুঁজে পান। পরে এই মেইলগুলো থেকে খুঁজে পাওয়া তথ্য তুলে দেন জার্মান সংবাদমাধ্যম “দার স্পিগেল” এর হাতে। পরবর্তীতে হ্যাকিংয়ের জন্য ধরা পড়েন পিন্টো। বর্তমানে তিনি জেলেও আছেন। কিন্তু তার হ্যাক করে বের করা তথ্যের সূত্র ধরে পরে উয়েফা তদন্ত শুরু করে।
এবার কিছু ভিন্ন পরিসংখ্যানে আসা যাক। ২০১২ থেকে ২০১৬, এই সময়ের মাঝে সিটি যাদের কিনে এই শাস্তির মুখোমুখি হলো তাদের এক নজর দেখে নেওয়া যাক। ২০১২ সালে তারা ৩জন খেলোয়াড় দলে ভিড়িয়েছিল। জাভি গার্সিয়া, মাতিয়া নাসতাসিচ ও জ্যাক রডওয়েল। যাদের কেউ বর্তমানে সিটিতে নেই। ২০১৩ সালে ফার্নান্দিনহো, নাভাস, নেগ্রেদো, ইয়োভিচ ও ডেমিচেলিস থেকে আছেন মাত্র ফার্নান্দিনহো। ২০১৪ সালে মাঙ্গালা, ফার্নান্দো ও গোলরক্ষক ক্যাবায়েরোকে দলে আনে সিটি। পরবর্তী দুই বছর প্রচুর খেলোয়াড় কিনেছে তারা। ২০১৫ সালে বোনি, রহিম স্টার্লিং, কেভিন ডি ব্রুইন, অটামেন্ডি, প্যাট্রিক রবার্টস ও ফাবিয়ান ডেলফ এবং ২০১৬ সালে গুন্ডোগান, নলিতো, লিরয় সানে, জিনচেঙ্কো, মোরেনো, জন স্টোনস ও ক্লদিও ব্রাভোকে কেনে সিটি। যাদের ভেতর দলের সাথে আছে স্টার্লিং, ডি ব্রুইন, অটামেন্ডি, গুন্ডোগান, সানে, জিনচেঙ্কো, স্টোনস ও ব্রাভো।
যাদের দলে ভেড়াতে এই আর্থিক অসঙ্গতি সিটি তৈরি করেছে, তাদের মোট সংখ্যা ২৪ জন। যার ভেতরে ১৫ জন বর্তমানে সিটিতে নেই। কারণ পরিকল্পনা ছাড়া খেলোয়াড় কেনায় সিটি বেশি বাড়াবাড়ি করে ফেলেছিল। তাই অধিকাংশ খেলোয়াড়ই টিকতে পারেনি সিটির সাথে বা প্রিমিয়ার লিগে। অথচ তাদের জন্য সিটির আজ এই পরিণতি!
তো সিটির এখন কী করার সুযোগ আছে? উয়েফার এই শাস্তিকে চ্যালেঞ্জ করার জন্য তারা অভিযোগ জানাতে পারবে। সিএএসে আবেদন করার পর সিটি নতুন যে নির্দেশ পাবে, তা তাদের মেনে নিতে হবে। হয়তো সিএএস এক্ষেত্রে জরিমানার অর্থ কিছুটা কমতে পারে। তবে সিএএসের সিদ্ধান্ত যদি সিটির বিপক্ষে যায়, তাহলে সাধারণ আদালতে তারা পুনরায় আপিল করতে পারবে।
কিন্তু এই চেষ্টায় শাস্তি কমিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগে হয়তো ফেরা হবে না তাদের। উল্টো ভাগ্য খারাপ থাকলে আরও দুঃস্বপ্ন অপেক্ষা করছে তাদের জন্য। উয়েফার এই শাস্তির খবর প্রকাশিত হবার পর থেকে শোনা যাচ্ছে, প্রিমিয়ার লিগও আলাদাভাবে তদন্ত করা শুরু করবে ম্যান সিটির বিরুদ্ধে। প্রিমিয়ার লিগের নিয়ম অনুযায়ী, তাদের তদন্তে যদি সিটি দোষী প্রমাণিত হয়, তবে ২০১৩-২০১৪ সালে তাদের জেতা ট্রফি কেড়ে নেওয়া হতে পারে। এবং তখন তা তুলে দেওয়া হবে, সে মৌসুমে দ্বিতীয় হওয়া লিভারপুলের হাতে। এমনকি চলতি মৌসুমে পয়েন্টও কাটা হতে পারে। তবে বর্তমানে লিগে তাদের যে অবস্থা, পয়েন্ট হারানো থেকে ট্রফি হারানোর ভয়ে ক্লাবের হর্তাকর্তাদের রাতের ঘুম হারাম হয়ে যাবার কথা।
অর্থগত দিকে আবার একটু পরে আসছি। এবার দলের অবস্থা আলোচনা করা যাক। প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা তাদের আছে। একমাত্র চাওয়া ইউরোপ সেরার ট্রফি। যার জন্য সিটির এত কিছু। যদিও একমাত্র সিটির নয়, কোচ পেপ গার্দিওলার জন্যও চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতা এখন সব থেকে বেশি প্রয়োজন। কারণ বার্সেলোনা ছেড়ে আসার প্রায় ১০ বছর হলেও তিনি অন্য কোন ক্লাবের হয়ে এই শিরোপা এখন পর্যন্ত জিততে পারেননি। তাই দুই বছর যদি সিটি চ্যাম্পিয়নস লিগ না খেলে, তাদের কোচ তাদের সাথে থাকবে তো? যদিও গার্দিওলা বেশ জোর দিয়ে বলছেন ২০২১ সাল পর্যন্ত সিটিজেনদের সাথে তার চুক্তির কথা। কিন্তু মানুষের মন পরিবর্তন হতে কতই বা সময় লাগে? অধরা ট্রফি জেতার জন্য তিনি ক্লাব পরিবর্তন করবেন না, এর নিশ্চয়তা কে দেবে?
ম্যানচেস্টার সিটিতে গুরু পেপ গার্দিওলার প্রাণের শিষ্য অনেকেই আছেন। সেক্ষেত্রে কোচ ক্লাব ছেড়ে গেলে হয়তো চলে যেতে পারেন দলের প্রধান খেলোয়াড়দের একাংশও। চলতি মৌসুম শেষে বিদায় নেবেন ডেভিড সিলভা। মূল স্ট্রাইকার সার্জিও আগুয়েরোর সাথে চুক্তি আছে আগামী বছর পর্যন্ত। স্টার্লিং, সানে, সিলভা বা ডি ব্রুইনের মতো খেলোয়াড়ের চুক্তির মেয়াদ ২০২২ সাল পর্যন্ত। তাদের কথা ভাবলে হয়তো তারাও স্বপ্ন দেখেন চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতার। এবং এই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে ক্লাব পরিবর্তন করা খুব বেশি অদ্ভুত কোনো ব্যাপার নয়। আর পাশাপাশি কোচ যদি না থাকে, তবে এর সম্ভাবনা আরও বেড়ে যায়। তাই কোচ এবং দলের মূল খেলোয়াড় হারানোর বেশ ভাল সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
এবার আবার অর্থগত প্রসঙ্গে ফেরত আসি। উয়েফার প্রতিযোগিতা; চ্যাম্পিয়নস লিগ বা ইউরোপা লিগ- এই দুই প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া ক্লাব শিরোপা জিতুক আর না জিতুক, অংশগ্রহণের ফলে ভালো অঙ্কের অর্থ আয় করতে পারে তারা। তাই টানা দুই মৌসুমে উয়েফার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ না করার ফলে এই বিরাট পরিমাণ অর্থ হাতছাড়া হবে ক্লাবটির। এছাড়াও আরও একটি বিষয় হচ্ছে কো-এফিশিয়েন্ট পয়েন্ট। উয়েফার দেয়া এ পয়েন্টে বর্তমানে শীর্ষে আছে বার্সেলোনা ও চেলসি। তাদের উভয়ের পয়েন্ট ৩০। ম্যান সিটির গত মৌসুমের পয়েন্ট আপাতত ২৫। তাই টানা দুই মৌসুম যদি সিটি চ্যাম্পিয়নস লিগে না অংশগ্রহণ করতে পারে, তাহলে অবশ্যই তাদের পয়েন্ট আরও কমে যাবে। ফলে নিষেধাজ্ঞা শেষ করে তারা চ্যাম্পিয়নস লিগ বা ইউরোপা লিগে ফেরত আসবে কম পয়েন্ট নিয়ে। তখন পয়েন্ট কম থাকায় কঠিন গ্রুপে পড়তে হবে তাদের। ফলে শুরু থেকেই তাদের শিরোপা লড়াই কঠিন হয়ে উঠবে।
অনিয়ম বা গরমিল করে হলেও ম্যানচেষ্টার সিটি খুব দ্রুত ইউরোপের বড় ক্লাবে পরিণত হয়েছে। বিগত দশকের আগে যারা শিরোপা জেতার লড়াইয়ের দৃশ্যপটে ছিল না, তারা এক দশকে জিতেছে ৪টি প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা। তাই এই শাস্তি তাদের উন্নয়নের ভাবমূর্তিতে ছাপ ফেলতে পারে, আর তাদের আয় তো কমবেই। তাই এখন সতর্কতার সাথে সকল হিসাব নিকাশ করতে হবে। ইচ্ছামত খেলোয়াড় কিনে কোনোমতেই বিপাকে পড়তে চাইবে না তারা। কিন্তু লিগের লড়াইয়ে তাদের টিকে থাকতে হলেও কোনো না কোনো সময় খেলোয়াড় কেনার প্রয়োজন তো হবেই। আগুয়েরো, সিলভা বা রক্ষণে অটামেন্ডির বয়সের পাশাপাশি বেশ কিছু দুর্বলতা আছে গার্দিওলার দলে। তাই খেলোয়াড় কেনার সময়ও সতর্কতা অবলম্বন করতে বাধ্য তারা। “বাই আউট ক্লজ” মূল্য পরিশোধ করে পছন্দের খেলোয়াড় কেনায় বাধা থাকবে। তেমনি ‘হাতি কাদায় পড়লে চামচিকাও লাথি মারে’ প্রবাদের মতো সিটির কাছে ইচ্ছামতো দাম হাঁকানোর নিষ্ঠুর খেলায় মেতে ওঠা এখন অন্য ক্লাবের সময়ের দাবি মাত্র।
সবসময় কোনো ভালোর পেছনে কিঞ্চিত খারাপ ও খারাপের পেছনে অল্প ভালো কিছু থাকে। এই শাস্তির কঠিন সময়ে সিটিজেনদের জন্য ভালো কিছু নেই? হয়তো আছে। ইউরোপের মঞ্চে যখন খেলা হবে না, তো আগামী দুই মৌসুমের জন্য চ্যাম্পিয়নস লিগ স্বপ্ন বাদ দেওয়া উচিত। চ্যাম্পিয়নস লিগের প্রবল চাপ প্রভাব ফেলে লিগ বা অন্যান্য প্রতিযোগিতায়। সেক্ষেত্রে কিছুটা ছাড় দিলে ম্যান সিটি আসন্ন দুই মৌসুমের জন্য এই চাপ থেকে মুক্ত। তাই ইউরোপের মঞ্চে খেলার কষ্ট চাপা দিয়ে প্রিমিয়ার লিগ, এফএ কাপের মতো প্রতিযোগিতায় আরও মনোনিবেশ করতে পারে গার্দিওলাবাহিনী। হাস্যকর শোনালেও, লিগের সাফল্য কিছুটা ভুলিয়ে দেবে ইউরোপের মঞ্চে না খেলার বেদনাকে।
ম্যানচেষ্টার সিটির এমন শাস্তি ফুটবল বিশ্বে একটা আলোড়ন তৈরি করে দিয়েছে। এর প্রয়োজনও ছিল। কারণ, খেলোয়াড়ের দলবদলে অর্থগত দিকে এখন লাগামহীন অবস্থা। যে যেখান থেকে পারছে, তাদের পছন্দের খেলোয়াড়কে অর্থের বিনিময়ে কিনে নিচ্ছে। আর ক্লাবের মালিক যদি শেখ মনসুর বা নাসের আল খেলাফির মতো ধনকুবের হন, তাহলে তো কোনো কথাই নেই।
তাই সিটিজেনদের এই শাস্তি কিছুটা ভিন্নভাবে ভাবলে তা হচ্ছে এক ধরনের সতর্কবার্তা। যে বার্তা সতর্ক করে যে, অর্থের অপব্যবহার করে বেশিদিন শীর্ষে থাকা যায় না। তা সামাজিক জীবনে হোক, আর ফুটবলের মতো কোনো খেলার মঞ্চেই হোক।