এই তো অক্টোবরের শুরুতে শ্রীলঙ্কা সফরে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে চারদিনের ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছেন মুমিনুল হক সৌরভ। সফরে ‘এ’ দলের নেতৃত্বও দিয়েছেন তিনি।
গত ৮ অক্টোবর দেশে ফিরেই পরদিন (৯ অক্টোবর) যোগ দিয়েছেন জাতীয় ক্রিকেট লিগে (এনসিএল) চট্টগ্রাম বিভাগের অনুশীলনে। বিসিবি একাডেমির সামনে দেখা হতেই নিছক রসিকতায় সাংবাদিকদের জটলা থেকে মুমিনুলকে বলা হলো, কী ভবিষ্যৎ টেস্ট অধিনায়ক, খবর কী? মুমিনুলের উত্তর ছিল এমন,
‘কী বলেন এসব! কে বলে আপনাদেরকে এসব, আমারে আপনাদের টেস্ট অধিনায়ক মনে হয় কেমনে! আমারে অধিনায়ক মানবেন আপনারা? আপনারা কখন যে কী বানিয়ে ফেলেন।’
সাংবাদিকরা বলে উঠলেন, কেন, সাকিবও তো এক সাক্ষাৎকারে বলছে, টেস্টে জুনিয়র কাউকে নেতৃত্বের দায়িত্ব দেয়া উচিত। আপনি তো সেই তালিকায় পড়েন। মুমিনুল তবুও নির্লিপ্ত। শুধু বললেন, ‘ভাই, আমি এসব নিয়ে ভাবি না।’
তারপর তিন সপ্তাহ অতিবাহিত হওয়ার আগেই মুমিনুলের কাঁধে উঠেছে টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের অধিনায়কত্বের ভার। জুয়াড়ির ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব গোপন করে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন সাকিব। বাঁহাতি এই অলরাউন্ডারের জায়গাতেই টেস্টে নতুন অধিনায়ক করা হয়েছে মুমিনুলকে।
সাদা পোশাকে ব্যাট হাতে অনেকবারই সৌরভ ছড়িয়েছে তার ব্যাট। এবার ব্যাটিংয়ের সঙ্গে নেতৃত্বের গুরুভারও এসেছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রায় সাত বছরের বিচরণেই অধিনায়ক হওয়ার গৌরব সঙ্গী হয়েছে মুমিনুলের। বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়কদের পরিবারে ১১তম সদস্য কক্সবাজারের এই তরুণ। ভারতের বিরুদ্ধে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ দিয়েই বাংলাদেশের ক্রিকেটে মুমিনুলের যুগ শুরু।
গত ৩০ অক্টোবর রাতেই সহধর্মিনীকে নিয়ে ব্যাংকক চলে যান মুমিনুল। ব্যাংকক যাওয়ার আগে একান্ত আলাপে নেতৃত্ব নিয়ে নিজের ভাবনার কথা জানিয়েছেন ২৮ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার। রোর বাংলার পাঠকদের জন্য যা তুলে ধরা হলো।
প্রথমেই অভিনন্দন, আসলে কেমন লাগছে?
না, ওই রকম কোনো ফিলিংস নাই। জাতীয় দলে ঢোকার সময় ছিল, তেমনই। খুব বেশি কিছু না, স্বাভাবিকই। একদিক থেকে একটু একটা জিনিস যে, আল্লাহর কাছে শুকরিয়া যে, আল্লাহ এই সুযোগ সবাইকে দেয় না। এই সুযোগ আমাকে দিছে। এজন্য যতই শুকরিয়া আদায় করি, তা ছোট মনে হবে। সুযোগ সবাই পায় না, আমি যেহেতু পেয়েছি, এর পুরোপুরি ব্যবহার করতে আমি যথাসাধ্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।
কখনো বাংলাদেশের অধিনায়ক হওয়ার স্বপ্ন বা চিন্তা ছিল কি না আপনার মনে?
আমি আমার জীবনে কখনো চিন্তাও করিনি। স্বপ্নও দেখিনি যে, আমি কোনোদিন অধিনায়ক হবো। একটা দেশের অধিনায়কত্ব করব, এভাবে প্রতিনিধিত্ব করব। কখনো আশা করিনি।
আপনি অধিনায়ক হয়েছেন, খবরটা প্রথম কে জানিয়েছিল আপনাকে?
আমি আফগানিস্তান সিরিজ থেকেই হালকা হালকা শুনতেছিলাম। সাকিব ভাই বারবার বলছিল। নির্বাচক সুমন ভাইও (হাবিবুল বাশার সুমন) ‘এ’ দলের হয়ে যখন যাই, তখন অধিনায়কত্বের কথা বলতো যে, অধিনায়ক হতে হবে তোকে। আমার মনে হয়, সাকিব ভাই কোচকে বলছে। সাকিব ভাই বারবার বলত না যে, জুনিয়র কাউকে অধিনায়ক করা উচিত? আমাকে বলছিল যে, তোমার করা উচিত। আমি এসব পাত্তা দেইনি। ২৯ অক্টোবর আগে কোচ জানাইছে। তারপর বোর্ড থেকে আকরাম ভাই, নান্নু ভাই জানাইছে।
দায়িত্ব পেয়েছেন, এখন নিশ্চয়ই পরিকল্পনা করবেন। টেস্টে বাংলাদেশ কোথায় আছে, দেশকে কোথায় দেখতে চান?
আসলে কেবল তো দায়িত্ব পেয়েছি, এখনও ওইভাবে চিন্তা করিনি। কোন জায়গায় নিব, নিতে পারব, এসব ভাবিনি। অনেক কিছু আছে, যেগুলো ঠিকঠাক হলে অনেক ভালো হবে। তবে হয়তো সময় লাগবে। আমার কাছে প্রথম যে জিনিসটা মনে হয় যে, আমরা যদি দল হিসেবে খেলতে পারি, এটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আপনি ব্যক্তিগতভাবে কী করছেন, করেছেন, এসবের চেয়ে দলের জন্য কী করতে পেরেছেন, এটাই বড়। দলের জন্য সবাই খেলতে পারলে ভালো হবে। ধরেন একটা প্লেয়ার সেঞ্চুরি করল, আবার কঠিন অবস্থায় কেউ ৩০-৪০ করল এবং ম্যাচটা জিতে গেল। আমার কাছে মনে হয়, দলের জন্য এসব ছোটখাট বিষয়গুলো দরকার, যে যখন খেলে, সুযোগ পায়। যখন দলটা একাত্ম হবে, সবাই দলের জন্য খেলবে, তখন দল রেজাল্ট পাবে।
একটা জিনিস এবার আমার খুব ভালো লাগছে যে, এই যে আমরা ধর্মঘট করেছিলাম, সেখান থেকে বেশ ইতিবাচক একটা বিষয় এসেছে। ক্রিকেটাররা সবাই এখন এক হয়েছে। সবাই এক হওয়াতে আমার মনে হয় দলে এটা ভালো প্রভাব ফেলবে। দলের রেজাল্টেও প্রভাব ফেলবে আশা করি।
আপনার নেতৃত্বেই বাংলাদেশ আইসিসির টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপেও প্রবেশ করবে, ভারত সিরিজ দিয়ে যেটি শুরু হচ্ছে। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের টার্গেট কী থাকবে? কীভাবে এগিয়ে যাবে দল?
আমার কাছে মনে হয়, আমরা এখন টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ নিয়ে না ভেবে, প্রতিটি টেস্ট হিসেবে চিন্তা করি ভালো হবে। এখন যাদের (ভারত) বিরুদ্ধে খেলব, তারা বিশ্বের এক নম্বর দল। আমাদের চিন্তাভাবনা থাকা উচিত যে, যতই বলি, আমরা টেস্টে পিছিয়ে, ওরা এগিয়ে, কিন্তু আমাদের ভেতরে এ জিনিসটা থাকতে হবে যে, আমরা জয়ের জন্য খেলতে যাব। অবশ্যই আমরা হারার জন্য বা ড্রয়ের জন্য যাব না। আমাদের ভেতরে যেন এটা সবসময় থাকে যে, আমরা জিততেই যাব। তখন হয়তো ইতিবাচক কিছু বের হবে আমার মনে হয়।
তাহলে বলছেন, মুমিনুল অধিনায়ক হিসেবে আক্রমণাত্মক থাকবেন, এবং প্রতিপক্ষ যারাই হোক, বাংলাদেশ জয়ের জন্য খেলবে?
অবশ্যই। অধিনায়ক রক্ষণাত্মক হোক, আক্রমণাত্মক হোক, সে সবসময় জয়ের জন্য চিন্তা করা উচিত। আপনি জেতার জন্যই খেলবেন। হারের জন্য মাঠে গিয়ে লাভ নেই। প্রতিপক্ষ যত শক্ত বা দুর্বল হোক, যে-ই মাঠে যাবে অধিনায়ক হিসেবে, সে জয়ের জন্যই যাবে। আমিও সেইভাবে যাব। তারপর রেজাল্ট কী হবে, সেটা পরের ব্যাপার। হয়তো সিরিজটা একটু কঠিন হবে। কিন্তু আমি জানি, আমি জয়ের জন্য যাব। আমরা আমাদের যতটুকু সাধ্য-সামর্থ্য আছে, ততটুকু দিয়ে জেতার চেষ্টা করব।
বাংলাদেশের ভালো লেগ স্পিনার নাই, টেস্টের জন্য ভালো গতিময় ফাস্ট বোলার নাই। আগের সব অধিনায়কের মতো আপনাকেও এই ঘাটতি নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে। এগুলোর প্রয়োজন কতটা অনুভব করেন?
আমি এগুলো নিয়ে আসলে এত চিন্তা করি না। কারণ, আমার কাছে মনে হয়, আপনার যেটা নাই, আপনি এটা নিয়ে ভেবে লাভ নাই। আমাদের কোচ কয়েকদিন আগে একটা কথা বলেছিল, প্লেয়ার আপনি তৈরি করতে পারবেন না। আমার এই নাই, ওই নাই, এটা ফালতু কথা মনে হয় আমার কাছে। কেউ যদি বলে, আমার লেগ স্পিনার নাই, ফাস্ট বোলার নাই, আমি এসব চিন্তা করি না। আমার যা আছে, এটা নিয়ে আমার কাজ করতে হবে। ওইটা থেকেই আমার অন্য অপশন বের করতে হবে। ভিন্ন রাস্তা বের করতে হবে, কীভাবে আমি ভালো খেলতে পারি, পরিস্থিতি সামাল দিতে পারি। আমার কাছে ওইটাই গুরুত্বপূর্ণ আরকি। আপনি এখন যেটা নাই, সেটা নিয়ে চিন্তা করা মানে, আপনি পেছনে পড়ে যাচ্ছেন। আপনার তো চিন্তা করতে হবে, সামনে কীভাবে এগিয়ে যাবেন। আমার কাছে এটাই গুরুত্বপূর্ণ। আমার যা আছে, তা দিয়েই আমি লড়ব। যুদ্ধে যখন মানুষ নামে, তখন যা আছে, তা নিয়েই লড়াই করে। বাইরের কিছু ভাবে না।
খুবই বাস্তবিক কথা যে, সাকিব আল হাসান নেই। ব্যাটিং-বোলিং দু’টি জায়গায়ই ঘাটতি থেকে যাচ্ছে, যেটা নিয়েই আপনাকে অধিনায়ক হিসেবে শুরু করতে হচ্ছে। এটা কত বড় চ্যালেঞ্জ?
আমার কাছে মনে হয়, সাকিব ভাইয়ের অভাব পূরণ খুব কঠিন। বলতে গেলে, প্রায় অসম্ভব। দিনশেষে হয়তো এটা ঠিক যে, কেউ কারো জন্য থেমে থাকে না। কিন্তু আমার কাছে মনে হয়, এখানে দুইটা প্লেয়ার নাই। উনি শুধু ব্যাটসম্যান বা শুধু বোলার হলে কথা ছিল। ওনার জায়গায় দুইটা প্লেয়ার লাগে। টিম কম্বিনেশন ঠিক করা কোচ-অধিনায়কের জন্য খুবই কঠিন কাজ। আমার কাছে মনে হয়, এটা সবাই মিস করবে, সেটা যে জায়গাতেই হোক। এটা আমার জন্য ভারসাম্যহীন একটা পরিস্থিতি, যেটা সামাল দিতে হবে। অবশ্যই আমি মিস করব, সবাই মিস করবে।
আমরা অতীতে দেখেছি, বাংলাদেশের অধিনায়কের দায়িত্ব পেয়ে অনেকেই বিভিন্ন উপায়ে টিমমেটদের নিজের বার্তা দিয়েছেন। এমন কোনো চিন্তা কি মুমিনুলও করেছেন?
আমার ওই রকম কোনো বার্তা এখনও নাই। আমার ওইরকম চাওয়া-পাওয়া নাই। আমি একটা কথাই বলি যে, সবাই যে যার দলের জন্য খেলবে। এটাই, এর চেয়ে বড় কোনো চাওয়া নাই। আর আমার কাছে আমার জবাবদিহিতা যে, অধিনায়ক হিসেবে দলকে কতটা নেতৃত্ব দিতে পারছি। দল যদি রেজাল্ট করতে না পারে, দল যদি ভালো না করে, এটার দায় আমার। আমি নেতৃত্ব দিতে পারছি কি না, এটা গুরুত্বপূর্ণ। আমি আশা করি, সবাই সহযোগিতা করবে। এমন কেউ নাই, যে সহযোগিতা করবে না। একটাই চাওয়া, সবাই দলের জন্য খেলবে। সবাই দলের জন্য খেললে রেজাল্ট হয়ে যাবে ইনশাল্লাহ।
দেশে-বিদেশে কোন অধিনায়ককে অনুসরণ করেন? কাকে বেশি ভালো লাগে?
বিশ্ব ক্রিকেটে ধোনি। ধোনির অধিনায়কত্ব অবশ্যই ভালো। আরেকটা বললে, মাইকেল ক্লার্ককে ভালো লাগে। ও খুব আক্রমণাত্মক ছিল, এ কারণে বেশি ভালো লাগত। রিকি পন্টিং আছে। ধোনি তো ঠান্ডা মাথার, পন্টিং-ক্লার্ক বেশ আক্রমণাত্মক ছিল। আমাদের এখানে মাশরাফি ভাই ভালো, সাকিব ভাই ভালো। সাকিব ভাই অবশ্যই অনেক ভালো, সাকিব ভাই আক্রমণাত্মক। মাশরাফি ভাইও অবশ্যই ভালো, না হয় তো ওনার আন্ডারে আমাদের এত রেজাল্ট আসে না।
গত ৪-৫ বছরে ধরে শুনে আসছেন, মুমিনুল টেস্ট ক্রিকেটার। হয়তো সবাই বারবার বলায় কষ্ট পেতেন, বিরক্ত হতেন। সেই টেস্ট ক্রিকেটই মুমিনুলকে বিশাল গৌরব এনে দিয়েছে। একটা টেস্ট দলের অধিনায়ক আপনি এখন। এটা চিন্তা করলে কেমন লাগে? এটা কি এমন লেগে থাকলে পাওয়া যায়?
হয়তো ভালোও লাগে। কী জানি (হাসি)। অত কিছু চিন্তা করি নাই যে, লেগে থাকলে পাওয়া যায় (হাসি)। আপনাকে তো প্রথমেই বলছি, আমি কখনো চিন্তাও করি নাই যে, আমি অধিনায়ক হবো। ওইভাবে কিছু ফিল করি নাই। বিসিবি দিছে, পাইছি, এখন করব মনোযোগ দিয়ে।
আপনার বাবা-মা, স্ত্রী, ভাই-বোন, বন্ধুরা নিশ্চয়ই খুব খুশি। কতটা সাড়া পেয়েছেন তাদের কাছ থেকে?
অবশ্যই। আম্মা অনেক খুশি। আমার আব্বা, ভাইয়া খুব খুশি। স্ত্রী তো অবশ্যই। আমার মনে হয়, আমার চেয়ে আমার আব্বা-আম্মা, ভাই, আত্মীয়স্বজনরা বেশি খুশি। আমি যে জিনিসটা ফিল করি নাই, হয়তো ওরা ওইটা ফিল করেছে। ওরা অনেক খুশি।
টেস্টে মুমিনুলের ব্যাট বাংলাদেশের বড় ভরসা। এখন শুধু সেঞ্চুরি নয়, অধিনায়কের দায়িত্বও আছে। ব্যাটসম্যান মুমিনুল একটু বাড়তি চাপে থাকবে এখন?
না, না, আমি যখন ব্যাটিং করতে নামব, যেমন আগে ছিলাম, ওইরকমই থাকব। (হাসি) যেভাবে খেলতাম, ওইভাবেই খেলব। যেভাবে বলতেছেন, ওইভাবে চিন্তা করলে অনেক চাপ চলে আসবে। আমি যেমন স্বাভাবিক ছিলাম, ওইভাবে থাকব, ওইভাবে খেলব। ম্যাচের অবস্থান বুঝে দলের জন্য খেলার চেষ্টা করব।
ওয়ানডে, টি-২০’র তুলনায় টেস্টের প্রতি বাংলাদেশের দর্শকদের আগ্রহ কমই দেখা যায়। নতুন টেস্ট অধিনায়ক হয়েছেন, দেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য কোনো বার্তা থাকবে কি না টেস্ট দলের অধিনায়ক হিসেবে?
হ্যাঁ, আপনি যে কথাটা বলেছেন, এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ কথা। আমার কাছে মনে হয় যে, বাংলাদেশের মানুষের টেস্টের প্রতি মনোযোগ একটু কম। একটা জিনিস যদি হয়, তাহলে হয়তো মানুষের মনোযোগ বাড়বে। আমাদের র্যাংকিংটা যদি এগিয়ে যায় আল্লাহর রহমতে, তাহলে হয়তো মানুষের একটু আগ্রহ বাড়বে যে, বাংলাদেশ টেস্টেও একটু ভালো খেলতেছে। তখন ফ্যান-ফলোয়ার বাড়বে। আমার কাছে মনে হয়, আমরা যদি ওই জায়গায় একটু ভালো খেলতে পারি, তাহলে এটা বাড়বে।