ক্রিকেট শুরু হয়েছিলো ‘ভদ্রলোকের খেলা’ হিসেবে। ঠিক তাই, ক্রিকেট ভদ্রলোকদের খেলাই বটে। ‘বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা কোনটি?’ এ প্রশ্নটির উত্তরে সবাই একবাক্যে ‘ফুটবল’ বলে দিতে পারে। হয়তো সেটাই সত্যি, তবে সময়ের সাথে সাথে ক্রিকেটের জনপ্রিয়তাও বাড়ছে উল্লেখযোগ্য হারে। ইতোমধ্যে ক্রিকেট বৈশ্বিক জনপ্রিয়তার দিক থেকে শীর্ষ দুইতে জায়গা করে নিয়েছে। এই ক্রিকেটের মূল সৌন্দর্যই হচ্ছে টেস্ট ক্রিকেট, আন্তর্জাতিকভাবে যার সূচনা হয় ১৮৭৭ সালে।
ক্রিকেটের জন্ম ইউরোপে হলেও সময়ের পরিক্রমায় ক্রিকেট এখন এশিয়ার দিকেই জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছে গিয়েছে। এশিয়ার বেশ কিছু দেশে ক্রিকেট তাদের সংস্কৃতিরই অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সব মিলিয়ে বাড়ছে জনপ্রিয়তা, বাড়ছে দর্শক; তাদের সাথে তাল মিলিয়ে নির্মিত হচ্ছে নান্দনিক সব ক্রিকেট স্টেডিয়াম। নতুন সাজে সাজছে ক্রিকেট ইতিহাসের শুরুর দিকের সব স্টেডিয়ামগুলোও। আসুন দেখে নেয়া যাক, সর্বাধিক আন্তর্জাতিক টেস্ট ক্রিকেট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে যে ৭টি স্টেডিয়ামে।
৭. অ্যাডিলেড ওভাল, অস্ট্রেলিয়া (৭৬টি ম্যাচ)
১৮৮৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া বিখ্যাত ‘অ্যাডিলেড ওভাল’ স্টেডিয়ামটি দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেড শহরে অবস্থিত। বিশালতা, স্থাপত্য, গ্যালারি, সবুজ আউটফিল্ড – সব মিলিয়ে স্টেডিয়ামটি ঐতিহ্যের সাথে আধুনিকতার যেন এক অনন্য মিশেল।
স্টেডিয়ামটিতে ১৮৮৪ সালে অস্ট্রেলিয়া বনাম ইংল্যান্ডের টেস্ট ম্যাচের মধ্য দিয়ে প্রথম আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। ৫০,০০০ দর্শক ধারণক্ষমতাসম্পন্ন স্টেডিয়ামটির প্লেয়িং এরিয়ার দৈর্ঘ্য ১৯০.২ মিটার ও প্রস্থ ১২৬.২ মিটার।
অ্যাডিলেডে এ যাবত ৭৬টি টেস্ট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে, যার মধ্যে ৫৭টি ম্যাচের ফলাফল জয়-পরাজয় হয় এবং ১৯টি ম্যাচ ড্র হয়। এই ভেন্যুতে এক ইনিংসে দলীয় সর্বোচ্চ ৬৭৪ রানের স্কোরটি অস্ট্রেলিয়ার, প্রতিপক্ষ দল হিসেবে ছিল ভারত। অন্যদিকে, সর্বনিম্ন ৮২ রানের দলীয় স্কোরটিও ছিলো অস্ট্রেলিয়ার।
এই মাঠে ব্যাটিংয়ে ব্যক্তিগত ১৭ ম্যাচে সর্বোচ্চ ১,৭৪৩ রান করেছেন অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যান রিকি পন্টিং। এবং এক ইনিংসে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ২৯৯* রান করেছিলেন ডোনাল্ড ব্র্যাডম্যান। বোলিংয়ে ব্যক্তিগত ১৩ ম্যাচে ৫৬ উইকেট নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান স্পিন বোলার শেন ওয়ার্ন। এবং এক ইনিংসে ব্যক্তিগত সেরা ‘৪৩ রানে ৮ উইকেট’ বোলিং ফিগারটি ছিলো ইংল্যান্ডের আলবার্ট ট্রটের।
৬. হেডিংলি ক্রিকেট গ্রাউন্ড, লীড’স (৭৭ টি ম্যাচ)
১৮৯০ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া হেডিংলি ক্রিকেট স্টেডিয়ামটি ইংল্যান্ডের লীড’স শহরে অবস্থিত। সময়ের সাথে সাথে অাধুনিকতায় পরিপূর্ণ স্টেডিয়ামটিতে সাধারণত ক্রিকেট ও রাগবি খেলার জন্য দুটো অংশ রয়েছে।
স্টেডিয়ামটিতে ১৮৯৯ সালে অস্ট্রেলিয়া বনাম ইংল্যান্ডের টেস্ট ম্যাচের মধ্য দিয়ে প্রথম আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। স্টেডিয়ামটিতে একসাথে ১৭,০০০ জন দর্শক গ্যালারীতে বসে খেলা উপভোগ করতে পারে।
হেডিংলিতে এ পর্যন্ত ৭৭টি টেস্ট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে, যার মধ্যে ৫৯ টি ম্যাচের ফলাফল জয়/পরাজয় হয় এবং ১৮টি ম্যাচ ড্র হয়। এই ভেন্যুতে এক ইনিংসে দলীয় সর্বোচ্চ ৬৫৩ রানের স্কোরটি অস্ট্রেলিয়ার, তাদের প্রতিপক্ষ দল হিসেবে ছিলো ইংল্যান্ড। অন্যদিকে, দলীয় সর্বনিম্ন ৬১ রানের স্কোরটি ছিলো ওয়েস্ট ইন্ডিজের।
এই মাঠে ব্যাটিংয়ে ব্যক্তিগত ৪ ম্যাচে সর্বোচ্চ ৯৬৫ রান করেছেন অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যান স্যার ডোনাল্ড ব্র্যাডম্যান, এবং এক ইনিংসে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৩৩৪ রান স্কোরটিও করেছিলেন তিনিই। বোলিংয়ে ব্যক্তিগত ৯ ম্যাচে সর্বোচ্চ ৪৪ উইকেট নিয়েছেন ইংল্যান্ডের ফ্রেড ট্রুম্যান। এক ইনিংসে ব্যক্তিগত সেরা ‘৪৩ রানে ৮ উইকেট’ বোলিং ফিগারটি ছিলো আরেক ইংল্যান্ডের তৎকালীন সেরা বোলার বব উইলিসের।
৫. ওল্ড ট্রাফোর্ড ক্রিকেট গ্রাউন্ড, ম্যানচেস্টার (৭৮ টি ম্যাচ)
‘এমিরেটস ওল্ড ট্রাফোর্ড’ নামে পরিচিত আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়ামটি ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টার ওল্ড ট্রাফোর্ডে অবস্থিত। ১৮৫৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া স্টেডিয়ামটি ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় প্রাচীনতম স্টেডিয়াম।
স্টেডিয়ামটিতে ১৮৮৪ সালে ইংল্যান্ড বনাম অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট ম্যাচের মধ্য দিয়ে প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। স্টেডিয়ামটিতে একসাথে ১৯,০০০ জন দর্শক গ্যালারীতে বসে খেলা উপভোগ করতে পারে।
ওল্ড ট্রাফোর্ডে এ যাবত ৭৮টি আন্তর্জাতিক টেস্ট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়, যার মধ্যে ৪৩ টি ম্যাচের ফলাফল জয়/পরাজয় হয় এবং ৩৫ টি ম্যাচ ড্র হয়। এই ভেন্যুতে এক ইনিংসে দলীয় সর্বোচ্চ ৬৫৬ রানের স্কোরটি অস্ট্রেলিয়ার, তাদের প্রতিপক্ষ দল ছিলো ইংল্যান্ড। অন্যদিকে, সর্বনিম্ন ৫৮ রানের দলীয় ইনিংসটি ছিলো ভারতের।
এই মাঠে ব্যাটিংয়ে ব্যক্তিগত ৮ ম্যাচে সর্বোচ্চ ৮১৮ রান করেছেন ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যান ডেনিস কম্পটন, এবং এক ইনিংসে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৩১১ রান করেছিলেন বব সিম্পসন। বোলিংয়ে ব্যক্তিগত ৭ ম্যাচে ৫১ উইকেট নিয়েছেন ইংল্যান্ডের মিডিয়াম ফাস্ট বোলার স্যার অ্যালেক বেডসার। এবং এক ইনিংসে ব্যক্তিগত সেরা ‘৫৩ রানে ১০ উইকেট’ বোলিং ফিগারটি ছিলো ইংল্যান্ডের ইতিহাসের অন্যতম সেরা স্পিনার জিম লেকার।
৪. দ্য ওভাল ক্রিকেট গ্রাউন্ড, লন্ডন (১০১টি ম্যাচ)
১৮৪৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া স্টেডিয়ামটি ইংল্যান্ডের লন্ডনে কেনিংটন শহরে অবস্থিত। এটি বিশ্বের দ্বিতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম হিসেবে পরিচিত। স্টেডিয়ামটিতে ১৮৮০ সালে ইংল্যান্ড বনাম অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট ম্যাচের মধ্যে দিয়ে প্রথম আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। স্টেডিয়ামটিতে একসাথে ২৩,৫০০ জন দর্শক গ্যালারীতে বসে খেলা উপভোগ করতে পারেন।
ওভালে এ পর্যন্ত ১০১টি টেস্ট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে, যার মধ্যে ৬৪ টি ম্যাচের ফলাফল জয়/পরাজয় হয় এবং ৩৭ টি ম্যাচ ড্র হয়। এই ভেন্যুতে এক ইনিংসে দলীয় সর্বোচ্চ ৯০৩ রানের স্কোরটি ইংল্যান্ডের, তাদের প্রতিপক্ষ দল হিসেবে ছিলো অস্ট্রেলিয়া। অন্যদিকে, দলীয় সর্বনিম্ন ৪৪ রানের স্কোরটিও ছিলো অস্ট্রেলিয়ারই।
এই মাঠে ব্যাটিংয়ে ব্যক্তিগত ১২ ম্যাচে সর্বোচ্চ ১৫১৬ রান করেছেন ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যান স্যার লিওনার্ড হাটন, এবং তিনিই এক ইনিংসে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৩৬৪ রান করেছিলেন। বোলিংয়ে ব্যক্তিগত ১১ ম্যাচে ৫২ উইকেট নিয়েছেন ইংল্যান্ডের ফাস্ট মিডিয়াম বোলার ইয়ান বোথাম। এক ইনিংসে ব্যক্তিগত সেরা ‘৫৭ রানে ৯ উইকেট’ বোলিং ফিগারটি ছিলো ইংল্যান্ডের ফাস্ট বোলার ডেভন ম্যালকমের।
৩. সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ড, অস্ট্রেলিয়া (১০৬টি ম্যাচ)
১৮৪৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া সিডনি ক্রিকেট স্টেডিয়ামটি সিডনি শহরের মুর পার্ক এলাকায় অবস্থিত। এটি ক্রিকেট ইতিহাসের বিখ্যাত সব স্টেডিয়ামগুলোর মধ্যে অন্যতম। স্টেডিয়ামটিতে ১৮৮২ সালে অস্ট্রেলিয়া বনাম ইংল্যান্ডের টেস্ট ম্যাচের মধ্য দিয়ে প্রথম আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। ৪০,০০২ জন দর্শক ধারণক্ষমতাসম্পন্ন স্টেডিয়ামটি প্লেয়িং এরিয়ার দৈর্ঘ্য ১৫৬ মিটার ও প্রস্থ ১৫৪ মিটার।
সিডনিতে এ যাবত ১০৬টি টেস্ট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে, যার মধ্যে ৮৭টি ম্যাচের ফলাফল জয়/পরাজয় হয় এবং ১৯টি ম্যাচ ড্র হয়। এই ভেন্যুতে এক ইনিংসে দলীয় সর্বোচ্চ ৭০৫ রানের স্কোরটি ভারতের, তাদের প্রতিপক্ষ দল হিসেবে ছিলো অস্ট্রেলিয়া। এবং দলীয় সর্বনিম্ন ৪২ রানের স্কোরটি অস্ট্রেলিয়ার।
এই মাঠে ব্যাটিংয়ে ব্যক্তিগত ১৬ ম্যাচে সর্বোচ্চ ১৪৮০ রান করেছেন অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যান রিকি পন্টিং। এক ইনিংসে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৩২৯ রানে অপরাজিত ছিলেন আরেক অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যান মাইকেল ক্লার্ক। বোলিংয়ে ব্যক্তিগত ১৪ ম্যাচে সর্বোচ্চ ৬৪টি উইকেট নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান বিশ্বসেরা বোলার শেন ওয়ার্ন। অস্ট্রেলীয় রাজত্বে ভাগ বসাতে এক ইনিংসে ব্যক্তিগত সেরা ‘৩৫ রানে ৮ উইকেট’ বোলিং ফিগারটি ছিলো ইংল্যান্ডের কিংবদন্তী মিডিয়াম ফাস্ট বোলার জর্জ লোহমান।
২. মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড, অস্ট্রেলিয়া (১১০টি ম্যাচ)
১৮৫৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া স্টেডিয়ামটি অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন শহরের ইয়ারা পার্কে অবস্থিত। আন্তর্জাতিক মানের অস্ট্রেলিয়ার সর্ববৃহৎ এই স্টেডিয়ামটিতে ক্রিকেট ও অস্ট্রেলিয়ান রুলস ফুটবল খেলাও অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। স্টেডিয়ামটিতে ১৮৭৭ সালে অস্ট্রেলিয়া বনাম ইংল্যান্ডের টেস্ট ম্যাচের মধ্য দিয়ে প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। ৯০,০০০ দর্শক ধারণক্ষমতাসম্পন্ন স্টেডিয়ামটির প্লেয়িং এরিয়ার দৈর্ঘ্য ১৭২.৯ মিটার ও প্রস্থ ১৪৭.৮ মিটার।
মেলবোর্নে এ যাবৎ ১১০টি টেস্ট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে, যার মধ্যে ৯৩টি ম্যাচের ফলাফল জয়/পরাজয় হয় এবং ১৭ টি ড্র হয়। এই ভেন্যুতে এক ইনিংসে দলীয় সর্বোচ্চ ৬২৪ রানের স্কোরটি অস্ট্রেলিয়ার, তাদের প্রতিপক্ষ দল হিসেবে ছিলো পাকিস্তান । এবং সর্বনিম্ন ৩৬ রানের স্কোরটি ছিলো দক্ষিণ আফ্রিকার।
এই মাঠে ব্যাটিংয়ে ব্যক্তিগত ১১ ম্যাচে সর্বোচ্চ ১৬৭১ রান করেছেন অস্ট্রেলিয়ার সর্বকালের সেরা ব্যাটসম্যান ডোনাল্ড ব্র্যাডম্যান, এবং এক ইনিংসে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৩০৭ রান করেছিলেন আরেক অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যান বব কাউপার। বোলিংয়ে ব্যক্তিগত ১৪ ম্যাচে ৮২ উইকেট নিয়েছেন তৎকালীন অস্ট্রেলিয়ার সেরা বোলার ডেনিস লিলি, এবং এক ইনিংসে ব্যক্তিগত সেরা ‘৮৬ রানে ৯ উইকেট’ বোলিং ফিগারটি ছিলো পাকিস্তানি বোলার সরফরাজ নেওয়াজের।
১. লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ড, লন্ডন (১৩৭ টি ম্যাচ)
বিশ্বের ক্রিকেট স্টেডিয়ামগুলোর মধ্যে সবচেয়ে প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী স্টেডিয়াম এটি। ১৮১৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া স্টেডিয়ামটি লন্ডনের সেন্ট জন’স এলাকায় অবস্থিত। স্টেডিয়ামটিতে ১৮৮৪ সালে ইংল্যান্ড বনাম অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট ম্যাচের মধ্য দিয়ে প্রথম আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। এ মাঠে একসাথে ৩০,০০০ জন দর্শক গ্যালারীতে বসে খেলা উপভোগ করতে পারেন।
লর্ডসে এ যাবৎ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে ১৩৭টি, যা যেকোনো ক্রিকেট স্টেডিয়াম থেকে বেশি। এই ১৩৭ টেস্টের ৮৬টি ম্যাচ জয়-পরাজয়ের মুখ দেখে এবং ৪৯টি টেস্ট ড্র হয়। এই ভেন্যুতে এক ইনিংসে দলীয় সর্বোচ্চ ৭২৯ রানের স্কোরটি অস্ট্রেলিয়ার, তাদের প্রতিপক্ষ দল হিসেবে ছিলো ইংল্যান্ড। অপরপক্ষে, সর্বনিম্ন ৪২ রানের স্কোরটি ছিলো ভারতের।
এ মাঠে ব্যাটিংয়ে ব্যক্তিগত ২১ ম্যাচে সর্বোচ্চ ২,০১৫ রান করেছেন ইংল্যান্ডের তৎকালীন সেরা ব্যাটসম্যান গ্রাহাম গুচ, এবং তিনিই ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৩৩৩ রানের অনবদ্য ইনিংসটি খেলেছিলেন। বোলিংয়ে ব্যক্তিগত ২৩ ম্যাচে ১০৩ উইকেট নিয়েছেন ইংল্যান্ডের বর্তমানে দেশসেরা বোলার জেমস অ্যান্ডারসন, এবং এক ইনিংসে ব্যক্তিগত সেরা ‘৩৪ রানে ৮ উইকেট’ বোলিং ফিগারটি ছিলো ইয়ান বোথামের।
Feature Image Source: coxarchitecture.con.au