আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু হয় ২০০৫ সালে। তখন টি-টোয়েন্টি খেলার যোগ্যতা ছিল টেস্ট খেলুড়ে দেশ এবং কিছু সংখ্যক সহযোগী দেশের। গতবছর ক্রিকেটের প্রসারের জন্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা (আইসিসি) সিদ্ধান্ত নেয় যে, ২০১৯ সালের পহেলা জানুয়ারি থেকে আইসিসির সহযোগী ১০৫ সদস্যের সবাই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির মর্যাদা পাবে। এতে করে দ্রুত ক্রিকেটের প্রসার ঘটবে।
ওয়ানডে ক্রিকেটেও বেশ কয়েকটি সহযোগী দলকে আন্তর্জাতিক ওয়ানডে খেলার সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছে আইসিসি। আইসিসির ছয়টি সহযোগী দলকে নিয়ে নামিবিয়ায় বিশ্ব ক্রিকেট লিগের দ্বিতীয় বিভাগের আসর বসে। ছয় দলের মধ্যে পয়েন্ট তালিকায় থাকা শীর্ষ চার দল ওয়ানডে স্ট্যাটাস পাওয়ার সাথে প্রথম বিভাগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে।
বিশ্ব ক্রিকেট লিগের দ্বিতীয় বিভাগে গ্রুপ পর্ব শেষে ওমান, যুক্তরাষ্ট্র, স্বাগতিক নামিবিয়া এবং পাপুয়া নিউ গিনি ওয়ানডে স্ট্যাটাস পেয়েছে। ওমান এবং যুক্তরাষ্ট্র এক ম্যাচ হাতে রেখেই ওয়ানডে স্ট্যাটাস পেয়ে যায়। এই চার দল ওয়ানডে স্ট্যাটাস পাওয়ার ফলে বর্তমানে আন্তর্জাতিক একদিনের ম্যাচ খেলুড়ে দেশের সংখ্যা ২০টি। দ্বিতীয় বিভাগ থেকে ওয়ানডে স্ট্যাটাস পাওয়া নতুন চার দল সম্পর্কে জেনে আসা যাক।
যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্র ২০০৪ সালের পর পুনরায় ওয়ানডে স্ট্যাটাস পেয়েছে। এর আগে তারা ২০০৪ সালে আইসিসি সিক্স ন্যাশন্স টুর্নামেন্ট জিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছিল। গ্রুপ পর্বে নিউ জিল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শোচনীয়ভাবে পরাজিত হওয়ার পর আর কখনও আন্তর্জাতিক ওয়ানডে খেলা হয়নি তাদের।
২০১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্র নতুনভাবে ক্রিকেট বোর্ডকে সাজায়। ২০১৬ সালে বিশ্ব ক্রিকেট লিগের চতুর্থ বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর তার নতুন করে অনুপ্রেরণা পায়। এরপর ২০১৮ সালে তৃতীয় বিভাগে দ্বিতীয় স্থানে থেকে দ্বিতীয় বিভাগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। ওয়ানডে স্ট্যাটাস পাওয়ার লক্ষ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক ক্রিকেটার জাভিয়ার মার্শাল, পাকিস্তানে বেড়ে ওঠা আলি খান এবং স্টিভেন টেইলর ও অ্যারন জোন্স সহ বেশ কিছু প্রতিভাবান ক্রিকেটার নিয়ে দ্বিতীয় বিভাগের জন্য দল সাজায় যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্র আসর শুরু করে পরাজয় দিয়ে। নিজেদের প্রথম ম্যাচে ওমানের কাছে ছয় উইকেটে পরাজিত হয়েছিল তারা। দ্বিতীয় ম্যাচে স্বাগতিক নামিবিয়ার বিপক্ষে অ্যারন জোন্সের অপরাজিত ১০৩ রানের দুর্দান্ত ইনিংসের পর আলি খানের অসাধারণ স্পেলের উপর ভর করে দুই রানের জয় তুলে নেয় যুক্তরাষ্ট্র। পাপুয়া নিউ গিনির বিপক্ষেও সহজে জয় তুলে নেয় যুক্তরাষ্ট্র। পাপুয়া নিউ গিনির দেওয়া ১২৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে কোনো উইকেট না হারিয়েই জয় তুলে নেয়। মোনাঙ্ক প্যাটেল ৭০ এবং জাভিয়ার মার্শাল অপরাজিত ৫৪ রানের ইনিংস খেলেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক টেস্ট ক্রিকেটার বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ইনিংস গোড়াপত্তন করছেন। তিনি ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ২০০৫ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছেন। ওয়ানডেতে তার অপরাজিত ১৫৭ রানের ইনিংসও রয়েছে। তিনি পাপুয়া নিউ গিনির বিপক্ষে অর্ধশতক হাঁকানোর পর হংকংয়ের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে শতক হাঁকান। দ্বিতীয় বিভাগে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে হংকংয়ের মুখোমুখি হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। তাদের সামনে সমীকরণ ছিল- জিতলেই ওয়ানডে খেলার মর্যাদা পাবে।
প্রথম তিন ম্যাচে টসে পরাজিত হওয়ার পর হংকংয়ের বিপক্ষে আসরের চতুর্থ ম্যাচেও টসে হারে যুক্তরাষ্ট্র। টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই আগের ম্যাচে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতা মোনাঙ্ক প্যাটেলের উইকেট হারায় তারা। এরপর দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে জাভিয়ার মার্শাল এবং স্টিভেন টেইলর ১৮০ রান যোগ করেন। জাভিয়ার মার্শাল শুরু থেকে বেশ ধীরগতিতে ব্যাট করেছিলেন, একপর্যায়ে ৫৫ বলে মাত্র ১৮ রান করেছিলেন তিনি। এরপর দুটি জীবন পাওয়ার পর শতক তুলে নেন মার্শাল। সাজঘরে ফেরার আগে ১৫৪ বলে পাঁচটি চার এবং তিনটি ছয়ের মারে ১০০ রান করেছিলেন তিনি। স্টিভেন টেইলর ৯৫ বলে ৮৮ রান এবং তিমিল প্যাটেল মাত্র ১২ বলে অপরাজিত ৩৪ রানের ইনিংস খেলেন, যার ফলে যুক্তরাষ্ট্র শেষপর্যন্ত ৮ উইকেটে ২৮০ রান সংগ্রহ করে।
যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া ২৮১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে হংকং। শেষপর্যন্ত নির্ধারিত ওভার শেষে সাত উইকেটে ১৯৬ রান তুলে ৮৪ রানে পরাজিত হয় তারা। এই জয়ে যুক্তরাষ্ট্র ২০০৪ সালের পর আবার ওয়ানডে স্ট্যাটাস পায়। তাদের ওয়ানডে স্ট্যাটাসে পুনরুদ্ধারে বড় অবদান ছিল পেসার আলি খানের। তিনি ১৮ বছর বয়স পাকিস্তানে ছিলেন, এরপর সপরিবারে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। সেখানে থেকেই ক্রিকেট চর্চা চালিয়ে যান। টুর্নামেন্টে মোট পাঁচ ম্যাচে ১৬ উইকেট শিকার করেছেন তিনি।
ওয়ানডে স্ট্যাটাস পাওয়ার পর বিশ্ব ক্রিকেট লিগের দ্বিতীয় বিভাগের ফাইনালে যাওয়ার জন্য শেষ ম্যাচে কানাডার মুখোমুখি হয় যুক্তরাষ্ট্র। কানাডার কাছে ৪০ রানে পরাজিত হয়ে গ্রুপ পর্বে তৃতীয় স্থানে থেকে আসর শেষ করে যুক্তরাষ্ট্র। নেট রান রেটে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় স্থানে থেকে ফাইনাল খেলে নামিবিয়া। শেষপর্যন্ত শিরোপাও ঘরে তোলে তারা।
ওমান
ওমান টি-টোয়েন্টি স্ট্যাটাস পেয়েছিল ২০১৫ সালে। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত ২০টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে জয়সহ মোট পাঁচ ম্যাচে জয় পেয়েছে তারা। টি-টোয়েন্টি স্ট্যাটাস পেলেও এতদিন ওয়ানডে স্ট্যাটাস পায়নি তারা। ২০১৮ সালে বিশ্ব ক্রিকেট লিগের তৃতীয় বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর দ্বিতীয় বিভাগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে ওমান। দ্বিতীয় বিভাগের প্রথম ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে চার উইকেটের জয় দিয়ে আসর শুরু করে তারা। এরপর কানাডাকে ৯৯ রানে এবং হংকংকে সাত উইকেটে পরাজিত করে ওয়ানডে খেলার স্বীকৃতি অর্জন করা একপ্রকার নিশ্চিত করে ফেলে তারা।
ওয়ানডে স্ট্যাটাস পাওয়ার লক্ষ্যে আসরে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে স্বাগতিক নামিবিয়ার মুখোমুখি হয় ওমান। টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় ওমান। ব্যাট করার আমন্ত্রণ পেয়ে নামিবিয়া নির্ধারিত ওভারে ৯ উইকেটে ২১৩ রান সংগ্রহ করেছিল। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬০ রান করেছিলেন নয় নাম্বারে নামা জোনাথন স্মিথ। নামিবিয়ার দেওয়া ২১৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে সন্দীপ গৌড়ের অপরাজিত ৫৭ রান এবং সুরাজ কুমারের ৫১ রানের উপর ভর করে পাঁচ বল এবং চার উইকেট হাতে রেখে জয় তুলে নেয় ওমান।
টানা চার জয়ে ওয়ানডে স্ট্যাটাস পাওয়ার পাশাপাশি দ্বিতীয় বিভাগের ফাইনালে উঠে যায় তারা। ফাইনাল নিশ্চিত করার পর গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে পাপুয়া নিউ গিনির বিপক্ষে মাত্র ৭৬ রানে গুটিয়ে গিয়ে ১৪৫ রানে পরাজিত হয়। ফাইনালে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি ওমান। নিজেদের প্রথম আন্তর্জাতিক একদিনের ম্যাচ খেলতে নেমে নামিবিয়া বিপক্ষে ১৪৫ রানের বড় ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে তারা।
নামিবিয়া
২০১৯ সালের বিশ্ব ক্রিকেট লিগের দ্বিতীয় আসর বসে নামিবিয়ায়। ২০০৩ সালের বিশ্বকাপে সর্বশেষ আন্তর্জাতিক একদিনের ম্যাচ খেলা নামিবিয়ার লক্ষ্য ছিল এই টুর্নামেন্টের মধ্য দিয়ে ওয়ানডে স্ট্যাটাস ফিরে পাওয়া। ওয়ানডে স্ট্যাটাস পেতে তাদের অপেক্ষা করতে হয় টুর্নামেন্টের শেষ ম্যাচ পর্যন্ত। নিজেদের প্রথম চার ম্যাচের মধ্যে পাপুয়া নিউ গিনি এবং কানাডার বিপক্ষে জয় পেলেও যুক্তরাষ্ট্র এবং ওমানের বিপক্ষে পরাজয়ে তাদের শেষ চারে জায়গা পাওয়াটা অনিশ্চিত ছিল।
শেষ চারে জায়গা করে নিতে নামিবিয়ার সামনে বাঁধা ছিল হংকং। হংকংয়ের বিপক্ষে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে রানের পাহাড় গড়েছিল নামিবিয়া। দলকে বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দিয়েছিলেন ওপেনার স্টিফেন বার্ড এবং জেপি কোৎজে। তারা দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ২৪৩ রান যোগ করেছিলেন। বার্ড ১২২ রান এবং জেপি কোৎজে মাত্র ৮৬ বলে ১৫টি চার এবং নয়টি ছয়ের মারে ১৪৮ রানের ইনিংস খেলেন। শেষদিকে স্মিথ ২৬ বলে অপরাজিত ৬১ রান এবং গ্রিন ২১ বলে ৪১ রান করেছিলেন। ফলে নামিবিয়া ৩ উইকেটে ৩৯৬ রানের বিশাল সংগ্রহ জমা করে।
নামিবিয়ার দেওয়া ৩৯৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে হংকং ২৪৫ রানে সবক’টি উইকেট হারিয়ে ১৫১ রানে পরাজিত হয়। হংকংয়ের বিপক্ষে বড় জয় তুলে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে টপকে দ্বিতীয় স্থানে থেকে গ্রুপ পর্ব শেষ করেছিলো স্বাগতিক নামিবিয়া। হংকংয়ের বিপক্ষে বড় জয় তুলে নিয়ে বেশ ফুরফুরে মেজাজে ছিল নামিবিয়া। এর আগে ২০০৪ সালে ছয়টি ওয়ানডে খেলে সবকটিতে পরাজয়ের স্বাদ পাওয়া নামিবিয়া বিশ্ব ক্রিকেট লিগের দ্বিতীয় বিভাগের ম্যাচের ফাইনালে ওমানের বিপক্ষে সহজ জয় পায়।
নামিবিয়া এর আগে ওয়ানডে খেললেও ওমানের এটিই প্রথম আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ম্যাচ ছিল। দুই দলের সামনেই প্রথম ওয়ানডে জয়ের হাতছানি ছিল। ওমানের বিপক্ষে ফাইনালে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেটে ২২৬ রান সংগ্রহ করে নামিবিয়া। জবাবে ওমান মাত্র ৮১ রানে গুটিয়ে গিয়ে ১৪৫ রানে পরাজিত হয়। এতে করে শিরোপা জয়ের পাশাপাশি বিশ্ব ক্রিকেট লিগের দ্বিতীয় বিভাগের শিরোপা জেতে নামিবিয়া।
পাপুয়া নিউ গিনি
পাপুয়া নিউ গিনি প্রথম আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ম্যাচ খেলে ২০১৪ সালে। ২০১৮ সালে বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে ওয়ানডে স্ট্যাটাস হারানোর আগে মোট ১৮টি ওয়ানডে খেলে ছয়টিতে জয়ের দেখা পায় তারা। ২০১৮ সালে ওয়ানডে স্ট্যাটাস হারানোর পর দ্বিতীয় বিভাগে অবনমন হয়ে যায় তাদের। ওয়ানডে স্ট্যাটাস পাওয়ার লক্ষ্যে দ্বিতীয় বিভাগে খেলতে নেমে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি তারা। প্রথম চার ম্যাচে তাদের জয়ের সংখ্যা মাত্র একটি। নেট রান রেটেও বেশ পিছিয়ে ছিল তারা।
গ্রুপ পর্বের শেষদিনে পাপুয়া নিউ গিনির প্রতিপক্ষ ছিল টুর্নামেন্টের সবকটি ম্যাচে জয় পাওয়া ওমান। এই ম্যাচে ওমানকে বড় ব্যবধানে হারানোর পাশাপাশি কানাডা এবং যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাচের দিকেও তাকিয়ে থাকতে হবে তাদের। পাপুয়া নিউ গিনি গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ওমানের বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করে ২২১ রান সংগ্রহ করেছিল। জবাবে ওমানকে মাত্র ৭৬ রানে আটকে রেখে ১৪৫ রানের বড় ব্যবধানে জয় তুলে নেয় তারা। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রকেও ৪০ রানে পরাজিত করে কানাডা। কিন্তু রান রেটে পিছিয়ে থাকার কারণে কানাডার ওয়ানডে স্ট্যাটাস পাওয়া হয়নি। রান রেটে খুব অল্প ব্যবধানে এগিয়ে থেকে ওয়ানডে স্ট্যাটাস পেয়ে যায় পাপুয়া নিউ গিনি।
পুনরায় ওয়ানডে স্ট্যাটাস পাওয়ার পর বিশ্ব ক্রিকেট লিগের তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে মুখোমুখি হয় পাপুয়া নিউ গিনি এবং যুক্তরাষ্ট্র। পাপুয়া নিউ গিনি টসে জিতে যুক্তরাষ্ট্রকে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানায়। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা যুক্তরাষ্ট্র একপর্যায়ে ১০৯ রান তুলতে ৮ উইকেট হারিয়ে বসে। শেষদিকে তিমিল প্যাটেলের অপরাজিত ৫০ রানের উপর ভর করে যুক্তরাষ্ট্র ১৬৪ রান সংগ্রহ করে। জবাবে লেগা সিয়াকার ৬২ রান এবং নরমান ভানুয়ার ১২ বলে অপরাজিত ২৮ রানের উপর ভর করে পাপুয়া নিউ গিনি ৫ উইকেট এবং ১৭ ওভার বাকি থাকতে জয় তুলে নেয়।
যুক্তরাষ্ট্র, ওমান, পাপুয়া নিউ গিনি এবং নামিবিয়া ওয়ানডে স্ট্যাটাস পাওয়ার পর এখন লড়াই করবে ২০২৩ সালের বিশ্বকাপে জায়গা করে নেওয়ার জন্য। তাদের সাথে যোগ দিয়ে নেপাল, স্কটল্যান্ড এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাথে আইসিসি ক্রিকেট ওয়ার্ল্ড কাপ দ্বিতীয় লিগের আসরে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। ২০১৯ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত এই টুর্নামেন্ট চলবে। এখান থেকে সেরা তিন দল ২০২২ সালের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে।