Welcome to Roar Media's archive of content published from 2014 to 2023. As of 2024, Roar Media has ceased editorial operations and will no longer publish new content on this website.
The company has transitioned to a content production studio, offering creative solutions for brands and agencies.
To learn more about this transition, read our latest announcement here. To visit the new Roar Media website, click here.

সেরেনা উইলিয়ামস: টেনিস সাম্রাজ্যের এক কৃষ্ণাঙ্গ রানী

২০১৭ সালের ২৮ জানুয়ারি, মেলবোর্নের রড লেভার অ্যারেনাতে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালে মুখোমুখি দুই সহোদর বোন সেরেনা উইলিয়ামস ও ভেনাস উইলিয়ামস। গ্যালারিতে বসে তাদের সমর্থনে মা ওরাসিন প্রাইস উইলিয়ামস। কিন্তু কাকে সমর্থন দিবেন মিসেস উইলিয়ামস- ভেনাসকে নাকি আদরের ছোট মেয়ে সেরেনাকে? ম্যাচ শেষে এক মেয়ের মুখে থাকবে হাসি আর এক মেয়ের মুখে বিষাদের ছাপ। বলা বাহুল্য, দুই বোনের এটি ২৯ তম লড়াই, ২৩ তম গ্র্যান্ড স্ল্যাম শিরোপার সন্ধানে সেরেনা। কে জানতো যে লড়াইটা হবে নিজের আপন বোনের বিরুদ্ধে?

পেশাদার লড়াইয়ের কাছে যেন রক্তের সম্পর্ক তুচ্ছ। ম্যাচের শুরু থেকে আধিপত্য ছিল ভেনাসের, তবে সেরেনার দুর্দান্ত কামব্যাকে প্রথম সেট সেরেনা জিতে নেন ৬-৪ এ। ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে ২য় সেটের খেলা শুরু করলেন। এগিয়ে ছিলেন ২-০ তে। তবে পরের সেট থেকে সেরেনার সামনে দাঁড়াতেই পারে নি। তাই বলে একদম আত্মসমর্পনও করেননি। লড়াইটা করছিলেন এক লড়াকু খেলোয়াড়ের মতনই। তবে ফলাফল সেরেনার অনুকূলে। এ সেটও সেরেনা জিতে নেন ৬-৪ এ।

ম্যাচ শেষে শেষ হাসিটা হাসলো উইলিয়ামস পরিবারের ছোট মেয়েই, তবে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তার জীবনে বড় বোনের অবদানের কথা নির্দ্বিধায় বলে ফেললেন সেরেনা, “সে একজন অসাধারণ নারী, এ পর্যায়ে আমি কখনোই আসতে পারতাম না যদি না ও থাকতো। ও ছাড়া আমি কিছুই না।” অন্তরে বিষাদ আর মুখে হাসি নিয়ে বোনকে ঠিকই শুভেচ্ছা জানালেন ভেনাস নিজেই, “আমার ছোট বোন সেরেনা, ২৩ তম শিরোপা জেতায় ওকে জানাই অভিনন্দন।

দুই বোনের এমন আলিঙ্গন দেখে বোঝার উপায় নেই যে তারা কিছুক্ষণ আগে একে অন্যের বিপক্ষে ছিলেন; Source: AP

রিচার্ড উইলিয়ামস এবং ওরাসিন প্রাইসের ঘরে ১৯৮১ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর সেরেনার জন্ম। বাবা রিচার্ড উইলিয়ামস ছিলেন ওরাসিন প্রাইস এর ২য় স্বামী। আগের সংসারে তিন মেয়ে রয়েছে ওরাসিন প্রাইসের। রিচার্ড উইলিয়ামসেরও এটি ২য় সংসার। প্রথম পক্ষের স্ত্রীর সংসারে ছিল ৩ ছেলে। সেরেনার বয়স তখন ৩ বছর, উইলিয়ামস পরিবার পাড়ি জমায় ক্যালিফোর্নিয়ায়। রিচার্ডের ইচ্ছা দুই মেয়েকে টেনিস খেলোয়ার বানানোর। মেয়েদের ভর্তি করালেন কম্পটন টেনিস একাডেমিতে রিচার্ড উইলিয়ামসের অধীনে। যেহেতু কোচের নাম ছিল তাদের বাবার নামে, তাই কোচের কাছ থেকে অনেকটা নিজের বাবার মতোই স্নেহ পেয়েছিলেন দুই বোন।

তার কাছ থেকে শিখলেন টেনিসের খুঁটিনাটি বিষয়গুলো। তবে সেগুলো পর্যাপ্ত ছিল না। তাদের প্রয়োজন আরো উন্নত প্রশিক্ষণের। সে সময় রিকি ম্যাকি ছিলেন অনেক নামকরা টেনিস কোচ। রিচার্ড উইলিয়ামস সিদ্ধান্ত নিলেন মেয়েদের নিয়ে যাবেন তার কাছে। তবে ছাড়তে হবে ক্যালিফোর্নিয়া। তিনি তাতেও রাজি। শুরু হলো দুই বোনের সংগ্রাম। সে সময় আমেরিকার জুনিয়র টেনিস টিমে ১০ জন খেলোয়ারের মধ্যে সেরেনা ছিলেন সেরা। সেরেনার ফোরহ্যান্ড শটগুলো ছিল দেখার মতো, যা টেনিসে সেরেনার সবথেকে মূল অস্ত্র।

সেরেনার একটি দুর্দান্ত শট; Source: newsx.com

তবে ব্যাক হ্যান্ড শটও তাকে নিতে দেখা যায়। ক্লে কোর্ট খেলতে সেরেনা বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। ১৯৯৫ সালে পেশাদার জীবনের শুরু হয়। ব্যাংক অফ দ্য ওয়েস্ট ক্লাসিকে অংশ নিতে যান, তবে নারী টেনিস অ্যাসোসিয়েশনের বয়সের ধরাবাঁধা নিয়মের ফলে টুর্নামেন্ট থেকে তাকে বাদ পড়তে হয়। সে বছর কুইবেকের এক টেনিস প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন, যা ছিল পেশাদার জীবনের প্রথম ম্যাচ। তবে সে ম্যাচ জিততে পারেননি সেরেনা।

পরের বছর শিকাগোতে আমেরিটেক কাপে অংশ নেন তিনি। সে সময় র‍্যাংকিংয়ে সেরেনার অবস্থান ছিল ৩০৪। হারিয়ে দেন র‍্যাংকিংয়ে ৪র্থ অবস্থানে থাকা মনিকা সেনেসকে। তবে হেরে যান সেমি ফাইনালে। ধীরে ধীরে আসেন নারী এককের শীর্ষ ১০০-তে । ১৯৯৮ সালে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন দিয়ে কোনো গ্র্যান্ড স্লাম টুর্নামেন্টে তার যাত্রা শুরু হয়। তবে ২য় রাউণ্ডেই হেরে যান বড় বোন ভেনাসের কাছে। বোনের বিরুদ্ধ সেটি ছিল তার প্রথম কোনো পেশাদার ম্যাচ এবং সেই সাথে ১ম হার। সে বছর সব মিলিয়ে ৬টি টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনাল খেলে বিদায় নিতে হয় সেরেনাকে। তবে তার মনোবল তাকে হারতে দেয়নি, বরং প্রেরণা দিয়েছে সামনে এগিয়ে যাওয়ার। নারী এককের পাশাপাশি এবার মনোযোগ দিলেন দ্বৈত এবং মিশ্র দ্বৈতে।

নারীদের দ্বৈত টেনিসে সেরেনা খেলেছেন বড় বোন ভেনাসকে সাথে নিয়ে; Source: fortune

সেরেনার যত রেকর্ড এবং অর্জন

  • ২০০২ সালে প্রথমবারের মতো নারী এককের শীর্ষে ওঠে সেরেনা।
  • ২০০২-১৭ এর মাঝে ক্যারিয়ারে মোট ৮ বার ছিলেন নারী এককের শীর্ষে ।
  • জিতেছেন দুটি হপম্যান কাপ।
  • মায়ামি মাস্টার্স টুর্নামেন্টে নারী এককে জিতেছেন ৮ বার।
  • দেশের হয়ে অলিম্পিকে সোনা জিতেছেন ৪ বার, যার মধ্যে একটি ছিল নারী এককে এবং বাকী ৩টি বড় বোন ভেনাসকে সাথে নিয়ে দ্বৈতে।
  • টানা ১৮৬ সপ্তাহ ছিলেন র‍্যাংকিংয়ের শীর্ষে।
  • একক, দ্বৈত, এবং মিশ্র দ্বৈত সব মিলিয়ে তার গ্র্যান্ড স্ল্যামের সংখ্যা ৩৯টি। ২৩টি একক, ১৪টি দ্বৈতে এবং বাকী ২টি মিশ্র দ্বৈতে।
  • ডব্লিউটিএ চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছেন ৫ বার।
  • টেনিসের উন্মুক্ত যুগে নারী এককে সর্বোচ্চ গ্র্যান্ড স্ল্যামের মালিক তিনি।
  • সার্বিকভাবে নারী এককে ২য় সর্বোচ্চ শিরোপা তার। তার সামনে এখন রয়েছে মার্গারেট কোর্টের ২৪টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম শিরোপার রেকর্ডে ভাগ বসানোর হাতছানি।
  • পুরো ক্যারিয়ার জুড়ে তার মোট শিরোপার সংখ্যা ৭২টি।
  • একক টেনিসে সর্বোচ্চ ম্যাচ জয়ের রেকর্ড তার ঝুলিতে। শুধু প্রাইজ মানি থেকে আয় করেছেন প্রায় সাড়ে ৮ কোটি ডলার। তার ক্যারিয়ারে সফলতার হার ৮৫%।

২০১৬-তে ছিলেন সর্বোচ্চ বেতনধারী নারী অ্যাথলেট। পরের বছর শীর্ষ ১০০ ধনী খেলোয়াড়ের মধ্যে ছিলেন একমাত্র নারী খেলোয়াড়। মোট ৪ বার জিতেছেন লরিয়াস সেরা নারী খেলোয়াড়ের পুরস্কার। ২০১৫-তে বিখ্যাত ম্যাগাজিন স্পোর্টস ইলাস্ট্রেটেড তাকে স্পোর্টস পার্সন অফ দ্য ইয়ারে ভূষিত করে।

দুই বোনের দ্বৈরথ

পেশাদার ম্যাচে মোট ২৯ বার মুখোমুখি হয়েছে সেরেনা এবং ভেনাস। তবে দুই বোনের লড়াইয়ে সফলতার হার ছোট বোনের বেশি। ১৭টি জিতেছেন সেরেনা বাকি ১২টি জিতেছে ভেনাস। ২৯ বারের দেখায় ১৫ বার ছিল গ্র্যান্ড স্ল্যামে। ৪টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম মিলিয়ে ফাইনালে মোট ৯ বার মুখোমুখি হয়েছেন দুই বোন, যেখানে বড় বোনকে হারিয়ে ৭ বার গ্র্যান্ড স্ল্যামের শিরোপা জিতেছেন সেরেনা উইলিয়ামস, যার সর্বশেষটি আসে গত বছর অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে।

মাতৃত্ব ও সেরেনা

২০১৭ এর জানুয়ারিতে নিজের বড় বোনকে হারিয়ে জিতেছিলেন ক্যারিয়ার এর ২৩ তম গ্র্যান্ড স্ল্যাম। ফেব্রুয়ারি এবং মার্চে ইন্ডিয়ান অয়েলস ওপেন এবং মায়ামি ওপেন থেকে ইঞ্জুরির জন্য নাম প্রত্যাহার করে নেন সেরেনা। এপ্রিলের মাঝামাঝি দিকে প্রকাশ পায় সেরেনার অন্তঃস্বত্তা হওয়ার বিষয়টা। অর্থাৎ সেরেনা যখন অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জেতে তখন ৮ সপ্তাহের অন্তঃস্বত্তা ছিল। বিষয়টি মিডিয়াতে প্রকাশ করে সেরেনার বাগদত্ত এবং তার অনাগত সন্তানের বাবা আমেরিকার বিখ্যাত সামাজিক নেটওয়ার্ক সংহতি এবং বিষয়বস্তু রেটিং বিষয়ক ওয়েবসাইট কোম্পানি রেডিট এর  সহপ্রতিষ্ঠাতা আলেক্সিস ওহানিয়ান। তবে এক সাক্ষাৎকারে মা হওয়ার পর টেনিসে নিজের প্রত্যাবর্তনের কথা জানান সেরেনা।

অনাগত সন্তানের প্রতি লিখেছিলেন এক আবেগঘন চিঠি, “তুমি আমাকে সেই শক্তি দিয়েছো যা আছে বলে আমি জানতাম না। তুমি আমাকে শান্ত থাকা এবং শান্তির আসল মানে শিখিয়েছো। তোমার সাথে দেখা করার জন্যে আমি আর অপেক্ষা করতে পারছি না। আগামী বছর তুমি প্লেয়ার বক্সে থাকবে। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো তোমাকে সাথে নিয়ে আমি নাম্বার ওয়ান হয়েছি। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বয়সের সাবেক এক নম্বরের পক্ষ থেকে সবচেয়ে কম বয়সী এক নম্বরের জন্য এই চিঠি … তোমার মা সেরেনা।

গত বছর ১লা সেপ্টেম্বরে জন্ম নেয় সেরেনা এবং অ্যালেক্সিসের প্রথম কন্যাসন্তান অ্যালেক্সিস অলিম্পিয়া ওহানিয়ান জুনিয়র। নভেম্বরের ১৬ তারিখে নিউ অরলিন্সে বিয়ের পিড়িতে বসেন সেরেনা এবং অ্যালেক্সিস।

সেরেনা উইলিয়ামস ও অ্যালেক্সিস ওহানিয়ান; Source: business insider

তাদের বিয়েতে উপস্থিত ছিল বিয়ন্স, আন্না উইংটন, কিম কার্দেশিয়ানের মতো সব তারকারা।

মা হওয়ার পর প্রত্যাবর্তন

মা হওয়ার মাত্র দুই মাস পরেই টেনিসে ফেরেন সেরেনা। আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড টেনিস চ্যাম্পিয়নশিপে করেন প্রত্যাবর্তন। সে ম্যাচে মাকে সমর্থন দিতে বাবার কোলে চড়ে গ্যালারিতে এসেছিল সেরেনার চার মাস বয়সী কন্যাসন্তান অ্যালেক্সিস অলিম্পিয়াও। সেরেনা তখন কোর্টে। গ্যালারিতে বসে মেয়েকে কোলে নিয়ে তাকে ফিডার খাওয়াচ্ছিলেন বাবা। দৃশ্যটি ভাইরাল হয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে। অ্যালেক্সিস অহানিয়ান দেখালেন, কী করে স্ত্রীকে সম্মান করতে হয়, কী করে বাবা হিসেবে নিজের সন্তানের প্রতি দায়িত্ব পালন করতে হয়।

মেয়েকে কোলে নিয়ে গ্যালারিতে অ্যালেক্সিস ওহানিয়ান; Source: daily mail

তবে প্রত্যাবর্তনের সে ম্যাচটি সেরেনা হেরে যান। মাতৃত্বজনিত সমস্যার কারণে ৬ সপ্তাহের জন্য আবারও টেনিসের বাইরে যেতে হয় তাকে। বোন ভেনাসকে সাথে নিয়ে ফেরেন নারী দ্বৈতে। তবে ফেড কাপে হেরে যান নেদারল্যান্ডের লেসলি কারখোভ এবং ডেমি স্কার্সের কাছে। সম্প্রতি ফ্রান্সের বিখ্যাত ম্যাগাজিন ভোগ তাদের কভার ফটোতে সেরেনা এবং তার কন্যার ছবি ছাপায়। ভোগের কভার ফটোতে স্থান পাওয়া সেরেনায় প্রথম কোনো কৃষ্ণাঙ্গ নারী।

ভোগ ম্যাগাজিনের কভার ফটোতে সেরেনা এবং তার শিশুকণ্যা; Source: Vouge magazine

মাঠের বাইরে সেরেনা

টেনিসের বাইরে ব্রিটিশ লাক্সারি অটোমোবাইল প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাস্টন মার্টিনে চিফ স্পোর্টস অফিসার হিসেবে কাজ করেছেন সেরেনা। আমেরিকার বিখ্যাত ন্যাশনাল ফুটবল লিগের ফ্র্যাঞ্চাইজি মায়ামি ডলফিন্সের সহ মালিকানা আছে উইলিয়ামস বোনদের নামে। ইংরেজি ছাড়াও সেরেনা ফ্রেঞ্চ, স্প্যানিশ এবং ইটালিয়ান ভাষায় দক্ষ। ২০১৩, ‘১৫ ও ‘১৬ ফ্রেঞ্চ ওপেন জেতার পর ফ্রেঞ্চ ভাষায় সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন সেরেনা।

২০০৮ সালে উইলিয়ামস ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে কেনিয়ার এক প্রত্যন্ত একটি জায়গায় স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হয়। ফাউন্ডেশনটি বিভিন্ন সময়ে সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান করে থাকে। সামাজিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণের জন্য পেয়েছেন সেলিব্রিটি মডেল অ্যাওয়ার্ড সহ অসংখ্য পুরস্কার। হাইতির ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করার লক্ষ্যে ২০১০ অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের আগে ডব্লিউটিএ ও এটিপির শীর্ষ খেলোয়ারদের নিয়ে একটি চ্যারিটি ইভেন্টের আয়োজন করা হয় । পরের বছর, সেরেনা ইউনিসেফের গুড উইল এ্যাম্বাসেডর নির্বাচিত হন।

গত বছর কাজ করেছেন অ্যালস্টেট ফাউন্ডেশনে, যারা গৃহনির্যাতনের শিকার নারীদের নিয়ে কাজ করে। এছাড়াও সেরেনা কাজ করেছেন এল্টন জন এইডস ফাউন্ডেশন, হার্ট অফ গোল্ড, দ্য কমন গ্রাউন্ড ফাউন্ডেশন সহ বিভিন সামাজিক ও সেচ্ছাসেবী সংগঠনে।২০০৫ সালে উইলিয়ামস বোনদের নিয়ে হিলারি বেয়ার্ড “সেরেনা অ্যান্ড ভেনাস: সার্ভিং ফ্রম দ্য হিপ” নামে একটি বই লিখেন। ২০০৯ সালের ইউএস ওপেনের পর “অন দ্য লাইন” নামে নিজের আত্মজীবনী লেখেন সেরেনা। এছাড়া আমেরিকার বিভিন্ন টিভি সিরিয়াল এবং রিয়েলিটি শো-তে অতিথি হয়ে উপস্থিত হয়েছেন সেরেনা।

ক্যারিয়ারের শুরু থেকে এ পর্যন্ত বর্ণ বৈষম্যের শিকার কম হতে হয়নি সেরেনাকে। গত বছর বিখ্যাত এক জুতা কোম্পানির শোরুমে গিয়ে শোরুমটির ম্যানেজারের কাছ থেকে বর্ণ বৈষম্যের সম্মুখীন হতে হয়েছিল সেরেনা উইলিয়ামসকে। ম্যানেজার সেরেনাকে ‘ডিসগাস্টিং’ বলেছিলেন। তিনি সেরেনাকে সেসব সুবিধা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেছিলেন, যা তারা সচরাচর অন্যান্য শ্বেতাঙ্গ সেলিব্রিটিদের দিয়ে থাকে।

তবে বর্ণ বৈষম্যের বাধা পেরিয়ে সেরেনা যেন হয়ে উঠেছেন টেনিস সাম্রাজ্যের এক কৃষ্ণাঙ্গ রানী।

ফিচার ইমেজ: abc.net.au

Related Articles