
আর্জেন্টিনার নজরটা লুসাইল স্টেডিয়ামেই ছিল বিশ্বকাপ শুরুর আগে থেকেই। তবে সেটা যতটা না গ্রুপপর্বে সৌদি আরবের বিপক্ষে ম্যাচে, তার থেকে অনেক বেশি ফাইনালে। গত ৩৬ ম্যাচ অপরাজিত থাকা টুর্নামেন্ট ফেভারিটদের তো চোখটা সেখানেই থাকা উচিত!
তবে অন্যরকম ভেবেছিলেন হার্ভে রেনার্দ নামের এক ফরাসি ভদ্রলোক। ২০১৯ সালে দায়িত্ব নেওয়ার পর নিজ হাতে গড়েছেন তিনি সৌদি আরবের এই দলটিকে। ম্যাচের আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, এরপর ম্যাচে টেকনিক্যালি রীতিমতো বিধ্বস্ত করেই প্রমাণ করলেন, বিশ্বকাপের মতো মঞ্চে কোনো দলই সমান নয়।

ম্যাচের শুরু থেকেই আর্জেন্টিনা ছন্দেই ছিল। আক্রমণের পর আক্রমণ চলছিল, তবে আটকে যাচ্ছিল শেষ দেয়ালে গিয়ে – গোলরক্ষক মোহাম্মেদ আলোভেজ। একের পর এক দুর্দান্ত সেইভ করেছেন তিনি। আর কৌশলগত দিক থেকে বাজিমাৎ করেছেন ম্যানেজার হার্ভে। সাথে সৌদি আরবের সহায় হয়েছে ভাগ্যও; নইলে একই ম্যাচে তিন-তিনটি অফসাইড গোলও কি বাতিল হয় অফসাইডের কারণে?
‘ভিএআর’-এর বদৌলতে পাওয়া পেনাল্টি থেকে করা গোলের মাধ্যমে চারটি ভিন্ন বিশ্বকাপে গোল পাওয়ার কীর্তি গড়েও লিওনেল মেসি জেতাতে পারলেন না আর্জেন্টিনাকে। ফলে বিশ্বকাপের প্রথম ‘অঘটন’-এর শিকার হতে হলো আর্জেন্টিনাকে, আর রূপকথার এক গল্প লিখলেন হার্ভে-মোহাম্মেদরা।