স্বাস্থ্যগতভাবে সম্পূর্ণ সক্ষম অ্যাথলেটরাই বর্তমানে অলিম্পিকে অংশ নিয়ে থাকেন। কিন্তু যাদের কোনো না কোনো দিক থেকে শারীরিক বা মানসিক সীমাবদ্ধতা রয়েছে, তাদেরও তো খেলাধুলার ইচ্ছে ও অধিকার আছে। এমন সব মানুষের জন্যই প্যারালিম্পিক।
প্যারালিম্পিকের উৎস খুঁজতে ধরনা দিতে হবে লুডভিগ গুটম্যান নামে এক ইহুদি জার্মান চিকিৎসকের কাছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে নাৎসিদের হাতে নিপীড়িত হন তিনি। বহু কষ্টে পালিয়ে ইংল্যান্ডে এলে সরকার যুদ্ধাহত সেনাদের জন্য একটি হাসপাতাল খোলার অনুরোধ করে তাকে।
গুটম্যান ছিলেন স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ। তিনি বাকিংহ্যামশায়ারে স্টোক-ম্যান্ডভিল নামে একটি হাসপাতাল খুলে বসেন। এখানে মূলত মেরুদণ্ডে আঘাতপ্রাপ্ত সৈনিকদের চিকিৎসা দেয়া হতো।
তখনকার দিনে এই সৈনিকদের জন্য ব্যবহৃত চিকিৎসাপদ্ধতি ছিল তাদের নড়াচড়া না করিয়ে বিছানায় দীর্ঘদিন শুইয়ে রাখা। গুটম্যান দেখতে পেলেন- এতে লাভের থেকে ক্ষতি বেশি হচ্ছে। রোগীরা শারীরিক ও মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ছে। তিনি কিছু পরীক্ষানিরীক্ষা করেন। নিয়মিত বিরতিতে শুয়ে থাকা রোগীদের পাশ ফিরিয়ে দিতে থাকেন।
গুটম্যানের পরীক্ষা সামান্য হলেও রোগীদের অবস্থার উন্নতি হয়। তিনি উৎসাহিত হয়ে ঠিক করলেন- তাদের খেলাধুলার ব্যবস্থা করবেন। তার চিন্তা ছিল- এর ফলে মাংসপেশী আর স্নায়ুতন্ত্রের ব্যয়াম হয়, যাতে সৈনিকদের সেরে ওঠা ত্বরান্বিত হবে।
গুটম্যান হুইলচেয়ারে বসে পোলো, বাস্কেটবল, ডার্ট, তীরন্দাজি ইত্যাদি খেলা শুরু করেন হাসপাতালে। তার রোগীদের দ্রুত বেশ উন্নতি দেখা যায়। অন্য চিকিৎসকেরা গুটম্যানের পদ্ধতি ব্যবহার আরম্ভ করেন। এভাবে শারীরিক সীমাবদ্ধতাসম্পন্ন রোগীদের জন্য চিকিৎসা হিসেবে খেলাধুলার প্রচলন হয়।
১৯৪৮ সালের ২৯ জুলাই লন্ডন অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ছিল। সেদিনই গুটম্যান তার রোগীদের জন্য তীরন্দাজি প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন। হুইলচেয়ারে বসে যুদ্ধাহত ১৪ জন পুরুষ ও ২ জন নারী সৈনিক অংশ নেয় এতে। প্রতিযোগিতা ঘিরে সবার মধ্যে সৃষ্টি হয় তুমুল উদ্দীপনা। ফলে একে বার্ষিক একটি আয়োজনে রূপান্তরিত করেন গুটম্যান, নাম দেয়া হয় স্টোক-ম্যান্ডভিল গেমস।
দু’বছর পর প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা ষাটে গিয়ে পৌঁছে। বর্শা নিক্ষেপ একটি খেলা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৯৫২ সালে বাইরের দেশ থেকেও প্রতিযোগীরা আমন্ত্রিত হন। নেদারল্যান্ডসের যুদ্ধাহত সেনারা ব্রিটিশদের সাথে যোগ দিলে গুটম্যানের মস্তিষ্কপ্রসূত এই আয়োজন আন্তর্জাতিক রূপ লাভ করে।
১৯৫২ সালে ১৩০ জন প্রতিযোগীর অংশগ্রহণে গেমসের ব্যাপ্তি আর বিস্তৃত হয়। আইওসি-রও চোখ পড়ে এখানে। খেলাধুলায় অবদানের জন্য তাদের তরফ থেকে ‘স্যার থমাস ফার্নলি কাপ’ তুলে দেয়া হয় গুটম্যানের হাতে।
দ্রুতই স্টোক-ম্যান্ডভিলের নাম ছড়িয়ে পড়তে থাকে। ১৯৫৪ সালে চৌদ্দটি দেশের প্রতিযোগীরা বাকিংহ্যামশায়ারে জড়ো হয় খেলার জন্য। এদের মধ্যে অস্ট্রেলিয়া, মিশর, পর্তুগাল, পাকিস্তান প্রভৃতি দেশের প্রতিযোগী ছিলেন।
আন্তর্জাতিক আসর হয়ে যাওয়ায় নানা দেশে আয়োজন শুরু হয়। নবম স্টোক-ম্যান্ডভিল আসর যখন আয়োজিত হলো, তখন দেখা গেল এযাবৎকালের সব আয়োজন ছাপিয়ে গেছে তা। ২৩টি দেশের ৪০০ অ্যাথলেট সেই বছর জড়ো হয়। ভেন্যু ছিলো ইতালির রোমের অলিম্পিক স্টেডিয়াম।
অলিম্পিক সমাপনীর কয়েকদিনের মাথায় শুরু হয় প্রতিযোগিতা। তীরন্দাজি, বাস্কেটবল, সাঁতার, ফেন্সিং, বর্শা নিক্ষেপ, টেবিল টেনিস, পেন্টাথলনসহ আরো বেশ কিছু খেলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন অ্যাথলেটরা। এরপর থেকে অলিম্পিকের সাথে মিলিয়ে চার বছর অন্তর অন্তর আসর হবে বলে ঠিক হয়।
স্টোক-ম্যান্ডভিল থেকে আরম্ভ হয়ে বিশাল প্রতিযোগিতায় রূপ নেয়া এই আসরকে বিভিন্ন নামে ডাকা হতো। Olympiad for the Physically Disabled, Olympics for the Disabled, অথবা International Games for the Disabled ইত্যাদি। তবে ১৯৮৮ সাল থেকে প্যারালিম্পিক গেমস নামে পরিচিতি পায় তা। গ্রীক ‘প্যারা’ অর্থ ধরা যায় ‘পাশাপাশি (Beside)’। এর সাথে ‘অলিম্পিক’ যোগ হয়ে বোঝাত অলিম্পিকের পাশাপাশি আয়োজিত প্রতিযোগিতা।
এক দশকের বেশি সময় ধরে প্যারালিম্পিকসের অন্তর্ভুক্ত ছিল শুধু গ্রীষ্মকালীন খেলাধুলা। ১৯৭৬ সালে সুইডেনে প্রথমবারের মতো শীতকালীন প্যারালিম্পিক অনুষ্ঠিত হয়। এতদিন হুইলচেয়ারে বসে থাকা অ্যাথলেটরা অংশ নিয়ে আসছিলেন। সুইডেনেই সর্বপ্রথম হুইলচেয়ার ব্যবহার না করা সীমাবদ্ধতাসম্পন্ন প্রতিযোগীদের উপস্থিতি দেখা যায়। এদের মধ্যে ছিলেন দৃষ্টিশক্তির সীমাবদ্ধতায় ভোগা এবং অঙ্গচ্ছেদ বা অ্যাম্পুটেশন হয়েছে এমন ব্যক্তিরা। সব মিলিয়ে ১৬টি দেশ থেকে ১৯৮ জন প্রতিযোগী আসেন সুইডেনে। পশ্চিম জার্মানি সবচেয়ে বেশি পদক নিয়ে যায়।
১৯৮৮ সালে সিউলে প্যারালিম্পিকের প্রথম গ্রীষ্মকালীন আসর আলাদাভাবে অনুষ্ঠিত হয়। উদ্বোধনী আয়োজন দেখতে এসেছিল প্রায় এক লাখ লোক। প্যারালিম্পিকের ইতিহাসের ৯৫০টি বিশ্বরেকর্ডের দেখা পায় সিউল। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিযোগী ট্রিশা জর্ন সাঁতারে ৯টি বিশ্বরেকর্ড গড়ে ছিনিয়ে নেন ১২টি সোনা।
এক বছর পর ২২ সেপ্টেম্বর আইওসি-র মতো গঠিত হয় আন্তর্জাতিক প্যারালিম্পিক কমিটি। তাদের হেডকোয়ার্টার তখন ছিল জার্মানির ডুসেলডর্ফে, পরে যা বনে সরিয়ে আনা হয়। আইওসি-র মতো এই কমিটি যুক্ত প্যারালিম্পিক গেমসের আয়োজনের সাথে।
আইওসি আর প্যারালিম্পিক কমিটি একটি চুক্তি করে এটাও ঠিক করল যে- অলিম্পিকের স্বাগতিক শহরই প্যারালিম্পিকের আয়োজন করবে। সদ্যসমাপ্ত টোকিও অলিম্পিকসের পর পরই আগাস্ট আর সেপ্টেম্বর মিলিয়ে হয়ে গেল ষোড়শ গ্রীষ্মকালীন প্যারালিম্পিক। মার্চে বেইজিংয়ে হচ্ছে শীতকালীন আসর।
বর্তমানে প্যারালিম্পিকের প্রতিযোগীদের ছয়টি ভাগে ফেলা হয়। অঙ্গচ্ছেদ বা অ্যাম্পুটেটেড, সেরেব্রাল পালসি নামে মস্তিষ্কের রোগে আক্রান্ত, দৃষ্টিশক্তিজনিত সমস্যা, স্পাইনাল কর্ডে আঘাত, বুদ্ধিবৃত্তিজনিত অসুস্থতা ও অন্যান্য। প্রতিটি ভাগের অ্যাথলেটদের আবার নানা শাখা-প্রশাখায় ভাগ করা হয়। অনেক সময় শারীরিক অবস্থার পরিবর্তনের পরিপ্রেক্ষিতে একজন অ্যাথলেট দুটি ভিন্ন ভাগের অন্তর্ভুক্ত হয়ে দুই আসরে অংশ নিতে পারেন।
বিখ্যাত কয়েকজন প্যারালিম্পিয়ান
স্টিফেন মিলার
সেরেব্রাল পালসি নিয়ে জন্ম নেয়া মিলার ভারসাম্য বজায় রাখা আর বিভিন্ন মাংসপেশি সমন্বয়ের কাজ ঠিকভাবে করতে পারেন না। তবে এই বাধা তাকে ঠেকিয়ে রাখতে পারেনি। ইংল্যান্ডের হয়ে ২০ বছরের বেশি সময় ধরে তিনি ৬টি প্যারালিম্পিকে খেলেছেন, জিতেছেন ৩টি স্বর্ণ, ১টি রৌপ্য আর ২টি ব্রোঞ্জ পদক। ২০১২ সালে লন্ডন প্যারালিম্পিকে মিলারের হাতেই তুলে দেয়া হয় ইংল্যান্ডের অধিনায়কের গুরুদায়িত্ব।
বিয়েট্রিস হেস
১৯৮০ থেকে ২০০৪- এই দুই যুগ সময়ে ফরাসি বিয়েট্রিস হেস সাঁতারে তুলে নিয়েছেন ১৫টি স্বর্ণপদক। সেরেব্রাল পালসিতে আক্রান্ত এই খেলোয়াড়ের সংগ্রহে আছে মোট ২৫টি পদক: ২০টি স্বর্ণ আর ৫টি রৌপ্য। প্যারালিম্পিকের সেরা খেলোয়াড়দের মধ্যে তার নাম অহরহই উচ্চারিত হয়।
মাইক কেনি
স্পাইনাল কর্ডের আঘাতের কারণে প্যারালিম্পিকে অংশ নেন মাইক কেনি। ইংল্যান্ডের এই প্রতিযোগী ১৯৭৬ থেকে শুরু করে বারো বছর নিয়মিত হাজিরা দিয়ে গেছেন। নিজের প্রতিভার দ্যুতি ছড়িয়ে সাঁতারের ইভেন্টে জিতে নিয়েছেন ১৬টি স্বর্ণপদক। তার কীর্তি আরো চমকপ্রদ এ কারণে যে আঘাতের চিকিৎসা হিসেবে সাঁতারের চর্চা তিনি আরম্ভ করেন কেবল ১৯৭১ সাল থেকে!
ফ্রাঞ্জ নিয়েটলিশপাচ
সুইস এই প্যারালিম্পিয়ানের মূল খেলা হুইলচেয়ার দৌড়। তবে টেবিল টেনিস আর সাইক্লিংয়েও প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন তিনি। ১৯৭৬ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত প্রতিটি গেমসের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিলেন ফ্রাঞ্জ। ১৫টি স্বর্ণ, ৬টি রৌপ্য আর ১টি ব্রোঞ্জ পদক নিয়ে নিজেকে নিয়ে গেছেন অতিমানবীয় উচ্চতায়।
ট্যানি গ্রে-থম্পসন
যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বিখ্যাত প্যারালিম্পিয়ানের নাম বললে ট্যানি গ্রে-থম্পসনের কথাই আসে সর্বাগ্রে। স্পাইনা বাইফিডা বা দ্বিখণ্ডিত স্পাইনাল কর্ড নিয়ে জন্ম নেয়া এই অ্যাথলেট প্যারালিম্পিকে নাম লেখান ১৯৮৮ সালে। পরবর্তী ষোল বছরে হুইলচেয়ার দৌড়ে তিনি ১১টি স্বর্ণপদক জয় করেন।
জোনাস জ্যাকবসন
সুইডেনের প্যারালিম্পিক শুটার জ্যাকবসনকেও কোনোভাবেই পিছিয়ে রাখা যাবে না। তার পদকসংখ্যার দিকে চোখ বোলালেই বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যায়। ১৬টি প্যারালিম্পিক স্বর্ণ জয় করেছেন তিনি।
রেইনহিল্ড মুলার
জার্মান রেইনহিল্ড শীতকালীন প্যারালিম্পিকের পরিচিত নাম। স্কিয়িংয়ে ১৯টি স্বর্ণপদক তার ঘরে। ১৯৮০ থেকে ২০০৬ এই ছাব্বিশ বছরে সর্বমোট ২৩টি পদক জিতেছেন তিনি।
রবার্টো মার্সন
ইতালিয়ান রবার্টো মার্সন ১৯৬৪ সাল থেকে শুরু করে চারটি অলিম্পিকে খেলেছেন। সব মিলিয়ে ২৬টি পদক জিতে ইতিহাসের অন্যতম সফল প্যারালিম্পিয়ান তিনি।
মায়ুমি নোরিতা
জাপানি নোরিতা অংশ নিয়েছিলেন ১৯৯৬, ২০০০ আর ২০০৪ প্যারালিম্পিক গেমসে। সর্বশেষ অলিম্পিকে মাইকেল ফেলপসের মতোই সাঁতারে ৭টি স্বর্ণপদক জেতেন তিনি। তার ঘরে আছে মোট ১৫টি স্বর্ণপদক।
শ্যান্টেল পেটিটক্লের্ক
কানাডিয়ান প্যারালিম্পিয়ান ২০০৪ আর ২০০৮ প্যারালিম্পিকে গড়েছেন অনন্য এক কীর্তি। হুইলচেয়ার দৌড়ের ১০০, ২০০, ৪০০, ৮০০ আর ১,৫০০ মিটার ইভেন্টে তাকে কেউ হারাতে পারেনি। দু’বারই সব ইভেন্ট জিতে নেন তিনি। তার সংগ্রহে আছে ১৪টি স্বর্ণপদক।
ট্রিশা জর্ন
যুক্তরাষ্ট্রের ট্রিশা জন্ম নিয়েছিলেন দৃষ্টিশক্তি ছাড়া। তবে তিনি থেমে থাকেননি। ১৯৮০ থেকে ২০০৪ এর মধ্যে ৪৬টি প্যারালিম্পিক পদক গলায় ঝুলিয়েছেন, যার ৩১টিই স্বর্ণপদক!
অস্কার পিস্টোরিয়াস
একসময় বিখ্যাত, বর্তমানে কুখ্যাত অস্কার পিস্টোরিয়াসের নাম না নিয়ে এই লেখা শেষ করা ঠিক হবে না। দক্ষিণ আফ্রিকার এই প্যারালিম্পিয়ানের দু’পা-ই হাঁটুর নিচে কাটা। সেখানে অনেকটা ব্লেডের মতো দেখতে কৃত্রিম প্রত্যঙ্গ লাগিয়ে দৌড়ে অংশ নিতেন তিনি। এজন্য তার ডাকনাম ছিল ‘ব্লেড রানার’।
২০০৮ সালে বেইজিং প্যারালিম্পিকে বিশ্বরেকর্ড গড়ার পথে তিনটি স্বর্ণ ছিনিয়ে নেন পিস্টোরিয়াস। তার খ্যাতি সম্ভবত শীর্ষে পৌঁছে চার বছর পর লন্ডনে, যখন গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে শারীরিকভাবে পূর্ণ সক্ষম অ্যাথলেটদের সাথে ট্র্যাকে নেমে ইতিহাস গড়েন তিনি।
পিস্টোরিয়াসের পতন আরম্ভ হয় ২০১৩ সাল থেকে। ১৪ ফেব্রুয়ারি নিজের বাসায় বান্ধবী রিভা স্টিনক্যাম্পকে গুলি করে হত্যা করেন এই প্যারালিম্পিয়ান। আদালতে দাবি করেন- ডাকাত পড়েছে ভেবে গুলি ছুড়েছিলেন তিনি। খুনের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়ে তাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারক। তবে দক্ষিণ আফ্রিকায় এই রায়ের বিরুদ্ধে অসন্তোষ গড়ে ওঠে।
২০১৫ সালের অক্টোবরে পিস্টোরিয়াসকে কারাগার থেকে মুক্তি দিয়ে গৃহবন্দী রাখা হয়। কিন্তু সেই বছরের ৩রা ডিসেম্বর আপিল কোর্ট খুনের অভিযোগে তাকে দোষী সাব্যস্ত করে। পরের বছর তাকে ৬ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। ২০১৭ সালের নভেম্বরে সুপ্রিম কোর্ট অব আপিল এই দণ্ড বাড়িয়ে ১৩ বছর ৫ মাস করে দেয়।