মারিও বালোতেল্লিকে নিয়ে একটা গল্প সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন সেই সময়ের ইন্টার মিলান কোচ জোসে মরিনহো। সেখানে বলেছেন, ইন্টারের দুই বছরের সময়কালে শুধু মারিও বালোতেল্লির কাহিনী নিয়েই তিনি কমপক্ষে ২০০ পৃষ্ঠার বই লিখতে পারবেন। এবং সেটি পুরোটাই নাকি হবে কমেডি ধাঁচের বই। সেই গল্পটা ছিল অনেকটা এরকম:
কাজানে চ্যাম্পিয়নস লিগ ম্যাচের আগে এক সংকটে পড়েছিলাম, স্ট্রাইকার সংকট। মিলিতো-ইতো দুইজনই ইনজুরির কারণে মাঠের বাইরে। একমাত্র অপশন হাতে ছিল মারিও বালোতেল্লি। কিন্তু ম্যাচের ৪২ কি ৪৩ মিনিট, মারিওর কপালে জুটল হলুদ কার্ড। তাই বিরতির ১৫ মিনিটের মধ্যে ১৪ মিনিট খরচ করলাম শুধু মারিওর পিছনেই। তাকে বুঝালাম,
‘মারিও, আমার হাতে কোনো স্ট্রাইকার নেই, কোনোভাবেই তোমাকে পরিবর্তন করা সম্ভব না। তাই আগ বাড়িয়ে নিজে থেকে কাউকে স্পর্শ পর্যন্ত করবে না, শুধু বলটা নিয়েই খেলো। বল কেউ কেড়ে নিলে কোনো প্রতিক্রিয়া নয়, রেফারি ভুল সিদ্ধান্ত দিলেও কোনো প্রতিক্রিয়া নয়, এমনকি বিপক্ষ দলের কেউ তোমাকে উস্কে দিতে চাইলেও কোনো প্রতিক্রিয়া নয়। মারিও, প্লিজ!’
৪৬ মিনিট। রেড কার্ড!
এমনই ক্ষ্যাপাটে বালোতেল্লিকে নিয়ে লিখতে বসলে এক আর্টিকেলে জায়গা সংকুলান না হওয়াটাই স্বাভাবিক। তবুও বালোতেল্লির উঠে আসা সেখান থেকে হারিয়ে যাওয়া সব মিলিয়েই লিখা এই আখ্যান।
ম্যানচেস্টার সিটিতে খেলার সময় একবার রাস্তায় পুলিশ অবরোধ করে বালোতেল্লিকে। কারণ, গাড়ির ব্যাকসিটে রাখা ছিল ২৫ হাজার ইউরো। এত টাকা নিয়ে রাস্তায় কেন, এমন জিজ্ঞাসাবাদের উত্তরে বালোতেল্লির উত্তরটা ছিল তিনটে শব্দের,
‘Because I’m rich.’
অথচ এই টাকার অভাবেই একদিন নিজের বাবা-মা’কে ছেড়ে বালোতেল্লিকে পাড়ি জমাতে হয়েছিল অন্য এক পরিবারে।
১৯৯০ সালের ১২ আগস্ট জন্ম হয় মারিও বালোতেল্লির। বাবা থমাস বারুয়াহ ও মা রোজের ঘরে দ্বিতীয় সন্তান ছিলেন বালোতেল্লি। ঘানাইয়ান বংশোদ্ভূত বাবা-মা’র ঘরে জন্ম নেওয়ার পরপরই পাকস্থলীর এক জটিল রোগে আক্রান্ত হন বালোতেল্লি। অথচ তাকে চিকিৎসা দেওয়ার পর্যাপ্ত অর্থকড়িও ছিল না বাবা-মা’র কাছে। বাধ্য হয়েই বালোতেল্লিকে দত্তক দিয়ে দেন অন্য এক পরিবারের কাছে। সেই সময় মারিওর বয়স সবে তিন।
সেই থেকেই কি না কে জানে, বালোতেল্লি একটু আলাদা হয়েই বড় হলেন। উগ্রতা বলতে যেটা বুঝায়, সেটা না হলেও ছেলেমানুষি ছিল প্রচুর। তাই হয়তো প্রতিভার বিচ্ছুরণটা সবসময় ছিল হুটহাট আসা শিরোনামের আড়ালেই। মাত্র ১৫ বছর বয়সে বার্সেলোনায় ট্রায়াল দিয়ে ব্যর্থ হয়েছিলেন বালোতেল্লি। তবে মাঠের বাইরের জীবনে দ্বিতীয় সুযোগ না পেলেও ফুটবলে সেটি পেয়ে যান। পরের বছরেই ইন্টার মিলানের হয়ে নাম লেখান বালোতেল্লি। শুরুটা দুর্দান্ত হলো, জোড়া গোল করে বসলেন শেফিল্ডের সাথে এক প্রীতি ম্যাচে।
তবে বালোতেল্লির ‘অ্যাটিটিউড’টাই কাল হয়ে দাঁড়ায়। ট্রেইনিংয়ে প্রায়ই থাকতেন অনুপস্থিত, এমনকি বাকি খেলোয়াড়দের মতো অতটা সময়ও দিতেন না বালোতেল্লি। স্বভাবতই যারপরনাই ক্ষেপে যান বিন্দুমাত্র ছাড় না দেওয়া মরিনহো।
“আমার অধীনে এমন একটা অপরিণত ছেলেকে আমি ফিগো-জানেত্তির মতো সিনিয়র খেলোয়াড়দের মতো ছাড় দিতে পারি না।”
ফলাফল, ২০০৯ সালে সিরি-আ দ্বিতীয়ার্ধে দল থেকেই বাদ পড়ে যান বালোতেল্লি।
পরিস্থিতির উন্নতি ছিল খুব সামান্যই। উল্টো দিনকে দিন দুইজনের মধ্যকার সম্পর্কটা বেশ নড়বড়ে হয়ে পড়ে। তারই মাঝে এক আলোচিত ঘটনার জন্ম দেন বালোতেল্লি। এক টিভি অনুষ্ঠানে বালোতেল্লি যান এসি মিলানের জার্সি গায়ে চাপিয়ে। অথচ তখন তিনি খেলছেন নগর প্রতিদ্বন্দ্বী ইন্টার মিলানেই!
২০০৮ সালে স্ট্যামফোর্ড ব্রিজের ১-০ গোলে জয়ী হওয়া ম্যাচে বালোতেল্লিকে দলের সাথেই আনেননি মরিনহো। ম্যাচশেষে বালোতেল্লির সমালোচনায় যোগ দেন মাতেরাজ্জি, অধিনায়ক জানেত্তি, এমনকি খোদ বালোতেল্লির এজেন্টও। বালোতেল্লি দ্রুতই ক্ষমা চেয়ে নিলেও বুঝতে পারেন, ইন্টারের দরজা তার জন্য চিরতরেই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তাই দলবদলে আগ্রহী হয়ে পড়েন। ম্যানচেস্টারের দুই ক্লাব তাকে চাইলেও ইন্টারের হয়ে নিজের প্রথম কোচ মানচিনির অধীনে খেলা বালোতেল্লি তার দল ম্যানসিটিতেই যোগ দেন। তবে ইন্টার মিলান অধ্যায় শেষ করে আসলেও বিতর্ক পিছু ছাড়েনি বালোতেল্লিকে।
“তার খেলার ধরন অনেকটাই প্রিমিয়ার লিগ ঘরানার। আশা করি সে মানিয়ে নেবে, এবং সামনের মৌসুমগুলোতে নিজেকে যোগ্য খেলোয়াড় হিসেবেই তুলে ধরবে।”
নিজের শিষ্যকে এভাবেই জাগিয়ে তুলতে চেয়েছিলেন মানচিনি। তবে বালোতেল্লির সে সবে থোড়াই কেয়ার! নিজের মতো জীবনকে উপভোগের নামে প্রতিভাকে নষ্ট করার জন্যই যেন ইংল্যান্ডে তার আগমন। ততদিনে অবশ্য প্রতিভার জোরে ব্যক্তিগত পুরস্কার জিতে নিয়েছেন বালোতেল্লি, ২০১০ সালের ‘গোল্ডেন বয়’ খেতাব জেতেন এই ইতালিয়ান। এই জয়ের আনন্দেই কি না করে বসেন আরেক বেফাঁস মন্তব্য। এক লিওনেল মেসিকে নিজের চেয়ে “little better” আখ্যা দিয়ে মন্তব্য করে বসেন, আগের কোনো গোল্ডেন বয়-ই নাকি তার চেয়ে ভালো নয়।
অবশ্য এরপর সত্যতা প্রমাণের দায়েই কি না কে জানে, সে মন্তব্যের ৭ দিন পরই অ্যাস্টন ভিলার সাথে করে বসেন প্রিমিয়ার লিগের প্রথম হ্যাটট্রিক। তবে বালোতেল্লি নিজের নামের প্রতি সুবিচার করেন আর বেশ কিছুদিন পর। ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে ৬-১ গোলে উড়িয়ে দেওয়ার ম্যাচে করেন ২ গোল।
আচ্ছা, বালোতেল্লি কি পার্শ্বনায়ক হতে চাইতেন? সে তিনি চান কিংবা না চান, সিটির প্রথম প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা জয়ের পার্শ্বনায়ক যে তিনিই! বলছিলাম সেই বিখ্যাত “আগুয়েরোওওওও…” মুহূর্তের কথাটা। বালোতেল্লি পড়ে গিয়েও যে বলটা ঠেলে দিয়েছিলেন আগুয়েরোর পায়ে, সেটাই যে জন্ম দিয়েছিল কিংবদন্তিতুল্য সেই গল্পটার! মজার ব্যাপার হলো, পুরো প্রিমিয়ার লিগে সেটিই বালোতেল্লির শেষ ও একমাত্র অ্যাসিস্ট।
পরের মৌসুমে বালোতেল্লি গোলের চেয়ে বেশি খবরে আসতেন সতীর্থদের সাথে মারামারি করেই। তেভেজ, বোয়েটাং কিংবা কোম্পানি – সবার সাথেই ট্রেইনিংয়ে হাতাহাতিতে জড়ান তিনি। একের পর এক ডিসিপ্লিনারি সমস্যায় পড়তে থাকেন বালোতেল্লি। ক্লাব থেকে দুই সপ্তাহের বেতন ও জরিমানা করা হয় একটা সময়। সেই সময়টাতে ত্রাতা হয়ে আসেন একটা সময় যে প্রতিদ্বন্দ্বীর জার্সি চাপিয়ে গিয়েছিলেন টিভি অনুষ্ঠানে, সেই ক্লাবটি। ঠিক ধরেছেন, এসি মিলান।
তবে বালোতেল্লিকে নিজের সন্তানতুল্য ভাবা মানচিনি আটকাতে চেয়েছিলেন এই ট্রান্সফারটি। প্রতিভাবান হওয়া সত্ত্বেও বালোতেল্লির ‘বালখিল্যতা’ নিয়ে মানচিনির দুশ্চিন্তা ছিল যথেষ্ট। তাই এসি মিলানে যেয়ে আরো বেখেয়ালি হয়ে পড়তে পারেন বালোতেল্লি, এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছিলেনও। শেষ পর্যন্ত মানচিনির আশঙ্কাই সত্য হয়। এসি মিলানে দুই বছরের সময়কালে বালোতেল্লি ক্যাসিনোতে কাণ্ড ঘটানো ছাড়াও জরিমানা দিতে হয়েছে কয়েক দফা।
অথচ শুরুটা হয়েছিলো দুর্দান্ত। মিলানের হয়ে নামা প্রথম ম্যাচেই জোড়া গোল করেছিলেন উদিনেসের বিপক্ষে। প্রথম মৌসুমে খেলেছিলেন মাত্র ১৩ ম্যাচ, তাতেই ১২ গোল। বিতর্কে সবসময় তার পিছু (কিংবা তিনি বিতর্কের পিছু!) তাড়া করলেও ততদিন পর্যন্ত মাঠের পারফরম্যান্স ছিল নজরকাড়া। ছিলেন ইতালির প্রধান স্ট্রাইকার হয়েও। কারণ, নিজের দিনে বালোতেল্লি একা হাতেই খুন করতে পারেন প্রতিপক্ষের রক্ষণদূর্গ। এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ হতে পারে ২০১২ ইউরোর সেমিফাইনালে জার্মানদের বিপক্ষে জোড়া গোল। অবশ্য সেই ইউরো শুরুর আগেই করে বসেন আরেক ছেলেমানুষি কাজ। ইউরো উপলক্ষ্যে ইতালির নতুন জার্সি উন্মোচিত হয়। তা গায়ে চাপিয়ে প্রথম ফ্রেন্ডলি ম্যাচ খেলতে নামলে বালোতেল্লি দ্বিতীয় অর্ধে নতুন জার্সি পরিবর্তন করে পুরনো জার্সি পড়েই মাঠে চলে আসেন। কারণ? নতুন জার্সিটির চেয়ে আগেরটিই নিজের মনে ধরেছিল বেশি!
বলছিলাম বালোতেল্লির মাঠের দারুণ পারফরম্যান্সের কথা। মিলান-অধ্যায় শেষ করে যেন সেই পারফরম্যান্সে নিজের হাতে নিজেই কুড়াল মারলেন। লুইস সুয়ারেজকে বার্সেলোনার কাছে বিক্রির পর তার শূন্যস্থানে লিভারপুল নিয়ে আসে মারিও বালোতেল্লিকেই। সুয়ারেজের অতিমানবীয় পারফরম্যান্সের চাপটা এসে পড়ে বালোতেল্লির কাঁধে।
কিন্তু স্বাধীনতার খোঁজে যিনি গোটা জীবন ছেলেমানুষি করে কাটিয়েছেন, সুয়ারেজের ফেলে যাওয়া জুতোজোড়ায়য় পা গলানোর চাপেই সেই বালোতেল্লি নিজেকে হারিয়ে খোঁজা শুরু করেন। লিভারপুলের হয়ে প্রথম মৌসুমে ২৮ ম্যাচ খেলে করলেন মোটে চারটি গোল। ফলাফল: এক মৌসুম শেষেই ধারে আবার ফিরলেন মিলানে; সম্ভবত ফর্ম ফিরে পাবার আশায়। তবে সে আশায় গুড়েবালি, উপরন্তু মরার উপর খাড়ার ঘা হয়ে এলো ইতালি দল থেকেও বাদ পড়ার সংবাদ।
ততদিনে নিজের ছেলেমানুষি ভাব কাটিয়ে উঠলেও পারফরম্যান্স আর মুখ তুলে তাকায়নি বালোতেল্লির দিকে। সাথে যোগ করুন গ্রোইন ইনজুরি। তাই ধার শেষে সদ্য যোগ দেওয়া কোচ ক্লপের দলে ব্রাত্য হন বালোতেল্লি। ট্রান্সফার মৌসুমের শেষদিনে লিগ ওয়ানের ক্লাব নিসে যোগ দেন সুপার মারিও। নিসে গিয়ে বলেছিলেন,
“লিভারপুলে যোগ দেওয়া আমার জীবনের সবচেয়ে বাজে সিদ্ধান্ত।”
নিসের হয়ে খানিকটা আশা জাগিয়েছিলেন বটে। প্রথম মৌসুমে ১০ গোলের পর দ্বিতীয় মৌসুমেও করলেন ১৮ গোল, সাথে আট অ্যাসিস্ট। এই ১৮ গোল আবার বালোতেল্লির ক্যারিয়ারে এক মৌসুমে করা সর্বোচ্চ গোলও। তবে সেই মৌসুম যেন ছিল মোমবাতির আলোর মতো নিভে যাওয়ার আগে দপ করে জ্বলে ওঠা। বালোতেল্লির ক্যারিয়ারও সেই প্রতিচ্ছবিই বহন করে আসছে সেই থেকে।
তারপর? তারপর মার্শেইতে এক মৌসুম শেষে ফিরলেন সিরি-আ’র দল ব্রেশিয়াতে। সেখানে এক মৌসুম শেষে ফ্রি এজেন্ট হয়ে নিজের ক্যারিয়ারের সবচেয়ে নিম্নস্থানটিও দেখে ফেললেন বালোতেল্লি। যোগ দিলেন সিরি-বি’র দল মনজাতে। শেষমেষ চলতি বছরেই টার্কিশ সুপার লিগে নতুন উত্তীর্ণ হওয়া দল আদামা ডেমিরস্পোরে যোগ দিলেন মারিও বালোতেল্লি।
ক্যারিয়ার কেটেছে যাযাবরের মতোই। ১০ ক্লাব ঘুরলেও গোলসংখ্যায় ১৫০-ও পেরোতে পারেননি এখনো। অথচ দুর্দান্ত প্রতিভা নিয়ে এসেছিলেন ফুটবলের জগতে। ‘গোল্ডেন বয়’ পুরষ্কার জিতে আস্ফালন দেখানো সেই বালোতেল্লি এখন পিছনে ফিরে তাকালে কি তার আগের কথার সাথে দ্বিমত পোষণ করবেন? তখনকার সেই কথার সাথে এখন বাস্তবতার এতটাই বিস্তর ফারাক, দেখলে চমকে যেতে পারেন তিনি। ‘গোল্ডেন বয়’ জেতা খেলোয়াড়দের মধ্যে সবচেয়ে বাজে ক্যারিয়ার তারই কি না, সেটাও হতে পারে বিতর্কের ব্যাপার।
মাঠের বাইরে যা-ই করে বেড়িয়েছেন, রেসিজম নিয়ে সোচ্চার ছিলেন পুরোটা সময়। নিজেও এই কুৎসিত বর্ণবাদের স্বীকার হয়েছিলেন জুভেন্টাসের দর্শকদের কাছে, যা মানসিকভাবেও বিপর্যস্ত করে তুলেছিল তাকে। ইংরেজিতে ‘রকবটম’ যাকে বলে, এখন ক্যারিয়ারের অবস্থা বলা যায় তেমনই। মানসিক সেই বিপর্যস্ততাকে কি এজন্য দায়ী করতে পারেন বালোতেল্লি?
সে প্রশ্নের উত্তর আমাদের জন্য বলা দুষ্কর। তবে দিনশেষে বালোতেল্লিও আর দশটা সাধারণ মানুষের মতোই। বালখিল্যতা, খেয়ালিপনা, কিংবা আবেগের আতিশয্যে আর যা-ই করুন না কেন, নিজের জীবনকে উপভোগ করার চেষ্টা করেছেন বরাবরই। তাতে ক্যারিয়ারটা জলাঞ্জলি দিয়েছেন বটে; তবে বালোতেল্লি চাইলেই বলতে পারেন, সব খেলোয়াড়ের কাজ তো আনন্দ দেওয়া। মাঠে না পারলেও তাতে তিনি কমই বা গেছেন কবে!
বিশ্বাস হলো না? মরিনহোকে জিজ্ঞেস করে দেখুন না তবে!