বলা হয়ে থাকে, ক্রিকেট হচ্ছে ‘গৌরবময় অনিশ্চয়তা’র খেলা। এ খেলায় নিশ্চিত জয়ী দলও শেষতক হারের তিক্ত স্বাদ নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারে, যখন তখন ম্যাচের মোড় ঘুরে যেতে পারে। আর খেলার সবচেয়ে বড় অনিশ্চয়তা তো উইকেটই। একটি উইকেটের পতনই অনেক সময় একটি ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করে দেয়। ক্রিকেটের চিরায়ত নিয়মের বাইরেও মাঝে মাঝে আম্পায়ারের ভুলে কিংবা দুর্ভাগ্যবশত ব্যাটসম্যানকে আউট হতে দেখা যায় অদ্ভুত সব উপায়ে, যা কখনো কখনো হাস্যরসেরও জন্ম দেয়। এই তো সেদিন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অদ্ভুত উপায়ে আউট হলেন বাবর আজম, যা নিয়ে ক্রিকেট পাড়ায় হাস্যরস চলছে এখনো। এরকমই কিছু অদ্ভুত ডিসমিসাল সম্পর্কে জানা যাক চলুন।
ভেবেছিলাম আমি আউট!
কট বাহাইন্ড হয়েছেন বুঝতে পেরে প্যাভিলিয়নের দিকে হাঁটতে শুরু করা নিশ্চিতভাবে সততার লক্ষণ। মহেন্দ্র সিং ধোনি কিংবা অ্যাডাম গিলক্রিস্টকে বহুবার এরকম করতে দেখা গেছে। তবে এরকম করে প্রশংসা না পেয়ে বরং হাস্যরসের সৃষ্টি করেছিলেন একজন। আর তিনি হলেন সাবেক অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডার গ্রায়েম ওয়াটসন।
১৯৭২ সালে শেফিল্ড শিল্ডের একটি ম্যাচে নিউ সাউথ ওয়েলসের হয়ে কুইনসল্যান্ডের বিপক্ষে ততক্ষণে ১৪৫ রান তুলে ফেলেছেন তিনি। আর তখনই তিনি করলেন সেই হাস্যকর কান্ড। বারউইক নেভিলের একটি বল কাট করে খেলেছিলেন, যা গালিতে তালুবন্দী করেন একজন ফিল্ডার। ওয়াটসন কোনো দিকে না তাকিয়ে প্যাভিলিয়নের পথে হাঁটা শুরু করলেন! ম্যাচ শেষে জানতে পারলেন যে, বলটি হাতে যাবার আগে আসলে মাটি ছুঁয়ে গেছে এবং আম্পায়ারও তাকে আউট ঘোষণা করেনি! এটা জানার পর ওয়াটসন যখন আম্পায়ারকে জিজ্ঞেস করলেন যে কেন তাকে বলা হয়নি মাঠে, তখন আম্পায়ারের প্রশ্নের উত্তর এর চেয়েও বড় কৌতুকের সৃষ্টি করেছিল। আম্পায়ার ভেবেছিলেন যে ওয়াটসন ব্যথা পেয়ে চলে যাচ্ছেন প্যাভিলিয়নে, তাই তার নামের পাশে রিটায়ার্ড হার্ট লিখে দিয়ে দায়িত্ব সারেন!
ইনজামামের অবস্ট্রাক্টিং দ্য ফিল্ড
ইনজামাম উল হক তার ক্যারিয়ার জুড়েই ক্রিকেট মাঠে হাস্যরসের জন্ম দিয়েছেন নানান ঘটনা ঘটিয়ে। তবে তার অদ্ভুত ডিসমিসালগুলোই বেশি হাস্যরসের খোরাক যোগাবে। ২০০৬ সালে পেশোয়ারে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে তার আউটটির কথা উল্লেখ করা যায়। শ্রীশান্তের করা একটি বলে ডাউন দ্য উইকেটে এসে মিড অফে হালকা পুশ করেন ইনজামাম। সেখান থেকে সুরেশ রায়না বল ধরে সঙ্গে সঙ্গে স্ট্রাইকার্স এন্ডে বল থ্রো করলেন। আর তখন ইনজামাম পিচে ফিরে না গিয়ে করে বসলেন ছেলেমানুষি। তিনি বলটিকে সুন্দর করে ডিফেন্সিভ স্ট্রোক খেলে ঠেকিয়ে পপিং ক্রিজে ফিরে গেলেন! ফলাফল, ভারতীয় ফিল্ডারদের আবেদন এবং আম্পায়ারের অবস্ট্রাক্টিং দ্য ফিল্ড আউটের সিদ্ধান্ত।
অস্ট্রেলিয়াকে অ্যাশেজ দিয়ে দিলেন গুচ!
১৯৯৩ সালের অ্যাশেজ সিরিজের কথা। প্রথম ম্যাচের শেষ দিনে ১৩৩ রানে ব্যাট করছিলেন কিংবদন্তি ইংলিশ ব্যাটসম্যান গ্রাহাম গুচ। ৯০’র দশকের সেই ভঙ্গুর ইংল্যান্ডকে যথারীতি সেদিনও একাই টেনে নিয়ে যাচ্ছিলেন একটি ম্যাচ বাঁচানো ড্রয়ের দিকে। তখনই ঘটলো বিপত্তি। মার্ভ হিউজেসের একটি বাউন্সার একটু দেরিতে মাটিতে ঠেলে দেয়ার চেষ্টা করলেও বলটি স্ট্যাম্পের দিকে চলে যাচ্ছিল। স্ট্যাম্পে পড়তে পারে ভেবে গুচ তৎক্ষণাৎ বলটিকে হাত দিয়ে এক ঝটকায় দূরে ফেলে দেন! ফিল্ডারদের আবেদনে আম্পায়ার ডিকি বার্ড তখন আঙুল তুলতে দেরি করেননি। তাতেই পরের দিন পত্রিকায় এলো, “অস্ট্রেলিয়াকে অ্যাশেজ দিয়ে দিলেন গুচ!”
স্ট্যাম্প ভাঙলো হেলমেট
গতিদানব পেসারদের গতির গোলা সামলাতে গিয়ে বেসামাল ব্যাটসম্যানের হেলমেটে গিয়ে আঘাত করে বল, এ দৃশ্য তো ক্রিকেটে খুবই পরিচিত। কেভিন পিটারসন কেবলই এ দৃশ্যে কিছুটা নতুনত্ব আনেন ২০০৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে একটি টেস্টে। ডোয়াইন ব্রাভোর একটি বাউন্সার ডাক করতে গিয়ে ব্যর্থ হন। বলটি আঘাত করে তার হেলেমেটে আর হেলমেট খুলে মাটিতে পড়ার সময় ভেঙে দেয় স্ট্যাম্প! দুর্ভাগ্য বলতেই হয়।
ওয়েইন ফিলিপসের দুর্ভাগ্য, অস্ট্রেলিয়ার দুর্ভাগ্য
ভাগ্যবিধাতা হয়তো ১৯৮৫ সালের অ্যাশেজ ইংল্যান্ডের নামেই লিখে রেখেছিলেন। নয়তো এরকম একটি মুহূর্তে কেন অমন দুর্ঘটনা ঘটতে যাবে? ১-১ এ সমতায় সিরিজে। শেষ টেস্টের শেষ সেশনে ম্যাচ জিততে ইংল্যান্ডের প্রয়োজন আর ৫টি উইকেট। অস্ট্রেলিয়ার সামনে জয়ের কোনো আশা না থাকলেও ৫৯ রানে অপরাজিত ফিলিপস তাদের ড্রয়ের আশা ঠিকই দেখাচ্ছিলেন।
এরকম মুহূর্তেই ঘটলো কি না এমন একটি ঘটনা যা দুর্ভাগ্য বললেও কম হয়। ফিলিপের কাট করা একটি বল গালির ফিল্ডার ধরতে ব্যর্থ হন। কিন্তু বলটি ঐ ফিল্ডারের পায়ে লেগে পুনরায় হাওয়ায় ভাসতে শুরু করলে সেটি তালুবন্দী করেন উইকেটকিপার! এরপর ৫ ওভারের মধ্যেই অস্ট্রেলিয়া অলআউট, ২-১ ব্যবধানে সিরিজ অস্ট্রেলিয়ার। এরকম ঘটনা অবশ্য আরো আছে। ২০০৫ সালের ভিবি সিরিজে শ্রীলংকার বিপক্ষে অ্যান্ড্রু সাইমন্ডসের আউটটার কথাই বলা চলে। সাইমন্ডসের একটি শক্তিশালী স্ট্রেইট ড্রাইভে অপর প্রান্তে থাকা ক্লার্ক প্রতিক্রিয়া দেখানোর সময়ই পেলেন না। ফলে বল ক্লার্কের পায়ে লেগে সরাসরি চলে যায় দিলশানের হাতে।
হাশিম আমলার দুর্ভাগ্য
২০১৪ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে একটি ম্যাচে হাশিম আমলা একটি নিশ্চিত বাউন্ডারির শটে আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। কোরি এন্ডারসনের একটি বল তিনি সজোরে স্ট্রেইট ড্রাইভ করলে সেটি অপর প্রান্তে থাকা ব্যাটসম্যান জেপি ডুমিনির ব্যাটে গিয়ে লাগে। বলের গতি এত বেশি ছিল ডুমিনি ব্যাট সরানোর সময়টুকু পাননি। ফলে ডুমিনির ব্যাট থেকে বল হাওয়ায় ভাসতে ভাসতে বোলারের হাতে গিয়ে ক্যাচে পরিণত হয়! শুধু এ ম্যাচেই নয়। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আরেকটি ম্যাচে এর চেয়েও বড় দুর্ভাগ্যের শিকার হন আমলা। তার কাট করা বলা মাটিতে না পড়ে উইকেটরক্ষকের বুটে বাউন্স করে উপড়ে উঠলে সেটি ক্যাচে পরিণত হয় আর প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয় আমলাকে!
আবারো ইনজামাম
দীর্ঘদেহী আগ্রাসী ব্যাটসম্যান ইনজামাম তার ক্যারিয়ারে যতবার বিচিত্র পন্থায় আউট হয়েছেন, ততবার আর কোনো ব্যাটসম্যানই হননি তা নিশ্চিত। ২০০৬ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লিডস টেস্টেই তিনি সবচেয়ে অদ্ভুত উপায়ে আউট হন, যা ক্রিকেটপাড়ায় দীর্ঘদিন যাবত হাসির খোরাক যুগিয়েছিল। মন্টি পানেসারের একটি বলে তিনি সুইপ শট খেলার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। কিন্তু পপিং ক্রিজের বেশ ভেতরে দাঁড়িয়ে খেলতে থাকা ইনজামাম ব্যাট এত জোরেই ঘুরিয়েছিলেন যে শেষতক নিজের দেহের ভারসাম্য আর ধরে রাখতে পারেননি। হুমড়ি খেয়ে পড়তে যাচ্ছিলেন স্ট্যাম্পের উপর। ব্যাপারটা দেখতে আরো মজাদার হলো যখন তিনি স্ট্যাম্প বাঁচাতে এর উপর দিয়ে লাফানোর চেষ্টা করলেন! শেষ পর্যন্ত স্ট্যাম্পের ওপারে শরীরটা নিয়ে গেলেন ঠিকই, তবে বেল গুলো ভেঙেই দিয়ে গেলেন।
আউট হতে ফিল্ডারকে সহায়তা করলেন মিসবাহ
ভারতের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির দিকে একটু একটু করে আগাচ্ছেন মিসবাহ। ২৪২ বলে ৮২ রান করে যখন অপরাজিত, তার সেঞ্চুরি তখন কেবলই সময়ের ব্যাপার। কিন্তু তখনই যা ঘটলো, তাকে দুর্ভাগ্য না বলে হাস্যকর ভুল বলাটাই শ্রেয়তর হবে। সৌরভ গাঙ্গুলীর একটি বল কাট করে গালিতে হালকা ঠেলে দিয়ে একটি দ্রুত সিঙ্গেলের জন্য দৌড় দিলেন মিসবাহ। তিনি যথাসময়ে অপরপ্রান্তে পৌঁছেও গিয়েছিলেন, শুধু ব্যাট মাটিতে ছোয়ানো বাকি। তবে, ফিল্ডার দীনেশ কার্তিকের থ্রো করা বলটিও নন-স্ট্রাইকার এন্ডের স্ট্যাম্পের দিকে তীরবেগে ছুটে আসছিল। পপিং ক্রিজের মাত্র ইঞ্চি কয়েক দূরে দাঁড়িয়ে মিসবাহ কী করলেন? তিনি বলের আঘাত থেকে রক্ষা পেতে লাফ দিয়ে বলটির যাবার রাস্তা করে দিলেন আর সেটি গিয়ে স্ট্যাম্প ভাঙলো! এরকম আউটও হওয়া সম্ভব?
বোলারকে পড়তে না পারার চূড়ান্ত উদাহরণ
বাউন্সার ভেবে ডাক করতে গিয়ে বল গায়ে লাগা, স্ট্যাম্পের বাইরে দিয়ে যাবে ভেবে ছেড়ে দিয়ে বোল্ড হওয়া, বোলারকে ব্যাটসম্যানের পড়তে ব্যর্থ হবার এরকম আরো অনেক উদাহরণই আছে। কিন্তু ইংল্যান্ডের সাবেক উইকেটরক্ষক ক্রিস রিড বোলারকে পড়তে না পারার চূড়ান্ত বোকামির উদাহরণই সৃষ্টি করেছেন। ১৯৯৯ সালে লর্ডসে ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যে চলছে একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ। ইংল্যান্ডের ৫ম উইকেটের পতনে মাঠে এলেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান ক্রিস রিড। ক্রিস ক্রেইনসের একটি স্লো ইয়োর্কার বলকে তিনি ভাবলেন বুঝি বিশাল এক বাউন্সার হতে চলেছে। ঠিক যতটা হাস্যকর ছিল তার বোলারকে পড়তে পারাটা, ঠিক ততটাই হাস্যকর ছিল তার হঠাৎ ডাক করাটা। ইয়োর্ক বলে ব্যাটসম্যান মাথা নীচু করে বসে পড়লেন আর তার স্ট্যাম্প ভেঙে গেলো, ক্রিকেটে এরকম দৃশ্য সম্ভবত সেটিই শেষবার।
সাঙ্গাকারার দুর্ভাগ্য
শচীন টেন্ডুলকারের ১৩৮ রানের উপর ভর করে শ্রীলংকার সামনে ৩১৯ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য ঠিক করে দেয় ভারত। সে লক্ষ্যে ভালোভাবেই এগোচ্ছিল শ্রীলংকা। ২৭ ওভারেই ১৮২ রান তুলে ফেলায় হার তখন চোখ রাঙাচ্ছিল ভারতকে। যদিও শ্রীলংকার ততক্ষণে ৫ উইকেট নেই, কিন্তু ক্রিজে ছিলেন চমৎকার ফর্মে থাকা ব্যাটসম্যান কুমার সাঙ্গাকারা। তাকে আটকানোর যেন কোনো পথই খুঁজে পাচ্ছিল না ভারতীয় বোলাররা। ২৮ তম ওভারে বোলিং এলেন আর পি সিং। প্রথম বলেই দিলেন একটি ‘জুসি’ ফুলটস। ফর্মে থাকা সাঙ্গাকারা সেটিকে সীমানা ছাড়া করবেন সেটিই ছিল স্বাভাবিক। কিন্তু স্বাভাবিক নিয়মে সব ঘটলো না। বরং ব্যাট ঘোরানোর পর তা সাঙ্গাকারার হাত ফসকে পড়লো গিয়ে স্ট্যাম্পের উপর! আর এখানেই সেদিন ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারিত হয়ে যায়।
সবচেয়ে অবিশ্বাস্য ‘নটআউট’
অদ্ভুত সব ডিসমিসালের এই তালিকায় থাকতে পারতো এই ডিসমিসালের নামও। তথাপি অবিশ্বাস্যভাবে ব্যাটসম্যান আউট হওয়া থেকে বেঁচে গেলে এটি বরং আরো অদ্ভুত হয়ে ওঠে। তাই তালিকার শেষে একটি অদ্ভুত ‘নটআউট’ এর কথা উল্লেখ না করলে তালিকাটিই অসম্পূর্ণ থেকে যাবে।
২০০৫ সালের ন্যাটওয়েস্ট সিরিজের কথা মনে করিয়ে দেয়ার প্রয়োজন আছে কি? সকল বাংলাদেশির মনে সে সিরিজ, আর নির্দিষ্ট করে বললে অস্ট্রেলিয়া বধের সে গল্প গেঁথে আছে। ন্যাটওয়েস্ট সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচটিকে অনেক সময়ই শতাব্দীর সেরা আপসেট বলা হয়ে থাকে। কিন্তু প্রতি ম্যাচেই নিশ্চয়ই অঘটন ঘটবে। পরের ম্যাচেই বাংলাদেশের বিপক্ষে ৩৯১ রানের পাহাড় গড়লো স্বাগতিক ইংল্যান্ড। ট্রেন্ট ব্রিজে সে ম্যাচে ৩৯২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৩০ রানেই ২ উইকেট হারিয়ে রীতিমতো কাঁপছিল বাংলাদেশ। আগের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া বধের নায়ক আশরাফুল মাঠে নামলেন তখন।
তরুণ এ প্রতিভা জয় না এনে দিক দলকে সম্মানজনক একটা স্কোর এনে দেবেন এটাই তো আশা সকলের। অন্যদিকে ইংল্যান্ডের তরুণ অভিষিক্ত বোলার ট্রেমলেট পরপর ২ বলে দুই উইকেট নিয়ে হ্যাটট্রিকের জন্য অপেক্ষা করছেন। আশরাফুলের জন্য তাই ৫ জন স্লিপ নিয়ে সাজানো হলো ফিল্ডিং। ট্রেমলেটের মাঝারী এক বাউন্সার অনিশ্চিতভাবে পুশ করলেন আশরাফুল। বল আশরাফুলের দু’পায়ের ফাঁক দিয়ে গলে স্ট্যাম্পে। ব্যস, হয়ে গেল ট্রেমলেটের অভিষেকেই হ্যাটট্রিক!
নাহ, সেদিন এরকমটি হবার ছিল না। তাই তো ঘটলো ভূতুড়ে এক ঘটনা। বলটি মাটি থেকে উঠে ঠিক মিডলস্ট্যাম্পের উপর বাউন্স করে আবার মাটিতে পড়ে গেল, কিন্তু স্ট্যাম্প ভাঙলো না! আর তাতেই হয়ে গেল ইতিহাসের অদ্ভুততম ‘নট আউটের’ গল্প।