২১ শতকে আকাশযানের কথা ভাবলেই চোখে ভেসে ওঠে বড় বড় সব বিমানের ছবি। কিন্তু ২০ শতকের শুরুতে ব্যাপারটা তেমন ছিল না। আকাশযানগুলো তখন ছিল বিশালবপু বেলুন, যেগুলো হাইড্রোজেন বা হিলিয়ামের মতো হালকা গ্যাসে পূর্ণ থাকতো। বর্তমানের একটি বড়সড় বিমানের চেয়েও দ্বিগুণ/তিনগুণ বড় ছিল সেই মানুষবাহী বেলুনগুলো, যাকে বলা হয় এয়ারশিপ। ‘ইন্ডিয়ানা জোনস অ্যান্ড দ্য লাস্ট ক্রুসেড’ সিনেমাটি দেখে থাকলে এয়ারশিপের সাথে পরিচয় নিশ্চয়ই আছে আপনার। তবে এয়ারশিপের চেয়ে দানবাকৃতির এই যানগুলো ‘জেপেলিন’ নামেই অধিক পরিচিত, যেগুলো সাধারণত বাতাসের চেয়েও হালকা।
১৯০০ সালে পৃথিবীর আকাশে প্রথমবারের মতো কোনো এয়ারশিপ উড়িয়েছিলো জার্মানির বিখ্যাত জেপেলিন কোম্পানি। সেই থেকে এয়ারশিপ জেপেলিন নামেই অধিক পরিচিত হয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জেপেলিন কোম্পানি গায়েব হয়ে যায়, সাথে কমে আসে জেপেলিন নির্মাণ। এর বড় কারণ হিন্ডেনবার্গ জেপেলিন দুর্ঘটনা। ৯০’র দশকে এই কোম্পানি প্রত্যাবর্তন করে, আর এয়ারশিপ নির্মাণে আসে আধুনিকতা। বর্তমানে বিশ্বের অনেক দেশেই নির্মাণ করা হচ্ছে এই আকাশযানগুলো। চলুন জেনে আসা যাক বর্তমান বিশ্বের পরিচালনাধীন কিংবা নির্মাণাধীন কিংবা নির্মাণের পরিকল্পনা করা হচ্ছে এরকম ১০টি অত্যাধুনিক এয়ারশিপ সম্পর্কে।
১) গুডইয়ার ফ্লিট
আমেরিকার ‘গুডইয়ার টায়ার অ্যান্ড রাবার কোম্পানি’র নির্মিত এবং পরিচালিত এই এয়ারশিপগুলোর নাম ‘গুডইয়ার ব্লিম্প’। কোম্পানির সবগুলো এয়ারশিপকে একত্রে তাই বলা হয় গুডইয়ার ফ্লিপ। এগুলো সাধারণত অদৃঢ় গঠনের হয়। অর্থাৎ, পুরো বেলুনটির কোনো শক্ত কাঠামো থাকে না। নীচের যাত্রী কেবিনটি ব্যাতীত একটি গুডইয়ার ব্লিম্পের পুরোটাই হয় ফাঁপা বেলুন যা হালকা গ্যাসে পরিপূর্ণ থাকে। তবে ২০১৬ সালের পর থেকে গুডইয়ার টায়ার কোম্পানি তাদের অদৃঢ় বেলুন পরিচালনা বন্ধ করে দেয়। সে স্থলে ‘সেমি রিজিড’ বা অর্ধ দৃঢ় টাইপের এয়ারশিপ তৈরি করা হয় যেগুলোর একটি দৃঢ় অভ্যন্তরীণ গঠন থাকবে। গুডইয়ার ব্লিম্প এয়ারশিপগুলো সাধারণ বড় বড় অনুষ্ঠানে, টেলিভিশন প্রোগ্রামে কিংবা খেলার সময় উপর থেকে অ্যারিয়েল ভিউ ধারণ করতে ব্যবহার করা হয়।
২) এয়ারশিপ ভেঞ্চারস
এয়ারশিপ ভেঞ্চার হলো জার্মান কোম্পানি ‘জেএলটি’র তৈরি জেপেলিন এনটি’র ক্লোন! ক্লোন বলা হচ্ছে এজন্য যে এগুলোর গায়ের রঙ আর অঙ্গসজ্জা ব্যাতীত সবকিছুই জেপেলিন এনটি’র মতো। টেক্সাসের ‘মফেট ফেডারেল এয়ারফিল্ড’ এর ৭৫তম বার্ষিকীকে সামনে রেখে ২০০৮ সালে জার্মানি থেকে ৩টি জেপেলিন ক্রয় করে এয়ারশিপ ভেঞ্চারস ইনকর্পোরেশন কোম্পানি। এটি মূলত দর্শনার্থীদের জন্য প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগের একটি মাধ্যম হিসেবে চালু করা হয়। ৭৫ মিটার লম্বা একেকটি এয়ারশিপ ছিল তৎকালীন পৃথিবীর সবচেয়ে বড় এয়ারশিপ। ক্যালিফোর্নিয়ার নাসা রিসার্চ পার্কের পাশে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে ব্যবহৃত একটি জেপেলিন হ্যাংগারে এই জেপেলিনগুলো রাখা হতো। তবে ২০১২ সালে স্পন্সরের অভাবে কোম্পানিটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এয়ারশিপ ভেঞ্চারের দুটি জেপেলিন বর্তমানে জার্মানিতে রয়েছে। একটি রয়ে গেছে টেক্সাসেই।
৩) স্কাইলিফটার
জনপ্রিয় ভিডিও গেম বায়োশক ইনফিনিটি’র কলম্বিয়া শহরের কথা মনে আছে? আকাশে ভাসমান কলম্বিয়ার মতো বাস্তবিক কোনো শহর আমরা খুব শীঘ্রই পাচ্ছি না হয়তো, তবে আকাশে ভাসমান বাড়িঘরের দেখা মিলবে এটা নিশ্চিত। বিখ্যাত অ্যানিমেটেড সিনেমা আপের মতো আপনিও চাইলেই পারবেন পরিবার পরিজন নিয়ে আকাশে উড়ে বেড়াতে! বিশ্বাস হচ্ছে না? তাহলে ঘুরে আসতে পারেন অস্ট্রেলিয়ার স্কাইলিফটার কোম্পানির বেস। তারা সেখানে একধরনের ভারী জেপেলিন নিয়ে গবেষণা করছে। কাজ সম্পন্ন হলে স্কাইলিফটারই হবে পৃথিবীর প্রথম ভাসমান বাড়ি। তাছাড়া এটি প্রয়োজনমাফিক দূরদূরান্তে ভ্রমণও করতে পারবে। এর সর্বোচ্চ গতি হবে ঘন্টায় ৪৫ কিলোমিটার। জৈবিক জ্বালানির সাথে সৌরশক্তি ব্যবহার করে আকাশে ভাসবে এই বিশালাকার এয়ারশিপগুলো। মজার ব্যাপার হলো, এই এয়ারশিপগুলোর আকৃতি প্রাথমিকভাবে কাল্পনিক ইউএফও’র মতোই ডিজাইন করা হয়েছে।
৪) নেফেলিওস
নেফেলিওস নামক এই ৭২ ফুট লম্বা এবং ১৮ ফুট চওড়া এয়ারশিপটি তৈরি করা হয়েছিল একটি গবেষণা প্রকল্পের জন্য। ‘প্রজেক্ট সোল’আর’ নামক গবেষণাটির মূল উদ্দেশ্য ছিল পরিবেশবান্ধব এয়ারশিপ তৈরি করা। ফ্রান্সের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় এবং টেকনিক্যাল স্কুলের গবেষকগণ মিলে এই এয়ারশিপ টি তৈরি করেন। এটি পৃথিবীর প্রথম কার্বন অ-নিঃসারি এয়ারশিপ। নেফেলিওসও সাধারণ জেপেলিনের মতো হিলিয়াম গ্যাস ভর্তি নাইলন এবং পলিইথিলিনের বেলুনের সহায়তায় আকাশে ভাসবে। তবে এর বিশেষত্ব হচ্ছে এর বেলুনের উপরের অংশটা পুরোটা শক্তিশালী সোলার প্যানেলে ঢাকা থাকবে। সবগুলো সোলার প্যানেল মিলে সর্বোচ্চ ২.৪ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারে, যা এর ২টি প্রোপেলারকে সচল রাখতে যথেষ্ট। ২০১০ সালে প্রথম পরীক্ষামূলকভাবে ঘন্টায় ২৫ কিলোমিটার গতিতে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেয় নেফেলিওস।
৫) ব্লু ডেভিল
পৃথিবীতে যেকোনো কিছু আবিষ্কার হলেই সেটি কীভাবে যুদ্ধে ব্যবহার করা যায় সে চিন্তা করতে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র! এয়ারশিপের ক্ষেত্রেও তাই। ২০১০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনী ‘ব্লু ডেভিল’ নামক এক অত্যাধুনিক এয়ারশিপ তৈরির প্রজেক্ট হাতে নেয়। ডজনখানেক সেন্সর, সমসংখ্যক শক্তিশালী ভিডিও ক্যামেরা, উন্নত রাডার আর অত্যাধুনিক সব যোগাযোগের উপকরণে সাজানো এই এয়ারশিপটি তৈরি করা হয় আফগান যুদ্ধে আকাশ থেকে সহজে গুপ্তচরবৃত্তি এবং অধিক স্বচ্ছ ছবি তোলার উদ্দেশ্যে। ৩৫০ ফুট লম্বা এবং ১৪ লক্ষ বর্গ ফুট আয়তনের এই দানবাকৃতি এয়ারশিপটি ভূপৃষ্ঠ থেকে ৬.৫ কিলোমিটার উচ্চতা পর্যন্ত উঠতে সক্ষম, যেখানে এটি অনায়াসে সাপ্তাহাধিক সময় ভেসে থাকতে পারতো। তবে কোনো কিছুই আর হলো না যখন এর কিছু টেকনিক্যাল সমস্যা সামনে এলো। অতিরিক্ত ওজন, ক্যামেরার অসামঞ্জস্যতা এবং স্থিরতা না থাকায় ২০১১ সালে এর পরীক্ষামূলক ফ্লাইটটি বাতিল পিছিয়ে দেয়া হয় ২০১২ সালে। কিন্তু নানারকম ত্রুটি এবং ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় মার্কিন বিমানবাহিনী প্রজেক্ট বাতিল করে দেয়। তবে রহস্যজনকভাবে এয়ারশিপটি ধ্বংস করা হয়নি। অনেক বিশ্লেষকের ধারণা, এটি ভবিষ্যতের জন্য তুলে রাখা হয়েছে কেবল।
৬) বুলেট-৫৮০
এয়ারশিপ বা জেপেলিনের নাম শুনলেই আমরা বুঝি বিশাল এক পেট মোটা আকাশযান যা কচ্ছপের গতিতে চলে। কিন্তু এয়ারশিপের এই দুর্নাম ঘোচাতে যুক্তরাষ্ট্রের ‘ই-গ্রিন টেকনোলজিস ইনকর্পোরেশন’ তৈরি করেছে পৃথিবীর দ্রুততম এয়ারশিপ, যা ঘন্টায় ১২৯ কিলোমিটার গতিতে চলতে সক্ষম! ৭২ মিটার লম্বা এই ভাসমান দৈত্য ভূপৃষ্ঠ থেকে ৬ হাজার মিটার উপরে উঠতে সক্ষম! পাশাপাশি এটি ৯০৭ কেজি ওজন ধারণে সক্ষম। সাধারণ নাইলন বা পলিইথিলিনের বদলে এর আবরণে ব্যবহার করা হয়েছে কেভলার দিয়ে, যা দিয়ে সাধারণ বুলেটপ্রুফ আবরণ তৈরি করা হয়। অতএব বুঝতেই পারছেন, অত্যাধুনিক এই যানটির শুধু একটি দুটি বিশেষত্ব নয়, আছে অনেকগুলো নতুনত্ব। যাত্রী পরিবহন, ভ্রমণ থেকে শুরু করে সামরিক নজরদারির কাজেও এই এয়ারশিপ ব্যবহার করা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
৭) স্ট্রাটো ক্রুইজার
পানিতে ভেসে বেড়ানো ইয়টগুলো কত সুন্দর আর রাজসিক হয় তা তো দেখেছে বিশ্ব। একেকটি ইয়ট যেন একেকটি আধুনিক যুগের রাজপ্রাসাদ। তবে ব্রিটিশ বিজনেস ম্যাগনেট রিচার্ড ব্র্যানসন একধাপ এগিয়ে গিয়ে চিন্তা করে বসলেন, এই রাজপ্রসাদকে আকাশেই ভাসিয়ে দেয়া যাক! হ্যাঁ, তার রাজপ্রসাদে থাকবে বিশ্বের সেরা একদল বাবুর্চির দর্শনীয় একটি রেস্তোরাঁ, একটি সুইমিং পুল, দুটি প্রাইভেট স্যুট, একটি অফিস হল আর একটি ডিজে! সেই রাজপ্রাসাদের নাম স্ট্রাটো ক্রুইজার, যা হবে পৃথিবীর বৃহত্তম এয়ারশিপ। আগের বাক্যটি আবার পড়ুন। হ্যাঁ, হবে বলা হচ্ছে, কারণ এই রাজকীয় এয়ারশিপটি এখনো চিন্তাভাবনার মাঝেই সীমাবদ্ধ আছে। এর কাজের কাজ কিছুই শুরু হয়নি। তবে গুঞ্জন রয়েছে ২০২০ সাল নাগাদ শুরু হতে পারে এই কল্পনার রাজপ্রাসাদের বাস্তব রূপ দেয়ার কাজ।
৮) এরোস্ক্রাফট
হিন্ডেনবার্গ জেপেলিনের মর্মান্তিক দুর্ঘটনাই সম্ভবত জেপেলিনের ভাগ্য খাটো করে দিয়েছিল। বাতাসের চেয়ে হালকা এই জেপেলিন ধ্বংস হয়েছিল মূলত জ্বালানী হিসেবে হাইড্রোজেন ব্যবহারের কারণে, যা কিনা একটি অতি দাহ্য গ্যাস। অথচ পরবর্তী সময়ে হিলিয়াম গ্যাস ব্যবহার শুরু হলেও জেপেলিন বা এয়ারশিপ নির্মাণে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে অধিকাংশ দেশই। তথাপি অল্প বিস্তর টিকে আছে এখনো এয়ারশিপ। কিন্তু এয়ারশিপ বানানোর বদলে মার্কিন কোম্পানি ‘এরোক্রাফট কর্পোরেশন’ নিয়ে এসেছে এয়ারশিপের আদলে এরোস্ক্রাফট, যা কিনা এয়ারশিপের গঠন প্রকৃতিতে আনবে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। এগুলো বেলুনের মতো দেখতে নয়, বরং বিশালাকৃতির নীলতিমি সদৃশ। ৫৫৫ ফুট লম্বা এই অতিকায় এয়ারশিপ মূলত মালামাল পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত হবে। আশা করা হচ্ছে আগামী ২ বছরের মধ্যে এর কাজ শেষ সম্পন্ন হয়ে যাবে।
৯) ম্যানড ক্লাউড
চাঁদের হোটেলে গিয়ে বসবাসের টাকা হয়তো সবার থাকবে না, কিন্তু আকাশে ভাসমান হোটেলে থাকার সাধ আপনি মেটাতেই পারেন। ফরাসি ডিজাইনার জিন ম্যারি নিয়ে এসেছেন ‘ম্যানড ক্লাউড’ নামের এক চমৎকার আকাশে ভাসমান হোটেলের পরিকল্পনা। একটি এয়ারশিপের মাঝে থাকবে আস্ত এক হোটেল, যেখানে বসবাস করতে করতে আপনি ঘুরতে পারবেন পৃথিবীর এ মাথা থেকে ও’ মাথা। নীলতিমি আকৃতির এই এয়ারশিপটি ৪০ জন অতিথি আর ১৫ জন স্টাফ নিয়ে ১৩০ কিলোমিটার/ঘন্টা গতিতে ঘুরে বেড়াতে সক্ষম হবে। এটি যদি নির্মিত হয়, তাহলে এয়ারশিপের ইতিহাসে বিপ্লবই ঘটে যাবে। কেননা প্রথমবারের মতো কোনো এয়ারশিপের উপরে সানডেক তথা রোদ পোহানোর জায়গা রাখা হচ্ছে! এর ভেতরের মোট আয়তন হবে ৫ লক্ষ বর্গ মিটার, যা একে করবে পৃথিবীর বৃহত্তম এয়ারশিপ। রেস্তোরাঁ, লাইব্রেরি, লাউঞ্জ, ছাদ, ব্যায়ামাগার, বার ছাড়াও থাকবে ৪০টি একক কক্ষ! তবে এখনোই এতদূর না ভাবলেও চলবে। কারণ সবেমাত্র এর সম্ভাবনা নিয়ে গবেষণা চলছে।
১০) ফায়ার ক্যাট
পর্যটন, হোটেল কিংবা ইয়ট, সবই এয়ারশিপকে বিলাসবহুল করবার প্রয়াস। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের জেপেলিন নির্মাতা কোম্পানি স্কাইক্যাট এক্ষেত্রে ভিন্ন। তারা এয়ারশিপ নির্মাণ করতে চায় এক মহৎ উদ্দেশ্য সামনে রেখে। আর সেটি হচ্ছে দাবানল দমন। গ্রীষ্মকালে অনেক দেশেই দাবানল ছড়িয়ে পরে মহামারী আকারে, পুরে ভস্ম হয়ে যায় শত শত একর বন। তবে ফায়ার ক্যাট এই প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে তাৎক্ষণিক পরিত্রাণ দিতে পারে। পরিকল্পনানুযায়ী এর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলে এটি হবে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় দমকল যান, যা একসাথে ২০ টন পানি বহন করে নিয়ে যেতে পারবে দাবানলের স্থানে!
ফিচার ছবি: digg.com