আমাদের এই সেলফ আইসোলেশনের দিনগুলোতে হয়তো কারো সময় কাটছে বই কিংবা ব্লগ পড়ে আর কারো সিনেমা দেখে। সেলুলয়েডের ফিতা কিংবা বইয়ের পাতার লাইনগুলোর মাঝে হয়তো তবুও জীবন যাচ্ছে কেটে, জীবনের নিয়মে। আবার অনেকে ফুরসত পেয়েছি জীবনের সুন্দর সব মুহূর্ত নিয়ে নতুন করে ভাবার। অনেকটা তেমনই একটি ভাবনার পাশাপাশি ভ্রমণকাহিনী পড়তে গিয়ে আমারও ইচ্ছে হলো নিজের ভ্রমণের গল্পগুলোকে তুলে ধরার।
ভ্রমণ বলতে কারো কাছে পাহাড়, আবার কারো কাছে সমুদ্র। আমার কাছে ভ্রমণ মানে প্রিয় কিছু মানুষের সান্নিধ্যে কয়েকদিনের ছুটি। হোক সেটা পাহাড়, সমুদ্র কিংবা ঝর্ণা। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে আমাদের সবারই কমবেশি এদিক সেদিক ঘোরাঘুরির সুযোগ হয়। সেদিক থেকে আমার ভাগ্যটা বেশ সুপ্রসন্ন। ভার্সিটিতে ভর্তির পর থেকেই দেখতাম, ডিপার্টমেন্ট থেকে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ট্যুর আয়োজন করা হতো। পারিবারিক শাসন আর সামাজিক বেড়াজাল পেরিয়ে এর আগে কখনোই পরিবার ছাড়া ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ হয়ে ওঠেনি। শহরের সীমানা পার হতে হতে যে একদিন পরিবার ছাড়া দেশের সীমানা পেরুবো, ঘুণাক্ষরেও ভাবিনি। আর এই লেখাটি আমার প্রথম ভারত ভ্রমণের গল্প নিয়ে এবং আজকের পর্ব সাজানো হয়েছে যাত্রার শুরু থেকে মেঘালয় পর্যন্ত।
প্রথম দিন
২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাস। বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষে উঠেছি কেবল। বিভাগে প্রথমবারের মতো দেশের বাহিরে ভ্রমণের একটি নোটিশ দেখলাম। আর যাত্রার শুরুটা বলা যায় সেখানেই। শুরু হলো পাসপোর্ট থেকে ভিসা প্রসেসিং সহ ট্যুরে যাওয়ার যাবতীয় কাজ গুছিয়ে নেয়ার পর্ব আর দিন গুনার শুরু। ট্যুরের গন্তব্য হিসেবে ঠিক হল- শিলং, চেরাপুঞ্জি, গোহাটি, দার্জিলিং, মিরিখ আর কলকাতা। মেঘালয় রাজ্য থেকে পশ্চিমবঙ্গের ৯ দিনের এই সফরে ছিলাম আমরা ২৬ জন। বহু প্রতীক্ষার পর আসলো আমাদের রওনা দেবার দিন। ১০ দিনের এই সফরে আমাদের রুট প্ল্যান অনুযায়ী প্রথম গন্তব্য ছিল ভারতের মেঘালয় রাজ্য। যেহেতু প্রথমে মেঘালয়ের রাজধানী শিলং যাবো, তাই আমরা ভিসা করিয়েছিলাম সিলেটের ডাউকি বর্ডার দিয়ে। আমাদের সিলেটগামী বাসটি ছাড়বে মালিবাগ থেকে। নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই পৌঁছে গেলাম সবাই। সেখান থেকে সিলেটের উদ্দেশ্য বাস ছাড়ল রাত ১১টায়।
দ্বিতীয় দিন
ভোর ৫ টার দিকে পৌঁছে গেলাম সিলেট শহরে। দিনের আলো তখনও ফুটেনি, কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে নাস্তা করে নিলাম স্থানীয় একটি রেস্তোরাঁয়। নাস্তা সেরে বর্ডারের উদ্দেশ্যে রওনা হলাম আমরা। ৭টার মধ্যে পৌঁছে গেলাম সেখানে। অন্যান্য বর্ডারের চেয়ে ডাউকি বর্ডার কিছুটা স্থবির। সেখানে আমাদের দল ছাড়াও আরও মানুষ অপেক্ষারত ছিল। সবাই অপেক্ষা করতে রইলাম ইমিগ্রেশনের কার্যক্রম শুরু হওয়ার। অবশেষে ৯টায় বর্ডারের কার্যক্রম শুরু হলো। আমাদের দল বড় হওয়ার বর্ডার পার হতে বেশ সময় লেগে গিয়েছিল। অবশেষে বেলা ১২.৩০ নাগাদ আমরা বর্ডার পার হলাম।
আমাদের মনসুর ভাই আগে থেকেই বর্ডারের এপারে টাটা সুমো ঠিক করে রেখেছিল। কিন্তু সেখানকার নির্বাচনী প্রচারণার কারণে গাড়িগুলো আসতে পারছিল না। অপেক্ষা করতে থাকলাম গাড়ি পাবার। সে সময় দুপুর গড়িয়ে প্রায় বিকেল। সারা রাতের জার্নি আর এতক্ষণের অপেক্ষায় সবাই তখন ক্লান্ত। অবশেষে গাড়ির বন্দোবস্ত হলো। ডাউকিতে আমাদের ডাবল ডেকার রুট ব্রিজ, ক্রাংসুরি ফলস, সোনাংপেডেংয়ের নদী সহ আরও কিছু জায়গা দেখার কথা ছিল। কিন্তু আমাদের এই গাড়ি বিড়ম্বনায় পড়ে ডাউকিটা অদেখাই রয়ে গেল। কিছুটা আশাহত হয়ে রওনা দিলাম আমরা। কিন্তু গাড়ি দিয়ে যখন ডাউকি ব্রিজ পার হচ্ছিলাম, ব্রিজের ওপর থেকেই সোনাংপেডেং এর স্বচ্ছ জলাধারের দেখা পেলাম! এটিকে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে স্বচ্ছ পানির জলাধার বলা হয়ে থাকে। গাড়ি থেকে নামা নিষেধ থাকলেও লোভ সামলাতে না পেরে নেমে গেলাম। এর জন্য অবশ্য বকাও খেতে হয়েছিল। তারপর আবার গাড়ি চেপে রওনা হলাম শিলংয়ের উদ্দেশ্যে।
গাড়ি চলছে। শিলংয়ের পথ ধরে এগুতেই ধীরে ধীরে আমাদের সব ক্লান্তি যেন মুছে যাচ্ছিল। পাহাড় ঘেরা দুপাশের রাস্তার মাঝে মেঘ ভেসে বেড়াচ্ছিল ক্যানভাসের মতো। গাড়ির ছুটে চলায় বারবার মনে আঁকিবুঁকি আঁকছিল শেষের কবিতার বইয়ের লাইনগুলো। এসব ভাবতে ভাবতেই একসময় আমাদের ড্রাইভার এক রেস্তোরাঁর সামনে গাড়ি থামালেন।
বাঁশ-বেতে গড়া সুন্দর ছিমছাম রেস্তোরাঁ। সেখানে আমরা খাবার অর্ডার করে ফ্রেশ হয়ে নিলাম। কিছুক্ষণ পর খাবার এলো। খাবারের স্বাদে খুব একটা পার্থক্য নেই, তবে শিলংয়ে সব খাবারের ওপরেই একটি পাঁপড় পরিবেশন করে, যা আমার কাছে বেশ মজাদার লেগেছে।
খাওয়া শেষে কিছুক্ষণ থেকে আবার রওনা হলাম আমাদের হোটেলের উদ্দেশ্যে। তখন বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামার পথে। আমাদের ড্রাইভার তার গাড়িতে গান বাজানোর বন্দোবস্ত করে দিলেন। পাহাড় আর মেঘের মাঝ দিয়ে আমাদের গাড়ি যাচ্ছিল আর সাথে রবীন্দ্রসঙ্গীত। দেখতে দেখতে সূর্যটা যেন পাহাড়ের আড়ালে লুকিয়ে গেল। আমাদের গাড়ি ছুটছে। অন্ধকার নেমে আসলো, এর কিছুক্ষণের মধ্যেই এক অদ্ভুত সুন্দর এক দৃশ্যের দেখা মিলল। পাহাড়ে ঘেরা শহরটার বুকে তারার মত অজস্র আলো মিটমিট করে জ্বলে উঠল। দেখে মনে হচ্ছিল, আকাশ নেমে এসেছে পাহাড়ের বুকে।
অবশেষে রাত ৮টার দিকে আমরা আমরা হোটেলে পৌঁছলাম। আমরা ছিলাম হোটেল আশিয়ানাতে। শিলং শহরটা খুব তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ে। রাত হয়ে যাওয়ায় আশেপাশের চারদিকে তেমন কিছুই দেখতে পেলাম না। রুমে যেয়ে সবাই ফ্রেশ হয়ে নিলাম। সারাদিনের ক্লান্তি শেষে রাতের খাবার খেয়ে নিলাম। পরের দিন প্ল্যান, গল্প আর আড্ডায় মেতেছিলাম সবাই। আর সাথে অপেক্ষা ভোর হওয়ার।
তৃতীয় দিন
পরের দিন ভোরে ঘুম ভাঙল চার্চের বেলের আওয়াজে। আমাদের রুমের বারান্দা থেকে সব কিছু মনে হচ্ছিল এক ফ্রেমে বাঁধানো ছবি। সবাই মিলে চলে গেলাম ছাদে। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন একটি শহর। টালি দেয়া ছাদের রঙিন বাড়িগুলোর সৌন্দর্য দেখেই আপনি শিলংয়ের সৌন্দর্যের ধারণা পেয়ে যাবেন।
কিছুক্ষণ পর নিচে নেমে এলাম সবাই। নাস্তা সেরে তৈরি হয়ে, রওনা দিলাম চেরাপুঞ্জির উদ্দেশ্যে। শিলং শহরে ঘুরার জন্য প্রথম দিনই গাড়ি ভাড়া করতে হয়। পরবর্তীতে যতদিন থাকবেন সেই গাড়িতেই ঘুরতে পারবেন পুরো শহর। ডাউকি থেকে শিলং পর্যন্ত আমরা যে গাড়িতে এসেছিলাম, সেটি দিয়েই ঘুরবো পুরো শিলং। টাটা সুমোতে করে রওনা হলাম চেরাপুঞ্জির উদ্দেশ্য। চেরাপুঞ্জিকে খাসি ভাষায় ‘সোহরা’ বলে। শিলং শহর থেকে আড়াই ঘণ্টা ড্রাইভের পর আমরা পৌঁছলাম মাওডক ভ্যালিতে। পাহাড়ের মাঝে মেঘের আনাগোনা আর চারপাশের সবুজ প্রকৃতি। গাড়ি থেকে নেমে কিছুক্ষণ সেখানেই কাটালাম।
এখানে টুরিস্টদের জন্য চা-নাস্তা করার রেস্তোরাঁ রয়েছে। সেখানে আমরা চা খেলাম, ছবি তুললাম। তারপর আবার রওনা দিলাম অন্য গন্তব্যে। কিছুক্ষণ পরেই ড্রাইভার গাড়ি থামালেন।
এবার এসেছি মসমাই কেইভে। এখানকার সব স্পটে ক্যামেরা সাথে নেয়ার জন্য আলাদা টিকেটের ব্যবস্থা আছে। এই মসমাই কেইভের কিছু অংশ এখনও অনাবিষ্কৃত অবস্থায় আছে। গুহা দেখা শেষ করে আমরা রওনা হলাম চেরাপুঞ্জির বিখ্যাত নোহকালিকাই ফলসের দিকে। এটি ভারতের সবচেয়ে উচ্চতম জলপ্রপাত এবং পৃথিবীর সবচেয়ে আর্দ্র স্থানগুলোর মধ্যে একটি। দূর থেকেই ঝর্ণার পানি নিচে পড়ার শব্দ শোনা যায়। আর ঝর্ণার পানি যেখানে পড়ছে, সেখানে দেখা মেলে রংধনুর।
শীতকাল হওয়ায় ঝরনার সেই চিরাচরিত রূপ আমাদের চোখে পড়েনি। কিন্তু ঝর্ণায় পানি কম থাকলেও সৌন্দর্যের অভাব ছিল না। তবে কেউ যদি শুধুমাত্র ঝর্ণা দেখার উদ্দেশ্যে যেতে চান, তবে বর্ষাকালে যাওয়াই সবচেয়ে উপযুক্ত সময়।
আমাদের পরবর্তী গন্তব্য চেরাপুঞ্জি ইকো পার্ক। পার্কটিতে ঢোকার সময় দেখলে মনে হবে হলিউড এর কোনো ধুধু প্রান্তরের সেট। গাড়ি দিয়ে বেশ কিছুদূর যাওয়ার পর নেমেই দেখলাম একটি লেকের মতো। সবাই সেখানে নামলাম। কিছুদূর এগোতেই খেলার সরঞ্জাম। পার্কটিতে যেয়ে যেন সবাই বয়স ভুলে খেলায় মেতে উঠল।
এভাবে কখন যে সূর্যটা পশ্চিমে হেলে পড়ল খেয়ালই করিনি। আমরা বের হয়ে স্থানীয় একটি রেস্তোরাঁয় খেয়ে নিলাম। আজকের মতো চেরাপুঞ্জির সবকিছু দেখা শেষ। এবার ফিরব শিলং শহরে। আমরা চাচ্ছিলাম রাতের শিলং শহরটা ঘুরে দেখতে। যেহেতু সন্ধ্যের পরপরই সব গুটিয়ে যায়, তাই দিনের আলো নিভে আসার আগেই রওনা দিলাম শিলং শহরের উদ্দেশ্যে। সন্ধ্যে নাগাদ পৌঁছে গেলাম শিলং শহরে। আমাদের মাঝে কেউ হোটেলে ফিরল, কেউ আবার শহরটা ঘুরে দেখতে বেড়িয়ে গেলাম। প্রথমেই গেলাম সেখানকার ব্যস্ততম পুলিশ বাজার এলাকায়। এখান থেকে কেউ সিম কিনছে, কেউবা আবার ডলার ভাঙিয়ে রুপি করতে ব্যস্ত। এরপরই আমরা স্বাদ নিলাম শিলংয়ের স্ট্রিট ফুডের। বিভিন্ন ধরনের মোমো আর গ্রিল চিকেনের থেকে বেছে নিলাম যার যার পছন্দের খাবার। তারপর গেলাম পুলিশ বাজারের দিকে।
পুলিশ প্লাজার মোড় ঘুরলেই অন্য আরেক ব্যস্ত নগরী। রাস্তার ধার ঘেঁষে অসংখ্য সুভিনিয়রের দোকান। তুলনামূলক কম দামে কেনাকাটার জন্য জায়গাটি বেশ জনপ্রিয়। ধীরে ধীরে সব গুটিয়ে ঘরে ফেরার পালা চলছে।
আমরাও খাওয়া-দাওয়া সেরে ফিরে গেলাম হোটেলে। দিন শেষে হোটেলের বারান্দা থেকে তারার মতো মিটমিট করে জ্বলতে থাকা শহরটিকে খুব আপন মনে হয়। পরের দিনের গন্তব্য শিলং শহরের কথা ভাবতে ভাবতেই রাত গভীর হয়ে এলো।
চতুর্থ দিন
আজকে শিলংয়ে আমাদের শেষদিন। সকালে উঠে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা সেরে নিলাম। প্ল্যান মোতাবেক এরপর আমাদের যাত্রা শুরু। ৯টার দিকে রওনা দিলাম এলিফ্যান্ট ফলসের উদ্দেশ্যে।
এই ফলসে ছোট ছোট অনেক ঝর্ণা। চারদিক থেকে ঝর্ণার পানির ঝুপঝুপ শব্দ। শিলংয়ের ট্যুরিজম কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে খুবই সচেতন। একটি নির্দিষ্ট দূরত্ব পর্যন্ত পর্যটকরা যেতে পারবে। চাইলেই ঝর্ণার পানি দূষণ করার ব্যবস্থা নেই। তাই প্রত্যেকটি ঝর্ণাই স্বচ্ছ ও আবর্জনা মুক্ত। আর কেউ নিজ চোখে গেঁথে নিচ্ছে প্রকৃতির সবটুকু। এই ফলসের ভেতরেই রয়েছে খাসিদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক পড়ার ব্যবস্থা। ৫০-১০০ রুপির বিনিময়ে তাদের পোশাক আর গয়না পড়ে ছবি তুলতে পারবেন। আর ছেলেদের জন্যও রয়েছে বিশেষ এই পোশাক, সাথে ঢাল তলোয়ার তো আছেই। কোথাও যেয়ে তাদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক পড়ার এক আনন্দ আছে। যাই হোক, আমরা সবাই পোশাক পরে ছবি তুলতে ব্যস্ত।
স্পটটিকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে অনেকগুলো দোকান। কেউ ছবি তুলছি, কেউ কেনাকাটায় ব্যস্ত, কেউ বা প্রকৃতিকে ফ্রেমে বন্দি করেছে। স্থানীয়দের তৈরি পোশাক, শাল, আচার সহ বিভিন্ন সুভিনিয়র পাওয়া যায় সেখানে। কিছুক্ষণ পর তা ফেরত দিয়ে রওনা হলাম পরবর্তী গন্তব্যে।
দেখত দেখতে দুপুর হয়ে এলো। বেলা ২ টার দিকে শহরের একটি হোটেলে দুপুরের খাবার সেরে রওনা হলাম ক্যাথেড্রাল চার্চে। নীল দেয়ালের এই চার্চটি শিলং এর সবচেয়ে বড় চার্চ। কিছুক্ষণ এর ভেতরে ঘুরলাম।
এরপর গেলাম লেডি হায়দারি পার্কে। আসামের গভর্নরের স্ত্রীর নামানুসারে এই পার্কের নাম। পার্কটিতে কেউ জগিং করছে, কেউ হাঁটতে এসেছেন আবার আমাদের মতো ছোট ছোট দলে দূরদূরান্ত থেকে এসেছেন। সকল বয়সী মানুষের সমাগম। দুপুর গড়িয়ে তখন বিকেল। আমরা কিছুক্ষণ সেখানে বসলাম। তারপর রওনা দিলাম হোটেলর উদ্দেশ্যে। শিলংয়ে আজ আমাদের শেষ রাত। তাই হোটেল ফিরে রাতের শহরটা শেষবারের মতো দেখতে বের হলাম। কেনাকাটা খাওয়াদাওয়া শেষে ফিরে গেলাম হোটেলে। সবাই মিলে আড্ডা আর গল্পে রাত শেষ হলো।
আর এভাবেই শেষ হলো মেঘালয় পর্ব। পরবর্তী গন্তব্য আসাম।