Welcome to Roar Media's archive of content published from 2014 to 2023. As of 2024, Roar Media has ceased editorial operations and will no longer publish new content on this website.
The company has transitioned to a content production studio, offering creative solutions for brands and agencies.
To learn more about this transition, read our latest announcement here. To visit the new Roar Media website, click here.

আমেরিকা বনাম উত্তর কোরিয়া: কার শক্তি কত?

কোরিয়া যুদ্ধের পর থেকেই আমেরিকা ও উত্তর কোরিয়ার সাপে-নেউলে সম্পর্ক। সম্প্রতি দুই দেশের প্রধান ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কিম জং উনের আক্রমণাত্মক কথাবার্তায় প্রায় যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছে দু দেশের মধ্যে। কিম জং উন প্রায় সময়ই পারমাণবিক হামলা চালানোর হুমকি দিচ্ছেন। অন্যদিকে আমেরিকা নিজেদের শক্তি প্রদর্শনের জন্য দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের সাথে যৌথ সামরিক মহড়া চালাচ্ছে। উত্তর কোরিয়া ছাড়াও কোরীয় উপকূলে আমেরিকার আরেক মাথাব্যথা হিসেবে রয়েছে চীন! আমেরিকা ও উত্তর কোরিয়া একে অপরকে হুমকি দিলেও শেষ পর্যন্ত যুদ্ধ লাগবে কিনা আর সেই যুদ্ধে কে জিতবে সেটা সময়ই বলে দেবে। তবে পাঠকদের জন্য আজ তুলে ধরা হবে দু দেশের সামরিক শক্তির তুলনা, যুদ্ধে কার জেতার সম্ভাবনা কেমন, কোন দেশের সাহায্যে কে এগিয়ে আসবে সেসব নিয়ে।

Source: Youtube

ভৌগোলিক অবস্থান

আমেরিকার পশ্চিম উপকূল থেকে উত্তর কোরিয়ার দূরত্ব প্রায় ৮,৪০০ কিলোমিটার। দুই দেশের রাজধানীর দূরত্ব আরো বেশি, প্রায় দশ হাজার কিলোমিটার। ভৌগলিক অবস্থান অনেক হলেও উত্তর কোরিয়ার কাছাকাছি আমেরিকার অনেকগুলো সামরিক ঘাঁটি রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও আশেপাশের বেশ কয়েকটি দ্বীপে। সুতরাং যুদ্ধ বাঁধলে উত্তর কোরিয়া আক্রমণের জন্য আমেরিকাকে খুব বেশি পথ পাড়ি দিতে হবে না। কিন্তু আমেরিকাকে আক্রমণ করতে হলে উত্তর কোরিয়াকে বিশাল পথ পাড়ি দিতে হবে। প্রশান্ত মহাসাগরের যাত্রার আগে তাদের হারাতে হবে দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান সহ সেখানে অবস্থান করা আমেরিকান বাহিনীকে। এরপর গুয়াম, হাওয়াই দ্বীপসহ আমেরিকার সপ্তম নৌবহরকে পরাজিত করে পৌঁছতে হবে আমেরিকার মূল ভূখন্ডে। উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক বোমা ফেলে পুরো আমেরিকা যদি ধ্বংস করে দেয় তাহলে অবশ্য অন্য কথা, তবে বাস্তবে উত্তর কোরিয়ার সামর্থ্য আছে বলে মনে হয় না।

সামরিক শক্তি

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ের শিল্প বিপ্লবে আমেরিকা পৃথিবীর পরাশক্তিগুলোর একটিতে পরিণত হয়েছে, বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী সেনাবাহিনীও তাদেরই বললে বাড়াবাড়ি হয় না মোটেও। আমেরিকার সেনাবাহিনী পৃথিবীর সবগুলো মহাদেশেই অবস্থান করছে। স্বাধীনতার পর দেশের মাটিতে স্পেন, মেক্সিকোর বিরুদ্ধে কিংবা দেশের বাইরে ইরাক, আফগানিস্তান সহ আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে যুদ্ধ করে বেশ অভিজ্ঞতাসম্পন্ন হয়েছে আমেরিকার সামরিক বাহিনী। অন্যদিকে ১৯৫৩ সালে জন্ম নেয়া উত্তর কোরিয়ার যুদ্ধের অভিজ্ঞতা বলতে গেলে ১৯৫০-৫৩ সালের কোরিয়া যুদ্ধ। দেশের বাইরে তাদের নেই কোনো সামরিক ঘাঁটি। ফলে অভিজ্ঞতার দিক দিয়ে আমেরিকান সেনাবাহিনী অনেকটাই এগিয়ে থাকবে।

আমেরিকান সেনাবাহিনী; Source: Army.mil

আমেরিকান আর্মি, নেভি, এয়ার ফোর্স এবং কোস্ট গার্ড মিলিয়ে আমেরিকার বর্তমান কর্মরত সামরিক ব্যক্তির সংখ্যা প্রায় ১৩ লক্ষ। সেই সাথে তাদের রিজার্ভে রয়েছে আট লক্ষ সেনা। অন্যদিকে উত্তর কোরিয়ার সেনার সংখ্যাও কম না, প্রায় ১২ লক্ষ, সাথে রয়েছে ছয় লক্ষ রিজার্ভ সেনা। আমেরিকান আর্মির রয়েছে প্রায় ৯,০০০ ট্যাঙ্ক আর উত্তর কোরিয়ার রয়েছে ৬,০০০। আর্মার্ড ফাইটিং ভেহিকেল এর দিক দিয়ে অবশ্য আমেরিকা অনেক এগিয়ে, উত্তর কোরিয়ার ৪,০০০ এর বিপক্ষে আমেরিকার রয়েছে ৪৬,০০০। তবে আর্টিলারির দিক দিয়ে উত্তর কোরিয়া অনেকটা এগিয়ে। আমেরিকার ৩,২৬৯টি আর্টিলারির জবাবে উত্তর কোরিয়ার রয়েছে প্রায় ১৩ হাজার আর্টিলারি। এর অনেকগুলোই আবার দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলের দিকে তাক করে রাখা আছে, যুদ্ধ বাঁধলেই নিমেষেই গুঁড়িয়ে যাবে সিউল।

নৌ পথের যুদ্ধেও এগিয়ে রয়েছে আমেরিকা তাদের ২০টি এয়ারক্র্যাফট ক্যারিয়ার নিয়ে। অন্যদিকে উত্তর কোরিয়ার কোনো ক্যারিয়ারই নেই। আমেরিকার ৮৫টি ডেস্ট্রোয়ারের বিরুদ্ধে উত্তর কোরিয়ার নেই কোনো ডেস্ট্রোয়ার। তবে সাবমেরিনের দিক দিয়ে উত্তর কোরিয়া আমেরিকাকে ছাড়িয়ে গেছে, আমেরিকার ৭০টির বিপরীতে উত্তর কোরিয়ার রয়েছে ৭৫টি। কিন্তু কোনো ডেস্ট্রোয়ার না থাকায় সাবমেরিনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে উত্তর কোরিয়া খুব একটা পেরে উঠবে বলে মনে হয় না। উত্তর কোরিয়ার ৬টি করে করভেট ও ফ্রিগেট থাকলেও আমেরিকার শক্তিশালী নৌবাহিনীর বিরুদ্ধে সেগুলো খুব একটা কাজে আসবে বলে মনে হয় না। আমেরিকার নেভির রয়েছে শক্তিশালি ক্রুজার, যেগুলো টমাহক মিসাইল ছুড়তে পারে। এর বাইরে অ্যান্টি-মিসাইল ও অ্যান্টি-শিপ হিসেবেও কাজে লাগে।

উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনীর কুচকাওয়াজ; Source: The Sun

আকাশপথেও উত্তর কোরিয়ার সামনে অপেক্ষা করছে এক অসম লড়াই। আমেরিকার ১২ হাজার যুদ্ধবিমানের বিপরীতে তাদের রয়েছে মাত্র ৯০৬টি যুদ্ধবিমান। আমেরিকার ৫,০০০ হেলিকপ্টারের বিপরীতে তাদের রয়েছে মাত্র ২০২টি হেলিকপ্টার। সংখ্যা যা-ই হোক না কেন, উত্তর কোরিয়া পিছিয়ে রয়েছে প্রযুক্তির দিক দিয়ে। আমেরিকার সেনাবাহিনী প্রতিনিয়ত নিজেদের প্রযুক্তির উন্নতি করে চলেছে। অন্যদিকে উত্তর কোরিয়ার কাছে থাকা যুদ্ধাস্ত্রের বেশিরভাগই কোরিয়া যুদ্ধের সময় চীন ও রাশিয়ার কাছ থেকে পাওয়া।

তবে এমন না যে, উত্তর কোরিয়ার সবকিছুই অর্ধশতাব্দী পুরনো। উত্তর কোরিয়া নতুন করে অস্ত্র বানালেও বেশিরভাগই আগের যুগের অস্ত্রগুলোর নকল। তাদের ট্যাঙ্কগুলো প্রায় ২০ বছর আগে বানানো হলেও সেগুলোতে রয়েছে অত্যাধুনিক অনেক সুবিধা। তাদের হাতে রয়েছে মিগ-২৯ এর মতো যুদ্ধ বিমান। আমেরিকার কাছে এর থেকে আধুনিক বিমান থাকলেও আমেরিকাকে কিছুটা হলেও টক্কর দিতে পারবে উত্তর কোরিয়া।

উত্তর কোরিয়ার ২৪০ মিমি রকেট আর্টিলারি, যা সিউলে হামলা চালাতে সক্ষম; Source: KCNA

তবে হিসেব করতে হবে যে আমেরিকার সবকিছুই কোরীয় উপকূলে নেই। আমেরিকার সামরিক বাহিনী ছড়িয়ে রয়েছে অনেকগুলো দেশে। এতক্ষণ যে হিসেব দেয়া হলো সেটা মোট হিসেব। কিন্তু আমেরিকা চাইলেই এর সবগুলো যুদ্ধে ব্যবহার করতে পারবে না। সেক্ষেত্রে সংখ্যাগুলো পাল্টে যাবে। সে ব্যাপারে আলোচনা পেয়ে যাবেন আরেকটু এগোলেই।

পারমাণবিক অস্ত্র

উত্তর কোরিয়াকে নিয়ে আমেরিকার মাথাব্যথার অন্যতম কারণ উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক কার্যক্রম। প্রথম দিকে রাশিয়ার সাহায্যে এবং পরবর্তীতে নিজেরাই এই পারমাণবিক কার্যক্রমকে এগিয়ে নিয়ে গেছে। আমেরিকার প্রায় সাত হাজার নিউক্লিয়ার ওয়ারহেডের বিপরীতে উত্তর কোরিয়ার ঠিক ক’টি ওয়ারহেড রয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া না গেলেও, সংখ্যাটি দশের বেশি না বলেই বিশেষজ্ঞরা ধারণা করেন। তবে সংখ্যা যা-ই হোক না কেন, আমেরিকায় হামলা চালানোর মতো সামর্থ্য আছে কিনা সেটাও একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। পারমাণবিক বোমাগুলোকে বহন করার মতো মিসাইল না থাকলে বাস্তবে কোনো লাভ নেই।

উত্তর কোরিয়ার আশেপাশে থাকা আমেরিকান ঘাঁটিসমূহ

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানকে পরাজিত করার পর থেকেই জাপান ও কোরিয়ায় রয়েছে আমেরিকান সেনারা। প্রথমদিকে কোরিয়ায় সেনা অল্প থাকলেও কোরিয়া যুদ্ধের পর প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হয়ে যায়। দক্ষিণ কোরিয়া হয়ে ওঠে আমেরিকার বড় ঘাঁটিগুলোর একটি। দক্ষিণ কোরিয়াকে সুরক্ষা দেয়ার জন্য ১৯৫৭ সালে আমেরিকা গঠন করে ‘ইউনাইটেড স্টেটস ফোর্সেস কোরিয়া’, সংক্ষেপে ইউএসএফকে। উত্তর কোরিয়া থেকে ২,২০০ মাইল দূরে গুয়াম দ্বীপ প্রশান্ত মহাসাগরে আমেরিকার শক্তিশালী ঘাঁটিগুলোর একটি। এছাড়াও থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন ও সিঙ্গাপুরে রয়েছে আমেরিকান সামরিক বাহিনীর উপস্থিতি।

উত্তর কোরিয়ার চারপাশে আমেরিকান ও তার মিত্রদের ঘাঁটি; Source: Business Insider

দক্ষিণ কোরিয়ায় আমেরিকার প্রায় সাঁইত্রিশ হাজার সেনা উপস্থিতি রয়েছে। সাথে রয়েছে ৩০০ এর বেশি শক্তিশালী এম১ আব্রাম ট্যাঙ্ক। এছাড়াও রয়েছে দু’টি বিমানঘাঁটি, যেগুলোতে উপস্থিত রয়েছে শক্তিশালী আধুনিক যুদ্ধবিমান। এ বছর এপ্রিলে আমেরিকা দক্ষিণ কোরিয়ায় স্থাপন করেছে মিসাইল বিধ্বংসী THAAD এন্টি মিসাইল, যা উত্তর কোরিয়ার ছোঁড়া মিসাইলকে মাঝপথেই ধ্বংস করতে সক্ষম। এছাড়া দক্ষিণ কোরিয়ার নিজস্ব সেনাবাহিনী রয়েছে, যা পৃথিবীর অন্যতম শক্তিশালী সেনাবাহিনী। শুরু থেকেই আমেরিকান অস্ত্র ও প্রশিক্ষণে দক্ষিণ কোরিয়ান সেনাবাহিনী একাই উত্তর কোরিয়ার জন্য চ্যালেঞ্জিং হবে।

আমেরিকার সবচেয়ে বেশি ঘাঁটি রয়েছে জাপানে। প্রায় চল্লিশ হাজার সেনা রয়েছে জাপানে, সাথে রয়েছে শক্তিশালী বি-১বি ল্যান্সার বিমান যা পারমাণবিক বোমা বহন করতে পারে। এয়ারক্র্যাফট ক্যারিয়ার ও সাবমেরিনসহ শক্তিশালী সপ্তম নৌবহর রয়েছে জাপানে। ১৪টি ডেস্ট্রোয়ার ও ক্রুজার রয়েছে সপ্তম নৌবহরে, যারা সাবমেরিন খুঁজে বের করতে আর টমাহক মিসাইল ছুড়ে উত্তর কোরিয়াকে ভালোই ভোগাতে পারে। সাবমেরিনের সঠিক সংখ্যা জানা না গেলেও অন্তত ১২টি পারমাণবিক সাবমেরিন রয়েছে বলে ধারণা করা হয়। এসব সাবমেরিনের সবগুলোই আধুনিক প্রযুক্তি ও অস্ত্রে সজ্জিত।

তবে আমেরিকার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি হচ্ছে গুয়াম। আমেরিকার রাজ্য না হলেও আমেরিকার সরকার এই দ্বীপটি নিয়ন্ত্রণ করে। দ্বীপটিতে প্রায় ছয় হাজার আমেরিকার সেনা উপস্থিত রয়েছে, যা দ্বীপটির মোট জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ। এখানে রয়েছে এন্ডারসন বিমানঘাঁটি, যা আমেরিকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ঘাঁটি। এখানে রয়েছে বি-৫২ বোমারু বিমান, যা উত্তর কোরিয়ার জন্য বড় রকমের হুমকি। এর বাইরেও দরকার পড়লে থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর থেকে আমেরিকান সেনারা সাহায্যে যেতে পারবে। আমেরিকার মিত্র অস্ট্রেলিয়াও পাঠাতে পারে সাহায্য। এছাড়া ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোরও বসে থাকার কথা না।

গুয়ামে আমেরিকান নৌঘাঁটি; Source: Business Insider

উত্তর কোরিয়ার মিত্র

সমাজতান্ত্রিক উত্তর কোরিয়ার মিত্রদের কথা ভাবলেই প্রথমেই মাথায় আসে রাশিয়া ও চীনের কথা। কোরিয়া যুদ্ধে উত্তর কোরিয়া সরাসরি রাশিয়া ও চীনের সাহায্য পেলেও পারমাণবিক কার্যক্রম শুরু করার পর চীন ও রাশিয়া উত্তর কোরিয়ার উপর কিছুটা নাখোশ। তবে তারা উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধেও না। চীন অনেকটা উত্তর কোরিয়ার বড় ভাইয়ের মতো, যে বড় ভাই বিগড়ে যাওয়া ছোট ভাইয়ের উপরে রাগ করেছে। অন্যদিকে উত্তর কোরিয়া বড় ভাই চীনের থেকে এলাকার বড় ভাই রাশিয়ার ভক্ত বেশি। রাশিয়া প্রকাশ্যে তেমন কিছু না করলেও ভেতরে ভেতরে অনেক সাহায্য করে বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা।

উত্তর কোরিয়ার আরেকটি মিত্র আছে যাদের কথা সেভাবে বলা হয় না- বুলগেরিয়া। ইউরোপে কার্যত উত্তর কোরিয়ার এই একটি দেশই মিত্র। মালয়েশিয়া ও পাকিস্তান উত্তর কোরিয়ার মিত্র না হলেও তাদের সাথে ভালো বাণিজ্যিক সম্পর্ক আছে উত্তর কোরিয়ার। আফ্রিকার মাদাগাস্কার, বেনিন ও কঙ্গো উত্তর কোরিয়াকে মিত্র বলেই পরিচয় দেয়। যুদ্ধ বাঁধলে রাশিয়া ও চীনের ভূমিকা কী হবে সেটা বলা বেশ কঠিন। রাশিয়া কিংবা চীন সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে গেলে সেটি বিশ্বযুদ্ধে রূপ নেবে তা বলা বাহুল্য। তবে অস্ত্র ও অন্যান্য যন্ত্রাংশ দিয়ে সাহায্য করাটা অস্বাভাবিক হবে না।

সামরিক ঘাঁটি প্রদর্শনে কিম; Source: Business Insider

শেষ কথা

যুদ্ধে আসলে সংখ্যা কিংবা অভিজ্ঞতা সবসময় কথা বলে না, অনেক সময় ভাগ্যেরও সহায়তা লাগে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের নৌবাহিনী আমেরিকার প্রায় দ্বিগুণ হবার পরেও আমেরিকার আধুনিক প্রযুক্তি ও কলাকৌশলের কাছে যতটা না হেরেছে, ততটা হেরেছে ভাগ্যের কাছে। কিছু যুদ্ধে ভাগ্য জাপানের পক্ষে থাকলে ইতিহাস হয়তো অন্যভাবে লেখতে হতো। সুতরাং যুদ্ধে শুধু পরিসংখ্যান দিয়ে কথা আন্দাজই করা যায়। কিন্তু ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করতে হয় রক্তের বিনিময়ে। এ লেখাটি দুই দেশের সামরিক দিক নিয়ে খুবই সংক্ষেপে লেখা। দুই দেশের অর্থনীতিও ভূমিকা রাখবে যুদ্ধ কতদিন চলবে কিংবা কে জিতবে সেই বিষয়ে।

ফিচার ইমেজ- Stanford News, Stanford University

Related Articles