ষাটের দশকের পর থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত ইরাকের ইতিহাসের সাথে ছোটবেলায় শোনা রূপকথার গল্পের অনেক মিল পাওয়া যায়। বেশিরভাগ গল্প শুরুই হতো একটি শান্তিপ্রিয় দেশের কাহিনী দিয়ে দিয়ে, যেখানকার মানুষজন সবাই মিলেমিশে সুখে-শান্তিতে বসবাস করে। কারো মধ্যে কোনো হিংসা-দ্বেষ কিচ্ছু নেই। একসময় গল্পে শয়তানের আবির্ভাব ঘটে। সে বিভিন্ন অন্যায়-অনাচারের মাধ্যমে সবার শান্তি বিনষ্ট করা শুরু করে এবং সবার ওপর অত্যাচার করতে থাকে। শয়তানের অত্যাচারে সবাই যখন অতিষ্ঠ, তখন আবির্ভাব ঘটে নায়কের। নায়ক তার অলৌকিক শক্তি দিয়ে শয়তানের মোকাবিলা করে এবং তাকে ধ্বংস করে মানুষকে তাদের আগের জীবন ফিরিয়ে দেয়। সবাই আবার সুখে-শান্তিকে বাস করতে থাকে।
সত্তরের দশক পর্যন্ত ইরাক ছিল মধ্যপ্রাচ্যের একটি সমৃদ্ধ দেশ। জনগণের জীবনযাত্রার মান ছিল উন্নত এবং শিক্ষা, চিকিৎসা ও অন্যান্য মৌলিক সুবিধাগুলো পাওয়া যেত বিনামূল্যে। তারচেয়েও বড় কথা হলো, সবার জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত ছিল। এরপর শাসন ক্ষমতায় আসে সাদ্দাম হুসাইন। তার শাসনকালে ইরাকি জনগণের একটি বড় অংশ শিকার হয় ভয়াবহ নির্যাতনের। সামান্য কারণে হত্যা, গুম, জেল-জরিমানা ছিল নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার। বিরোধী শক্তিকে দমিয়ে রাখার সব ধরনের আয়োজনই ছিল সাদ্দামের ইরাকে। এমনকি নিজ দেশের জনগণের ওপর রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগ করার অভিযোগ রয়েছে তার সরকারের বিরুদ্ধে। ফলে ইরাকের বেশিরভাগ মানুষই সাদ্দামের ওপর নাখোশ ছিল এবং তার হাত থেকে পরিত্রাণ কামনা করছিল। একনায়কতন্ত্রের শিকল ভেঙে গণতন্ত্রের মুক্ত আকাশে ওড়ার স্বপ্ন দেখছিল ইরাকি জনগণ।
তাদের স্বপ্ন একসময় বাস্তবে রূপ লাভ করে। সেই স্বপ্নকে ফেরি করে নিয়ে আসে আমেরিকা এবং তার মিত্র দেশগুলো। তারা ২০০৩ সালে অনেকটা ইচ্ছাকৃতভাবে বিশ্বজনমত উপেক্ষা করে ইরাক আক্রমণ করে এবং সাদ্দাম সরকারের পতন ঘটিয়ে ইরাকে একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করে। ইরাকি জনগণকে তারা উপহার দেয় কাঙ্ক্ষিত গণতন্ত্রের।
এতটুকু পর্যন্ত ইরাকের ঘটনাপ্রবাহ রূপকথার গল্পের প্লটকেই অনুসরণ করছিল। দুশমন সাদ্দাম হুসাইনের পতন ঘটিয়ে ইরাকি জনগণের কাছে নায়ক বনে যায় আমেরিকা। গল্প অনুযায়ী এরপর ইরাকে পুনরায় শান্তি ফিরে আসার কথা। কিন্তু আদৌ কি তা হয়েছিল?
বিলাল জাফরের ছোট বোনের বয়স যখন দশ বছর, তখন আমেরিকান বাহিনীর এক বিমান হামলায় তার মৃত্যু হয়। ঐ হামলায় বিলালদের বাড়িও মাটির সাথে মিশে যায়। যদিও আল-কায়েদার জঙ্গীদের লক্ষ্য করে ঐ হামলা চালানো হয়েছে এবং বিলালের বোনের মতো অন্যান্য বেসামরিক নাগরিকদের মৃত্যুকে একটি অনাকাংক্ষিত ঘটনা বলে দাবি করে আমেরিকা। এই ঘটনার দুই বছর পর ২০১৬ সালে কোনো এক চরমপন্থী গ্রুপের পুঁতে রাখা বোমার বিস্ফোরণে বিলালের বাবা মৃত্যুবরণ করেন। এরপর থেকে বিলালের পরিবারের পশ্চিমা দেশগুলোর দেখানো নতুন ইরাকের স্বপ্ন ধূলিসাৎ হয়ে যায়। পলিটিক্যাল সায়েন্সে গ্র্যাজুয়েট ২৬ বছর বয়সী বেকার বিলালকে পরিবার চালাতে রীতিমত সংগ্রাম করতে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে বিলাল বলেন, “একসময় আমরা ইরাকিরা ভাবতাম যে, ১৯৯০ সালের গালফ যুদ্ধের সময়ই সাদ্দাম হুসাইনের পতন হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু আমাদের ধারণা ছিল ভুল। এখন আমি মনে করি যে, তিনি থাকলেই হয়তো আমাদের জন্য ভালো হত। “
বিলালের মতো হাজারো ইরাকি একসময় ভাবতো, মার্কিন প্রেসিডেন্ট বুশ এবং ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের প্রতিশ্রুতি মতো সাদ্দাম হুসাইনের পতনই পারে ইরাকে শান্তি এবং সমৃদ্ধি ফিরিয়ে আনতে। পরবর্তীতে তারা আবিষ্কার করে, সব প্রতিশ্রুতিই ছিল মিথ্যা এবং ইরাক আক্রমণকে বৈধতা দেয়ার জন্য বুশ-ব্লেয়ার গং এর চালানো প্রোপাগান্ডার অংশ মাত্র। সাদ্দামের পতনের পর সমৃদ্ধশালী ইরাকের পরিবর্তে তারা পেল ক্ষত-বিক্ষত, বিভিন্ন চরমপন্থী গ্রুপে পরিপূর্ণ এবং আকণ্ঠ দুর্নীতিতে ডুবে থাকা এক অপ্রত্যাশিত ইরাককে।
২০০৩ সালে ইরাকের ওপর আমেরিকা ও তার মিত্রদের চালানো আগ্রাসনের প্রায় এক বছর পর ২০০৪ সালে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ রেজ্যুলেশন ১৫৪৬ পাস করে এবং ইরাকে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করে দেয়। উক্ত সরকারের প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল আটককৃত সাবেক প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হুসাইনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার কাজ শুরু করা। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান ছিলেন ইয়াদ আলায়ী।
আলায়ী সরকারের সম্পূর্ণ সময়টাই ছিল ঝঞ্চাবিক্ষুব্ধ। কারণ এ সময় বিভিন্ন বিচ্ছিন্ন মিলিশিয়া গ্রুপ আমেরিকান বাহিনীর বিরুদ্ধে সংগ্রামে লিপ্ত হয়। তাদের মধ্যে অন্যতম ছিল মুক্তাদা আল-সদরের আল-মাহাদি আর্মি। ২০০৪ সালের দিকে আল-সদরের বাহিনী এবং বেশ কিছু সুন্নি বিদ্রোহী গ্রুপ একের পর এক হামলায় কোয়ালিশন সরকার এবং আমেরিকান বাহিনীকে কোণঠাসা করে রাখে। তবে এ যাত্রায় আলায়ী সরকার কোনোমতে টিকে যায় এবং পরবর্তীতে ২০০৫ সালে তাদের অধীনে অন্তর্বর্তীকালীন অ্যাসেম্বলি গঠনের জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। অন্তর্বর্তীকালীন অ্যাসেম্বলির কাজ ছিল ইরাকের জন্য একটি সংবিধান রচনা করা। ২০০৫ সালের অক্টোবরে নতুন সংবিধান গৃহীত হয় এবং ঐ বছরের ডিসেম্বরে ইরাকি জনগণ তাদের প্রথম গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ভোট দেয়। পরবর্তীতে ২০০৬ সালের এপ্রিলে ইরাকে প্রথম গণতান্ত্রিক সরকার শপথ গ্রহণ করে, যার প্রধান হিসেবে নির্বাচিত হন নুরি আল-মালিকি।
মালিকির সরকারের কাছে জনগণের প্রত্যাশা ছিল অনেক। সাদ্দাম হুসাইনের সময়কার অন্যায় অবিচার দূর করে নতুন এক ইরাক গঠনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিবে মালিকির সরকার, এই ছিল জনগণের আশা। কিন্তু মালিকির সরকার প্রত্যাশার ছিটেফোঁটাও পূরণ করতে পারেনি। বরং তার আট বছরের শাসনকালে দেশের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি ছড়িয়ে পরে। অন্যদিকে শিয়া-সুন্নি বিরোধ চরমে পৌঁছে যায়। দেশের বিভিন্ন স্থানে একের পর এক বোমা হামলায় প্রাণ হারাতে থাকে সাধারণ জনগণ। তার ওপর শহরগুলোতে আল-কায়েদার লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানোর নামে চলতে থাকে মার্কিন বাহিনীর বিমান হামলা। সব কিছু মিলিয়ে সমগ্র ইরাক যেন পরিণত হয় এক বধ্যভূমিতে। মালিকির পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল-আবাদীর সময়ও পরিস্থিতি প্রায় অপরিবর্তিতই থেকে যায়।
এ ব্যাপারে মুস্তফা হামেদ নামের একজন ইরাকি বলেন, “আমরা বর্তমানে নেতা শূন্যতায় ভুগছি। আমাদের কোনো শক্তিশালী নেতা নেই। তার স্থানে আছে মন্ত্রী, যাদের বেশির ভাগেরই হাই স্কুল পাস করার ডিগ্রীও নেই। “
মরার ওপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে আসে আইএসের উত্থান। ২০১০ সালের দিকে এসে ইরাকি সরকার নাগরিকদের মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণেও হিমশিম খাচ্ছিল। অন্যদিকে সুন্নি মুসলমানদের ধীরে ধীরে সরকারের উচ্চ পদে নিয়োগ নিশ্চিত করা হবে এই প্রতিশ্রুতি রক্ষার ক্ষেত্রেও সরকার ব্যর্থ হয়। ফলে দেশব্যাপী সুন্নি-শিয়া বিরোধ ধীরে ধীরে ঘনীভূত হতে থাকে। রাস্তাঘাটে জনমানুষের জীবনের নিরাপত্তা তলানিতে গিয়ে পৌঁছে। এরকম একটি সুযোগেরই সন্ধানে ছিল আইএস।
ইরাকজুড়ে বিশৃঙ্খলার সুযোগে তারা শক্তি বৃদ্ধি করতে থাকে। এ সময় তারা দেশব্যাপী আন্ডারগ্রাউন্ড নেটওয়ার্ক গড়ে তোলে এবং শক্তিশালী স্লিপার সেল তৈরি করে। সাদ্দাম হুসাইনের জামানায় কর্মরত যেসব সেনা কর্মকর্তাকে পরবর্তীতে বহিষ্কার করা হয় তাদের মধ্যেও অনেকে আইএস-এ যোগদান করে। ২০১৩ সালের মধ্যে আইএস সিরিয়াতে তাদের নেটওয়ার্ক বিস্তৃত করতে সক্ষম হয় এবং ২০১৪ সালের মধ্যে ইরাকের গুরুত্বপূর্ণ শহর মসুল, রাকা এবং সিরিয়ার তেলসমৃদ্ধ শহর দের আজ-জোর দখল করে নেয়। এসব এলাকা নিয়ে তারা তাদের তথাকথিত খিলাফাত প্রতিষ্ঠা করে।
আইএসের প্রতিষ্ঠিত এই নতুন খিলাফাত ইরাকজুড়ে ভয়াবহ গৃহযুদ্ধ উস্কে দেয়। যেসব সুন্নি বিদ্রোহী গ্রুপ সরকারের বিরুদ্ধে লড়ে যাচ্ছিল তাদের মধ্যেও অনেকেই যোগদান করে আইএস–এ। এই ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসীদের হাতে প্রাণ হারায় অসংখ্য ইরাকি নাগরিক। অগণিত নারীকে যৌনদাসীতে পরিণত করে তারা। পশ্চিমা দেশগুলোর অনেক নাগরিককে ধরে এনে হত্যা করা হয় এবং হত্যা করার সেই বীভৎস দৃশ্য ইন্টারনেটের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে বিশ্ববাসীর মাঝে ভীতির সঞ্চার করে আইএস জঙ্গীরা।
আইএস দমনে আবারো দৃশ্যপটে হাজির হয় আমেরিকা এবং তার মিত্র দেশগুলো। আইএসের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালাতে থাকে তারা। এতে করে আইএসের পতন ত্বরান্বিত হয় ঠিকই, তবে একই সাথে ইরাকের অবকাঠামোর ধ্বংসও সুনিশ্চিত হয়। আইএস দমনে বিভিন্ন দেশকে নিজেদের কৃতিত্ব জাহির করতে দেখা যায় প্রায়ই। কিন্তু এসব হামলার কারণে ইরাকের অবকাঠামোগত যে ক্ষতি হয়েছে এবং সাধারণ নাগরিকদের যেসব প্রাণহানী ঘটেছে তার দায় নিতে কেউ রাজি নয়!
আইএস সংকট কাটতে না কাটতেই কুর্দিদের নিয়ে নতুন সমস্যা দানা বাঁধতে থাকে ইরাকজুড়ে। একসময় আইএস জঙ্গীদের দখলে থাকা কিরকুক শহর দখল করে নেয় কুর্দি সেনাবাহিনী ফেস্মের্গা। এই দখলকে ইরাকি কেন্দ্রীয় সরকার সবসময়ই অবৈধ বিবেচনা করে এসেছে। পরবর্তীতে ২০১৭ সালে ইরাকের উত্তরাঞ্চলে কুর্দিস্থানের স্বাধীনতা সংক্রান্ত এক ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ইরাকি সরকার এবং কুর্দিস্থানের আঞ্চলিক সরকারের মধ্যে বিরোধ চরমে পৌঁছে। বিরোধের জের ধরে কুর্দি বাহিনীকে ১৫ অক্টোবরের মধ্যে কিরকুক ত্যাগের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী আল-আবাদি। কিন্তু কুর্দি বাহিনী তা অস্বীকার করে। ফলে ১৫ অক্টোবর ইরাকি সেনাবাহিনী কিরকুক শহরে অভিযান চালায় এবং একদিনের মধ্যেই কুর্দি বাহিনীকে হটিয়ে শহর দখল করে নেয়। এই অভিযানে ইরাকি বাহিনীর তান্ডবে অসংখ্য পরিবার বাস্তুচ্যুত হয়। অনেকের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয়া হয় এবং লুটপাটের শিকার হয় অনেক মানুষ।
নজম আল-জাবৌরি নামে ইরাকী এক জেনারেল বলেন, ”আমরা ভেবেছিলাম, সাদ্দামের পতন হলে আমরা স্বাধীনতার স্বাদ পাবো। আমাদের দেশ ইউরোপের দেশগুলোর মতো হয়ে যাবে। কিন্তু তা হয়নি। আমরা তার বদলে অন্ধকার যুগে ফিরে গিয়েছি। শিয়া হোক, সুন্নি হোক বেশিরভাগ মানুষই সাদ্দামের শাসন পছন্দ করত না। কিন্তু এখন যখন আমরা বর্তমানের সাথে পূর্বের অবস্থার তুলনা করি তখন মনে হয় যেন সাদ্দাম হুসাইনের শাসনই হয়তো আমাদের জন্য ভালো ছিল। “
ইরাকে সামাজিক অস্থিরতা যে অবশ্যম্ভাবী, দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতায় তা খুব ভালোভাবেই বুঝতে পেরেছিলেন সাদ্দাম হুসাইন। তাই হয়তো আমেরিকান বাহিনীর হাতে আটক হওয়ার পর সিআইএ’র কর্মকর্তাদের একবার বলেছিলেন, ”শোন হে! এই দেশ নিয়ন্ত্রণ করা তোমাদের কর্ম নয়। আমার মতো কাউকে খুঁজে তার হাতে ক্ষমতা দিয়ে দিও। “
আজ এতদিন পর সাদ্দাম হুসাইনের সেদিনের বলা কথা ধ্রুব সত্য বলে প্রমাণিত হচ্ছে। দেশজুড়ে একের পর এক বোমা হামলা, দুর্নীতি, আইএসের উত্থান, শিয়া-সুন্নি বিরোধ, স্বাধীনচেতা কুর্দিদের নিয়ে অস্থিরতার মতো ঘটনাগুলো যেন সেই কথারই সত্যায়ন করে চলেছে।
তবে রাত যত গভীর হয়, প্রভাত যেমন তত নিকটে আসে, তেমনই দেশজুড়ে ঘটে চলা এতসব হতাশজনক ঘটনার পরও ইরাকি জনগণ এখনো আশায় বুক বাঁধে, হয়তো দুঃসময় একদিন কেটে যাবে। হয়তো কোনো একদিন সব অন্যায়-অবিচার, বোমা হামলা, জাতিগত বিদ্বেষ ভুলে সবাই একতাবদ্ধ হবে এবং সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী ইরাক গঠনের লক্ষ্যে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে যাবে। সেই দিনের প্রত্যাশায় দিন কাটে এখন অধিকাংশ ইরাকির।