বাংলাদেশি টাকা, আমেরিকান ডলার, ইউরোপীয় দেশগুলোর ইউরো অথবা চীনা ইয়েন; প্রচলিত এই আর্থিক বিনিয়োগ মাধ্যমগুলোর ইতিহাস কিন্তু খুব পুরোনো নয়। এক টুকরো কাগজের বিনিময়ে কোনো সেবা কিনতে চাইলে সেটাকে অবশ্যই বৈধ কোনো ব্যাংকের মাধ্যমে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত হতে হবে। ইন্টারন্যাশনাল ব্যাংক নোট সোসাইটির মতে, চীনা সম্রাট চেন সাং (৯৯৮-১০২২) সর্বপ্রথম সরকারিভাবে কাগজের মুদ্রা প্রচলন করেন। কিন্তু এই কাগজের নোটেরও স্বীকৃতির আগে বহু বছর ধরে বিনিময় মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হতো স্বর্ণমুদ্রা।
ইতিহাসবিদদের ধারণানুসারে, ৫৫০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে লিডিয়ার (বর্তমানে তুরস্কের অন্তর্ভুক্ত) সম্রাট ক্রোসার স্বর্ণমুদ্রা প্রচলন করেন। আর উপমহাদেশের এর প্রচলন হয় খ্রিস্টীয় ১ম শতকে কুশান রাজাদের হাত ধরে। পরবর্তীতে গুপ্ত সম্রাট চন্দ্রগুপ্তও স্বর্ণমুদ্রার প্রচলন ধরে রাখেন। কিন্তু তুঘলক শাসনামলে মুহাম্মদ বিন তুঘলক স্বর্ণমুদ্রা তৈরিতে প্রয়োজনীয় স্বর্ণের অপ্রতুলতা ও মুদ্রার স্বর্ণ চুরি হয়ে যাওয়ার কারণে সর্বপ্রথম তামার মুদ্রা প্রচলন করেন। ফলে সে সময়ে ব্যাপক হারে মুদ্রা জাল হতে শুরু করে।
১৮৪৮ সালে ক্যালিফোর্নিয়ায় প্রচুর পরিমাণে স্বর্ণের খনি আবিস্কার হওয়ার সাথে সাথে পুনরায় আর্থিক বিনিময় মাধ্যম হিসেবে স্বর্ণের ব্যবহার শুরু হয়। ১৯০০ সালে আমেরিকার অনুমোদিত স্বর্ণের মানদন্ড আইন অনুযায়ী কাগজের মুদ্রার বিকল্প বিনিময় মাধ্যম হিসেবে স্বর্ণের প্রচলন শুরু হয়। সেই সময়ে এক আউন্স স্বর্ণের মূল্য নির্ধারিত হয় কুড়ি ডলার। ধরে নেয়া যাক, কোনো একটি দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বা কোনো ধনী ব্যক্তি আমেরিকার ফেডারেল ব্যাংকে ৫০০ ডলার জমা রেখেছেন। এখন ব্যাংক অথবা ধনী ব্যক্তিটি চাইলে কাগজের ৫০০ ডলারের পরিবর্তে ২৫ আউন্স (৫০০/২০=২৫) স্বর্ণ তুলে নিতে পারবেন ।
ফলে স্বভাবতই শুদ্ধতর ও দুষ্প্রাপ্য স্বর্ণে বিনিয়োগ বেড়ে যায়। কিন্তু নতুন সোনার খনি আবিষ্কৃত হলে বাজারে যেমন একদিকে স্বর্ণের যোগান বেড়ে যায়, তেমনি কাগজের মুদ্রার বিপরীতে স্বর্ণের দাম পুনঃনির্ধারণে দেখা যায় দেখা দেয় জটিলতা। কারণ চাহিদা-যোগান সূত্র; যোগান বেড়ে গেলে চাহিদা কমে যায়, ফলে জিনিসের দামও কমে যায়।
১৯১৩ সালে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত স্বর্ণের বিপরীতে ব্যাংকনোটের মূল্যমান নির্ধারণ করতে সক্ষম হয় ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব আমেরিকা। কিন্তু প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় দেশগুলোর অর্থসংকট তৈরি হওয়ায় কৃত্রিমভাবে স্বর্ণের দাম কমিয়ে দেওয়া হয়। অর্থাৎ এক আউন্স স্বর্ণের দাম পূর্বে ২০ ডলার থাকলেও এসময়ে সেটি হয় প্রায় ১৫ ডলারের কাছাকাছি, যাতে করে বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো তাদের পূর্বগচ্ছিত সমপরিমাণ স্বর্ণের বিপরীতে আরও বেশি পরিমাণ অর্থঋণ ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে গ্রহণ করতে পারে। দুর্ভাগ্যক্রমে, এই প্রচুর পরিমাণে নতুন ছাপানো ব্যাংকনোটগুলোই অতিরিক্ত মাত্রায় মূল্যস্ফীতি কারণ হয়ে দাঁড়ায়, যার ধারাবাহিকতায় ১৯২৯ সালে শেয়ার বাজারগুলোতে ভয়াবহ দরপতনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় বিশ্বজুড়ে চরম অর্থনৈতিক মন্দা।
এযাবৎকাল পর্যন্ত যতবার বিশ্ব ভূ-রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার মুখোমুখি হয়েছে, ততবারই বিনিয়োগকারীরা কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যবসায় বিনিয়োগের পরিবর্তে স্বর্ণের নিজেদের বিনিয়োগ করেছেন। কারণ সময় বিশেষে স্বর্ণ থেকে মুনাফা পাওয়া যাবে। এ কারণেই শেয়ারের দরপতন হলে তৎক্ষণাৎ বেড়ে যায় স্বর্ণের দাম। ১৯২৯-এসেও তা-ই হলো; নিজেদের অর্থের নিরাপত্তার চিন্তা থেকে বিভিন্ন ব্যাংক এবং বড় বিনিয়োগকারীরা ফেডারেল রিজার্ভ থেকে তাদের অর্থের বিনিময়ে স্বর্ণ নিয়ে যেতে শুরু করে। ফলে শেয়ারবাজারে কোম্পানিগুলো দেউলিয়া হয়ে যায়। শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রেই এ সময় বেকারত্বের হার গিয়ে দাঁড়ায় ২৫ শতাংশে।
ফেডারেল রিজার্ভের স্বর্ণ ভান্ডারও খালি হতে শুরু করে। ১৯৩৩ সালের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট রুজভেল্ট অবস্থার পরিবর্তনের জন্য নতুন কিছু নিয়ম জারি করেন। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো স্বর্ণের দাম কমিয়ে দেওয়া, কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো ছাড়া ব্যক্তিগতভাবে কারও জন্য ফেডারেল রিজার্ভ থেকে ডলারের বিপরীতে স্বর্ণ তুলে নেওয়ার সুযোগ না রাখা এবং আমেরিকানদের তাদের স্বর্ণ ফেডারেল রিজার্ভে জমা দিয়ে সমমানের ডলার তুলে নিতে বলা।
পরবর্তীতে ১৯৭০ সালে প্রেসিডেন্ট নিক্সন বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংককেও তাদের গচ্ছিত অর্থের বিপরীতে স্বর্ণ দেয়া বন্ধ করে দেন। ফলে দেশগুলো নিজেদের ইচ্ছামতো ব্যাংক নোট ছাপাতে শুরু করে এবং বিশ্বজুড়ে মূল্যস্ফীতি গিয়ে দাঁড়ায় দুই অঙ্কের ঘরে।
যেভাবে নির্ধারিত হয় এই স্বর্ণের মূল্য
বাজারে বিদ্যমান অন্যান্য জিনিসপত্রের তুলনায় স্বর্ণের মূল্য সবসময় বেশি থাকার একটি অন্যতম কারণ হলো পৃথিবীতে এর পরিমাণ নির্দিষ্ট এবং এটি খনি থেকে উত্তোলন করা খুবই কঠিন ও ব্যয়বহুল একটি প্রক্রিয়া। ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের মতে, এযাবৎকাল পর্যন্ত ২০,৯৪৮ টন স্বর্ণ পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে উত্তোলিত হয়েছে। আর ফি-বছর এতে যুক্ত হচ্ছে মাত্র ২,৭৫৫ টন, যেখানে প্রতি সপ্তাহে উত্তোলিত লোহার পরিমাণ ১.৮ মিলিয়ন টন!
সমগ্র পৃথিবীতে যে সোনা-রুপা বেচাকেনার যে বাজার রয়েছে তার কেন্দ্রবিন্দু লন্ডন। পর্তুগাল বংশোদ্ভূত ইহুদি কোম্পানি মোজেস মোকাতা (Moses Mocatta) এবং ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ছিল এখানে প্রধান চালিকাশক্তি। ১৬২৭ সালের দিকে তারা ব্রাজিলের খনি থেকে উত্তোলিত স্বর্ণ ইংল্যান্ডে নিয়ে যেত। এক্ষেত্রে একটি বিষয় উল্লেখযোগ্য হলো- এই ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ছিল ইংল্যান্ডের রানী প্রথম এলিজাবেথের সনদপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান। উপনিবেশগুলো থেকে বয়ে নিয়ে আসা এসব স্বর্ণ সংরক্ষণের জন্য তাদের প্রয়োজন হয় সুরক্ষিত সংগ্রহশালার। যার ফলেই তৈরি হয় ব্যাংক অব ইংল্যান্ড। সতের শতকের শেষের দিকে স্যার আইজ্যাক নিউটন সরকারি টাকশালের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পান। তিনি কৃত্রিম উপায়ে সে সময়ে স্বর্ণের ন্যায্য দামের চেয়ে বেশি দামে ইংল্যান্ডের কোষাগার থেকে স্বর্ণ বিক্রির ব্যবস্থা করেন (যাকে অর্থনীতির ভাষায় বলা হয় Overvalued Service)। তরতর করে স্বর্ণের দাম বেড়ে যাওয়ায় ইংল্যান্ডের বিত্তবানেরা এতেই বিনিয়োগ শুরু করেন।
এ সময়টাতে পৃথিবীব্যাপী ছিল ইংল্যান্ডের রাজত্ব; আর এ কারণেই সোনা-রুপা বিক্রির প্রধান ক্ষমতা তারা সহজে নিজেদের কুক্ষিগত করে নেয়। ১৭৫০ সালে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড তাদের উপনিবেশ থেকে নিয়ে আসা এসব স্বর্ণের বাজার সমগ্র পৃথিবীব্যাপী প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নিজেদের কিছু কোম্পানিকে স্বীকৃতি দেয়। কোম্পানিগুলো হলো নাথান মেয়র রথচাইল্ড এন্ড সন্স, মোকাতা এন্ড গোল্ডস্মিথ, পিক্সলে এন্ড এবেল, স্যামুয়েল মন্টেগু এন্ড কোং এবং শার্প উইলকিন্স। এরাই কেবলমাত্র অপরিশোধিত স্বর্ণ পরিশোধন করে তা থেকে স্বর্ণের বার এবং স্বর্ণমুদ্রা তৈরি করে তা নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি করতে শুরু করে। কিন্তু খনি থেকে স্বর্ণ উৎপাদনের খরচ, পরিবহন খরচ, পরিশোধন এবং দুষ্প্রাপ্যতার দিক বিবেচনায় মূল্য নির্ধারণে সবসময় কিছু সমস্যা থেকেই যায়। পরবর্তীতে ১৯১৯ সালে বাজারে স্বর্ণ বিক্রি এবং দাম নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি পুরোপুরি এই কোম্পানিগুলোর হাতে চলে যায়।
এই কোম্পানিগুলো কয়েকটি প্রধান ব্যাংকের মাধ্যমে বাজারে স্বর্ণ সরবরাহ করতো। প্রতিদিন লন্ডন সময় সকাল ১০:৩০ মিনিট এবং দুপুর ৩টায় কোম্পানি এবং ব্যাংকের প্রতিনিধিরা নিলামে বসেন। এখানে ব্যাংকগুলো যে পরিমাণে স্বর্ণ কোম্পানির কাছ থেকে কিনবেন এবং যে পরিমাণ বাজারে বিক্রি করবেন তা এতে জানান। যদি ক্রয়-বিক্রয়ের মধ্যে সমতা থাকে তবে স্বর্নের দামে খুব একটা পরিবর্তন হয় না। এই অবস্থায় বাজারে যদি চাহিদা বেড়ে যায় তখন ব্যাংকগুলোও বেশি স্বর্ণ ক্রয়ের প্রস্তাব কোম্পানিতে দিলে স্বর্ণের দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়, যাতে স্বর্ণের ব্যবহার কেবলমাত্র ধনীদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। কিন্তু কৃত্রিমভাবে বেশি দামে স্বর্ণের বাজার নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ তুলে এই পাঁচটি কোম্পানির ব্যবস্থাকে বাতিল করা হয়। ২০১৫ সালের মার্চে রথসচাইল্ডের মধ্যস্থতায় আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান IBA (ICE Benchmark Association)-কে আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব দেওয়া হয়। বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানটি আরও কিছু আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাথে একত্রে মিলে প্রতিদিন সকালে এবং দুপুরে দুবার ইলেকট্রনিক ডিভাইসের মাধ্যমে ৪৫ সেকেন্ডের নিলামে নির্ধারণ করে স্বর্ণের দাম।
একবিংশ শতাব্দীর শুরুতে যখন শেয়ার বাজারগুলোতে ছিলো উর্ধ্বমুখীতা, ডটকম ট্রেন্ডগুলো মাত্রই আসতে শুরু করছে। ফলেই স্থিতিশীল বাজারে স্বর্ণের মূল্যও ছিলো স্থিতিশীল; ২৭২.৬৮ ডলার প্রতি আউন্স, বাংলাদেশের বাজারে যা ছিলো প্রায় ৮,০০০-৯,০০০ টাকা প্রতি ভরি। তবে ২০০৮-০৯ এ লেইম্যান ব্রাদার্সের সূচনা করা আর্থিক মন্দা, টুইন টাওয়ার হামলা, আরব বিশ্বের রাজনৈতিক অস্থিরতা ২০১১ সালে স্বর্ণের দামকে আউন্স প্রতি ১,৯১৭ ডলারে দাঁড় করায়; বাংলাদেশে যা ছিল ৪৮,০০০ টাকা প্রতি ভরি।
তবে কি অনিশ্চিত আর্থিক সংকট মোকাবেলায় স্বর্ণে বিনিয়োগ করা উচিত?
যদিও বহু বছর ধরে এটি খুবই মূল্যবান একটি ধাতু এবং কাগজের নোটের তুলনায় স্বর্ণের মূল্যস্ফীতির হার কম, তবুও স্বল্প সময়ের জন্যে স্বর্ণে বিনিয়োগ খুব একটা লাভজনক নয়। কারণ স্বর্ণের মূল্য বৃদ্ধি এবং পতনে অনেক সময় প্রয়োজন। এছাড়াও সমগ্র বিশ্বের আর্থিক অবস্থা ও বিনিয়োগকারীদের মানসিকতার উপরও নির্ভর করে; অনেকটা শেয়ার বাজারের মতো।
২০২০ এর ফেব্রুয়ারি বা মার্চের শেয়ার বাজার পরিস্থিতির দিকে খেয়াল করলে দেখবেন, করোনাভাইরাস আতংক ছড়ানোর সাথে সাথে বড় বিনিয়োগকারীরা বাজার থেকে টাকা তুলে নিতে শুরু করে এবং স্বর্ণে বিনিয়োগ করেন। স্বভাবতই স্বর্ণের দামটা তাই বেড়ে যায়। মার্চের ৪ তারিখের দিকে যা ছিলো আউন্স প্রতি প্রায় ১,৭০০ ডলার।
অর্থনীতিবিদদের যুক্তি অনুসারে যতদিন পর্যন্ত শেয়ারবাজারে দরপতন অব্যাহত থাকবে ততদিন পর্যন্ত স্বর্ণের মূল্য সর্বোচ্চ বৃদ্ধি পাবে। আর এ কারণেই মার্চের ১০ বা ১১ তারিখের দিকে স্বর্ণের দাম খেয়াল করলে দেখতে পাবেন এই সর্বোচ্চ মূল্য বৃদ্ধির বিষয়টি। কিন্তু এরপরই ঘটে সবচেয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটি। একটা নির্দিষ্ট সময় ধরে উর্ধ্বমুখী শেয়ার বাজার মুহূর্তেই ভয়ঙ্কর বিয়ার মার্কেটে পরিণত হয়। শেয়ারের দামগুলো ২০% কমে গেলেই একে বলা হয় সিগন্যাল। অর্থাৎ যেকোনো সময় মূল্যের বড় পতন ঘটে শেয়ার বাজার বিয়ার মার্কেটে পরিণত হবে। এ সময় নতুন যে বিনিয়োগকারীরা আছেন লোকসান এড়াতে, তারা চটজলদি তাদের শেয়ারগুলো কম দামে ছেড়ে দিতে শুরু করেন।
এতে ঘটে বিরাট বিরাট মূল্যপতন। তখনই ব্রোকার হাউজগুলো প্রচুর পরিমাণে স্বর্ণ কিনতে শুরু করে; যাতে তারা বিনিয়োগকারীদের মূলধনটি অন্তত ফেরত দিতে পারে। অর্থনীতিতে একটা কথা আছে, রোজগারের জন্য যা বিক্রি করতে চাচ্ছ, তার সব যদি বিক্রি করতে না পার, তবে যা আছে তা-ই বিক্রি করে রোজগার কর। তাই তারল্য বেশি থাকায় ব্যবসায়ীরা হিসেবে কিনে রাখা এই স্বর্ণ বিক্রি করেই প্রয়োজনীয় অর্থের যোগান দেন।
এ কারণেই মার্চের ১১-১৬ তারিখ পর্যন্ত স্বর্ণের মূল্য প্রায় ২০ শতাংশ কমে যায়। এরকম অস্থিতিশীল বাজারে বড় অঙ্কের বিনিয়োগ করা আসলেই ঝুঁকিপূর্ণ। তবে স্বল্প মাত্রায় স্বর্ণের বিনিয়োগ করে এবং একটা লম্বা সময় অপেক্ষা করলে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।