“একজন মানুষের প্রতি অবিচার, সমগ্র মানবজাতির প্রতি অবিচার”- মার্টিন লুথার কিং
অপরাধ করলে সাজা পেতে হবে, এ কথার সাথে সম্ভবত পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ অপরাধীও দ্বিমত প্রকাশ করবে না। বিশ্বাসী মানুষজন চাইবেন, অপরাধী যেন পৃথিবীর পাশাপাশি পরকালেও শাস্তি ভোগ করে। অবিশ্বাসীগণ পৃথিবীতে ন্যায়বিচার নিশ্চিত হলেই সন্তুষ্ট। কিন্তু ন্যায়বিচার কি সবসময় হয়? অপরাধীর অপরাধের তুলনায় তাকে অধিক সাজা দেয়া হলে তা কি নতুন আরেকটি অপরাধ নয়? অপরাধের সাজার সবচেয়ে প্রচলিত ধরন হলো অপরাধীকে কারাবন্দী করা। আর আধুনিককালে কারাগারের নতুন নাম দেয়া হচ্ছে ‘সংশোধনাগার’। অর্থাৎ, কারাগার হবে এমন একটি যায়গা যেখানে অপরাধী তার পাপের ফল ভোগ করার পাশাপাশি সংশোধনের সুযোগ পাবে। কিন্তু খোদ কারাগারই যদি যাবতীয় মানবাধিকার বিবর্জিত হয়, সেখানে অপরাধীর ফিরে আসার সুযোগ কি আদৌ থাকে? অপরাধীকে পুনরায় অপরাধী বানায়, এরকম ৫টি নিকৃষ্ট কারাগারের গল্প শোনা যাক আজ।
১. সাবানেতা কারাগার, ভেনেজুয়েলা
২০১৯ সালের শুরু থেকেই বিশ্ব সংবাদমাধ্যমগুলোতে ভেনেজুয়েলার খবর বেশ গুরুত্ব পাচ্ছে। কেননা দেশটির অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে, সাধারণ মানুষ সরকারবিরোধী আন্দোলনে নেমেছে। তবে আইন-শৃঙ্খলার দিক থেকে ভেনেজুয়েলার অবস্থা আরো আগে থেকেই খারাপ। ২০১৫ সালের এক সমীক্ষায় দেখা গেল, বিশ্বে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মানুষ খুনের ঘটনা ঘটেছিল ভেনেজুয়েলাতেই। এই একটি তথ্য থেকেই অনুধাবন করা যায় ভেনেজুয়েলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কতটা নাজুক। তাই খুব স্বাভাবিকভাবেই সেখানকার কারাগারগুলোতে কয়েদী থাকে ধারণক্ষমতার অনেক বেশি। ফলে বিশ্বে সবচেয়ে নাজুক আইনশৃঙ্খলার কারাগারের জন্যও ভেনেজুয়েলার কুখ্যাতি আছে। এই কুখ্যাতি তো আর এমনিতেই হয়নি। ভেনেজুয়েলার শতকরা ৮০ ভাগ কারাগারই যে পুলিশের নিয়ন্ত্রণের বাইরে! সেগুলো পরিচালিত হয় সশস্ত্র কারাবন্দীদের দ্বারা!
ভেনেজুয়েলার এই ভয়ংকর কারাগারগুলোর মধ্যে যেটি ভয়ংকরতম, সেটি হলো সাবানেতা কারাগার। মাত্র ৭০০ জন বন্দী রাখবার মতো অবকাঠামো ও সুবিধাদি আছে এ কারাগারে। অথচ এখানে বন্দীর সংখ্যা ৩,৭০০’র বেশি! ঘিঞ্জি, নোংরা আর বিপদজনক এ কারাগারে কয়েদীর সংখ্যার তুলনায় কারারক্ষী অত্যন্ত কম। প্রতি ১৫০ জন আসামীর বিপরীতে কারারক্ষী মাত্র ১ জন! ফলে বন্দীদের মাঝে মারামারি, রক্তারক্তি হলেও কারা কর্তৃপক্ষ লোহার বেরের অপর পাশ থেকে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে চলে। অবস্থা বেশি বেগতিক হলে এবং খুনোখুনি হয়ে গেলেও অতিরিক্ত পুলিশ পৌঁছুনোর আগপর্যন্ত হাত গুঁটিয়েই বসে থাকতে হয় নামমাত্র কর্তৃপক্ষের।
“সাবানেতা হলো নরকের প্রবেশপথ!”- হুগো শাভেজ
কর্তৃপক্ষকে নামমাত্র এজন্য বলা হচ্ছে যে, সমস্ত কারাগারই নিয়ন্ত্রণ হয় একাধিক শক্তিশালী অস্ত্রধারী গ্যাং কর্তৃক, যারা নতুন আসা বন্দীদের উপর নির্যাতন চালায়, নিজেদের দাসে পরিণত করে, প্রাপ্য খাবারের জন্যও অর্থ হাতিয়ে নেয়। নতুন আসামীর আগমনে তাদেরকে দলে ভেড়ানোর জন্য সমকক্ষ দুই গ্যাংয়ের মধ্যে মারামারির ঘটনা নিত্যকার। এরকম বিশৃঙ্খল কারাগারে তাই দাঙ্গা বাঁধে অহরহই। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় দাঙ্গাটি হয় ১৯৯৪ সালে, যেবার ১০৮ জন বন্দী নিহত হয়।
২. রিকার্স আইল্যান্ড, নিউ ইয়র্ক
রিকার্স আইল্যান্ড যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় বৃহত্তম কারাগার। এখানে মূলত অল্পমেয়াদি দণ্ডাদেশ প্রাপ্ত (১ বছরের কম) আসামিদের, কিংবা বিচারকার্য চলছে এরকম অভিযুক্তদের রাখা হয়। এটি আমেরিকা তথা বিশ্বেরই অন্যতম কুখ্যাত একটি কারাগার। এই তালিকায় রিকার্স আইল্যান্ডের নাম থাকাটা অন্যগুলোর চেয়ে অধিক দুর্ভাগ্যজনকও বটে। কেননা, এ কারাগারে কেবল ছোটোখাট অপরাধে অভিযুক্তদের রাখা হয় সাময়িক সময়ের জন্য। ফলে, কারাগারের নির্মম পরিবেশের কারণে অধিংশ সময়ই অপরাধী তার কৃতকর্মে তুলনায় অনেক বেশি সাজা ভোগ করেন।
রিকার্স আইল্যান্ডের সবচেয়ে ভয়াবহ দিকটি হলো, এখানে গ্যাংদের চেয়ে অধিক হিংস্র এখানকার পুলিশ অফিসার এবং কারারক্ষীরা! বন্দীদের সংশোধনের নামে তারা অমানবিক শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চালায় বন্দীদের উপর। ২০০৯ সালে নিউ ইয়র্ক টাইমস একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল যেখানে বলা, মাত্র ২ মাসের ব্যবধানে বন্দীদের পরিবার কর্তৃক কারাকর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ৭টি শারীরিক নির্যাতনের মামলা হয়েছে। উক্ত প্রতিবেদনের পর মূলত আলোচনায় আসে এই কারাগার। ২০১৩ সালে এ কারাগার নিয়ে আরো একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে নিউ ইয়র্ক টাইমস, যেখানে সর্বশেষ ১ বছরে শতাধিক বন্দীর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হবার তথ্য পাওয়া যায়।
তবে রিকার্স আইল্যান্ডের সবচেয়ে হিংস্র রূপটি প্রকাশ পেয়েছিল কালিফ ব্রাউডারের উপর নির্যাতনের সিসিটিভি ফুটেজ ফাঁস হওয়ায়। কালিফ ব্রাউডার যখন চুরির দায়ে অভিযুক্ত হন, তখন তার বয়স মাত্র ১৬ বছর। আদালতে তার মামলা চলমান ছিল বিধায় তাকে এ কারাগারে রাখা হয়েছিল। অথচ ছোট অপরাধের কী ভয়ানক সাজাই না ভোগ করলেন ব্রাউডার। ফাঁস হওয়া ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, কখনো কারারক্ষীরা, কখনো আসামিদের গ্যাং বিনা উসকানিতে ব্রাউডারকে বেধরক পেটাচ্ছে। এভাবে মার খেতে খেতে ১ বছর কাটানোর পর ব্রাউডারকেই বরং শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে নির্জন কারাবাসে রাখা হয় পরবর্তী দুই বছর! এ সময় একাধিকবার আত্মহত্যার চেষ্টাও করেন ব্রাউডার। তিন বছরের মাথায় তার বিরুদ্ধে করা মামলাটিই খারিজ হয়ে যায়। কিন্তু তিনটি বছর যে অকথ্য নির্যাতনের শিকার ব্রাউডায় হয়েছিলেন, তার ক্ষতিপূরণ পৃথিবীর আদালতে সম্ভব নয়।
৩. ব্যাং ক্বং প্রিজন, থাইল্যান্ড
কারাবন্দীদের বিনা কারণে কিংবা সামান্য ভুল ত্রুটির জন্যও নির্মম সব সাজা প্রদান এবং শারীরিক নির্যাতনের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে কুখ্যাত কারাগারের একটি হিসেবে পরিচিত থাইল্যান্ডের বৃহত্তম কারাগার ব্যাং ক্বং। থাইল্যান্ডের সবচেয়ে দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসীদেরই এ কারাগারে রাখা হয়। ১৯৩০ সালে স্থাপিত এ কারাগারের ধারণক্ষমতা ৩ হাজার হলেও বর্তমানে এখানে কারাবন্দীর সংখ্যা ৮ হাজারেরও বেশি। এখানকার সিংহভাগ কারাবন্দীই ২৫ বছর বা তার অধিক সময়ের দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত। এর মাঝে ১০ ভাগ আবার রয়েছে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। এই আসামিদের হাত-পা, গলায় থাকে লোহার শিকল। অবশ্য, শিকল এখানে অন্য অর্থেও পরানো হয়। নতুন আগত আসামিদের প্রথম তিন মাস হাতে শিকল পরিয়ে রাখা হয়।
ব্যাংককে অবস্থিত ব্যাং ক্বং কারাগারটি কারাবন্দীর সংখ্যার তুলনায় পৃথিবীর অন্যতম স্বল্প অর্থায়ন করা কারাগার। যে অর্থ এই কারাগারের জন্য সরকার বরাদ্দ দেয়, তার বড় অংশই চলে যায় কারাকর্তৃপক্ষের ভরণপোষণে। বাকি অর্থে কারাবন্দীদের ন্যূনতম মানবিক সুযোগসুবিধা দেয়াও সম্ভব হয় না। দিনে একবেলা খাবার দেয়া হয়, তা-ও কেবল একবাটি ভাত আর স্যুপ! এ খাবারে যদি না হয় (স্বাভাবিকভাবেই এ খাবারে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়), তাহলে ক্যান্টিন থেকে কিনে খেতে হবে। কিন্তু কিনে খাবার মতো স্বচ্ছলতা আবার সবার থাকে না। ফলে তাদের নানাবিধ কায়িক পরিশ্রম করতে হয়, জেলের ধনী বন্দীদের বিভিন্ন ফুটফরমাশ খাটতে হয়, যার বিনিময়ে তারা ক্যান্টিন থেকে খাবার খেতে পান।
ব্যাং ক্বং কারাগারের পরিবেশ পৃথিবীর দরিদ্রতম বস্তিগুলোর সমমানের। এখানে ড্রেনেজ ব্যবস্থা এতটাই বাজে যে প্রায়শই শৌচাগারগুলোর পাইপ আটকে থাকে আর দুর্গন্ধ ছড়ায়। নোংরা মেঝে ও ব্যবস্থাপনার কারণে ইঁদুর আর তেলাপোকার স্বর্গরাজ্য হয়ে আছে এ কারাগার। মরার উপর খড়ার ঘা হিসেবে আছে বিশুদ্ধ পানির সমস্যা। ফলে কারাগারের বন্দীদের বড় একটা অংশ বছরজুড়েই অসুস্থ থাকেন। কলেরা, ডায়রিয়ার মতো পানিবাহিত রোগ এখানে ডালভাত। সাথে আছে ম্যালেরিয়া আর ডেঙ্গুও। তবে সবচেয়ে খারাপ দিক সম্ভবত হিংস্র কারারক্ষীর দল। নারী-পুরুষ কেউই রেহাই পায় না তাদের হিংস্রতা থেকে। অভিযোগ আছে, কারারক্ষীর প্রহারে এখানে এক গর্ভবতী নারীর গর্ভপাতের মতো নির্মম ঘটনা ঘটেছিল।
৪. পেটাক আইল্যান্ড প্রিজন, রাশিয়া
রাশিয়ার ভোলগডা অঞ্চলে হোয়াইট লেকের মাঝে অবস্থিত পেটাক আইল্যান্ড কারাগার রাশিয়ার সর্বাপেক্ষা সুরক্ষিত কারাগার। রাশিয়ার সবচেয়ে দুর্ধর্ষ এবং বিপদজনক সন্ত্রাসীদেরই এখানে রাখা হয়। একে অনেকসময় বলা হয়ে থাকে ‘রাশিয়ার আলকাত্রাজ’। আলকাত্রাজ হলো যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে সুরক্ষিত কারাগার, যেটিও কি না একটি দ্বীপে অবস্থিত। তবে, নিরাপত্তা আর ভৌগোলিক অবস্থানের দিক থেকে আলকাত্রাজের সাথে তুলনা হলেও অন্যান্য সুযোগ সুবিধায় আলকাত্রাজের সাথে পেটাকের তুলনা চলে না। পেটাককে বলা হয় বিশ্বের সবচেয়ে অমানবিক কারাগার, যেখানে বন্দীদেরকে সারাদিনে কেবল দেড় ঘন্টা বাইরে বের হবার সুযোগ দেয়া হয়। বাকি সময়টা কাটাতে হয় পাখির বাসার মতো ছোট খুপরির মতো কক্ষে। আর এমন দমবন্ধ বন্দীদশায় একজন আসামি বছরে কেবল দুবার সর্বোচ্চ দুজন করে অতিথির সাথে সর্বোচ্চ ১০ মিনিট করে সাক্ষাতের সুযোগ পান!
প্রতি সপ্তাহে মাত্র একবার গোসলের সুযোগ মেলে পেটাকে। সেটিও ৫ মিনিটের মধ্যে সারতে হয়। ২ জন মানুষের জন্য কোনোরকম গা এলিয়ে শোবার মতো ছোট খুপরিঘরে দিনরাত পড়ে থাকতে থাকতে মানুষ এখানে মানসিকভাবে বিষণ্ণ হয়ে ওঠে। এই কারাগারের স্বাস্থ্য বিভাগে অন্যান্য ডাক্তারের চেয়ে মানসিক ডাক্তারের সংখ্যাই তাই বেশি! কারণ, এখানে প্রবেশের কিছুকাল পরই অনেকে মানসিক সমস্যায় ভুগতে শুরু করেন। ব্যাপারটা আরো প্রকট হয় যখন কাউকে শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে একাকী যাপনের সাজা দেয়া হয়। এই বিশেষ সাজায় একজন বন্দীকে একটি ছোট অন্ধকার কক্ষে ১৫ দিন একটানা বন্ধ করে রাখা হয়। এ সময় তার সাথে থাকে কেবল একটি কাঠের চেয়ার এবং প্রাকৃতিক কর্ম সম্পাদনের জন্য একটি বালতি!
৫. ইউএসপি ফ্লোরেন্স অ্যাডম্যাক্স, যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো অঙ্গরাজ্যের ফ্লোরেন্সে অবস্থিত ‘ইউএসপি ফ্লোরেন্স অ্যাডম্যাক্স’ কারাগার দেশটির সবচেয়ে অত্যাধুনিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা সংবলিত কারাগার। এ কারাগারটি প্রস্তুত করাই হয়েছিল দেশের সবচেয়ে দাগী, হিংস্র এবং অবাধ্য আসামিদের রাখবার জন্য, যাদের অন্য যেকোনো কারাগারেই বন্দী করে রাখা বেশ কষ্টসাধ্য। আমেরিকার তাবৎ হাই-প্রোফাইল বন্দীদের ঠিকানা এই কারাগার হলেও এখান থেকে এখনো পর্যন্ত কোনো বন্দী পালাতে পারেনি, এতটাই শক্ত এর নিরাপত্তাব্যবস্থা। অত্যন্ত ধূর্ত বন্দীও এ কারাগারে ঢোকার পর আর দিশা খুঁজে পান না, এমনকি নিজের অবস্থানই নির্ধারণ করতে পারেন না। কারণ, বন্দীদের সেলে জানালাগুলো মাত্র ৪ ইঞ্চি প্রস্থের!
ফ্লোরেন্স কারাগারটি এ তালিকার আরেকটি কারাগার পেটাকের চেয়েও অমানবিক। এখানে বন্দীদের নিজস্ব সেলের বাইরে থাকার সুযোগ মেলে দৈনিক মাত্র ১ ঘন্টা। উপরন্তু, এই কারাগারে বন্দীদের সেলগুলো একজন মানুষের জন্যই বানানো। অর্থাৎ, দৈনিক ২৩ ঘণ্টা বন্দীরা কাটায় কোনোরূপ মানুষের সংস্পর্শ ছাড়াই। তাছাড়া, বন্দীরা যে সময়টুকু বাইরে থাকে, সে সময়ও দুজনের অধিক একত্রে বসে কথা বলতে পারে না। কারা কর্তৃপক্ষের দাবি, শারীরিক নয়, মানসিক নির্যাতন চালিয়ে অবাধ্য বন্দীদের বশে আনাই এ কারাগারের উদ্দেশ্য। এ তালিকার অন্যান্য কারাগারগুলোর চেয়ে ফ্লোরেন্স অনেক বেশি রক্ষণশীল হওয়ায় এর ব্যাপারে বেশি তথ্য জানা যায় না। তবে অভিযোগ রয়েছে, অতিমাত্রায় মানসিক নির্যাতনে বিষণ্ণতায় ভুগে প্রতিবছরই এখানে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে।