
একটি সাধারণ পরিচয়ের জায়গা থেকে উঠে এসে রাজনৈতিক জায়ান্টে পরিণত হয়েছেন রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান, ইস্তাম্বুল নগরে লেবুর শরবত বিক্রি করা যুবক গত দুই দশক ধরে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তুরস্ককে। দায়িত্বকালে এরদোয়ান তুরস্কের রাজনৈতিক সংস্কৃতি বদলে দিয়েছেন, বদল এনেছেন শাসনতন্ত্রেও। তুরস্কের রাজনীতিতে সবচেয়ে বড় চরিত্র তিনি, আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে তুরস্কের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপনও তিনি। দুই যুগ ধরে তুরস্ককে আস্তে আস্তে বদলে দেওয়া রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ এখন এ বছরের প্রেসিডেন্সিয়াল ও পার্লামেন্টরি নির্বাচন।

এরদোয়ানের রাজনৈতিক উত্থান
রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের ছোটবেলা কেটেছে কৃষ্ণ সাগরের উপকূলে, যেখানে তার বাবা কাজ করছেন তুরস্কের কোস্ট গার্ডে। ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় সন্তানদের নিয়ে ইস্তাম্বুলে পাড়ি জমান তিনি, অর্থ উপার্জনের জন্য সেসময়ই লেবুর শরবত বিক্রির কাজ শুরু করেন রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। পরবর্তীতে ইস্তাম্বুলের মারমারা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবস্থাপনা বিভাগে ডিগ্রি অর্জন করেছেন, খেলেছেন পেশাদার ফুটবল।
ছোটবেলা থেকেই ইসলামিক ভাবধারার রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান, তার রাজনৈতিক উত্থানও ঘটেছে ইসলামপন্থীদের হাত ধরেই। রাজনৈতিক জীবনের শুরুতেই তিনি ওয়েলফেয়ার পার্টিতে যোগ দেন, এই পার্টির প্রার্থী হিসেবেই তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ইস্তাম্বুলের মেয়র প্রার্থী হিসেবে। ১৯৯৪ সালে ইস্তাম্বুলের মেয়র নির্বাচিত হন তিনি, শুরু হয় পরবর্তী সময়ে তুরস্কের রাজনীতিতে মহীরুহ হয়ে ওঠার প্রক্রিয়া।

ইস্তাম্বুলের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তার জনপ্রিয়তা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায়, নিজের শাসনতান্ত্রিক দর্শন দিয়ে একটি তুলনামূলক কার্যকর প্রশাসন গড়ে তুলতে সক্ষম হন তিনি। ইস্তাম্বুলে দেওয়া একটি বক্তব্য তাকে তুরস্কের রাজনীতিতে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে আসে। “মসজিদ আমাদের ব্যারাক, মিনার আমাদের হেলমেট, মিম্বার আমাদের বেয়নেট, আর বিশ্বাসীরা আমাদের সৈনিক।” এই বক্তব্যের কারণে জেল খাটতে হয় রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানকে, ছাড়া পান চার মাস পর। একইসাথে তিনি পরিণত হন তুরস্কের রাজনীতির মুখ্য চরিত্রগুলোর একজনে।
২০০১ সালের সংসদীয় নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান আর গুলের প্রতিষ্ঠিত জাস্টিজ এন্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি। পরের বছরই তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন। তিন মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের পর নির্বাচিত হন প্রেসিডেন্ট হিসেবে, তুরস্কের ক্ষমতাকাঠামোতে অবাধ প্রবেশ রয়েছে তার।
রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের রাজনৈতিক অর্জন
তুরস্কের রাজনীতিতে রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের উত্থান অনেক দিক থেকেই ব্যতিক্রমী। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর মোস্তফা কামাল আতাতুর্কের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত হয় সেক্যুলার তুরস্ক, একসময়ের উসমানীয়া সাম্রাজ্যের ভৌগলিক অবস্থানে প্রতিষ্ঠিত হয় সেক্যুলার সমাজ। মোস্তফা কামাল আতাতুর্কের সময়ে আরবিতে আজান দেওয়া নিষিদ্ধ হয়, ধর্মীয় পোশাক পরিধানে নিষেধ আসে, বাধা আসে বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান আয়োজনের ক্ষেত্রেও। একাডেমিয়াতে তুরস্কের এই সেক্যুলারিজম প্রচার পায় ‘হার্ড সেক্যুলারিজম’ নামে।

মোস্তফা কামাল আতাতুর্কের প্রবল প্রচেষ্টা আর তার পরবর্তী শাসকেরা সেক্যুলারিজমকে ধরে রাখার চেষ্টা করলেও, তুরস্কের সমাজ থেকে ইসলামিক মূল্যবোধগুলো হারিয়ে যায়নি। ইসলামিক মূল্যবোধগুলোকে রাজনৈতিক প্রচারণায় ব্যবহার করেই উত্থান ঘটে রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের। তবে, তার দুই দশকের ক্ষমতায় থাকে কেবল ধর্মীয় মূল্যবোধের প্রচারের উপর ভিত্তি করেই না।
প্রথমত, রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের অধীনে ভালো পারফরম্যান্স দেখিয়েছে তুরস্কের অর্থনীতি, বড় হয়েছে জিডিপির আকার, বেড়েছে মাথাপিছু আয়। সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক সংকট শুরু হওয়ার আগপর্যন্ত তুরস্ক ৫.৫ শতাংশের উপর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছিল, বেড়েছিল উদ্যোক্তাদের কর্মের পরিবেশ। পর্যটন খাতের ব্যাপক বিকাশ ঘটে রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের আমলে, তুরস্কের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের একটি বড় উৎস হিসেবে আবির্ভূত হয় পর্যটন। তুলনামূলকভাবে নিয়ন্ত্রণে ছিল মুদ্রাস্ফীতি, বাজারও ছিল নিয়ন্ত্রণে। এরদোয়ানের অধীনেই তুরস্কের অর্থনীতি পরিণত হয় দ্রুত বর্ধনশীল এক অর্থনীতির দেশে।
দ্বিতীয়ত, রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের হাত ধরে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে নতুন অবস্থান তৈরি করেছে তুরস্ক। আরব বসন্তের সময় তরুণেরা তুরস্কের মডেলকে সামনে রেখে বিপ্লব করেছে, যেখানে সংবিধান হবে সেক্যুলার আর রাষ্ট্রীয় প্র্যাকটিস হবে ইসলামিক। মধ্যপ্রাচ্যের সংকটেও প্রভাবশালী ভূমিকা রাখছে তুরস্ক, সংকট সমাধানের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্টেকহোল্ডারও তারাই। রাশিয়ার সাথে কখনো চোখে চোখ রেখে লড়াই করেছেন এরদোয়ান, কখনো আবার রাশিয়ার সাথে স্থাপন করেছেন বন্ধুত্ব। চলমান রাশিয়া আর ইউক্রেনের যুদ্ধেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে এরদোয়ানের তুরস্ক, দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে আলোচনার টেবিলে আনার কৃতিত্বও আছে তাদের ঝুলিতে। রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের হাত ধরেই তুরস্ক প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ইসলামিক বিশ্বের সম্ভাব্য নেতা হিসেবে।
তৃতীয়ত, ২০১৬ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানকে ক্ষমতাচ্যুত করার পরিকল্পনা করা হয়, ব্যর্থ অভ্যুত্থানের পর ব্যাপক সংস্কার সাধন করেন এরদোয়ান। প্রধানমন্ত্রী শাসিত সরকার থেকে প্রেসিডেন্ট শাসিত সরকারব্যবস্থা প্রবর্তন করেন রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান, ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত হয় প্রেসিডেন্টের দপ্তরে। সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর অফিস ও ক্যাবিনেট বিলুপ্ত করা হয়, প্রেসিডেন্ট পরিণত হন নির্বাহী বিভাগের প্রধান হিসেবে। প্রেসিডেন্টকে রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ততা রাখার সুযোগ দেওয়া হয়, প্রেসিডেন্টের মেয়াদ রাখা হয় পাঁচ বছর। এরদোয়ানের কাছেই নিয়ন্ত্রণ আসে সামরিক বাহিনী আর আধা-সামরিক বাহিনীর নেতৃত্বের।

চতুর্থত, এরদোয়ানের সময় তুরস্কে ব্যাপক অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়, অবকাঠামো উন্নয়নে তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগও ছিল প্রচুর। রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের হাত ধরে তৈরি হয়েছে নতুন বিমানবন্দর, সেতু আর হাইওয়ে। নতুন শহর তৈরির জন্য তৈরি হয় আবাসিক ভবন আর নাগরিক সুবিধার জন্য সরকারি অফিস। যোগাযোগ খাতেও আসে ব্যাপক উন্নতি।
পঞ্চমত, এরদোয়ানের সময়ে ধর্মীয় স্বাধীনতা বৃদ্ধি পেয়েছে, ইসলামিক ধর্মীয় আচারগুলো সকলের সামনে প্রকাশের সুযোগ করে দেন। সামাজিক কাঠামোর পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় কাঠামোতেও এরদোয়ানের সময়ে ধর্মীয় আচারগুলো প্রকাশের সুযোগ তৈরি হয়। এরদোয়ানের সময়ে সামাজিক ভাতাও বৃদ্ধি পায়, বৃদ্ধি পায় ইসলামিক মূল্যবোধের চর্চা।
রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের রাজনৈতিক সংকট
একটি দীর্ঘ রাজনৈতিক ক্যারিয়ার রয়েছে রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের, তার রাজনৈতিক অর্জনের ঝুলিও দীর্ঘ। তুরস্কের রাজনীতিকে স্থায়ীভাবে বদলে দিয়েছেন এরদোয়ান, বদলে দিয়েছেন নাগরিকদের রাজনৈতিক চাওয়া আর পাওয়ার হিসাবও। এরপরও রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ এসে উত্থাপিত হয়েছে এরদোয়ানের সামনে, প্রশ্ন তুলছে তার রাজনৈতিক ভবিষ্যতে।
প্রথমত, এবার এরদোয়ানের সামনে একটি সম্মিলিত প্রতিপক্ষ রয়েছে, যারা এরদোয়ানের বিপক্ষে নির্বাচন করার জন্য জোট তৈরি করেছেন। তুরস্কের সবচেয়ে বড় বিরোধী রাজনৈতিক দলটি হচ্ছে রিপাবলিকান পিপলস পার্টি, এর নেতৃত্ব দিচ্ছেন কামাল কিদিচদারোগলু, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে গুড পার্টির নেতৃত্বে আছেন মেরাল আকসেনের। পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির যৌথ নেতৃত্বের কাঠামো রয়েছে, নেতৃত্বে আছেন পারভীন বুলদান আর মিটহাট সানকার। ফেলিসিটি পার্টি আর আলি বাবাচানের নেতৃত্বাধীন ফিউচার পার্টিও তুরস্কের রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার করেছে। ২০২৩ সালের নির্বাচনে এই সবগুলো দল একসাথে হয়ে এরদোয়ান বিরোধী জোট গঠন করেছে, ভোটের মাঠকে করেছে উদ্দীপিত। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের সামনেও এই জোট নতুন সমীকরণ তৈরি করেছেন, বাড়িয়েছেন এরদোয়ানের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা।

আগের নির্বাচনগুলোতে বিরোধীদের ভোট বিভাজিত হওয়ার যে সুবিধা রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান আর তার দল পেয়েছে, সেটি এবারের নির্বাচনে আর সম্ভব নয় বলেই প্রতিয়মান হচ্ছে। বরং, কামাল কিদিচদারোগলু নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোট শক্ত চ্যালেঞ্জের মুখেই ফেলেছে এরদোয়ানের রাজনীতিকে, রাজনৈতিক ভবিষ্যতকে।
দ্বিতীয়ত, যে অর্থনৈতিক ইন্ডিকেটরগুলোকে ব্যবহার করে এরদোয়ান নিজের ক্ষমতাকে পোক্ত করেছেন, তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে অস্থিতিশীলতাও তৈরি করছে এই অর্থনৈতিক ইন্ডিকেটরগুলোই। সাম্প্রতিক সময়ে উচ্চ মূল্যস্ফীতি রয়েছে তুরস্কে, মহামারির সময় থেকেই পর্যটন খাত থেকে আয় কমেছে তুরস্কের। জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে, কিন্তু বাড়ছে না মানুষের আয়। সরকার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার মাধ্যমে অবস্থা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে। কিন্তু, কেন্দ্রীয় ব্যাংকে এরদোয়ানের হস্তক্ষেপের ফলে অবস্থা আরো শোচনীয় হয়েছে, নিয়মিত বিরতিতে পরিবর্তন হয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর।
তৃতীয়ত, এরদোয়ানের সময়ে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে তুরস্কের সাফল্যের পাশাপাশি রয়েছে অনেক ব্যর্থতাও। তুরস্কের দীর্ঘস্থায়ী মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্কের অবনতি হয়েছে, সম্পর্কের অবনতি হয়েছে ইউরোপীয় মিত্রদের সাথেও। বিভিন্ন সময়ে এই দেশের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সাথে বাগযুদ্ধে জড়িয়েছেন এরদোয়ান, কূটনৈতিক পরিসরে বিভিন্ন সময়েই তৈরি হয়েছে উত্তেজনা। যে রাশিয়াকে এরদোয়ান এখন তুরস্কের মিত্র হিসেবে চিত্রিত করতে চান, তার সাথেও স্থিতিশীল সম্পর্ক উপহার দিতে পারেননি তিনি। আবার মধ্যপ্রাচ্যের সংকটে তুরস্কের অবস্থান পোক্ত করতে গিয়ে তৈরি করেছেন শত্রু, মুসলিম ব্রাদারহুডকে সমর্থন করে মিশরের সাথে নষ্ট করেছেন রাষ্ট্রীয় সম্পর্কের পরিসর।

চতুর্থত, মধ্যপ্রাচ্যে সংকটের ফলে তৈরি হয়েছে বিশাল শরণার্থীর ঢল, কেবল সিরিয়া থেকেই এসেছে ত্রিশ লাখ শরণার্থী। মধ্যপ্রাচ্যের সংকটের ফলে তৈরি হওয়া শরণার্থীর ঢল তুরস্কের জনজীবনে সংকট তৈরি করেছে, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডেও নতুন সংকট তৈরি হয়েছে। তুর্কিদের চাকরির সুযোগ কমছে, কমছে আয়ের সুযোগও। সামগ্রিকভাবে উঠতি তরুণদের জন্য বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা খুব একটা বন্ধুসুলভ না।
পঞ্চমত, এরদোয়ানের অধীনে তুরস্কের সরকারব্যবস্থা ক্রমাগত কর্তৃত্ববাদী হয়েছে, ক্ষমতা ক্রমাগত কেন্দ্রীভূত হয়েছে প্রেসিডেন্টের দপ্তরে। ফ্রিডম হাউজের ইনডেক্স অনুসারে, এরদোয়ানের আমলে বাকস্বাধীনতা কমেছে, সাংবাদিকদের স্বাধীনতা কমেছে, কমেছে নাগরিক স্বাধীনতা চর্চার সুযোগ। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর উপর নিয়মিত নিপীড়ন হয়েছে, কমেছে মানুষের স্বাধীনভাবে রাজনীতি করার সুযোগও। ইসলামিক মূল্যবোধের রাজনীতির মাধ্যমে এরদোয়ান একটি পপুলিস্ট প্রোপাগান্ডাও কায়েম করেছেন। এসব কিছুই ভূমিকা রাখছে এন্টি-ইনকাম্বেসি মনোভাব বাড়াতে, নাগরিকদের উদ্বুদ্ধ করছে তার বাইরে নতুন রাজনৈতিক মুখ খুঁজতে।