Welcome to Roar Media's archive of content published from 2014 to 2023. As of 2024, Roar Media has ceased editorial operations and will no longer publish new content on this website.
The company has transitioned to a content production studio, offering creative solutions for brands and agencies.
To learn more about this transition, read our latest announcement here. To visit the new Roar Media website, click here.

ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের মাথায় ছুরিকাঘাত: এখন আশংকামুক্ত

  • বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও জনপ্রিয় লেখক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে।
  • শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে।
  • আহত জাফর ইকবাল বর্তমানে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন আছেন।

আজ শনিবার বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চ এলাকায় তার উপর হামলা করা হয়। মুক্তমঞ্চে ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অনুষ্ঠান চলছিল। সেখানে এ হামলা চালানো হয়। আঘাতটি করা হয় তার মাথা লক্ষ্য করে। সিলেট মহানগর উত্তরের উপপুলিশ কমিশনার ফয়সাল মাহমুদ বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন ‘আঘাতটা সিম্পল না।’

ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল; ছবি: বাংলা ট্রিবিউন

এদিকে মুহূর্তের মাঝে খবর ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে। সিলেটে অবস্থানরত ছাত্রছাত্রীদের বক্তব্য থেকে জানা যায় আঘাতটি লেগেছে ঘাড়ের উপর। সেখান থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। তার শুভাকাঙ্ক্ষীরা যে যেভাবে পারে রক্ত দেবার জন্য দ্রুত ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছেছে। এদিকে হামলাকারীকে আটক করা হয়েছে এবং একটি কক্ষে আবদ্ধ করে রাখা হয়েছে। তার সম্পর্কে এখনো বিস্তারিত জানা যায়নি।

আঘাতের পর তার সংবিৎ ছিল এবং তিনি তার ছাত্রদের বলেছেন, “তোমরা এতো হৈ চৈ করো না, যতদূর আমি নিজে কন্ট্রোল করতে পারি আমি করছি, তোমরা আমাকে ধরো, আমার রক্তের গ্রুপ এ পজেটিভ।” ওসমানী মেডিলেক কলেজ হাসপাতালে থাকা লোকজনদের কাছ থেকে জানা গেছে তিনি আশংকামুক্ত এবং তার জ্ঞান আছে। এখন এয়ার এম্বুলেন্সযোগে তাকে ঢাকায় আনা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, বেশ কয়েক বছর ধরেই দেশের এক শ্রেণির মানুষের পক্ষ হতে মৃত্যুর হুমকি পেয়ে আসছিলেন অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল। অন্যদিকে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়েও চলছে আভ্যন্তরীণ কোন্দল। এর মাঝে র‍্যাগিং ইস্যুতে বেশ কয়েকজন ছাত্রকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এবং ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল এই শাস্তির ব্যাপারে শক্ত অবস্থানে ছিলেন। এই হামলাটি দেশের বিশেষ শ্রেণির হামলা নাকি আভ্যন্তরীণ কোন্দল নাকি অন্য কোনো কারণে ঘটেছে সে সম্বন্ধে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আর হামলাকারী লোকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নাকি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের কেউ তা-ও নিশ্চিত করে জানা যায়নি।

ফিচার ছবি: বাংলা ট্রিবিউন/শাটারস্টক

Related Articles