- নিয়মিত অধিনায়ক স্টানিকজাই ইনজুরির কারণে একাদশের বাইরে থাকায় অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন রশিদ খান।
- ১৯ বছর ১৬৫ দিন বয়সে অধিনায়কের দায়িত্ব পেয়ে ওয়ানডেতে সর্বকনিষ্ঠ ক্রিকেটার হিসাবে অধিনায়ক হন রশিদ।
- শুরুর বিপর্যয় কাটিয়ে মোহাম্মদ নবী এবং নাজিবুল্লাহ জাদরান পঞ্চম উইকেট জুটিতে ১৪৯ রান যোগ করেন।
- ক্যালাম ম্যাকলিওডের অপরাজিত ১৫৭ রানের উপর ভর করে সাত উইকেটের জয় পায় স্কটল্যান্ড। ওয়ানডেতে এটি তার তৃতীয় দেড়শ রানের ইনিংস।
- আইসিসি বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের প্রথম ম্যাচেই হোঁচট খায় ফেভারিট আফগানিস্তান।
বিশ্ব ক্রিকেটে খুব দ্রুতই নিজেদের অবস্থান জানান দেওয়া আফগানিস্তান গত বছর টেস্ট স্ট্যাটাসও পেয়েছে। রশিদ খান, মোহাম্মদ নবীদের মতো বেশ কয়েকজন প্রতিভাবান ক্রিকেটার আছে দলটিতে। তাদের নিয়ে ২০১৯ বিশ্বকাপের মূল আসরে খেলার স্বপ্ন বুনছে আফগানরা।
সেই লক্ষ্য পূরণের জন্য আইসিসি বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের বাধা পার হতে হবে তাদের। সাম্প্রতিক পারফর্মেন্স বিবেচনায় তারাই ফেভারিট। প্রস্তুতি ম্যাচেও তারা সেটি প্রমাণ করেছে। আসরের শক্তিশালী দল ওয়েস্ট ইন্ডিজকে প্রস্তুতি ম্যাচে তারা পরাজিত করেছিল মাত্র ১১০ রানে গুটিয়ে দিয়ে। আজ থেকে (৪ই মার্চ) শুরু হওয়া আইসিসি বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের মূল আসরের প্রথম ম্যাচেই হোঁচট খেল তারা।
এই ম্যাচে সর্বকনিষ্ঠ ক্রিকেটার হিসাবে ওয়ানডে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করার রেকর্ড গড়েন রশিদ খান। আগের রেকর্ড ছিল বাংলাদেশের রাজিন সালেহের। তিনি ২০ বছর ২৯৭ দিন বয়সে বাংলাদেশ দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন। বুলাওয়েতে দিনের শুরুতে টসে জিতে আফগানিস্তানকে প্রথমে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় স্কটল্যান্ড। টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি আফগানিস্তানের। অলরাউন্ডার রিচি বেরিংটনের কাছে আত্মসমর্পণ করেন টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যান। তার বোলিং ভেলকিতে ৭১ রানে চার উইকেট হারায় আফগানিস্তান।
এরপর পঞ্চম উইকেট জুটিতে প্রতিরোধ গড়েন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মোহাম্মদ নবী এবং নাজিবুল্লাহ জাদরান। তারা দুজন ১৪৯ রান যোগ করেন। শেষদিকে ঝড় তোলার আগেই তাদেরকে সাজঘরে ফেরত পাঠায় স্কটল্যান্ড। মোহাম্মদ নবী ৮২ বলে সাতটি চার এবং তিনটি ছয়ের মারে ৯২ রান করে আউট হওয়ার পর শেষ নয় ওভারে মাত্র ৩৪ রান তুলতে পেরেছিল আফগানিস্তান। নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষ হওয়ার দুই বল আগে আফগানদের ২৫৫ রানে আটকে দেয় স্কটিশরা।
আফগানিস্তানের দেওয়া ২৫৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় স্কটল্যান্ড। দলীয় ২১ রানের মধ্যে আফগান স্পিনার মুজিবুর রহমানের শিকারে পরিণত হয়ে মাঠ ছাড়েন দুই ওপেনার কোয়েৎজার এবং ক্রস। ম্যাচের বাকি গল্পের গল্পকার ক্যালাম ম্যাকলিওড। তৃতীয় উইকেট জুটিতে রিচি বেরিংটনের সাথে ২০৮ রান যোগ করেন তিনি। বল হাতে তিন উইকেট শিকার করা বেরিংটন যখন ৬৭ রান করে আউট হন, তখন ম্যাচ পুরো স্কটল্যান্ডের হাতের মুঠোয়।
জর্জ মুনশিকে সাথে নিয়ে ম্যাচের বাকি আনুষ্ঠানিকতা সারেন জয়ের নায়ক ক্যালাম ম্যাকলিওড। তিনি ১৪৬ বলে ২৩টি চার এবং একটি ছয়ের মারে অপরাজিত ১৫৭ রানের ইনিংস খেলেন। ওয়ানডেতে এটি তার ৬ষ্ঠ শতক। তার অসাধারণ ইনিংসের উপর ভর করে ১৬ বল এবং সাত উইকেট হাতে রেখে জয়লাভ করে স্কটল্যান্ড। স্কটল্যান্ডের হয়ে ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের ইনিংস খেলার রেকর্ডও ম্যাকলিওডের দখলে। ২০১৪ সালে কানাডার বিপক্ষে ১৭৫ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। ৫১ ম্যাচের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ইতিমধ্যে তিনটি দেড়শ রানের ইনিংস খেলেছেন ম্যাকলিওড।
সীমিত ওভারের ক্রিকেটে বিশ্বসেরা বোলার রশিদ খান অধিনায়ক হিসাবে নিজের অভিষেক ম্যাচে একেবারে সাদামাটা পারফর্মেন্স করেছেন। ব্যাট হাতে গোল্ডেন ডাকের পর নয় ওভারে ৬৮ রানের বিনিময়ে এক উইকেট শিকার করেন তিনি।
ফিচার ইমেজ: Getty Images