Welcome to Roar Media's archive of content published from 2014 to 2023. As of 2024, Roar Media has ceased editorial operations and will no longer publish new content on this website.
The company has transitioned to a content production studio, offering creative solutions for brands and agencies.
To learn more about this transition, read our latest announcement here. To visit the new Roar Media website, click here.

মস্তিষ্কে ধারণকৃত প্রতিলিপিকে চিত্রিত করার উপায় বের করেছেন বিজ্ঞানীরা

  • ইউনিভার্সিটি অব টরন্টো এর নিউরো সায়েন্টিস্টরা মানুষের মস্তিষ্কে ধারণকৃত প্রতিলিপিকে চিত্রিত করার উপায় বের করেছেন।
  • ইলেক্ট্রোএনসেফালোগ্রাফি (ইইজি) এর উপর ভিত্তি করে টরন্টোর স্কারবোরোতে এ পদ্ধতি আবিষ্কার করেন বিজ্ঞানীরা।

পোস্টডক্টোরাল ফিলো ড্যান নেমরোডোভ এক প্রেস রিলিজে বলেন, “আমরা যখন কোনোকিছু দেখি, আমাদের মস্তিষ্ক তখন এর একটি মানসিক উপলব্ধি তৈরি করে যা মূলত সেই বস্তুটির প্রতীক। আমরা ইইজি ব্যবহারের মাধ্যমে এই উপলব্ধি ধারণ করে মস্তিষ্কে প্রক্রিয়ার সময় কী ঘটছে তার সরাসরি চিত্রণে সক্ষম হয়েছি।”   

পরীক্ষিত বস্তুগুলো একটি ইইজি মেশিনের সাথে সংযুক্ত করে মুখমণ্ডলের ছবির সাথে উপস্থাপন করা হয়। ছবিটি এরপর মানুষের মনে যেভাবে ধারণ করা হয়েছে সেরকম করেই ডিজিটালভাবে পুনরায় তৈরি হয়। যন্ত্রের সাহায্যে মুখমণ্ডলের নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্যের ক্ষেত্রে মস্তিষ্কের কার্যক্রম মিলিয়ে নেওয়ার কৌশলের জন্য যন্ত্রের ব্যবহার করা হয়।

এর আগে এটি ফাংশনাল ম্যাগনেটিক রেজোন্যান্স ইমেজিং (এফএমআরই) এর সাহায্যে করা হয়েছিল। তবে এক্ষেত্রে ইইজি ব্যবহারের কিছু সুবিধা রয়েছে। এফএমআরই স্ক্যানারের তুলনায় ইইজি সহজলভ্য, পরিবহনযোগ্য ও স্বল্পমূল্যের। আবার যেখানে এফএমআরআই ছবি ধারণ করতে সেকেন্ডের মতো সময় নেয়, সেখানে ইইজি মস্তিষ্কে কিভাবে ছবি বিকশিত হয় তা মিলিসেকেন্ডের মাঝেই ধরে ফেলতে পারে।

Source: io9 – Gizmodo

অনেকেই এ ধরনের প্রয়োগের ক্ষেত্রে ইইজি এর উপযুক্ততা নিয়ে প্রশ্ন তুললেও নেমরোডোভ এর ফলাফল নিয়ে আত্মবিশ্বাসী। পরবর্তী ধাপ হবে মুখমণ্ডলের ছবির বাইরেও অন্য ছবির ক্ষেত্রে এ প্রক্রিয়া কাজে লাগিয়ে দেখা।

এই ‘মাইন্ড রিডিং’ কৌশলটি, যারা কথা বলতে পারে না অথবা যোগাযোগের উপায় হিসেবে প্রতীকী ভাষা ব্যবহার করে, তাদের জন্য জীবন পরিবর্তনকারী হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে। একজন প্রত্যক্ষ্যদর্শী কোনো নির্দিষ্ট ঘটনার ব্যাপার মনে রাখতে পেরেছে কিনা সে সম্পর্কেও তথ্য প্রদান করতে পারবে। অপর একজন যা দেখেছে তা নিজে দেখতে পাওয়ার কারণে সাক্ষ্য দেওয়া বা লিখিতভাবে জমা বিবরণের সাথে অসামঞ্জস্য সহজেই ধরা পড়বে। এর ফলে কোনো অপরাধ অনুসন্ধানের কৌশলই পাল্টে যাবে।

Featured Image Source: Huffington Post

Related Articles