রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর জন্য চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। প্রত্যাবাসন শুরুর দুই বছরের মধ্যে প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করার উদ্যোগ নেওয়া হবে মাঠ পর্যায়ের এই ‘ফিজিক্যাল অ্যারেঞ্জমেন্ট’ চুক্তি অনুসারে। চুক্তিতে প্রত্যাবাসনের পর রাখাইনে রোহিঙ্গাদের জীবন-জীবিকার বিষয় নিশ্চিত করার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত আছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রসচিব মো. শহীদুল হক।
মিয়ানমারের রাজধানী নেপিডোতে গতকাল সোমবার থেকে টানা ১৩ ঘণ্টার বৈঠকের পর আজ সকালে আবার শুরু হয় বৈঠক। বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের (জেডব্লিউজি) বৈঠক ছিল এটি। বৈঠকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব মো. শহীদুল হক এবং মিয়ানমারের পররাষ্ট্রসচিব মিন্ট থোয়ে নিজ নিজ দেশের নেতৃত্ব দেন।
বাংলাদেশ প্রতি সপ্তাহে ১৫ হাজার জন করে রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠানোর প্রস্তাব দিলেও মিয়ানমারের প্রস্তাব ছিল শনি ও রোববার বাদ দিয়ে সপ্তাহে ১,৫০০ জন করে রোহিঙ্গাকে ফেরত নেওয়া। বৈঠকে গৃহীত প্রস্তাব অনুযায়ী, প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৫০০ করে রোহিঙ্গা ফেরত পাঠানো হতে পারে। এ উদ্দেশ্যে ৩০ হাজার মানুষের ধারণক্ষমতা সম্পন্ন একটি ট্রানজিট ক্যাম্প নির্মাণ করবে বলে জানিয়েছে মিয়ানমার।
বৈঠকের বিষয়ে মো. শহীদুল হক বলেন, “রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের জন্য আমরা সফলভাবে ফিজিক্যাল অ্যারেঞ্জমেন্ট চূড়ান্ত করে ফেলেছি। সেই সঙ্গে যেসব রোহিঙ্গা ফেরত যাবেন, তাদের জন্য একটি ফরমের রূপও চূড়ান্ত করা হয়েছে।”
প্রত্যাবাসনের সংখ্যা ও জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার ভূমিকার বিষয়ে উল্লেখ আছে চুক্তিতে। প্রত্যাবাসন দ্রুত শেষ করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ এবং মিয়ানমার সীমান্তের জিরো পয়েন্টে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের মধ্য দিয়ে এই প্রক্রিয়া শুরু করতে রাজি হয়েছে দুই দেশ।
ফিচার ইমেজ: ONUR COBAN/ANADOLU AGENCY/GETTY IMAGES