- চীনের ঝেংঝুতে পুলিশ অফিসারদের মুখমণ্ডল শনাক্তকারী সফটওয়্যার সংযুক্ত রোদচশমা পরিহিত অবস্থায় দেখা গেছে।
- এ রোদচশমাগুলো তাদেরকে সম্ভাব্য অপরাধী খুঁজতে সাহায্য করে।
- চীনের পিপলস ডেইলি সংবাদপত্র ইঙ্গিত দেয় এটি পুলিশের কার্যক্রমে অগ্রগতি আনছে।
নজরদারির জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারে চীন সব সময়ই এগিয়ে। কিন্তু এলএলভিশন এর তৈরি নতুন এ প্রযুক্তি তাদের নজরদারির ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। চান্দ্র নববর্ষ উপলক্ষ্যে দেশটির বিমানবন্দর, রেলস্টেশন ও জনসাধারণের পরিবহনের স্থানগুলো খুব ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। চীনের সরকারি গণমাধ্যম জানিয়েছে, ঝেংঝুতে পুলিশ এই রোদচশমার সাহায্যে অপরাধমূলক কাজে জড়িত থাকা ৭ জনকে চিহ্নিত করতে পেরেছে। এছাড়াও অন্যের পরিচয় বহন করা ২৫ জনকে ধরেছে পুলিশ।
গতানুগতিক সিসিটিভির চেয়ে এটি আরও ভালো এবং দ্রুত কাজ করে। নিরাপত্তা ক্যামেরায় কাউকে চিহ্নিত করে কর্তৃপক্ষকে খবর দিতে যে সময়ের প্রয়োজন হয় এর মাঝে সেই ব্যক্তি পলায়নের সুযোগ লাভ করে। এই রোদচশমাগুলো মুখমণ্ডল শনাক্তকারী সফটওয়্যারযুক্ত হাতেধরা এক ধরনের যন্ত্রের সাথে সংযুক্ত থাকে। এতে আগে থেকেই প্রায় ১০ হাজার সন্দেহভাজনের ছবি দেওয়া থাকে, যার ফলে চশমা পরিহিতরা যাদেরকে দেখতে পায় তাদের সাথে এটি সন্দেহভাজনদের তুলনা করতে পারে। এক সেকেন্ডের মাত্র দশ ভাগের এক ভাগ সময়ের মাঝেই এটি তা সম্পন্ন করতে সক্ষম।
এলএলভিশন এর প্রধান কার্যনির্বাহী উ ফেই জানান, “সামনের অংশে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাযুক্ত পরিধেয় চশমায় তাৎক্ষণিক এবং যথাযথ ফলাফল পাওয়া যায়। পরবর্তী মিথষ্ক্রিয়া সম্পর্কে আপনি তখনই সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।” তবে তিনি জানান এর যথার্থতা একেবারে নিখুঁত নয়, জনাকীর্ণ স্থানে পারিপার্শ্বিক কোলাহলে ফলাফলকে কিছুটা পাল্টে যেতে পারে।
তবে পাল্টে যাওয়া ফলাফলই এর উদ্বেগের একমাত্র কারণ নয়। এর ফলে নাগরিকদের গোপনীয়তা লঙ্ঘন হতে পারে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের চীনা গবেষক উইলিয়াম নী বলেন, “প্রত্যেক চীনা পুলিশ অফিসারকে মুখমণ্ডল শনাক্তকারী সফটওয়্যারযুক্ত রোদচশমা দিলে চীনের নজরদারির অবস্থা সর্বত্রচারী হয়ে পড়বে।”
ইতোমধ্যে চীনে আইন প্রয়োগকারীদের ব্যবহৃত এই প্রযুক্তি মিশন ইম্পসিবল চলচ্চিত্রের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। এর থেকে মনে হতে পারে নজরদারি সর্বত্রচারী হয়ে যাওয়ার ব্যাপারটি এর মধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে।
ফিচার ইমেজ: theverge.com