জাপানে বয়োজ্যেষ্ঠদের সমাজকল্যাণ কেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ডে ১১ জন নিহত

  • জাপানে বয়োজ্যেষ্ঠদের এক সমাজকল্যাণ কেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ডে ১১ জন নিহত ও ৩ জন আহত হয়েছেন।
  • ৫ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
  • বুধবার রাতে হোক্কাইডো দ্বীপের সাপ্পোরো শহরে অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনাটি ঘটে।

দুর্ঘটনার সময় কেন্দ্রটির সর্বোচ্চ ক্ষমতা অনুযায়ী সেখানে ১৬ জন অবস্থান করছিলেন। নিহত ৮ জন পুরুষ এবং ৩ জন নারীর পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি। তাদের মধ্যে ৫০-৮০ বছর বয়স্ক তিনজন উদ্ধারের সময় আহত হয়েছেন। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।

আগুন নেভাচ্ছে অগ্নি নির্বাপক দল;  Source: The Eagle

আগুন নেভাতে ৪০টিরও বেশি ট্রাক, অ্যাম্বুলেন্স ও পুলিশের গাড়ি নিয়োগ করা হয়। কর্তৃপক্ষ আগুন লাগার কারণ অনুসন্ধান করে দেখছে।

অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র না রাখায় কেন্দ্রটি পরিচালনাকারী সাহায্যকারী দলের প্রধান নোরিয়োশি ফুজিমোতো দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “আমাদের আরও জিনিসপত্রের সুযোগ-সুবিধা রাখা উচিত ছিল।” অগ্নিনির্বাপক দলের মতে, ভবনটির দোতলা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যেখানে রান্নাঘর, বাথরুম ও অতিথিঘর রয়েছে।

দেখাশোনা করার মতো কেউ নেই এমন স্বল্প আয়ের মানুষদের সমাজকল্যাণ কেন্দ্রটি আশ্রয়দান করে। আগুন নেভানোর চেষ্টা চালালেও অগ্নিনির্বাপক দলের মতে, ভবনটি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। সংস্কার করা এ ভবনটি একসময় একটি হোটেল ছিল।

অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত বায়োজেষ্ঠ্যদের সমাজকল্যাণ ভবন; Source: Los Angeles Times

কেন্দ্রটি পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ‘হোমলেস সাপোর্ট হোক্কাইডো নেটওয়ার্ক’ এর একজন প্রতিনিধি জানান, এর নিচতলায় ডাইনিং ও সামাজিক সাক্ষাতের স্থান এবং দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় বসবাসের কক্ষ ছিল। প্রতিষ্ঠানটির থেকে জানানো হয় যে, ভুক্তভোগীদের সকলেই কেন্দ্রটির বাসিন্দা ছিল, কেননা কোনো কর্মী সাধারণত সেখানে রাত কাটায় না।

এর আগে ২০১০ সালের মার্চে সাপ্পোরোতে একটি চিকিৎসা কেন্দ্রে ৭ জন মারা যান। গত মাসে দক্ষিণ কোরিয়ার এক চিকিৎসা কেন্দ্রেও অগ্নিনির্বাপকবিহীন এক চিকিৎসা কেন্দ্রে ৩৭ জন নিহত ও দেড় শতাধিক আহত হয়।

ফিচার ইমেজ: NewIndian Express

Related Articles

Exit mobile version