- দুজন নারীকে ডাকিনীবিদ্যা চর্চার অপবাদ দিয়ে নির্যাতনের অপরাধে ভারতের উত্তর ঝাড়খণ্ড থেকে ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
- কারো দেবী (৬৫) ও তার মেয়ে বাসন্তীর (৩৫) উপর তাদের গ্রামে রোগ ছড়ানোর অভিযোগ এনে তাদের নির্যাতন করা হয়।
কারো দেবী গত শুক্রবার পুলিশের কাছে নালিশ করেন যে তাকে ও তার মেয়েকে তাদের আত্মীয়স্বজনরা নির্যাতনের পরে জোরপূর্বক মানুষের মল খেতে বাধ্য করে। গত সপ্তাহে তাদের পরিবারের এক সদস্য মারা গেলে তারা একজন অযোগ্য চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে। পরে সেই চিকিৎসক তাদেরকে সেই আত্মীয়ের মৃত্যুর জন্য দায়ী করে।
Jharkhand: A woman and her daughter forced to eat human excreta, their heads tonsured by their neighbors on the suspicion of “witchcraft” in Dulami village under Sonahatu police station in Ranchi. (16.02.2018) pic.twitter.com/wMUKpK8nJc
— ANI (@ANI) February 18, 2018
প্রতিবাদ করলেও তাদেরকে জোরপূর্বক মলমূত্র ত্যাগের স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর তাদের গায়ে মলমূত্র ছুড়ে মারা হয় ও গলাধঃকরণে বাধ্য করা হয়। সেখানে তাদের মাথা কামিয়ে দেওয়া হয়। এরপর তাদেরকে জোরপূর্বক বিবস্ত্র করে গ্রামে চক্কর দেওয়ানো হয়।
কারো দেবী বলেন, “আমরা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে গিয়েছিলাম।” তাদের দেখতে অনেক মানুষ ভীড় জমালেও কেউ সাহায্য করতে এগিয়ে আসে নি।
পুলিশ জানায় ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের কোনো ঘটনা না ঘটে সেজন্য তারা গ্রামটিতে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালাচ্ছে। তারা নারী দুজনকে অতিরিক্ত নিরাপত্তা দান করেছে।
ভারতের এ অঞ্চলে ডাইনী শিকার প্রচলিত। বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ধরনের হামলার পেছনে মূলত কুসংস্কার দায়ী। কিন্তু ইচ্ছাকৃতভাবেও অনেককেই এভাবে অপদস্থ করা হয়। বিশেষ করে বিধবাদেরকে তাদের সম্পত্তির কারণে লক্ষ্যে পরিণত করা হয়।
ফিচার ইমেজ: reuters