- আফ্রিকার ইরিত্রিয়া ও সুদান থেকে আসা আশ্রয়প্রত্যাশীদের অন্যত্র পাঠিয়ে দেওয়ার বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে ইসরায়েল।
- তাদেরকে ঠিক কোন দেশে পাঠানো হবে সেটি এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেনি ইসরায়েল।
- দেশটিতে পরিবার ছাড়া বসবাস করছে এমন মানুষদের রবিবারে প্রথম দফায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে।
- এই বিজ্ঞপ্তির পর সরকারের বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত নন এমন প্রায় ২০ হাজার মানুষ ৬০ দিনের মধ্যে ইসরায়েল ছেড়ে না গেলে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আশঙ্কা রয়েছে।
বর্তমানে সরকারি হিসেব মতে, ইসরায়েলে প্রায় ৪০ হাজার আশ্রয়প্রত্যাশী বসবাস করছেন। জাতিসংঘের অভিবাসী এজেন্সির রিপোর্ট অনুযায়ী, এদের মাঝে ২৭,৫০০ ইরিত্রিয় এবং ৭,৮০০ সুদানীয়।
ইসরায়েলের দৈনিক সংবাদপত্র হারেতজ এ প্রকাশিত ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের এক চিঠিতে বলা হয়, “আমরা জানাতে চাই যে ইসরায়েল আপনাদেরকে তৃতীয় একটি নিরাপদ দেশে প্রেরণের চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, যে দেশ আপনাদেরকে বসবাসের ভিসাসহ কাজ করার অনুমতি দান করবে এবং আপনাদেরকে আপনাদের মূল দেশে পাঠিয়ে দেবে না।”
কোন কোন দেশ অভিবাসী নিতে রাজি হবে, তা প্রকাশ করতে সম্মত হয়নি ইসরায়েল। তবে গণমাধ্যম ও ইসরায়েল কর্তৃপক্ষ ইঙ্গিত দিয়েছে, উগান্ডা ও রুয়ান্ডা হচ্ছে তাদের গন্তব্যস্থান।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, আশ্রপ্রত্যাশীদের মাঝে কেউ যদি মার্চের শেষে স্বেচ্ছায় ইসরায়েল ছেড়ে যান, তাহলে তিনি ৩,৫০০ মার্কিন ডলার এবং প্লেন টিকেট পাবেন। যারা এরপরেও যাবেন না, তাদেরকে এপ্রিলের এক তারিখ থেকে অভিবাসী কর্তৃপক্ষ গ্রেফতার করবে অথবা জোরপূর্বক দেশছাড়া করবে।
এদিকে ইসরায়েলের গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেওয়া কিছু অভিবাসী জানান, তারা নিজ দেশ অথবা উগান্ডা-রুয়ান্ডায় যাওয়ার চেয়ে জেলে যাওয়াই শ্রেয় মনে করেন। তবে কর্তৃপক্ষ রবিবার জানায়, ইসরায়েলে অবস্থানরত হাজার হাজার অভিবাসী, যারা স্বেচ্ছায় দেশ ছাড়তে প্রস্তুত না, তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর মতো জায়গাও নেই।
সম্প্রতি ইসরায়েলের পাইলট, ডাক্তার, লেখক, সাবেক রাষ্ট্রদূত এবং হলোকাস্ট থেকে জীবিত ফিরে আসা মানুষেরা প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কাছে এই পরিকল্পনা বাতিল করতে অনুরোধ জানিয়েছে। তাদের মতে, এটি অনৈতিক এবং এর ফলে ইসরায়েলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হতে পারে।
ফিচার ইমেজ: Middle East Monitor