
- মালয়েশিয়া বিতর্কিত চলচ্চিত্র ‘পদ্মাবত‘ সিনেমা হলে প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
- মুসলিম শাসকের নেতিবাচক চরিত্রের কারণে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় বলে গত শুক্রবার জানায় দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ভারতে মুসলিম শাসককে রাজপুত যোদ্ধা সম্প্রদায়ের রানী পদ্মাবতীর প্রেমিক হিসেবে তুলে ধরে ইতিহাস বিকৃত করার অভিযোগ আনা হয়েছে চলচ্চিত্রটির পরিচালক সঞ্জয় লীলা বানসালির উপর। এর কারণে দেশটিতে আন্দোলনও সংগঠিত হয়েছে। চলচ্চিত্রটি নিষিদ্ধ করার জন্য দুটি রাজ্যে আন্দোলন চলার পরেও গত মাসে দেশটির সর্বোচ্চ আদালত দেশব্যাপী তা প্রচারের অনুমতি দান করে।

সুলতান আলাউদ্দিন খিলজিকে নেতিবাচক চরিত্রে দেখানো হয়; Source: Huffington Post
কিন্তু মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ মালয়েশিয়া সুলতান আলাউদ্দিন খিলজির এরকম চরিত্রায়ন মেনে না নিয়ে চলচ্চিত্রটি নিষিদ্ধ করে। মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, “তাকে এমন একজন সুলতান হিসেবে দেখানো হয়েছে, যিনি দাম্ভিক, নিষ্ঠুর, অমানবিক, প্রতারক, কপট ও অবিশ্বস্ত এবং যিনি পুরোপুরিভাবে ইসলামিক শিক্ষা অনুশীলন করেন না।”
মালয়েশিয়ার চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড জানায় চলচ্চিত্রটি প্রদর্শনের জন্য অনুমোদিত নয়। তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়, “চলচ্চিত্রটির কাহিনী মুসলিম সুলতানের ভূমিকার মাধ্যমে ইসলাম সম্পর্কে নেতিবাচক ভাবমূর্তি তুলে ধরে।” চলচ্চিত্রটির পরিবেশকেরা পুনরায় আবেদন করলে তা গত মঙ্গলবারে খারিজ করা হয় বলে মন্ত্রণালয় জানায়।
বলিউডের চলচ্চিত্র মালয়েশিয়াতে জনপ্রিয়। কারণ দেশটির ৩ কোটি ২০ লক্ষ জনসংখ্যার প্রায় সাত শতাংশ জাতিগতভাবে ভারতীয়।

‘পদ্মাবত’ চলচ্চিত্রের পোস্টার; Source: The Daily Star
ধর্মীয় দিক থেকে অসংবেদনশীল হওয়ায় এর আগে মালয়শিয়া হলিউডের চলচ্চিত্র নিষিদ্ধ করে। যেমন, ১৯৯৮ সালের চলচ্চিত্র ‘দি প্রিন্স ও ইজিপ্ট’ যেখানে হযরত মুসা (আ) এর কাহিনী দেখানো হয় এবং ১৯৯৫ সালের চলচ্চিত্র ‘বেব’ যেখানে একটি শুকরছানাকে প্রধান চরিত্র হিসেবে দেখানো হয়।
মালয়েশিয়া মাঝে মাঝে রক্ষণশীল মুসলিমদের ক্রুদ্ধ করার আশংকায় বিদেশী শিল্পীদের লাইভ টেলিভিশন অনুষ্ঠানও বন্ধ করে দেয়। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানা বা তরুণ সম্প্রদায়কে বিপথে নেওয়ার দায়ে রক্ষণশীলরা পশ্চিমা শিল্পীদের কনসার্টের বিরুদ্ধে কথা বলে।
ফিচার ইমেজ: DNA India