সম্প্রতি সিরিয়ায় রুশ বাহিনীর উপর রহস্যময় ড্রোন হামলা হয়। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় গত ৮ জানুয়ারি তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে নিশ্চিত করে যে, ৫ জানুয়ারি এক ঝাঁক ড্রোন সিরিয়ায় তাদের বিমানঘাঁটিতে হামলা চালায়।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আরও জানায় যে ১৩টি ছোট ছোট ড্রোন হেমেমীমে রুশ বিমানঘাঁটি ও টারটাস বন্দরকে লক্ষ্য করে হামলা চালায়। একে তারা ‘চালকবিহীন আকাশযানের বৃহৎ প্রয়োগ’ বলে অভিহিত করেছে। তাদের মতে, এই প্রথম সন্ত্রাসীরা আধুনিক জিপিএস পদ্ধতিসম্পন্ন ড্রোনের ব্যবহার করেছে।
১৩টির মধ্যে ৭টি ড্রোন বিমান-আক্রমণ প্রতিরোধক দিয়ে নিষ্ক্রিয় করা হয়। বাকিগুলোর মধ্যে তিনটি অক্ষত অবস্থায় ধরা হয় এবং তিনটি ভূপতিত হয়ে বিস্ফোরিত হলেও কোনো উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতি হয় নি।
ব্রিফিংয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দুটি ড্রোন দেখিয়ে দাবি করে যে, এ ধরনের নিপুণ ইলেক্ট্রনিকস সহজে জ্যাম করা যায় না এবং এগুলো যথার্থভাবে আক্রমণের বৈশিষ্টসম্পন্ন।
মন্ত্রণালয়ের ড্রোন বিভাগের প্রধান মেজর জেনারেল আলেক্সান্ডার নভিকভ জানান, এই ড্রোনগুলো সিরিয়ার বিদ্রোহীদের ব্যবহৃত পূর্ববর্তী অপরিণত ড্রোন থেকে ভিন্ন। তার মতে, আক্রমণটি পরিচালনা করতে জটিল প্রকৌশলের কাজ, বিশদ পরীক্ষা ও স্যাটেলাইট নেভিগেশন তথ্য প্রয়োজন ছিল যা ইন্টারনেটে নেই। তিনি বলেন, “অস্থায়ী অবস্থায় এ পর্যায়ের ড্রোন বানানো সম্ভব না। এগুলোর উন্নতি ও ব্যবহারের জন্য যেসব দেশে ড্রোন তৈরি ববহৃত হয় সেসব দেশের বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বিশেষজ্ঞ প্রয়োজন।”
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এ ঘটনায় বাহিরের শক্তিকে দায়ী করেছেন।
যুদ্ধে ড্রোনের ব্যবহার এটিই প্রথম নয়। কিন্ত সিরিয়াতে রুশদের বিপক্ষে ব্যবহৃত এ ধরনের ছোট ছোট ড্রোনের ঝাঁক আধুনিক প্রতিরক্ষা কার্যক্রমে শুধুমাত্র সম্প্রতি ব্যবহৃত হয়েছে।
যুদ্ধে ড্রোনের ব্যবহারের সমর্থকেরা একে সামরিক অপারেশনের ভবিষ্যৎ হিসেবে দেখছেন যে, সেনাদের জীবনের ক্ষতি করে অংশগ্রহণের প্রয়োজন নেই। ছোট ছোট ড্রোনের ব্যবহার ‘প্রিডেটর’ এর মতো বড় ড্রোন ব্যবহারের খরচও কমিয়ে আনবে।
ফিচার ইমেজ: Sputnik International