- ইন্টারনেটের মৌলিক বিষয় এবং এটি যেভাবে কাজ করে তা পুরোপুরিভাবে পাল্টে দিতে নতুন প্রকল্পে কাজ করছেন টিম বার্নারস-লি।
- তিনি প্রযুক্তিবিদদের ক্ষমতা হ্রাস করে আমাদেরকে আমাদের ব্যক্তিগত তথ্য-উপাত্তের উপর আরও বেশি নিয়ন্ত্রণ এনে দিতে চান।
- টিম বার্নারস-লি কে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব এর আবিষ্কারক বলা হয়।
ফেসবুক, গুগল, নেটফ্লিক্স, অ্যামাজন ও অ্যাপলের মতো কোম্পানিগুলো ওয়েবে আধিপত্য চালায়। বহুল পরিচিত এই কর্পোরেট জায়ান্টগুলো আমরা অনলাইনে কী দেখি এবং করি শুধু তা-ই নয়, আমাদের ব্যক্তিগত তথ্য-উপাত্ত এবং এগুলো কিভাবে ব্যবহৃত হয় সেক্ষেত্রেও ব্যাপক পরিমাণে নিয়ন্ত্রণের অধিকার ভোগ করে।
তারা জানে আমরা অনলাইনে কী দেখি, কী কিনি, কার সাথে কথা বলি, আমাদের বন্ধু কারা এবং আমরা স্বেচ্ছায় যে তথ্যগুলো দেই তা থেকেও অনেক কিছু সংগ্রহ করতে পারে।
এটি গোপনীয় ব্যাপার না যে বার্নারস-লি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ওয়েব যেভাবে বিবর্ধিত হয়েছে তা নিয়ে সন্তুষ্ট না। ট্রাম্প প্রশাসনের বিল পাসের মাধ্যমে যখন ইন্টারনেট সেবা দানকারীরা তাদের ক্রেতাদের ব্যক্তিগত ব্রাউজিং বিবরণ বিক্রি করার অনুমতি লাভ করে তখন একে তিনি ন্যাক্কারজনক ও ভীতিকর বলে অভিহিত করেন। তিনি ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজির সাথে সম্মিলিতভাবে ওয়েবকে বিকেন্দ্রীকরণ এবং ইন্টানেট ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য নিয়ন্ত্রণের কাজ করছেন।
ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনগুলো যেভাবে কাজ করে এই প্রকল্পটি তার আমূল পরিবর্তনে লক্ষ্যস্থির করেছে। এর ফলে তথ্য-উপাত্তের প্রকৃত স্বত্বাধিকার ও গোপনীয়তা উন্নত হবে। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা কোথায় তাদের ব্যক্তিগত তথ্য সংরক্ষণ করতে চায় এবং কারা এখান থেকে অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে সেগুলো অনুকরণের প্রবেশাধিকার পাবে সে সম্পর্কে স্বাধীনতা দিতে এই প্রকল্পে কাজ করা দলটি কিছু কৌশল ও রীতি তৈরির কাজ চালাচ্ছে।
মূল ধারণাটি হচ্ছে, এমন মাপকাঠি তৈরি করা হবে, যা অ্যাপ্লিকেশনগুলোর সাহায্যে কোনো স্বতন্ত্র কোম্পানির পরিবর্তে আমাদের নির্বাচিত সার্ভার থেকে পড়তে, লিখতে ও নিয়ন্ত্রণ করে পারবে।
ফিচার ইমেজ: Alchetron