- ভারতের পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক (পিএনবি) নীরব মোদির বিরুদ্ধে শুধুমাত্র একটি শাখাতেই ১৭৭ কোটি মার্কিন ডলার সমমূল্য অর্থ জালিয়াতির অভিযোগ এনেছে।
- গত বৃহস্পতিবার তার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ আনা হয়। মুম্বাইয়ের ধনকুবের নীরব মোদি গহনা ব্যবসায়ী এবং তিনি ফায়ারস্টার ডায়মন্ড কোম্পানির মালিক।
- এ ব্যাপারে পিএনবি বিনিয়োগকারীদের শান্ত করা চেষ্টা চালাচ্ছে।
মুম্বাই ও দিল্লীতে নীরব মোদীর সাথে সম্পৃক্ত অফিস ও বাড়িগুলোতে অনুসন্ধানকারীরা হানা দিতে শুরু করেছে। মোদী এখনও এ ব্যাপারে কিছু বলেননি এবং মন্তব্য গ্রহণের জন্য তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তার কোম্পানি ফায়ারস্টার ডায়মন্ড জানায় এ ব্যাপারে তাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
এ সংবাদ সম্মেলনে পিএনবির কার্যনির্বাহী ব্যক্তিরা জানান কিভাবে ভারতের এত বড় জালিয়াতি এত বছর ধরে অগোচরে রয়ে গেছে তা নির্ণয়ে কর্তৃপক্ষ নিয়ন্ত্রকদের সাথে কাজ করছে। পিএনবির প্রধান কার্যনির্বাহী কর্মকর্তা সুনীল মেহতা বলেন, “২০১১ তারা সাল থেকে চলে আসা এ ক্যানসারকে আমরা বের করে এনেছি এবং আমরা এর সমাধান করছি।”
কার্যনির্বাহী ব্যক্তিবর্গ জানান যা ঘটেছে তারা তার দায়িত্ব নেবেন কিন্তু সম্ভাব্য কোনো বাধ্যবাধকতার সম্পর্কে নিশ্চিত করতে পারেননি। তারা অনুসন্ধানের ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করবেন বলে জানিয়েছেন।
জালিয়াতির এ খবরে গত বৃহস্পতিবার পিএনবির শেয়ার ১২ শতাংশ কমে যায়, যা ২০০৪ এর পর সবচেয়ে নিম্নগামী। পুলিশ ও অর্থনৈতিক অপরাধ অনুসন্ধানী সরকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট জানায়, তারা বৃহস্পতিবার অনুসন্ধান শুরু করেছে। এই জালিয়াতিতে টাকা পাচার জড়িত কিনা, সে ব্যাপারেও তারা খতিয়ে দেখছে।
এদিকে ধনকুবের নীরব মোদী তার বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার পূর্বেই জানুয়ারির ১ তারিখে ভারত ত্যাগ করেছেন। তার বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আইনমন্ত্রী রবি শঙ্কর প্রসাদ জানান, কর্তৃপক্ষ মোদীর থেকে ১৩ শত কোটি রুপি সমমূল্যের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করেছেন এবং তার পাসপোর্ট বাতিলের কার্যক্রম শুরু করেছেন।
ফোর্বস ম্যাগাজিনের র্যাংকিং অনুযায়ী মোদীর সম্পদের পরিমাণ ১৮০ কোটি মার্কিন ডলারের সমান। হলিউড রেড কার্পেটে কেট উইন্সলেট, ডাকোটা জনসন ও রোজি হান্টিংটন-হুইটলির মতো অভিনেত্রী ও মডেলদের দেহেও তার কোম্পানির হীরার গহনা শোভা পেয়েছে। তার হীরার গহনার দোকান নিউ ইয়র্ক থেকে হংকং পর্যন্ত বিস্তৃত।
উল্লেখ্য গত মাসেও পিএনবি মোদী ও আরও কিছু ব্যক্তির নামে অপরাধের অভিযোগ দাখিল করে। এতে বলা হয়, তারা জালিয়াতির মাধ্যমে ব্যাংকটির ২৮০ কোটি রুপি লোকসান হয়।
ফিচার ইমেজ: Quartz