আবারও নির্বাচনে জয়লাভ করলেন পুতিন

  • ভ্লাদিমির পুতিন গত রবিবার আবারও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
  • আরও ৬ বছর ক্ষমতায় থাকলে রাশিয়াতে তার রাজনৈতিক কর্তৃত্ব প্রায় ২৫ বছর স্থায়ী হবে।
  • তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কমিউনিস্ট পার্টির প্রার্থী পাভেল গ্রুদিনিন প্রায় ১৩ শতাংশের মতো ভোট পেয়েছেন।

রাশিয়ার কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন মোট গৃহীত ভোটের ৭০ শতাংশের কিছু বেশি ভোট গণনা করে। এর মাঝে গত ১৮ বছর ধরে রাশিয়ার রাজনৈতিক ক্ষেত্রে কর্তৃত্ব ধরে রাখা পুতিন ৭৫.৯ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হন।

রেড স্কোয়ারের নিকটে জয়ের এক ভাষণে উল্লাসরত জনগণের উদ্দেশ্যে এরকম কঠিন সময়ে জয় লাভ করাকে তিনি আত্মবিশ্বাসের ভোট অর্জন হিসেবে অভিহিত করেন। ২০২৪ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকলে পুতিনের বয়স হবে ৭১ বছর। তিনি পশ্চিমা শক্তির বিরুদ্ধে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা আরও জোরদার করার ও জীবনযাত্রার মান উন্নততর করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

Source: Alexander Zemlianichenko / Keystone

পুতিন বলেন, “এই একতা বজায় রাখা খুবই জরুরি। আমরা আমাদের মহান মাতৃভূমির ভবিষ্যৎ সম্পর্কে চিন্তা করব।” পুতিনের এই জয় প্রায় নিশ্চিত ছিল। তার সবচেয়ে কাছের প্রতিদ্বন্দ্বী কমিউনিস্ট পার্টির প্রার্থী পাভেল গ্রুদিনিন প্রায় ১৩ শতাংশের মতো ভোট পেয়েছেন।

পুতিনের বিপক্ষে ভোটে দাঁড়ানো ৭ জন প্রার্থীর কেউই তাঁর জন্য হুমকির কারণ হয়ে ওঠেননি। রাশিয়ার কিছু গ্রাম ও শহরের নির্বাচন কেন্দ্রের ভিডিওতে অনিয়ম দেখা যায়। রাশিয়ার কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন কিছু অনিয়ম স্বীকার করলেও, বড় ধরনের সমালোচনা নাকচ করে দিয়ে এই ফলাফলকে বৈধ বলে ঘোষণা করে।

ভোটকেন্দ্রে পুতিন; Source: Mikhail Klimentyev, Sputnik, Kremlin Pool Photo via AP

পুতিনের অনুগতরা বলছেন, এই ফলাফল পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে তার শক্ত অবস্থানের নজির। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে ইগোর মোরোজভ নামে একজন সংসদ সদস্য বলেন, “আমার মনে হয় যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনে তারা বুঝে গেছেন যে তারা আমাদের নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে করতে পারবেন না।” সিরিয়া ও ইউক্রেন সংকট, সাইবার আক্রমণ ও যুক্তরাজ্যে সাবেক রুশ এজেন্ট ও তার মেয়েকে রাসায়নিক বিষ প্রয়োগের মাধ্যমে হত্যাচেষ্টার দায়ে অভিযুক্ত হওয়ার কারণে মস্কোর সাথে পশ্চিমা বিশ্বের সম্পর্ক আরও খারাপ হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০০০ সাল থেকেই পুতিন রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী অথবা প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় রয়েছেন।

ফিচার ইমেজ: AP Photo/Alexander Zemlianichenko

Related Articles

Exit mobile version